আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিনা মূল্যে ৬ দেশকে খাদ্যশস্য দেবেন পুতিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমাদের চাপে রয়েছে রাশিয়া। এই চাপ মোকাবেলায় আফ্রিকার দেশগুলোর সমর্থন ধরে রাখার চেষ্টা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যে কারণে আফ্রিকার ছয়টি দরিদ্র দেশকে বিনা মূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পুতিন। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে শুরু হয়েছে রাশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলন।

সম্মেলনের প্রথম দিনে পুতিন বলেন,  আগামী মাসগুলোয় আমরা বুরকিনা ফাসো, জিম্বাবুয়ে, মালি, সোমালিয়া, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র ও ইরিত্রিয়ায় ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টন খাদ্যশস্য বিনা মূল্যে সরবরাহ করতে সক্ষম হব।

আরও পড়ুন<< কমান্ডারের মুখে জানা গেল ওয়াগনার বিদ্রোহের ঘটনা

দুই দিনব্যাপী রাশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলন শেষ হবে শুক্রবার। সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাসহ মহাদেশটির ১৭ নেতার অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে ২০১৯ সালে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সোচি শহরে প্রথম রাশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের এক অধিবেশনে পুতিনের সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপারসন আজালি আসোউমানি। এ সময় দেওয়া ভাষণে তিনি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এতে করে এই দুই দেশের খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবন বাঁচবে। আফ্রিকার দেশ নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান ও দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে পদচ্যুত করা নিয়েও কথা বলেছেন আজালি আসোউমানি। তিনি বলেন, আফ্রিকান ইউনিয়ন এই অভ্যুত্থানের নিন্দা জানায় এবং প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমের মুক্তি চায়।


আরও খবর



ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: নিহত ১৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের ঐতিহাসিক শহর চেরনিগিভে বুধবার কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওই শহরে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এরই মধ্যে মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শহরের রাস্তা-ঘাট রক্তাক্ত হয়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছেন। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। অপরদিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ অবশেষে একটি বিশাল আকারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ওপর ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়েছে। এতে ৬১ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘ সময়ের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভূক্ত থাকছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

চেরনিগিভের বাসিন্দা ওলগা সামোইলেঙ্কো এএফপিকে বলেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি যখন বিস্ফোরিত হলো তখন তিনি তার সন্তানদের নিয়ে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের করিডোরে অবস্থান করছিলেন।

৩৩ বছর বয়সী ওলগা বলেন, আমাদের প্রতিবেশীরাও ইতোমধ্যেই সেখানে অবস্থান করছিলেন। আমরা চিৎকার করে সবাইকে মেঝেতে শুয়ে পড়তে বলেছিলাম। সবাই তাই করেছিল এবং এর মধ্যেই আরও দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। তারপরেই আমরা পার্কিং লটে ছুটে যাই।

এদিকে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তিন শিশুসহ ৬০ জন রুশ হামলায় আহত হয়েছে। শহরের মেয়র ওলেকসান্দর লোমাকো জানিয়েছেন, ডজনখানেকের বেশি ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডজনখানেক যানবাহন এবং মেডিকেল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, রুশ হামলা প্রতিহত করতে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়া।

তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত এবং রাশিয়ার সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করার জন্য বিশ্বের দৃঢ় সংকল্প থাকত তবে তারা এভাবে হামলা চালাতে পারত না। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত চেরনিগিভ শহরটি। যুদ্ধের আগে ওই শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নেতাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ বিএনপির

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমান সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন বর্জনের ধারাবাহিকতায় ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছে বিএনপি। এবার দলের যেসব নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং ভোট বর্জনের নির্দেশ দিয়েছে দলটি।

বিএনপি নেতারা বলছেন, বিএনপি দলীয়ভাবে ভোট বর্জন করলেও তৃণমূলে দলের ৪০ থেকে ৪৫ জন প্রার্থী ভোটে থেকে যায়। তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনুরোধ করেন। এরপর দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে অনেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেও নিয়েছেন। আগামী রোববার বাকিরা প্রত্যাহার করে নেবে বলে আশা করে বিএনপি।

এই প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদকরা জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কাজ করছে। আমারও কেন্দ্র থেকে ফোন করে প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। অনেকে ইতোমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন খুব বেশি নেতাকর্মী ভোটে নেই। নাটোরে একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে বিএনপির এক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আসলে এবার নির্বাচনে যেহেতু দলীয় প্রতীক নেই, আমাদের উচিত ছিল ভোটে যাওয়া। এতে করে তৃণমূলে দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়তো নির্বাচনী কর্মকাণ্ড ঘিরে।

তিনি আরও বলেন, দলের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যারা ভোটে অংশ নিয়েছে তাদের সরে যেতে। সেই অনুযায়ী ভোটে অংশ নেওয়া নেতাদের ফোন করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করছি। এরপর যারা নির্বাচনে থেকে যাবে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। যদিও এতে দলের সাংগঠনিক শক্তির ক্ষতি হবে।


আরও খবর



ইরানের হামলার পর কমেছে তেলের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে, এমন ধারণাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা। সামান্য হলেও কমে গেছে তেলের দাম। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে এশিয়ান ট্রেডে এই কম মূল্যের প্রবণতাই দেখা গেছে, যদিও সেটা প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের কাছাকাছিই ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

তবে এটাও ঠিক, ইসরায়েলের ওপর ইরান আক্রমণের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তেলের দাম ওর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছিল। গত ছয় মাসের মধ্যে গত সপ্তাহে তেলে দাম ছিল সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহের শেষে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৯২ দশমিক ১৮ ডলার পর্যন্ত হয়েছিল। গতবছরের অক্টোবরের পর থেকে ধরলে সেটা ছিল সর্বোচ্চ। এর পর থেকে কমতে কমতে সেটা ৯০ দশমিক ৪৫ ডলারে নেমেছিল। সোমবার সকালে সেটা আরও ২০ থেকে ৩০ সেন্ট কমেছে।

ইরান বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে থাকে। তেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওপেকভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইরানের অবস্থান চতুর্থ। বিশ্বের মধ্যে সপ্তম। ইসরায়েলে হামলার পর থেকে সবসময়ই একটা পাল্টা আঘাতের আশঙ্কায় রয়েছে ইরান। সে আঘাত ইরানের তেলক্ষেত্রের ওপরও হতে পারে। এসব বিবেচনায় তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ইরান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববাজারে তেলে দাম বাড়া-কমার ক্ষেত্রে হরমুজ প্রণালী একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বের ২০ শতাংশ তেলবাহী জাহাজ এই সমুদ্রপথ দিয়েই চলাচল করে। ওপেকভূক্ত দেশ সৌদি আরব, ইরান, আরব আমিরাত, কুয়েত এবং ইরাক তাদের বেশির ভাগ তেল এই পথেই রপ্তানি করে। ওমান ও ইরানের মধ্যেকার সংবেদনশীল এই সমুদ্রপথটি শান্তিপূর্ণ থাকলে কমে যায় তেলের দাম।

গত শনিবার ইরান হরমুজ প্রণালী দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে আটক করে। তাদের অভিযোগ ছিল জাহাজটি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে এই হরমুজ প্রণালী কতটুকু নিরাপদ থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

এসব কারণেই, সোমবার হঠাৎ করেই তেলের দামে এই সামান্য মূল্যহ্রাসকে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাদের মতে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা হলেই তেলের দাম আশঙ্কাজনকভাবেই বেড়ে যাবে।


আরও খবর



৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলে ইরানের হামলা!

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরান থেকে ইসরায়েলের ওপর সরাসরি হামলা আসন্ন বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হামলা পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হতে পারে। ইহুদি রাষ্ট্রের দক্ষিণ বা উত্তর অংশকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে ইরান। বিষয়টির সঙ্গে জানা আছে এমন একজন ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

তবে ইরান সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজন ব্যক্তি জানান, হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অবশ্য হামলা নিয়ে দেশটির নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির একজন উপদেষ্টা বলেছেন, হামলার পরিকল্পনা সুপ্রিম লিডারের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং তিনি এখন এর রাজনৈতিক ঝুঁকির কথা ভেবে দেখছেন।

গত সপ্তাহে সিরিয়ায় ইরানের কনসুলেটে বিমান হামলা চালিয়ে দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত সদস্যকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এরপর ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে ইঙ্গিত দিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি বা আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা আসন্ন বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।

তবে মার্কিন গোয়েন্দারা এখন ইঙ্গিত করছেন, ইরান মধ্যপ্রাচ্যের অন্য কোথাও মার্কিন বা ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুর পরিবর্তে সরাসরি সম্ভবত ইহুদিবাদী দেশটির মাটিতেই প্রতিশোধমূলক হামলার দিকে মনোনিবেশ করছে।

খামেনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, কনস্যুলেটে হামলা করে ইসরায়েল যেন ইরানের মাটিতেই হামলা চালিয়েছে। তারা একটি ভুল করেছে। এর শাস্তি তাদেরকে পেতেই হবে।

হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের রাজধানীর কেন্দ্রীয় এলাকার বাইরে ভ্রমণ না করার জন্য সতর্ক করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক অভিযানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে গিয়েছেন।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ইরান এবং এর আঞ্চলিক সহযোগী শক্তিগুলোর ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য দৃঢ় মার্কিন সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

দূতাবাস কম্পাউন্ডে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর ইরানের পাল্টা হামলার হুমকির মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া ও জার্মানি।

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে জার্মানির এয়ারলাইন্স লুফথানসা প্রথমে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ইরানে যাওয়া-আসার ফ্লাইট স্থগিত করেছিল। বৃহস্পতিবার এর মেয়াদ আরও দুদিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করেছে এয়ারলাইন্সটি।


আরও খবর



পাহাড়ের বৈসাবির আয়োজন রাজধানীতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় পাহাড়িদের বৈসাবি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর রমনাপার্ক লেকে ফুল ভাসিয়ে তিন পার্বত্য জেলার নারী-পুরুষেরা এ অনুষ্ঠান উদযাপন করেন। এর আগে সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈসাবি উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি। অনুষ্ঠানে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরাসহ সরকারের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি বরণ শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বৈসাবি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। বৈসাবি মূলত বর্ষবরণ ও পাহাড়িদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সম্মিলন। বৈসাবির ঐতিহ্য সমতলের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রতিবছর ঢাকায় এই আয়োজন করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও আস্থা সুদৃঢ় হয়। যার মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি আরও সুদৃঢ় হবে। পক্ষান্তরে এটি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

এডিশনাল ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু- এই তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে বৈসাবি। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমারা ধর্মীয়ভাবে সংখ্যাধিক্য। এই তিন ধর্মাবলম্বীদের পাহাড়ের অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন-যাপনের মিল রয়েছে বিধায় পাহাড়ের সবাই মিলে এই অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকেন। পাহাড়িদের যারা ঢাকায় অবস্থান করেন তারা রমনার লেকে ফুল ভাসিয়া অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকেন। অধিকাংশরা নাড়ির টানে নিজ এলাকায় চলে যান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রধান উৎসব বৈসাবি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স হতে রমনা লেক পর্যন্ত পার্বত্য তিন জেলার পাহাড়ি ও বাঙালিদের সমন্বয়ে নানান সাজে সজ্জিত ব্যানার, ফেস্টুনসহ এক বর্ণিল শোভাযাত্রা র‍্যালির আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রা র‍্যালি শেষে রমনা লেকের জলে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি উৎসব পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি জাতি-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বৈসাবি। এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি।


আরও খবর