ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য দ্বিতীয় ধাপে ৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যদিও বৈঠকে ১৩ টি দলের থাকার কথা ছিল, শেষ পর্যন্ত এ বৈঠকে বিএনপিসহ পাঁচ রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি।
মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেল ৩টায় ইসির সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়।
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৩৯টি। এ ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে মতামত দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য তিনটি ধাপে ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ইসি।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, আজ দ্বিতীয় ধাপে ১৩টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিকেল ৩টায় এ ৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইভিএম বিষয়ক আলোচনা শুরু হয়েছে। এ সংলাপের জন্য নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত দলগুলোর সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়েছি। এক্ষেত্রে দলগুলো চার সদস্যের কারিগরি টিম বা প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে।
তিনি জানান, গত ১৯ জুন প্রথম ধাপে ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আজকের পর ২৮ জুন তৃতীয় ধাপে ১৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
ইভিএম নিয়ে ইতোমধ্যে দেশ সেরা প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করে মতামত নিয়েছে ইসি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগে সবার মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির হাতে বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম মেশিন রয়েছে, যা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট করা যাবে। ৩০০ আসনে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার করতে হলে আরও তিন লাখের মতো মেশিনের প্রয়োজন।
আজ দ্বিতীয় দফায় যেসব রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়েছে-
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
যেসব দল অংশগ্রহণ করেনি-
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল।