বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে সেনা হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টাকারী নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ মার্চ) সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সাঁজোয়া যান ও সেনারা মুরিলো স্কয়ারে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোর সামনে অবস্থান নেয়। পরে আদেশ পাওয়ার পর তারা সবাই সেখান থেকে সরে যায়।
এ ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের নেতা ছিলেন বলিভিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল হুয়ান হোসে জুনিগা। তিনি জানিয়েছেন, তিনি ‘গণতন্ত্রের পুনর্গঠন’ করতে চান। তিনি প্রেসিডেন্ট লুইস আরসকে সম্মান করলেও সরকার পরিবর্তন করতে চান। জুনিগাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আরস অভ্যুত্থান চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ভিতর থেকে দেওয়া এক টেলিভিশন বার্তায় জনগণকে গণতন্ত্রের পক্ষে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আবারো সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বলিভিয়ানদের জীবন কেড়ে নেওয়ার সুযোগ দিতে পারি না।’
তার কথা স্পষ্টতই অনুরণিত হয়। গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা সরকারের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসে। বলিভিয়ার সাবেক নেতা ইভো মোরালেসের প্রকাশ্য সমালোচনা করায় সেনাপ্রধান জুনিগাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আরসে এর সত্যতা নিশ্চিত করে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন।
মোরালেসও সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি জুনিগা ও অভ্যুত্থান চেষ্টায় তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনার আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারি প্রসিকিউটরের কার্যালয় একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে।
জুনিগার সামরিক অভ্যুত্থানটি নিছক একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল কিনা তা শীঘ্রই জানা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।