আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বিএনপি গভীর হতাশায় নিমজ্জিত: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বলেছেন, নীলনকশা অনুযায়ী বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে বিএনপি এখন গভীর হতাশায় নিমজ্জিত। তাই তারা আন্দোলনের পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

আজ সোমবার দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলে নিন্দা জানানো হয়।

আরও পড়ুন: বিশ্বনেতাদের অভিনন্দনে ভাসছেন এরদোয়ান

বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক বিবেচিত হবে না- গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শপরিপন্থী এমন অপপ্রচার মুখ থুবড়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে। একই সঙ্গে নির্বাচন বানচালে বিএনপির আগুন সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন: জুনে প্রকাশ করা হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সূচি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করার জন্য বিএনপি মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাদের সেই ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত। বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তারা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির আলোকে সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে নতুন নতুন নাটক সাজিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কোথাও নিজেরা মারামারি করে আহত হয়ে তার দোষ চাপাচ্ছে সরকারের ওপর। কোথাও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উস্কানি দিচ্ছে। আবার কোথাও পুলিশের ওপর নিজেরাই বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়ে তার দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন: কেন বিশ্বের ৮০ কোটি মানুষ ক্ষুধা নিয়ে ঘুমান?

ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আবর্তিত হয় আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম। জনগণই আওয়ামী লীগের প্রধান শক্তি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মের নামই আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, বিএনপি যত দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিকিয়ে বিদেশি প্রভুদের কাছে ধর্না দেবে ততই তারা গণশত্রুতে পরিণত হবে। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নেতারা যতই চেষ্টা করুক না কেন, এদেশের মানুষ তাদের অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন-অগ্রগতি প্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।


আরও খবর
খালেদা জিয়ার কোনও উন্নতি দেখছেন না চিকিৎসকরা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র, হস্তক্ষেপ নয়: পিটার হাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে চায় না; বরং নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় সে বিষয়ে গুরুত্ব দেবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) অফিস অব এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স ও সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের (এসআইপিজি) যৌথ আয়োজনে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

পিটার হাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে পাঁচটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এর মধ্যে একটি হলোঅবাধ ও সুষ্ঠুভাবে যেকোনো দেশের জনগণ যেন তাঁদের নেতা নির্বাচন করতে পারেন তা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশে কয়েক মাস পরেই নির্বাচন। সেই নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখবে।

পিটার হাস আরও বলেন, এই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার কোনো লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের নেই। যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের জনগণকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করা। এর মাধ্যমে জনগণ তাঁদের নেতা নির্বাচন করতে পারবেন। নির্বাচনে গণমাধ্যম যাতে ভয়ডরহীনভাবে কাজ করতে পারে, সেদিকও খেয়াল রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।

শান্তি দিবস প্রসঙ্গে পিটার হাস বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শান্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ সময় তিনি জানান, প্রতিটি রাষ্ট্র যেন সার্বভৌমভাবে তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সে বিষয়ে কাজ করছে তাঁর সরকার। নিরাপত্তা শান্তির পূর্বশর্ত জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শান্তি নষ্ট করছে।

উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জাভেদ মুনির আহমেদ ও উপাচার্য আতিকুল ইসলামসহ অন্যরা। জাভেদ মুনির বলেন, সংঘাতপূর্ণ বিশ্বে শান্তি এখন সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আর শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আলোচনার বিকল্প নেই।

উপাচার্য আতিকুল ইসলাম বলেন, স্থিতিশীল দেশগুলোও উল্লেখযোগ্য বৈষম্য ও রাজনৈতিক বিভাজনের সম্মুখীন হয়। এই কারণে বিশ্বে জরুরি ভিত্তিতে শান্তি প্রয়োজন।


আরও খবর



নিজেকে বদলাবেন যেভাবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

জীবন বদলাতে হলে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হলে প্রথম বিশ্বাস করতে হবে যে, আমি আমাকে বদলাতে পারবো। বিশ্বাস করে কতজনই তো বদলেছেন নিজেকে। জন্মেছেন দরিদ্র পরিবারে। বেড়ে উঠেছেন অযত্ন-অবহেলায়। পরিণত জীবনে হয়েছেন খ্যাতিমান-ক্ষমতাবান। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র বিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালাম, হোন্ডা মোটরস-এর মালিক সইচিরো হোন্ডা, ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলা ডি সিলভা আর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক হোসেন ওবামা এই বদলে যাওয়া মানুষদেরই কয়েকজন। এরা জন্মগ্রহণ করেছিলেন কুঁড়েঘরে। পরিণত জীবনে থেকেছেন প্রাসাদে। শুরু করেছিলেন শূন্য থেকে। পৌঁছেছেন পূর্ণতায়। বাইরে থেকে কেউ তাদের জীবনকে বদলে দেয়নি। তারা তাদের জীবন বদলেছেন বিশ্বাস দিয়ে। নিজের মনের শক্তিকে ব্যবহার করে।

আপনিও বদলাতে পারেন আপনার জীবন। ভাবুন কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার পরিবর্তন প্রয়োজন। কী বদলাতে চান। কোন ক্ষতিকর অভ্যাসচক্র থেকে আপনি বেরুতে চান। এটা হতে পারে শারীরিক কোনো অসুস্থতা, অহেতুক ভয়, মানসিক কোনো দুর্বলতা, হৃদয়ঘটিত কোনো জটিলতা, পরিবারে অবজ্ঞা, আর্থিক অক্ষমতা, শিক্ষায় আপাত ব্যর্থতা, সৃজনশীল বন্ধ্যাত্ব, পেশাগত বা সামাজিক কোনো অচলাবস্থা। অবস্থা যা-ই হোক, এখান থেকে আপনি বেরিয়ে আসতে পারেন। আপনার আগে এসব জটিলতা থেকে অসংখ্য মানুষ বেরিয়ে এসেছেন, অবগাহন করেছেন সোনালি সাফল্যে; তাদের দুঃখ-কষ্ট-অক্ষমতা স্থান পেয়েছে অতীতের বিস্মৃত স্মৃতিতে।

জীবনের যা যা বদলানো দরকার তা আপনি চিহ্নিত করেছেন। এবার বিশ্বাস করতে শুরু করুন, আমিও পারবো আমার সবকিছু বদলাতে। মনে বিশ্বাস আসতে চাচ্ছে না? সংশয় বার বার উঁকি দিয়ে বিশ্বাসকে দুর্বল করে দিচ্ছে? দিক! কিছু আসে যায় না। সংশয়কে হটিয়ে বিশ্বাসকে প্রবল করার হাতিয়ার এখন আপনার কাছেই রয়েছে। এই মোক্ষম হাতিয়ারের নাম অটোসাজেশন।

বার বার ইতিবাচক কথার পুনরাবৃত্তি করে আপনি আপনার বহু শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা পুরোপুরি পরিবর্তন করতে পারেন। ইতিবাচক কথা ও কল্পনার মাধ্যমে সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করা যায়।

জীবন বদলাতে হলে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হলে প্রথম বিশ্বাস করতে হবে যে, আমি আমাকে বদলাতে পারবো। বিশ্বাস করে কতজনই তো বদলেছেন নিজেকে। জন্মেছেন দরিদ্র পরিবারে। বেড়ে উঠেছেন অযত্ন-অবহেলায়। পরিণত জীবনে হয়েছেন খ্যাতিমান-ক্ষমতাবান। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র বিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালাম, হোন্ডা মোটরস-এর মালিক সইচিরো হোন্ডা, ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলা ডি সিলভা আর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক হোসেন ওবামা এই বদলে যাওয়া মানুষদেরই কয়েকজন। এরা জন্মগ্রহণ করেছিলেন কুঁড়েঘরে। পরিণত জীবনে থেকেছেন প্রাসাদে। শুরু করেছিলেন শূন্য থেকে। পৌঁছেছেন পূর্ণতায়। বাইরে থেকে কেউ তাদের জীবনকে বদলে দেয়নি। তারা তাদের জীবন বদলেছেন বিশ্বাস দিয়ে। নিজের মনের শক্তিকে ব্যবহার করে।

আপনিও বদলাতে পারেন আপনার জীবন। ভাবুন কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার পরিবর্তন প্রয়োজন। কী বদলাতে চান। কোন ক্ষতিকর অভ্যাসচক্র থেকে আপনি বেরুতে চান। এটা হতে পারে শারীরিক কোনো অসুস্থতা, অহেতুক ভয়, মানসিক কোনো দুর্বলতা, হৃদয়ঘটিত কোনো জটিলতা, পরিবারে অবজ্ঞা, আর্থিক অক্ষমতা, শিক্ষায় আপাত ব্যর্থতা, সৃজনশীল বন্ধ্যাত্ব, পেশাগত বা সামাজিক কোনো অচলাবস্থা। অবস্থা যা-ই হোক, এখান থেকে আপনি বেরিয়ে আসতে পারেন। আপনার আগে এসব জটিলতা থেকে অসংখ্য মানুষ বেরিয়ে এসেছেন, অবগাহন করেছেন সোনালি সাফল্যে; তাদের দুঃখ-কষ্ট-অক্ষমতা স্থান পেয়েছে অতীতের বিস্মৃত স্মৃতিতে।

জীবনের যা যা বদলানো দরকার তা আপনি চিহ্নিত করেছেন। এবার বিশ্বাস করতে শুরু করুন, আমিও পারবো আমার সবকিছু বদলাতে। মনে বিশ্বাস আসতে চাচ্ছে না? সংশয় বার বার উঁকি দিয়ে বিশ্বাসকে দুর্বল করে দিচ্ছে? দিক! কিছু আসে যায় না। সংশয়কে হটিয়ে বিশ্বাসকে প্রবল করার হাতিয়ার এখন আপনার কাছেই রয়েছে। এই মোক্ষম হাতিয়ারের নাম অটোসাজেশন। বার বার ইতিবাচক কথার পুনরাবৃত্তি করে আপনি আপনার বহু শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা পুরোপুরি পরিবর্তন করতে পারেন।


আরও খবর
আজকের রাশিফল: বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ডায়াবেটিসে অন্ধত্ব ও করণীয়

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ডায়াবেটিসের শুরুতেই রোগের লক্ষণ হিসেবে অনেকের ঝাপসা দৃষ্টি থাকতে পারে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সিকি ভাগেরও বেশি রোগীর রোগ নির্ণয়ের সময় জটিলতা থাকে। এসব জটিলতার মধ্যে চোখের জটিলতা তথা রেটিনোপ্যাথি সবচেয়ে বেশি। ডায়াবেটিস বেড়ে গেলেও ঝাপসা দৃষ্টি তৈরি হতে পারে। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, সোজা রেখা বাঁকা দেখা, দৃষ্টি সীমানার ভেতরে কালো কালো দাগ দেখা, আকস্মিক অন্ধত্ব এগুলো সব হতে পারে রেটিনার ব্যাধিতে। মাঝেমধ্যে দৃষ্টিশক্তির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে রক্তে গ্লুকোজের তারতম্যের কারণে।

চোখের সবচেয়ে সংবেদনশীল স্তর হচ্ছে রেটিনা। ডায়াবেটিসের কারণে রেটিনার রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কখনও রেটিনায় ঘটে রক্তক্ষরণ। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে রেটিনা বিচ্ছিন্ন পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় রেটিনা ও অক্ষিগোলকের জেলিসদৃশ পদার্থের ভেতর নতুন নতুন রক্তনালি তৈরি হতে থাকে। এসব গজিয়ে ওঠা নবীন রক্তনালি থাকে ভঙ্গুর। এখান থেকে হতে পারে রক্তক্ষরণ। এমনটি ঘটলে দৃষ্টিশক্তি চিরদিনের জন্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন>> ডেঙ্গুতে আরও ১৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬০৮

ডায়াবেটিস রোগীদের অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ ছানি পড়ার প্রবণতা তৈরি হয়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গ্লুকোমা বা চোখের চাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি।

ডায়াবেটিসের ধরন, সময়কাল, ব্যক্তির বয়স, গ্লুকোজের মাত্রা, উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে কোলেস্টেরল বা চর্বির উপস্থিতি রেটিনার ব্যাধি সৃষ্টির জন্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।

চোখের জটিলতা কমাতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শরীরচর্চা, ওষুধ এবং প্রয়োজন বোধে ইনসুলিনের চিকিৎসা নিতে হবে। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে হবে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কেমন।

প্রতিবছর অন্তত একবার চক্ষু চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়ে চোখের জটিলতা নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নির্ণীত হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর চক্ষু পরীক্ষা করা জরুরি। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের পাঁচ বছর পর থেকে প্রতিবছর এমনটি করতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

আরও পড়ুন>> ডেঙ্গু আক্রান্তরা কেন ডাবের পানি পান করবেন?

রেটিনার এসব রোগের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। একজন বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারবেন। কখনও এর জন্য প্রয়োজন হতে পারে লেজারথেরাপি কিংবা কখনও চোখের ভেতরে ইনজেকশন দেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। এসব নির্ভর করে চোখের বা রেটিনার অবস্থার ওপর।

নিউজ ট্যাগ: ডায়াবেটিস

আরও খবর
ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩৫৭

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে এই প্রথম ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আফ্রিদির সমালোচনায় আফ্রিদি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলতি এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। এই হার নিয়ে সমালোচনামুখর হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেকরা। ভারতের বিপক্ষে ২২৮ রানের রেকর্ড ব্যবধানের হার যেন মেনে নিতে পারছেন না পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদিও।

তার ওপর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ছিল বৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা। সব কিছু অগ্রিম বুঝেও ভারতের বিপক্ষে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। বাবর টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো সমালোচনার ঢেউ ওঠে।

পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার আফ্রিদিও সে রকমই ইঙ্গিত দিলেন। তবে এই অলরাউন্ডারের মতে, যদি পাকিস্তানের বোলাররা লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে বোলিং করত, তা হলে ফলটা এমন নাও হতে পারত।

আফ্রিদি বলেন, সামাজিকমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন কেন পাকিস্তান টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে? আমার মতে, পাকিস্তান যদি সঠিকভাবে বোলিং করত, যেমন নাসিম শাহ শুরু করেছিলেন।

কিন্তু ম্যাচে শাহিনের লাইন ও লেন্থ ঠিক ছিল না, যেখানে সে চেয়েছিল বোলিং করতে, এটা তার জন্য কাজ করেনি। প্রথম ওভারে শাহিন উইকেট না পেলে, এটি তার জন্য হতাশাজনক। কারণ তার খ্যাতি এমন, সে তাড়াতাড়ি উইকেট নিয়ে নেয়। ওই ম্যাচে প্রথম তিন ওভারেই ৩১ রান দিয়েছিল শাহিন।

শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে দিয়েছিলেন ৭৯ রান। মেয়ে জামাইকে পরামর্শ দিয়ে আফ্রিদি জানান, শাহিনকে তার লাইন ও লেন্থের সঙ্গে ধারাবাহিক হতে হবে। এটা কোনো অজুহাত নয় যে, আপনি যদি এক বা দুই ওভারের জন্য ডেলিভারি করতে না পারেন এবং তার পরে আপনি নিজের ওপর রাগ করেন। আপনাকে সঠিক জায়গাটা খুঁজে বের করতে হবে।

প্রথম স্পেল ভালো না হলেও দ্বিতীয় স্পেলে এসেই শুভমান গিলের উইকেট নিয়েছিলেন শাহিন। ওই স্পেলে ভালোই বোলিং করেছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। শ্বশুর আফ্রিদি অবশ্য সেটির প্রশংসাও করলেন, শাহিন যেভাবে তার দ্বিতীয় স্পেল শুরু করেছিল, তা যথেষ্ট ভালো ছিল। তাই তাকে সেই নির্দিষ্ট লাইন ও লেন্থের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। এটা বাধ্যতামূলক নয়, আপনি সবসময় উইকেট পাবেন। যদি সঠিক জায়গায় বল করেন, তা হলে আপনি একটি উইকেট পাবেন। উইকেট এবং নতুন বলে উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা সব সময়ই বেশি।


আরও খবর



ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি হলেন হারুন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ ৩য় বারের মত ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর পাশে নরসিংদীর হেরিটেজ রিসোর্ট অডিটোরিয়ামে কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির দ্বিবর্ষিক সাধারণ সভা ও বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠানে আগামী দুই বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে সর্বসম্মতভাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি তোফায়েল কবির খান মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন।

ঢাকাস্থ বিপুলসংখ্যক কিশোরগঞ্জবাসীর উপস্থিতিতে এক আনন্দঘন পরিবেশে দুপুরে সাধারণ সভা শুরু হয়। কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি ডিআইজি হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন, কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ ইউসুফ, জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ইসরোফ  হুসেন, বিশিষ্ট শিল্পপতি তোফায়েল কবির খানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সাধারণ সভা শেষে আগামী দুই বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সহ-সভাপতি সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা হারুন অর রশিদ নির্বাচন পরিচালনা করেন। নির্বাচনে সর্বসম্মতিভাবে ডিআইজি হারুন অর রশিদকে সভাপতি ও শিল্পপতি তোফায়েল কবির খানকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়।

পরে দেশবরেণ্য শিল্পীদের মনজ্ঞ সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিশোরগঞ্জবাসী এ সংস্কৃতি অনুষ্ঠান উপভোগ করে। এর আগে সকাল থেকেই ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ সমিতির সদস্যরা পরিবারবর্গসহ হেরিটেজ রিসোর্টে বিভিন্ন রাইড ও প্রাকৃতিক কৃত্রিমভাবে তৈরি সুন্দর পরিবেশে আনন্দ উপভোগ করে।


আরও খবর
তিন দিনের ছুটিতে ঢাকার রাস্তা ফাঁকা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩