আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

বগুড়া বোরো ধানের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষক-কিষানী।

এবার জেলায় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪ শত ৩২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সারা দেশে ধান-চালসহ বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনের উদ্বৃত্ত জেলা হিসাবে বগুড়া খ্যাতি রয়েছে। জেলার মাঠ গুলো এখন সবুজের আভায় এক অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে। বোরো ধানের (পি আই)শিষ বের হওয়ার পূর্ব মুহুর্ত চলছে সারা জেলায়। সেচসহ আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর ইরি-বোরো মৌসুমে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই জেলায় বোরো ধান লাগানো সম্পন্ন করেছে কৃষকেরা। এখন সেচ ও ধান খেত পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত রয়েছে তারা। কৃষি বিভাগ জেলায় ১০০ ভাগ জমিতে বিদ্যুৎ চালিত মোটরের আওতায় সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে শেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। প্রতিদিন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলে জমিতে পানির কোন সংকট হচ্ছে না।

সদর উপজেলার এরুলিয়া গ্রামের কৃষক সুলতান আলি জানান, বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে পানি সরবরাহ পাওয়ায় তাদের ইরি বোরো ধান চাষে খুব সুবিধা হয়েছে। বিঘা বা একর প্রতি ধানের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য সেচ যন্ত্রের মালিকের সাথে চুক্তি রয়েছে। জমির মালিকদের সেচ নেয়ার জন্য ঘুরতে হয় না। সেচ যন্ত্রের মালিকেরা নিজেরাই ধানের জমিতে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সেচ দিয়ে থাকেন। চুক্তির অর্ধেক টাকা দিয়ে বাকি টাকা ধান কাটার পর পরিশোধ করেন।

একই কথা জানালেন, কাহালু উপজেলার দেহড় গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম ও হিসাম উদ্দিন। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তারা এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

অধিদপ্তর জানায়, এখনো পর্যন্ত জেলার ১২টি উপজেলার কোন স্থান থেকেই ইরি বোরো ধান চাষে কোন সমস্যার খবর তাদের কাছে আসেনি।

কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মতলুবর রহমান বলেন, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে জেলায় ৪২০০০ জন কৃষককে ২ কেজি হারে হাইব্রিড বিজ প্রনোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এবার লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ফলন হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর



শিল্পকলার মহাপরিচালক হচ্ছেন নাট্যজন সৈয়দ জামিল আহমেদ

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাচ্ছেন নাট্যনির্দেশক ও শিক্ষক সৈয়দ জামিল আহমেদ। আজ (৯ সেপ্টেম্বর) সোমবার জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

নাট্যজন সৈয়দ জামিল আহমেদ ১৯৫৫ সালের ৭ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেছেন। ১৯৭১ সালে ষোলো বছর বয়সে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। সৈয়দ জামিল আহমেদ ১৯৭৮ সালে ভারতের ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। একই বছর ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার টেলিভিশন প্রডিউসারস ট্রেনিংয়েও প্রথম হন তিনি। ১৯৮৯ সালে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইক থেকে থিয়েটার আর্টস থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে অর্জন করেন পিএইচডি ডিগ্রি।

ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা। তিরিশ বছরের বেশি সময় ধরে এই বিভাগেই তিনি শিক্ষকতা করছেন। ইংরেজিতে প্রকাশিত তার আলোচিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে, অচিনপাখি ইনফিনিটি; ইনডিজেনাস থিয়েটার ইন বাংলাদেশ, ইন প্রেইজ অব নিরঞ্জন; ইসলাম থিয়েটার, এন্ড বাংলাদেশ, রিডিং এগেইন্সট দ্য ওরিয়েন্টালিস্ট গ্রেইন; পারফর্মেন্স অ্যান্ড পলিটিকস এন্টুইনড উইথ আ বুদ্ধিস্ট স্ট্রেইন এবং এপ্লাইড থিয়েট্রিক্স; এসেস ইন রিফিউসাল। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ইউপিএল ও এন্ডারসেনের মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রকাশনা সংস্থা তার বই প্রকাশ করেছে। মঞ্চনাটক, প্রায়োগিক মঞ্চনির্দেশনা, লোককথা ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের ওপর তার লেখা ষাটটিরও বেশি একাডেমিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বাংলা, ইংরেজি, ফরাসি, নরওয়েজিয়ান, রাশিয়ান, চীনা ও কোরিয়ান ভাষায়।

সৈয়দ জামিল আহমেদ নর্থ আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বক্তৃতা করেছেন, সেমিনার ও কনফারেন্স পরিচালনা করেছেন। তার নির্দেশিত অনেকগুলো প্রযোজনা রয়েছে, যেগুলোর বিস্তৃতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও কুড়িয়েছে সুনাম। ভারত, পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্রে মঞ্চস্থ হয়েছে তার প্রযোজনা, হয়েছে প্রশংসিত।

নির্দেশক হিসেবে সৈয়দ জামিল আহমেদের স্বাতন্ত্র্য চিহ্নিত করা যায় ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের ভাষা ও এই অঞ্চলের আদিবাসী চরিত্রগুলির আদান-প্রদানের মধ্যদিয়ে, দৃশ্যরূপগত বহুরৈখিক বর্ণনামূলক প্রক্রিয়ায়, উত্তর নাটকীয় কাঠামোতে। দেশ ও দেশের বাইরে করা সেলিম আল দীনের চাকা, মীর মশাররফ হোসেনের বিষাদসিন্ধু, পালাগান থেকে করা কমলা রানীর সাগর দিঘী, মনসা মঙ্গল থেকে বেহুলার ভাসান, সংযাত্রা থেকে সংভংচং, রবীঠাকুর অবলম্বনে শ্যামার উড়াল, কাশ্মিরি কবি আগা শহীদ খানের কাব্য অবলম্বনে রিজওয়ান, শহিদুল জহিরের উপন্যাস অবলম্বনে জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং সবশেষ সারাহ কেইনের ফোর পয়েন্ট ফোর এইট সাইকোসিস অবলম্বনে চার দশমিক চার আট, মন্ত্রাস

৭০টিরও বেশি মঞ্চ প্রযোজনার আলোক নির্দেশনা ও ৮০টিরও বেশি নাটকের মঞ্চপরিকল্পনা করেছেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। দেশ ও বিদেশে বহু কর্মশালা করিয়েছেন তিনি, একাধিক গবেষণার জন্য পেয়েছেন ফেলোশিপ। নিজের বিভাগ ছাড়াও দেশের বড় বড় নাটকের দলের প্রযোজনা নির্দেশনা দিয়েছেন। ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অলাভজনক ও পেশাদার নাট্যদল স্পর্ধা: ইনডিপেনডেন্ট থিয়েটার কালেকটিভ


আরও খবর



অনিয়ম বন্ধ ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম বন্ধে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে হাসপাতালের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ, চিকিৎসক-নার্সদের আচরণ উন্নত করাসহ রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা 'চিকিৎসা হবে জনতার, হাসপাতাল হবে মানবতার' শিরোনামে স্লোগান দিতে থাকে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, 'শিবচরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। নার্সসহ চিকিৎসকের রোগীদের সঙ্গে আচরণ ভালো করতে হবে। দরিদ্র রোগীদের যেন হয়রানির শিকার হতে না হয় সেদিকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে কর্তৃপক্ষের। একই সঙ্গে দালালদের উৎপাত বন্ধে কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বক্তারা।

মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।


আরও খবর



সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক এনামুল করিম

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পি. কে. এম এনামুল করিম-কে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন।

সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে একই সাথে সিলেট সহ দেশের ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগে গত ২০ আগস্ট এসব জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে বদলি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে সিলেট ছাড়াও হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা, ময়মনসিংহ, মাগুরা, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নাটোর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, গাজীপুর, কুমিল্লা, খুলনা ও গোপালগঞ্জে নতুন ডিসি নিয়োগ করার কথা জানানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



শেয়ারবাজারে থামছে না দরপতন, হতাশা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। প্রায় প্রতিদিনই লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে দিন যত যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারি হচ্ছে। এতে শেয়ারবাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের হতাশা বেড়েই চলেছে।

আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। এতে কমেছে মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে কমেছে মূল্য সূচক। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া দুই কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। আর শেষ ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ৮ কার্যদিবসেই পতনের মধ্যে থাকলো শেয়ারবাজার।

বাজারের এই চিত্র সম্পর্কে বিনিয়োগকারী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিদিন আশায় থাকি বাজার ভালো হবে। কিন্তু প্রতিদিনই বাজারে দরপতন হচ্ছে। আর আমাদের লোকসানের পাল্লা ভারি হচ্ছে। এরইমধ্যে বিনিয়োগ করা পুঁজির প্রায় অর্ধেক নেই হয়ে গেছে। কবে এই লোকসান থেকে বের হবো সেই টেনশনে ঠিকমত ঘুমাতে পারি না।

তিনি বলেন, সরকার পতনের পর শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল এবার হয় তো লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি। গত সরকারের মতো এই সরকারের আমলেও শেয়ারবাজার সেই পতনের মধ্যেই রয়েছে। আর আমার মতো সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লোকসান গুনেই চলেছি।

আর এক বিনিয়োগকারী মিজানুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজার ভালো হবে এই আশায় আছি। কিন্তু বাজারতো ভালো হচ্ছে না। কবে বাজার ভালো হবে তাও বুঝতে পারছি না। দিন যত যাচ্ছে বাজার নিয়ে হতাশা তত বাড়ছে। মাঝে মধ্যে মনে হয় লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়ে চলে যাবো। কিন্তু এতো লোকসানে শেয়ার বিক্রি কিভাবো করবো। ছয় লাখ টাকার শেয়ার কিনে আড়াই লাখ টাকায় লোকসানে রয়েছি।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকে। ফলে সূচকও ঊর্ধ্বমুখী থাকে। কিন্তু দুপুর ১২টার পর বাজারের চিত্র বদলে যায়। দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশি কিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। এতে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্য সূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৬৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে সোনালী আঁশের শেয়ার। কোম্পানিটির ২১ কোটি ৮৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিন্ডে বাংলাদেশের ১৯ কোটি ৬৫ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ওরিয়ন ইনফিউশন, এনআরবি ব্যাংক, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, অগ্নি সিস্টেম, বিচ হ্যাচারি এবং গ্রামীণফোন।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ২২৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৪টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।


আরও খবর
কোনো রকমে বাড়লো সূচক, কমেছে লেনদেন

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে নারী পাচারকারী আটক, উদ্ধার ৩

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচারের সময় ৩ নারীকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় বিকাশ সরকার (৪১) নামের এক ভারতীয় পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যা রাতে মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। আটক বিকাশ সরকার পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কল্যানী মাঝের চর গ্রামের রাইমোহনের ছেলে।

মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়েদুর রহমান জানান, বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে নারী পাচার করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায় খালিশপুর ৫৮ বিজিবি। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিজিবি ২ রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করে। পরে আটক করা হয় ভারতের নদীয় জেলার কল্যাণী এলাকার নারী পাচারকারী বিকাশ সরকারকে। উদ্ধার করা হয় ৩ নারীকে। তাদের বাড়ী নড়াইল ও রাজবাড়ী জেলায়।

এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে বিকাশ সরকারকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত নারীদের একটি সংস্থার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।


আরও খবর