রোগীদের ভোগান্তি কমাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্যাথলজি বিভাগে পরীক্ষার জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে (৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্হিবিভাগ-২ এর শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। একই সঙ্গে নব কলেবরে প্যাথলজি বিভাগের নতুন নামফলক, লোগো উদ্বোধন, অনলাইন রিপোর্ট প্রদান, প্যাথলজি ল্যাবসমূহ পুনর্বিন্যাস এবং ক্যান্সার মলিকুলার ল্যাবের শুভ উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ জিল্লুর রহমান বিভাগটির সামগ্রিক কার্যক্রম তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, নানান সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে প্যাথলজি বিভাগ যে সেবা দিয়ে যাচ্ছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। বিভাগটিতে কর্মরত সকলেই নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সারাদেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের টেস্টের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অনেক। এ বিভাগের টেস্টের রেজাল্ট দেশ সেরা।
অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এখানকার ছাত্রদের হাতে কলমে ভালভাবে শিক্ষা প্রদান করা। এখানকার রেসিডেন্টদের যদি ভাল করে শিক্ষা দেওয়া যায় তবে দেশের মানুষের উপকার হবে। তাই শিক্ষকদের অনুরোধ করব, আপনারা যেভাবে পরিশ্রম করছেন তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিত্যনতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে তাদের দক্ষ বিশেষজ্ঞ হিসেবে করে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ( প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, বেসিক সাইন্স প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, প্যাথলজি বিভাগের ভিসিটিং অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ কামালসহ বিভাগের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট, কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় চলতি বছর (২০২৩) প্যাথলজি বিভাগে ৩৮ হাজার ৭শ২৯ জন রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা সংক্রান্ত সেবা প্রদান করেছে। এই বিভাগে রেসিডেন্ট চিকিৎসকগণ গুরুত্বপূর্ণ ৭টি থিসিস সম্পন্ন করেছেন, ৫ টি থিসিস চলমান রয়েছে এবং জনগুরুত্বপূর্ণ ১৭টি প্রকাশনা সম্পাদিত হয়েছে।