গত রবিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে টানেলে প্রতিযোগিতায়
মেতে উঠেছিল উঠতি বয়সী ছেলেরা। ‘দ্য স্লো কিডস’ নামে একটি পেজে
টানেলে রেস দেওয়ার ভিডিওটি আপলোড করা হয়। এতে প্রায় ১০টি গাড়ি অংশ নেয়। বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান টানেলে মধ্যরাতে কার রেসিং প্রতিযোগিতায় জড়িত সাতটি কারকে চিহ্নিত করেছে
টানেল কর্তৃপক্ষ। এসব কারের নম্বর উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
স্পোর্টস কার নিয়ে বিপজ্জনক গতিতে প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে তারা। কার রেসের এমন বেশ কয়েকটি
ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হতে দেখা গেছে।
বুধবার রাতে কর্ণফুলী থানায় মামলাটি দায়ের
করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সহকারী ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম। মামলার
এজাহারে রেসিং কারের নম্বর উল্লেখ করে সাতটি কারের অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে এ মামলা
দায়ের করা হয়। সাত প্রাইভেট কারের নাম্বর হলো - চট্ট মেট্রো-গ-১২-৯০৪৩, চট্ট মেট্রো-ঘ-১১-৫৭০২,
ঢাকা মেট্রো-খ-১১-৮৯৩৫, ঢাকা মেট্রো-খ-১২-১৮১৪, চট্ট মেট্রো-গ-১৩-৩৫৭৩, চট্ট মেট্রো-গ-১৪-২২৫৪
ও ঢাকা মেট্রো-ভ-১১-০২১৭। মামলায় আরও দুই থেকে তিনটি প্রাইভেট কারের চালকসহ তাদের সহযোগীদের
আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, টানেল কর্তৃপক্ষ
ও রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান পরামর্শক্রমে মোটরযানের গতিসীমা সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৬০
কিলোমিটার নির্ধারণ করেন। এ বিষয়ে টানেলের প্রবেশ মুখ, ভেতরসহ বিভিন্ন দৃশ্যমান স্থানে
গতিসীমা সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারের সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়।
এতে বলায় হয়, ২৯ অক্টোবর রাত অনুমান ১১টায়
ক্রসিং এলাকায় ৭ থেকে ১০টি প্রাইভেটকার নিয়ে অজ্ঞাতনামা চালক এবং তাদের সহযোগী পরস্পর
যোগসাজশে বিভিন্ন স্থানে টানেল কর্তৃপক্ষের সাঁটানো সাইনবোর্ডের সর্বোচ্চ গতিসীমা
লংঘন করে। গাড়িগুলো রেসিং, ওভারটেকিং ও বিপজ্জনকভাবে চালানোসহ যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা
সৃষ্টি করে। পরে গাড়িগুলোর অজ্ঞাতনামা চালক টোল পরিশোধ করে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে টানেলের
ভেতর প্রবেশ করে। পরে টানেলের সিসিটিভি মনিটরিং কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে থাকা সিসি ক্যামেরায়
ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে সাতটি গাড়ির নম্বর শনাক্ত করে। দুই-তিনটি প্রাইভেট
কারের রেজিস্ট্রেশন নম্বর শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে হলিউড সিনেমা ‘দ্যা ফাস্ট অ্যান্ড
দ্য ফিউরিয়াস’র সঙ্গে তুলনা
করা হয়। পরে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। টানেলে মধ্যরাতে ভয়ংকর কার রেসের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার
পর নড়ে চড়ে বসেছে কতৃপক্ষ।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মোহাম্মদ জহির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলেল ভেতর কার রেসিং
প্রতিযোগিতার ঘটনায় টানেল কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে। এতে সাতটি প্রাইভেটকারের নম্বর উল্লেখ
করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ
(বিআরটিএ) থেকে গাড়িগুলোর প্রকৃত মালিকের নাম জেনে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায়
আনা হবে।