আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইজন নিহতের ঘটনায় আটক ১

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
আমিনুর রশীদ জানান, ভোরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে চার রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামে বন্দুকধারীর গুলিতে ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলেসহ দুজন নিহতের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চার রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় কুড়িঘর গ্রাম থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হলেও তার নাম জানায়নি পুলিশ।

নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ জানান, ভোরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে চার রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে কুড়িঘর গ্রামে নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে এরশাদুল হক (৩৫) ও বাদল সরকার (২৫) নামে দুইজন দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। এরশাদুল আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তার বাবা আবুল কাশেমের অসুস্থতার কারণে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। আর নিহত বাদল সরকার (২৫) একই ইউনিয়নের নান্দুরা গ্রামের সন্তোষ সরকারের ছেলে ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, রাতে একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন এরশাদুল ও বাদল। পথিমধ্যে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই বাদল মারা যান। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ এরশাদুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান এরশাদুল।

নিউজ ট্যাগ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আরও খবর



প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহের কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সোমবার (৬ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

উপসচিব আক্তারুন্নাহারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রাক-প্রাথমিকসহ), শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো পরিচালিত লার্নিং সেন্টারসমূহের শ্রেণি কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী যথারীতি চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে তীব্র তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হয়। তবে তাপদাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত ক্লাসের সময় কমিয়ে আনা ছাড়াও প্রাত্যহিক সমাবেশ বা অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




পাথরঘাটায় পৃথক নিখোঁজ হওয়া দুইজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটার ভাড়ানী খালে পৃথক নিখোঁজ হওয়া তানভীর (৩) ও জেলে মনির হোসেন (৩০) নামের দুইজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

গত শনিবার দুপুর ১টার দিকে নিখোঁজ হয় তানভীর। পরে রাত ১২টার দিকে প্রায় ১০ ঘন্টা পর তানভীরের মরদেহ করে এবং রোববার দুপুর ৩টার দিকে প্রায় ৫ ঘন্টা পর জেলে মনির হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল দশটায় দারিয়ে থাকা ট্রলারে ওপর একটি ট্রলারের ধাক্কায় মনির নিখোঁজ হয়।

মৃত শিশু তানভীর পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের প্রবাসি ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে এবং জেলে মনির হোসেন লক্ষীপুর জেলার সদর উপজেলা চকবাজার এলাকার হাফিজুল্লাহর ছেলে।

মৃত্যু তানভীরের বিষয় পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, তানভীর কিছু দিন আগে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামে নানা বাড়িতে মায়ের সঙ্গে বেড়াতে আসে। নানা বাড়ির পিছনের পাথরঘাটা ভাড়ানি খালে মা পুতুল বাশ বাগানের জন্য খাল থেকে কাদামাটি উঠানোর কাজ করছিলো। তখন পাশে শিশু তানভীর খেলতে ছিলো। মাটি তোলার কোনো এক সময় খালে পরে নিখোঁজ হয় তানভীর। সেই মোতাবেক খালে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ডুবলি দল এসেও উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ১০ ঘন্টা পর রাত ১২টার দিকে ছালেহ মাষ্টারের বরফ মিলের কাছে খালে ভাসমান অবস্থায় তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে রোববার সকাল ১০টার দিকে পাথরঘাটা ভাড়ানি খালের নতুন বাজার লঞ্চ টার্মিনালের নোঙর করে রাখা মোস্তফা গোলাম কবিরের মালিকানা এফবি সাফওয়ান ট্রলারে অপর একটি ট্রলারের ধাক্কা মারে। এসময় মনির হোসেন নামে এক জেলে ট্রলার থেকে ছিটকে খালে পড়ে নিখোঁজ হয়। এরপর প্রায় ৫ ঘন্টা স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান চালালেও তার মরদেহ পাওয়া যায়নি। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও স্থানীয় একটি ডুবির দল উদ্ধার অভিযান করে। এরপর পরই দুপুর ৩টার দিকে স্থানীয় ডুবির দল খালের মাঝখান থেকে মনিরের মরদেহ উদ্ধার করে।

এদিকে পাথরঘাটা থানা ওসি আল মামুন বলেন, দুটি ঘটনাই মর্মান্তিক এবং নিখোঁজের পর দুইটি লাশই উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং জেলে মনিরের লাশ বরগুনা মর্গ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



কুকি-চিনের সমন্বয়ক আকিম বম গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বান্দরবান সদর ও রোয়াংছড়ি জোনের নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৫।

আজ শুক্রবার বান্দরবান জেলার লাইমী পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১৫।

র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং-এর পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, কুকি-চিনের নারী শাখার অন্যতম সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি দেশে-বিদেশে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

এর আগে, গত ৭ এপ্রিল বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।


আরও খবর



সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার আগুন, তদন্ত হলেও সমাধান নেই

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২২ বছরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে ৩২ বার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবার এর কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে সেসব তদন্ত প্রতিবেদন ও দুর্ঘটনা এড়াতে করা সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। ফলে নিয়মিত বিরতিতে আগুন লাগছেই। রবিবার (৪ মে) চাঁদপাই রেঞ্জের ছিলা এলাকায় আগুন লাগে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অগ্নিনির্বাপণে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, বনরক্ষী ও স্থানীয়রা।

অগ্নিকাণ্ড এড়াতে বিভিন্ন সময় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জোরালোভাবে তিনটি সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ তিনটি হলো, সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ের সঙ্গে মিশে যাওয়া নদী ও খাল খনন, অগ্নিকাণ্ডপ্রবণ এলাকায় প্রতি দুই কিলোমিটার পরপর ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করে নজরদারির ব্যবস্থা করা, চাঁদপাই রেঞ্জের ভোলা নদীর কোলঘেঁষে বনের পাশ দিয়ে কাঁটাতার অথবা নাইলনের রশির নেট দিয়ে বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

সুন্দরবন অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় তিনটি সুপারিশই বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে সুফল পাওয়া যাবে। আগুন নেভানোর কাজ চলছে।

সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার আগুন লেগে পুড়ে যায় প্রায় ৯০ একর বনভূমি। উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো হলো ২০০২ সালের ২২ মার্চ শরণখোলা রেঞ্জের কটকাতে। ওই ঘটনায় পুড়ে যায় প্রায় এক একর ছন বন। এরপর ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ চাঁদপাই রেঞ্জের নাংলি ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় পুড়ে যায় তিন একর বনভূমি। একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আড়ুয়াবেড় এলাকায় পুড়ে যায় প্রায় ৯ শতক ছন বন। ২০০৫ সালের ৮ এপ্রিল ধানসাগর স্টেশনের অধীন কদলতেজী এলাকায় পুড়ে যায় প্রায় তিন একর বন। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর একই এলাকার তুলাতলায় পুড়ে যায় ৪.৫ একর বনভূমি। এরপর ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ শরণখোলা রেঞ্জের তেরাবেকা এলাকায় আগুন লাগে। এর কিছু দিন পর ১১ এপ্রিল চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়ায়ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

এর একদিন পর কলমতেজির টহলফাঁড়ির খুটাবাড়িয়া এলাকার দেড় একর, ১ মে নাংলির পঁচাকুড়ালিয়া এলাকার ৫০ শতক, তিন দিন পর ধানসাগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ২.৫ একর বনভূমি। ২০০৭ সালে ৩ দফায় (১৫ জানুয়ারি, ১৯ মার্চ ও ২৮ মার্চ) একই এলাকার প্রায় ১৫ একর বনভূমি পুড়ে যায়। ২০১০ সালের ২০ মার্চ ধানসাগর স্টেশনের গুলিশাখালী এলাকায় প্রায় পাঁচ একর বন পুড়ে যায়। পরে ২০১১ সালের মার্চ মাসে দুই দফা বনে আগুন লাগে। এতে প্রায় সাড়ে তিন একর বন পুড়ে যায়। প্রায় ১০ একর বনভূমি পুড়ে যায় ২০১৪ সালের ২৫ মার্চের অগ্নিকাণ্ডে। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকার আগুন লাগে। ১৩ এপ্রিল একই এলাকায় ফের আগুন লাগে। পুড়ে যায় ৮.৫ একর বন।

১৮ এপ্রিল আব্দুল্লাহর ছিলায় এবং ওই বছরের ২৭ এপ্রিল তুলতলার বিলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালের ২৬ মে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ফরেস্ট ক্যাম্পের আওতাধীন মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় আগুন লাগে। ২০২১ সালের গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুড়েছে দানসাগর টহল ফাঁড়ি এলাকার প্রায় চার শতক বনভূমি।

প্রতিটি আগুন লাগার ঘটনার পরে আগুনের কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও পরে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে সুপারিশসহ রিপোর্টও পেশ করে। তবে সেসব রিপোর্টের প্রতিফলন বাস্তবে দেখা যায় না।

জানা গেছে, শুধু আগুনেই পুড়ছে না সুন্দরবন। বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদই ধ্বংস করে চলছে প্রতিনিয়ত একশ্রেণির চক্র। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট পেট্রোলিং আর জেলে-বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বাঘ, হরিণ হত্যাসহ বনের সম্পদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। এই অবস্থার মধ্যে অক্সিজেনের অফুরন্ত ভাণ্ডার দেশের ফুসফুসখ্যাত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবন এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে সুন্দরবনে আয়তন ছিল বর্তমানের দ্বিগুণ। কমতে-কমতে বর্তমানে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন এখন দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। যা দেশের সংরক্ষিত বনভূমির সর্বমোট ৫১ ভাগ। ২৪ ঘণ্টায় দুবার সমুদ্রের জোয়ারের লবণাক্ত পানিতে প্লাবিত হয় সুন্দরবন।

সংরক্ষিত এই বনের তিনটি এলাকাকে ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ইউনেসকো ৭৯৮তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে। বর্তমানে যা সমগ্র সুন্দরবনের ৫২ ভাগ এলাকা। এখানে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুরসহ ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদরাজি রয়েছে। এ ছাড়া ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, লোনা পানির কুমির, গুইসাপ, কচ্ছপ, ডলফিন, অজগর, কিংকোবরাসহ ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৩১৫ প্রজাতির পাখি রয়েছে।

সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তর জলাভূমিও। সুন্দরবনের জলভাগের পরিমাণ এক হাজার ৮৭৪ দশমিক এক বর্গ কিলোমিটার। যা সমগ্র সুন্দরবনের ৩১ দশমিক ১৫ ভাগ। ১৯৯২ সালে সমগ্র সুন্দরবনের এই জলভাগকে রামসার এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া সুন্দরবনের সমুদ্র এলাকার পরিমাণ এক হাজার ৬০৩ দশমিক দুই বর্গ কিলোমিটার।

এই জলভাগে ৪৫০টি ছোট-বড় নদী ও খালে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ইরাবতীসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন, ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মলাস্কা ও এক প্রজাতির লবস্টার।

ইতোমধ্যেই সুন্দরবন থেকে হারিয়ে গেছে এক প্রজাতির বন্য মহিষ, দুই প্রজাতির হরিণ, দুই প্রজাতির গণ্ডার, এক প্রজাতির মিঠা পানির কুমির।

করোনাকালে গোটা সুন্দরবনে সর্বোচ্চ সতর্কতা রেড অ্যালার্ট জারি করে পর্যটক, জেলে-বনজীবীদের বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বন অধিদফতর। এই নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যেও হুমকিতে পড়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।

সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনকে আগুন থেকে রক্ষা করার জন্য বনে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য রোধে বনরক্ষীদের তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। অসাধু বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল কবির বলেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা বনজীবীদের বিড়ি সিগারেটের আগুনে অনেক সময় আগুন লাগে। এ জন্য আমরা বনজীবী ও স্থানীয়দের সচেতন করেছি। সচেতনতামূলক কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ মতে ওয়াচ টাওয়ার করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাঘ, হরিণ হত্যার পাশাপাশি খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও আগুন দস্যুদের হাত থেকে সুন্দরবন রক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট পেট্রোলিংসহ সব ধরনের পাহারা জোরদার করা হয়েছে।


আরও খবর



পাঁচ দিনের ব্যবধানে ডজনে ২০ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে চাহিদা আর সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ডিমের দাম বেড়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) গত বছরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সাধারণত প্রতিদিন ৪ কোটি ডিম উৎপাদিত হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, উৎপাদনের পরিমাণ আরেকটু বেশি।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও মুদি দোকানে প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহের বিক্রি হয়েছিল ১১৫-১২০ টাকা। অর্থাৎ কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। তবে সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, আমরা দিন এনে দিন খাই। মাছ-মাংস তেমন কিনে খেতে পারি না। আমাদের জন্য ডিমই একমাত্র আমিষ জাতীয় খাদ্য। তাও আবার দাম বেড়ে গেল। বিকেলে আমি ২৫ টাকা দিয়ে দুইটা ডিম কিনেছি।

ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ডিমের সরবরাহ অনেক কম। তাছাড়া গরমে অনেক মুরগী মারা গেছে। সেই সঙ্গে বাজারে দিনদিন ডিমের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

খামারিরা বলছেন, ডিমের উৎপাদন খরচ বাড়লেও পাইকারি বাজারে তারা ডিমের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। তারা জানান, এখন খামারি পর্যায়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে ৯ টাকার মতো, যা খুচরা বাজারে একজন ক্রেতাকে ১২ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

মূলত উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। বাজারে ডিমের সরবরাহ কম থাকলে বাজার এমনিতেই বাড়তি থাকে। খামারিরা উৎপাদনে ফিরতে পারলে ডিমের দাম আবার কমে আসবে-এমনটাই গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী।

এর আগে ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল। এতে একটি ডিমের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা ৪৯ পয়সা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদর অনুযায়ী, প্রতিটি ডিমের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১১ টাকা ৭৫ পয়সা।

নিউজ ট্যাগ: ডিম

আরও খবর