আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিদায়েও উদ্ভাসিত রানী

প্রকাশিত:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঐতিহাসিক রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ বিদায় জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটির আধুনিককালের বিরলতম এবং নিখুঁত পরিকল্পনার এ শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন বিশ্বনেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। শেষযাত্রায় রানীর প্রতি দেখানো হয় অভূতপূর্ব ভালোবাসা। তাঁর কফিনের সামনে মাথা নুইয়ে সম্মান জানিয়েছেন লাখো মানুষ। এ সময় চোখ ভিজেছে অগণিত গুণমুগ্ধের। দিনভর নানা অনুষ্ঠান শেষে রানীকে উইন্ডসর ক্যাসলের সেইন্ট জর্জেস চ্যাপেলে তাঁর পিতা রাজা ষষ্ঠ জর্জ, মা রানী এলিজাবেথ এবং বোন রাজকুমারী মার্গারেটের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। তাঁর স্বামী প্রিন্স ফিলিপের কফিনও তাঁর পাশে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফিলিপ গত বছর ৯৯ বছর বয়সে মারা গেছেন।

এর আগে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে থেকে এক বিশাল শোকযাত্রা রানীর কফিন নিয়ে ওয়েলিংটন আর্চের দিকে যাত্রা করে, যেটি ব্রিটিশ ইতিহাসের এক গৌরবময় প্রতীক। রানীর কফিন এর পর একটি শবযানে রাখা হয়। এটি যাত্রা করে উইন্ডসরের দিকে। কফিন নিয়ে তৃতীয় শোক মিছিলটি উইন্ডসরের দীর্ঘ রাস্তা পেরিয়ে সেইন্ট জর্জেস চ্যাপেলে যায়। সেখানে রানীর স্মরণে প্রার্থনায় যোগ দেন প্রায় ৮০০ মানুষ। এ অনুষ্ঠানে যাঁরা যোগ দিচ্ছেন, বেশিরভাগই ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের অনুষ্ঠানে ছিলেন না। রানীর অনেক বর্তমান এবং সাবেক স্টাফ এ প্রার্থনায় যোগ দেন। সারাদিনের আনুষ্ঠানিকতার সমাপ্তি টানা হয় সেইন্ট জর্জেস চ্যাপেলে। পরে রাজকীয় সমাধিকক্ষে রানীর মরদেহ নামানো হয়। সন্ধ্যায় রাজপরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে রানীকে সমাহিত করা হয়। এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে রানীর কফিনের ওপর থেকে রাজমুকুট এবং রাজদণ্ড সরিয়ে নেওয়া হয়। এগুলো আবার টাওয়ার অব লন্ডনে ফেরত যাবে।

রাজমুকুট ও রাজদণ্ড শোভিত এবং পতাকা আচ্ছাদিত রানীর কফিনটি দেখার জন্য লন্ডনে রাস্তায় জনতার ঢল নেমেছিল। যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি অন্য দেশের নাগরিকরাও ছিলেন এই শোকের মিছিলে। এর আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েস্টমিনস্টার হল থেকে পাইপ এবং ড্রামের সুরে একটি কামানবাহী গাড়িতে তাঁর মরদেহ রাজকীয় নৌবাহিনীর ১৪২ জন সদস্য ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে নিয়ে যান। রানীর শেষযাত্রা সরাসরি দেখতে লন্ডনের রাস্তার পাশে জড়ো হওয়া হাজারো মানুষ শোক আর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে তাঁকে বিদায় জানিয়েছে। রাত থেকেই রাস্তার পাশে তাঁবু টানিয়ে মানুষজন অপেক্ষায় ছিল রানীর শেষযাত্রা দেখার জন্য। কেউ এনেছিল স্লিপিং ব্যাগ আবার কেউ ফোলানো বিছানা। এমনকি ফ্লাস্কভর্তি চা নিয়েও এসেছিল কেউ কেউ।

গত ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের বালমোরালে নিজের গ্রীষ্ফ্মকালীন প্রাসাদে ৯৬ বছর বয়সে মারা যান রানী এলিজাবেথ। ৭০ বছর ধরে তিনি ব্রিটিশ সিংহাসন আলোকিত করেছেন। তাঁর সম্মানে ১০ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের গির্জায় প্রার্থনা অনুষ্ঠানের পর ৪৫ মিনিটের যাত্রা শেষে ওয়েলিংটন আর্চে পৌঁছে রানীর শবমিছিল। এ সময় গির্জায় উপস্থিত দুই হাজার মানুষ উঠে দাঁড়িয়ে রানীকে সম্মান জানান। ওয়েস্টমিনস্টারের ডিন ডেভিড হোয়েলের নেতৃত্বে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়েছে। গির্জায় রানীর আত্মার শান্তি কামনা করে কমনওয়েলথের মহাপরিচালক ব্যারোনেস স্কটল্যান্ড প্রথমে বাইবেলের একটি অংশ পাঠ করেন। এর পর বিশেষভাবে রানীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের জন্য জুডিথ ওয়্যারের লেখা একটি গান বাজানো হয়।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস দ্বিতীয়জন হিসেবে বাইবেলের একটি অংশ পাঠ করে রানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তার পর ক্যান্টাবুরির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি ধর্মোপদেশ দেওয়া শুরু করেন। এ সময় আর্চবিশপ বলেন, ৭০ বছরের শাসনামলে রানী 'বহু মানুষের জীবন ছুঁয়ে গেছেন'। গির্জার অন্য নেতারাও একে একে প্রার্থনা করেন। ১৯৫৩ সালে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেক অনুষ্ঠানে যে গানটি গাওয়া হয়েছিল; তাঁর শেষযাত্রায়ও সেই গানটি গাওয়া হয়। জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে গির্জায় প্রার্থনার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

ওয়েস্টমিনস্টার গির্জায় প্রার্থনা শেষে রানীর শবমিছিল উইন্ডসর ক্যাসলের দিকে রওনা হয়। এই পথে মিছিলটি প্রথমে পার্লামেন্ট স্কয়ার অতিক্রম করে। সে সময় যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি যৌথ দল রানীর কফিনে গার্ড অব অনার জানায়। সেখান থেকে শবমিছিল পার্লামেন্ট স্ট্রিট হয়ে ওয়েলিংটন আর্চের পথে চলতে শুরু করে। শবমিছিল অতিক্রম করার সময় লন্ডনের সবচেয়ে ব্যস্ত সড়কগুলোর একটি পার্লামেন্ট স্ট্রিটে পিনপতন নীরবতা নেমে আসে। সেখানে উপস্থিত লোকজন দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে প্রিয় রানীকে সম্মান জানায়। মিছিলটি লন্ডনের বিখ্যাত 'বিগ বেন'-এর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় রানীর সম্মানে ৬০ সেকেন্ডের জন্য ঘড়ির কাঁটা স্তব্ধ করে রাখা হয়। ওয়েলিংটন আর্চে পৌঁছানোর আগে শেষবারের মতো লন্ডনের রাজকীয় দুটি পার্ক অতিক্রম করে রানীর মরদেহ। শবমিছিলটি প্রথমে গ্রিন পার্ক (রাজা দ্বিতীয় চার্লস ১৬৬৮ সালে এই পার্কটি উদ্বোধন করেন), তারপর সেন্ট জেমস পার্ক (সবচেয়ে পুরোনো রাজকীয় পার্ক) অতিক্রম করে। সেখান থেকে শবমিছিলটি বাকিংহাম প্যালেস অতিক্রম করে ওয়েলিংটন আর্চে পৌঁছে।

এর আগে স্থানীয় সময় সকালে ওয়েস্টমিনস্টার হল থেকে রানীর কফিন নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের উদ্দেশে যাত্রা শুরু হয়। এ সময় রানীর বড় ছেলে রাজা তৃতীয় চার্লস, তাঁর বোন প্রিন্সেস অ্যান, দুই ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রু, প্রিন্স এডওয়ার্ডসহ ব্রিটিশ রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা রানীর কফিন অনুসরণ করেন। কফিনটি একটি গান ক্যারিজে বা কামানবাহী গাড়িতে করে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে নেয় রাজকীয় নৌ সেনারা। এই ভবনে রানীর বিয়ে এবং সিংহাসনে অভিষেক হয়েছিল। অবশেষে সেখানেই শেষযাত্রায় প্রার্থনা অনুষ্ঠান হলো।

১৯৫২ সালে রাজা জর্জের শেষকৃত্যের পর এবারই বড় ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে রানীর শেষকৃত্য হয়। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য গত বুধবার থেকে রানীর কফিন ওয়েস্টমিনস্টার হলে রাখা হয়েছিল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের রাজপরিবারের সদস্যসহ প্রায় পাঁচশ বিশ্বনেতা এবং কূটনীতিক রানীর শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য রানীর শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। বেসামরিক নানা প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের সদস্যরাও রানীর শবমিছিলে অংশ নিয়েছেন। টেলিভিশনে যুক্তরাজ্যসহ গোটা বিশ্বের মানুষ এই শেষকৃত্য অনুষ্ঠান দেখছেন। যুক্তরাজ্যজুড়ে কয়েকটি বড় পর্দায় সরাসরি রানীর শেষযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা দেখানো হয়। রানীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যুক্তরাজ্যে কয়েকটি সিনেমা হল বন্ধ রাখা হলেও ১২৫টি খোলা রাখা হয় শেষকৃত্য প্রচারের জন্য।

নিউজ ট্যাগ: রানি এলিজাবেথ

আরও খবর



চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তীব্র দাবদাহের কারণে জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।

চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। শুধু চলতি বছর নয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টানা প্রায় ১৩ দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশপাশেই থাকছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বর্তমানে সে তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। দাবদাহের কারণে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আজও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



কামারখন্দে প্রভাষককে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে চৌবাড়ী ড. ছালাম জহানারা ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক শফিকুল ইসলামকে (বাদল) গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে উপজেলার কলেজপাড়া এলাকায় শফিকুলের শশুর বাড়ির পাশের একটি পুকুর পার থেকে তাকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোকজনসহ তার স্ত্রী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি এখন শঙ্কা মুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কামারখন্দ থানা-পুলিশ ও সিআইডির সদস্যরা সেখান থেকে একটি চাপাতি জব্দ করে।

শফিকুল উপজেলার চরকামারখন্দ এলাকার মৃত মনতাজ উদ্দিনের ছেলে ও জামতৈল কলেজপাড়া এলাকার মৃত মোশারফ হোসেনের মেয়ের জামাতা।

ঘটনাস্থলে আসা স্থানীয় কয়েকজন জানান, আমরা সকালে খবর পেয়ে এখানে এসে শুনতে পাই শিক্ষককে গলা কেটে এখানে ফেলে রেখে চলে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে লোকজন তাকে স্থানীয় খোকন মেমোরিয়াল হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাকে সিরাজগঞ্জ শহিদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে পাঠান।

চৌবাড়ি কলেজের অধ্যক্ষ জুনায়েদ হোসেন জানান, ওই শিক্ষক অনেকদিন যাবত মানসিকভাবে খুবই অসুস্থ ছিলেন। সে কোন ক্লাস নিতে পারত না। তবে তিনি খুব সাদা ও সরল মনের মানুষ। তার সঙ্গে কারো শত্রুতা থাকতে পারে না।

কামারখন্দ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আদনান মুস্তাফিজ ও কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।


আরও খবর



‘ইসরায়েল হামলা চালালে সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবার ইসরায়েলকে আরও কঠোর হুঁশিয়ারি দিলো ইরান। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি বলেছেন, ইসরায়েল যদি আবার আক্রমণ চালায়, তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার জবাব দেবে ইরান।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাঘেরি বলেন, ইসরায়েলের যে কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তেহরানের পাল্টা আক্রমণ হবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। ইরান এবার জবাব দেওয়ার জন্য ১২ দিন অপেক্ষা করবে না; এমনকি, এক ঘণ্টাও দেরি করবে না।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সকে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল ফজল শেকারচি। তিনি বলেন, ইরান প্রমাণ করেছে যে তারা যুদ্ধবাজ নয় ও যুদ্ধের বিস্তার চায় না। তবে ইসরায়েল যদি প্রতিশোধ বা উসকানিমূলক কোনো আগ্রাসন চালায়, তবে ইরান আরও শক্তিশালী জবাব দেবে।

গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় তেহরান। দামেস্কে ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইরান।


আরও খবর



বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, খালি চোখে দেখা যাবে যে তিন দেশ থেকে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। সোমবার (৮ এপ্রিল) এই বিরল সূর্যগ্রহণের দেখা মিলবে। এদিন সূর্যকে চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে। আর এ দৃশ্য খালি চোখে যাবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে। বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখতে প্রস্তুত এসব দেশের লাখ লাখ মানুষ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪৪ সালের মধ্যে এমনটি আর দেখা যাবে না। স্থানীয় সময় ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেখা যাবে প্রথম সূর্যগ্রহণ। এরপর চাঁদের ছায়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে দৃশ্যমান হবে সূর্যগ্রহণ।

বিরল এই সূর্যগ্রহণ দেখতে অনেক পর্যটক যুক্তরাষ্ট্রে ভিড় করেছেন। যেসব স্থান থেকে সরাসরি গ্রহণ দেখা যাবে, সেসব জায়গায় ছুটে যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। তাই যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

এদিকে বিরল এই সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পূর্ণ এই সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এক্ষেত্রে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এ জন্য বিশেষ ধরনের গ্লাস দিয়ে এটি দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিরল এই সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য সাধারণ কোনো সানগ্লাস চোখের জন্য নিরাপদ হবে না। এতে চোখ স্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এজন্য বিশেষভাবে তৈরি সানগ্লাস ব্যবহার করে সূর্যগ্রহণ দেখতে হবে।

নাসার তথ্যানুযায়ী বিশ্ববাসী এ বছর আরও একটি সূর্যগ্রহণ দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে। চলতি বছরের ২ অক্টোবর দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ হবে। দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা, অ্যান্টার্কটিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর এবং উত্তর আমেরিকা থেকে এর দেখা মিলবে।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর



দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছয়দিনের দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৪ এপ্রিল তিনি এই সফর শুরু করবেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও জাতিসংঘের একটি সংস্থা এসকাপের যৌথ আমন্ত্রণে এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সফরের দ্বিতীয় দিন আগামী ২৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা ব্যাংককে এসকাপ কমিশনের ৮০ তম অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন। দুই প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক করবেন। একইদিন দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। আগামী ২৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের এটাই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সরকারি সফর।


আরও খবর