আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস- ২০২২ সফল হোক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

৩১ মে বিশ্বজুড়ে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য হল তামাক পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। আমাদের মনে রাখতে হবে, এখনতো সময় জীবন বাঁচাবার। বন্ধ করুন ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার। অর্থাৎ মানুষের জীবন বাঁচাতে হলে তামাকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অনেকে দেখা যায়, মুখে গুল রাখেন। গুলের ব্যবহারে মুখে ক্যান্সার হয়। তামাকের ব্যবহারে হার্ট এটাক, করোনারি হার্ট ডিসিস, স্ট্রোক হয়। ধুমপান ডায়াবেটিসেরও কারণ। যাদের সন্তান হচ্ছে না তাদেরও ধুমপান বন্ধ করতে হবে। যারা ধুমপান অভ্যস্ত শুধু তারা ধূমপান থেকে বিরত থাকলেই হবে না; আমাদের তরুণ প্রজন্ম যারা এখনো ধূমপান করেনি এবং যারা ধূমপানে আসক্ত হবার উপক্রম হতে পারে তাদেরকে রক্ষার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। শিশু কিশোরদের মাঝে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে বড় স্কুল কলেজের শিক্ষকদের পাশপাশি সামাজিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দকে কর্মসূচি হাতে নিতে হবে । একই সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন সেলিব্রিটিদেরও মাদকবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে হবে । তাদের একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ,তারা যেন ধুমপান ও তামাক বিরোধী  আন্দোলনে ডিজিটাল প্রযুক্তি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করেন। পাবলিক প্লেসে ধুমপানের শাস্তির বিধান জরিমানা আছে।  এর প্রয়োগ হলে পাবলিক প্লেসে ধুমপান বন্ধ হয়ে যাবে। পরিবেশ রক্ষার জন্য হলেও তামাকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তামাক ও সিগারেট ব্যবহারে পরিবেশ নষ্ট হয়। সিগারেটের ফিল্টার মাটির ঊর্বরতা নষ্ট করে। মাটির মত পানিও সিগারেটের ফিল্টারে দূষিত হচ্ছে। ধুমপানের কারণে বায়ু দূষণ হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে ২৪ ঘন্টা সময়সীমা ধরে তামাক সেবনের সমস্ত প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে দিবসটি প্রচলিত হয়েছে। এছাড়াও দিবসটির উদ্দেশ্য তামাক ব্যবহারের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব এবং স্বাস্থ্যের উপর এর নেতিবাচক প্রভাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করানো যা বর্তমানে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিবেচিত এবং যার মধ্যে ধূমপানের পরোক্ষ ধোঁয়ার প্রভাবের কারণে প্রায় ৬ ছয় লক্ষ অ-ধূমপায়ী ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে জোরালো করতে ১৯৮৭ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে বছরের একটি দিন বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস হিসাবে উৎযাপন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রথম বছর ১৯৮৮ সালের ৭ এপ্রিল বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপিত হলেও একই বছরের বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলেনে ৩১ মে তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ১৯৮৯ সাল থেকে সমস্ত পৃথিবীতে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে।

তামাকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে জনসচেতনতা বাড়াতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারীভাবে ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হয়। কিন্তু সরকারীভাবে এখনো জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হয় না। উল্লেখ্য ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে তামাক বিরোধী জোট দেশব্যাপী জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন করে আসছে। সারাদেশে বিগত বছরগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রনে কর্মরত সংগঠনগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন, কর বৃদ্ধি, ধূমপানমুক্ত স্থান বৃদ্ধি, প্যাকেটের গায়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদান, তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়গুলো প্রাধান্য দিয়ে সভা, সেমিনার, অবস্থান কর্মসূচি, র‌্যালী সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে আসছে।

তামাকের নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মানব স্বাস্থ্যের উপর অনেক ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। প্রাথমিকভাবে গবেষণা মূলত তামাক দ্রব্য ধূমপান বিষয়ের উপর করা হয়েছে। ১৯৫০ সালে জরপযধৎফ উড়ষষ নামক বিজ্ঞানী ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে এটি গবেষণা প্রকাশ করেন যেখানে তিনি ধূমপান ও ফুসফুস ক্যান্সারের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। এর ঠিক চার বছর পর ১৯৫৪ সালে ব্রিটিশ ডক্টরস স্টাডি নামক আরেকটি গবেষণা প্রকাশ করেন যেটি চল্লিশ হাজার ডাক্তারের বিশ বছর ধরে করা গবেষণার ফলাফল। সেখানে ধূমপানের সাথে ফুসফুসের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় যার উপর ভিত্তি করে সরকার ঘোষণা করে যে ধূমপানের ফরে ফুসফুস ক্যান্সারের হার বৃদ্ধি পায়।

যে সমস্ত বস্তুর ব্যবহার বাদ দিলে অকাল মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস করা যায় তামাক এর মধ্যে শীর্ষে। যত লোক তামাক ব্যবহার করে তাঁর প্রায় অর্ধেক এর ক্ষতিকর প্রভাবে মৃত্যুবরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে প্রতিবছর সারাবিশ্বে প্রায় ৬০ লাখ লোক তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবে মারা যায় (সর্বমোট মৃত্যুর প্রায় ১০%) যার প্রায় ৬ লাখ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। বিংশ শতাব্দীতে তামাক প্রায় দশ কোটি ব্যক্তির মৃত্যু ঘটিয়েছে। একইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার কর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং প্রিভেনশন (CDC) ও এটাকে সারা বিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তামাক মূলত হৃৎপিন্ড, লিভার ও ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ধূমপানের ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) (এমফাইসিমা ও ক্রনিক ব্রংকাইটিস সহ) ও ক্যান্সার (বিশেষজ্ঞ ফুসফুস ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার, ল্যারিংস ও মুখ গহ্বরের ক্যান্সার) এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়। তামাক উচ্চ রক্তচাপ ও প্রান্তীয় রোগও সৃষ্টি করতে পারে। এর প্রভাব নির্ভর করে একজন ব্যক্তি দৈনিক কতটি ও কয় বছর ধরে ধূমপান করে তাঁর উপর। অল্প বয়সে থেকে এবং অধিক তামাকের ঘনত্ব সম্পন্ন সিগারেট খাওয়ার ফলে ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে। পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত তামাকজাত ধোঁয়া ও পরোক্ষ ধূমপান ও সকল বয়সী ব্যক্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

গর্ভবতী নারীদের উপর তামাকের ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। ধূমপায়ী নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভপাত ঘটার হার বেশি। এছাড়া গর্ভস্থ ভ্রূমনেরও অনেক ক্ষতি করে। যেমন অকালের শিশুর জন্ম হওয়া (প্রিম্যাচুর বার্থ) জন্মের সময় নবজাতকের ওজন আদর্শ ওজনের তুলনায় কম হওয়া (LBW) ও সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিসনড্রোম (SIDS) এর হার ১.৪-৩% বেড়ে যায়। অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে যৌন সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার হার ৮৫% বেশি।

তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করে তামাকজাক দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে আনতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমরা জানি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান। ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স প্রদান করে থাকে তাদের আইন ও বিধিমালা অনুসরণ করে। বর্তমানে দেখা যায় মুদি দোকান থেকে শুরু করে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় হচ্ছে। যখন একটি লাইসেন্স প্রদান করা হয়ে থাকে তখন সুনির্দিষ্টভাবে কোন ব্যবসার লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে সেটা উল্লেখ করা থাকে। তাই মুদি দোকানের জন্য লাইসেন্স নিয়ে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করতে পারে না। এক্ষেত্রে সুস্পষ্টভাবে আইনের লঙ্ঘন ঘটে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যদি তার আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করে যে, তারা যে লাইসেন্সগুলি প্রদান করেছে তা সঠিকভাবে তদারকির জন্য। তাহলে তামাকজাত দ্রব্য যত্রতত্র বিক্রয় অনেকাংশে কমে আসবে।

তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে ও বিপনণের জন্য বাংলাদেশে কোন সুনির্দিস্ট নীতিমালা নেই। এমনকি তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের সাথে সম্পৃক্তদের নির্ধারিত কোন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহনের ব্যবস্থা নাই। যে কারণে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকা, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, খাবারের দোকান, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্নস্থানে অনিয়ন্ত্রিতভাবে তামাকজাত পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। সহজলভ্যতা ও সহজপ্রাপ্যতার কারণে যত্রতত্র তামাকজাত পণ্যের বিপণন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। উৎকন্ঠার বিষয় এ সকল দোকানের সংখ্যা দিন দিন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এর বিক্রয়ে লাইসেন্সিং ব্যবস্থা প্রনয়ণ করে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

কিছু কিছু দেশ তামাকের ব্যবহার ও বিক্রয় কমানোর জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। এছাড়া তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সতর্কীকরণ বার্তা লেখার নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অধিকন্তু তামাকের উপর অতিরিক্ত কর আরোপ করে এর মূল্য বৃদ্ধির প্রয়াস চালানো হচ্ছে যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কাজে আসবে বলে মনে করা হয়। সিগারেটে প্রায় পঞ্চাশটিরও বেশি রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যারা মানব শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। তামাকে নিকোটিন নামে আরেকটি উপাদান আছে যা আসক্তি সৃষ্টির জন্য দায়ী। ধূমপান করলে নিকোটিন মানসিক ও শারীরিক নির্ভরশীলতা তৈরি করে। অনুন্নত দেশগুলোতে যে সিগারেট বিক্রি করা হয় তাতে তামাকজাত উপাদান অনেক বেশি থাকে ফলে ঐসব অঞ্চলে ধূমপানজনিত ক্ষতি বা রোগসমূহ অনেক বেশি।

বর্তমানে দেশে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ফলে যে ভয়াবহ স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে তার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দক্ষিন এশীয় স্পীকারদের সম্মেলনে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বাস্তবায়নে  আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।


আরও খবর



মেহেরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

আজ মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর ১২ টার দিকে মেহেরপুর ও মুজিবনগর নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৪ টি কেন্দ্রে ২ লাখ ১৮ হাজার ৮শ' ৪ চারজন ভোটার রয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন (কাপ পিরিচ),আব্দুল মান্নান (ঘোড়া) ও মোঃ হাসেম আলী (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম (চশমা) ও মোহাম্মদ শাহিন (টিউবওয়েল), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপচেলা চেয়ারম্যান লতিফন নেছা লতা (বৈদ্যুতিক পাখা), সামিউন বাশিরা পলি (হাঁস) এবং রোমানা আহমেদ (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।

এদিকে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ৮৫ হাজার ২শ' ৫৯ ভোটার রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন রফিকুল ইসলাম তোতা (কাপ পিরিচ), আমাম হোসেন মিলু (আনারস), উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুল হাসান চাদুঁ (ঘোড়া), এবং মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বিএম জাহিদ হাসান (টিউবওয়েল) ও মতিউর রহমান (চশমা), মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন (ফুটবল) ও যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী তকলিমা খাতুন (কলস) প্রতীক পান।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার মো: ওয়ালি উল্লাহ জানান, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচন এ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সট-মোঃ শামিম হাসান, জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহেরপুর।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুপুরের মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বৈশাখের শুরু থেকেই সারা দেশে বইছে তীব্র দাবদাহ। এর ফলে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগিরই কোনো সুখবর মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচদিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলমান তাপপ্রবাহ বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ খুব কমে যাবে এমন সুখবর নেই। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শক্তিশালী কালবৈশাখী হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে বিদেশি জাহাজে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ১২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরে বিদেশি জাহাজে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১২ ডাকাতকে আটক করেছে চট্টগ্রাম কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম পতেঙ্গা বর্হিনোঙ্গর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১ টি রামদা, একটি করাত, একটি শাবল, একটি প্লায়ার, একটি স্পেনার এবং ১২টি মোবাইল জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন- মোঃ সালাউদ্দিন (২৬), মোঃ আনোয়ার হোসেন (২৩), কামাল হোসেন (২৩), মোঃ ইমন (১৯), মোঃ আবু তাহের (৩২), মোঃ ইসলাম (২৭), মোঃ ফয়সাল (২০), মোঃ রাজু (৩৭), সিরাতুল মুসতাকিম (১৭), পিয়াস মন্ডল (২৩), মোঃ আলমগীর (৩০) এবং মোঃ আরিফ (৩০)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ডাকাত দলের মূল হোতা আকবর এর নির্দেশে এবং মোঃ সালাউদ্দিন (২৬) এর নেতৃত্বে ডাকাত দল চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর হতে বোট যোগে গত ১৩ মে রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বর্হিনোঙ্গরে গমন করে।

আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পতেঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে কোস্ট গার্ড জানান।


আরও খবর



৮ শিক্ষকের মাদ্রাসায় দুই পরীক্ষার্থী, তারাও ফেল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে অংশ নিয়েছিল দুই পরীক্ষার্থী। তাদের কেউ এবার দাখিল পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। অথচ তাদের পড়ানোর জন্য ছিল আটজন শিক্ষক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের দাখিল পরীক্ষায় বসার জন্য ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ফরমফিলাপ করেছিল মাত্র আটজন। তাদের মধ্য থেকে দুজন সাধারণ বিভাগ থেকে অংশ নেয় দাখিল পরীক্ষায়। কিন্তু তারা সবাই ফেল করেছে।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, করোনার প্রাদুর্ভারের পর থেকে ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার মান তলানিতে নেমে যায়। মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের ক্লাস নিতেন না। ফলে তাদের এবার ফলাফল খারাপ হয়ে গেছে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেনটেন্ড এজাজুল হক বলেন, এ প্রতিষ্ঠান থেকে আটজন দাখিল পরীক্ষার জন্য ফরমফিলাপ করে। তাদের মধ্য থেকে দুজন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, তারা দুজনই ফেল করেছে।

ফল খারাপ হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। এখানে আটজন শিক্ষক আছে, তারা কেউই বেতন-ভাতা পান না। যার কারণে তারা অন্য কাজ করেন। যার কারণে তারা ক্লাস নিতে আগ্রহী নন। যদি মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয় তাহলে শিক্ষার মান আরও বাড়বে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল- ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি এবারের ফলাফল কেন এত খারাপ হলো অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা হবে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসাটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক।

নিউজ ট্যাগ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ

আরও খবর



নির্বাচনি সহিংসতায় যুবক নিহত: চেয়ারম্যানসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগ‌ঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ওসিকুর ভূঁইয়া (২৭) নামের এক যুবক নিহতের ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্প‌তিবার রাতে নিহতের বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আজ শুক্রবার গোপালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওসি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতায় বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থকের গুলিতে পরাজিত প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থক মো. ওসিকুর ভূঁইয়া নিহত হন। এ ঘটনায় কামরুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করে নিহতের বোন একটি হত্যা মামলা করেন। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

অন্যদিকে, হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামী রবিবার গোপালগঞ্জ ডিসি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন বি এম লিয়াকত আলী।


আরও খবর