আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্বকাপে উড়াল দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে নাঈম, তামিমের মতামত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চ রাঙিয়ে ছিলেন ওপেনার নাঈম শেখ। তবে দলের হয়ে মাত্র দুটি ওয়ানডেতে একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে উড়াল দেওয়ার দ্বারপ্রান্তেও আছেন ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ব্যাটার। ব্যাক-আপ ওপেনার হিসেবেই আপাতত টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনায় আছেন তিনি। তবে বিশ্বমঞ্চের আগেই তাকে বেশ খানিকটা পরখ করে নিতে চায় দল।

এমনটাই জানিয়েছিলেন টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সাকিব-শান্তদের কড়া এই হেডমাস্টারের পর একই আভাস দিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনিও নাঈমকে গেম টাইম দেওয়ার আশ্বাস দিলেন। তবে ৫০ ওভারের বিশ্ব আসরের প্রায় প্রস্তুত দলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোই হবে, নিশ্চিত করে এমন কিছু বললেন না টাইগার দলপতি।

আরও পড়ুন<< কেন ৩৫ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে নেইমারকে

তামিমের মতে, এই একটা সিরিজে আমরা চেষ্টা করব, সবাইকে একবার হলেও সুযোগ দেওয়ার। তবে নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব, বিশ্বকাপের আগে তাকে (নাঈম শেখ) কিছু গেম টাইম দেওয়ার। সে নেটে অনেক ভালো খেলছে, দেখে অনেক ভালো মনে হচ্ছে। যদি ওরকম সুযোগ আসে, অবশ্যই এটা নিয়ে আমরা ভাববো।

তবে শুধু নাঈমই না, সম্ভব হলে দলে ফেরা অন্য ক্রিকেটার কিংবা আফিফ হোসেন ধ্রুবকেও ম্যাচ খেলার সুযোগ দিতে আগ্রহী লাল-সবুজের কাপ্তান।

তার (তামিম) ভাষ্য, আমি কখনোই চাই না, কেউ সরাসরি বড় ইভেন্টে গিয়ে ম্যাচ খেলুক। এর আগে যদি ২ থেকে ৩টা ম্যাচে সুযোগ দিতে পারি; তাদের জন্য ভালো হয়। এদিকে একাদশে যদি বাড়তি ব্যাটার খেলানো হয়, তবে সুযোগ পেতে পারেন আফিফ; এমনটাই বলছেন তামিম।

আরও পড়ুন<< আগামী বিপিএলে দল বদলে নতুন ঠিকানায় সাকিব

দেশসেরা এই ওপেনারের বিশ্বাস, প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা অনুযায়ী টিম কম্বিনেশন করা হয়। যদি সুযোগ দেওয়া যায়, ভালো হবে। তবে সুযোগ দিতেই হবে, এমন না। যে জিনিস ভালো চলছে, সেটা ভাঙার কোনো দরকার নেই। তবে সঙ্গে এটাও বলব, হুট করে বিশ্বকাপে কাউকে নামিয়ে দেওয়া তার প্রতি সুবিচার হবে না।

নিউজ ট্যাগ: নাঈম শেখ

আরও খবর



গরম কমলে বড় আকারে আন্দোলনে নামবো: মান্না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, গরম কমে গেলে আমরা আরও বড় আকারে আন্দোলনে নামব। দেশের মানুষের জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে।

শুক্রবার (১০ মে) প্রেস ক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই আন্দোলন আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার আন্দোলন নয়। এ আন্দোলন হবে জিনিসপত্রের দাম কমানোর, ঋণের বোঝা কমানোর এবং বিদ্যুতের দাবি আদায়ের আন্দোলন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে মানি না এবং মানবোও না। শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে কোনো আপস নেই। তারা দেশের মানুষকে অসুস্থ করে নিজেদের চেহারা ভালো করেছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ এই নেতা বলেন, আগামী ৩ মাস বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করার টাকাও এই সরকারের কাছে নেই। রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগও নেই। শুধুমাত্র বিদেশিরা ডলার দিলে এদেশ বাঁচতে পারে।

কর্মসূচিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মুয়াজ্জেব হোসেন আলাল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ভোটারের ভোট নিজে দিয়ে দেয়ায় পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে এক ভোটারের ভোট নিজে দিয়ে দেয়ায় পোলিং অফিসার মো: জাহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করেছেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার।

বুধবার বেলা ১১ টার দিকে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

পরে সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার কোরবান আলী সঙ্গে সঙ্গে সেই পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করেন।

প্রত্যাহার হওয়া পোলিং অফিসার মো: জাহিদুল ইসলাম নান্দিনা পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

ভোটারদের অভিযোগ, যে প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা সে প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন নি তারা। পরবর্তীতে পোলিং অফিসার নিজে গোপন কক্ষে বুথের দুইটি বাটন চাপতে বলেন। সেই বাটন চাপলে ভোট অন্য জায়গায় পড়ার অভিযোগ তুলেন তারা।

এসময় প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরেন ভোটাররা। শেখ ফকরুল হুদা নামের এক ভোটার প্রশ্ন করেন, আমার ভোটের কি হবে। এই উত্তর দিতে পারেনি প্রিজাইডিং অফিসার।

কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার কোরবান আলী বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি কোনো বিশৃঙ্খলা হওয়ার আগেই দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।


আরও খবর



এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (৫ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ভবনটির উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধন শেষে প্যাথলজি ঘুরে ঘুরে দেখেন। এর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম সেনা প্রাঙ্গণ’ ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি।


আরও খবর



প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর



হর্ন বাজানো নিয়ে বরিশাল বাসস্ট্যান্ডে লঙ্কাকাণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

হর্ন বাজানো নিয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ এলাকায় লঙ্কাকাণ্ড ঘটছে। গত শনিবার দুপুরে হর্ন বাজানো নিয়ে বাস চালক ও হেলপারকে মারধরের ঘটনা ঘটে। সহকর্মীদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে সেখানকার বাস শ্রমিকরা। রাতে সেই সংঘর্ষ বেধেছে বাস-থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে।

এরপর দফায় দফায় মারামারি, হামলা-পাল্টা হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে একাধিক যানবাহন ভাংচুর করেছে দুই পক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে নথুল্লাবাদ থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি নিয়ে বেলা ১২টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে বাস ও থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

ঘটনাস্থলে থাকা মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন জানান, সন্ধ্যার পর বাস ও থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ১৫/২০ থ্রি-হুইলার (মাহেন্দ্র টেম্পো) ও ৩/৪টি বাস ভাংচুর করা হয়েছে। তারা এক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছাড়েনি। তবে ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর থেকে এসে আটকে পড়া যাত্রীবাহী বাসসহ সকল যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

থ্রি-হুইলার চালক সোহেল বলেন, বাস শ্রমিকরা নিজেরা মারামারি কইর‌্যা বাস বন্ধ করেছে। মোরা পাবলিক সার্ভিস দেতেয়াসেলাম। এর ফিন্নে (এ সময়) বাস শ্রমিকরা আইয়্যা মোগো উপারে হামলা করছে। পঞ্চাশটার বেশি থ্রি-হুইলার ভাইঙ্গ্যা হালাইসে।

গৌতম রায় নামে আরেক থ্রি-হুইলার চালক বলেন, অহেতুক তারা আইস্যা আমাদের উপারে হামলা করসে। বাস শ্রমিকরা তারা গাড়ি ভাঙছে, শ্রমিকদের মারছে, খাবার হোটেলও লুট কইর‌্যা লইয়্যে গেসে।

তিনিসহ থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের দাবি, তাদের গাড়ি যখন ভাংচুর করে বাস শ্রমিকরা, পুলিশ কিছু বলেনি। উল্টো পুলিশ এসে থ্রি-হুইলার চালক শ্রমিকদের পিটিয়েছে। এ সময় তাদের বেশকিছু শ্রমিক আহত হয়। তাদের বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।

গৌতম আরও বলেন, তারা নথুল্লাবাদ থেকে ৭টি রুটে থ্রি-হুইলার চালান। ক্ষতিপূরণ না পেলে গাড়ি চালানো বন্ধ রাখাসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেবেন।

এদিকে বাস শ্রমিকরা জানিয়েছেন, মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা আকস্মিক তাদের ওপর সন্ধ্যার পর হামলা চালায়। যা প্রতিহত করতে গেলে টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় থাকা ১০-১২ টি বাস ভাংচুর করে মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী কবির বলেন, সন্ধ্যার দিকে দুপুরের ঘটনা সমাধান করে বাস চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সময় আবার বাস ও থ্রি হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে ঝামেলায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি অসীম দেওয়ান বলেন, শ্রমিকদের একটি গ্রুপ প্ররোচনা দিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করছে। তাই এখনও বাস চলাচল শুরু করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস চলাচল শুরু করার চেষ্টা চলছে।

বাস ও থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে শেবাচিমে ২৬ জন শ্রমিক ভর্তি হয়েছে বলে উভয় পক্ষ জানিয়েছে। এদিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষের কারণে বরিশাল নগরের বৈদ্যপাড়ার প্রবেশ মুখ থেকে আমতলার মোড় পর্যন্ত সড়কে বিপুল সংখ্যক বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান আটকা পড়ে। রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সামনের যানবাহন চলাচল শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।


আরও খবর