আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

বরগুনায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরদ্ধে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ: ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ফাহমিদা লস্করের বিরুদ্ধে ঘুস বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওই ঘুস বানিজ্যের (৬মিনিটি ৪৪ সেকেন্ডের) একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে ঘুসের টাকা গননা করতে দেখা যায় ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত (ফার্মাসিষ্ট) কৃষ্ণ কুমার পালকে।

ভিডিও থেকে জানা যায়, পথ্য ও ষ্টেশনারি সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অংশীদারি (প্রতিনিধি) মো. রেজাউল ইসলাম মামুন খান বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে ঢোকেন। পরে তাদের দুইজনের মধ্যে কথপকথন হয়। এক পর্যায়ে বেতাগী হাসপাতালে কর্মরত (ফামার্সিষ্ট) কৃষ্ণ কুমার পালকে তার অফিসে ডেকে মামুন খানের কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার বান্ডিলটি গুনে তার কাছে রাখতে নির্দেশ দেন। একপর্যায়ে কৃষ্ণ তার অফিস কক্ষে গিয়ে টাকাভর্তি খামটি খোলেন এবং টাকা গননা করে রেখে দেন।

কথপকথনে দেখা ও শোনা যায়  স্বাস্থ্য কর্মকতা জ্বি মামুন সাহেব বলেন, বিল কি উঠিয়েছেন কবে?  মামুন খান জ্বি  বিল উঠিয়েছি বুধবার। স্বাস্থ্য কর্মকতারিয়াজ মোল্লা কই? সে আমার ঠিকাদার, আপনি তো আমার প্রধান ঠিকাদার না। মামুন খান স্যার রিয়াজ মোল্লার মা অসুস্থ, আপনি তো জানেন আমারা শেয়ারে আছি, তাছাড়া সব কথাবার্তা তো আমিই বলি আপনি আসার পর থেকে। গত বৃহস্পতিবার আপনাকে ফোন দিয়েছি কিন্তু আপনি রিসিভ করেননি। স্বাস্থ্য কর্মকতা ফোন রিসিভ করিনি মানে? আমি সবসময়ই ব্যস্ত থাকি। মামুন খান আমরাও তো ব্যস্ত থাকি, ঠিকাদারি করি, জুন মাসে আমাদেরও তো অন্যান্য চাপ থাকে। তাছাড়া আপনি তো সেদিন বললেন ২১ তারিখ দেখা করতে, তাই আমি এখন এসেছি। ওইটা নিয়ে আসছি স্যার। স্বাস্থ্য কর্মকতা সেটা আপনার আগে যানানো উচিত ছিলো, আমার সাথে কথা বলা উচিত ছিলো। মামুন খান আপনার সাথে তো এসব বিষয়ে মোবাইলে আমি কথা বলতে পারিনা। স্বাস্থ্য কর্মকতা মোবাইলে কেনো বলবেন? আমাকে ইনফর্ম করতেন! যে স্যার আমি বিল পেয়েছি। মামুন খান বিল পেয়েই আপনাকে ফোন দিয়েছি, ফোন ধরেননি দেখে আজ অফিসে আসলাম। এরপরই খামে প্যাকেট করা টাকার বান্ডিল বের করেন মামুন খান। বলেন স্যার শুধু একটু মিসআন্ডারষ্ট্যান্ডিং হয়েছে আর কিছুই না, আপনি রাগ কইরেন না। স্বাস্থ্য কর্মকতা আমার কত আসে? মামুন খান আপনার আসে ৫৩ স্যার, স্বাস্থ্য কর্মকতাআমার আসছে? মামুন খান জ্বি স্যার।

স্বাস্থ্য কর্মকতা টোটাল আসে কত? মামুন খান স্যার তাতো আমি হিসেব করিনি, তবে জাকির সাহেব বলেছেন(হিসাব রক্ষক) স্যারকে (আপনাকে) এটা দিবেন। স্যার তাতে এই ছয়মাসে আমাদের সব খরচ গিয়ে দুজনে মোট পেয়েছি আঠেরো হাজার টাকা। তারপরও বিল পেয়েই আপনাকে নক করেছি। এরপর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফোন দেন প্রধান ঠিকাদার রিয়াজ মোল্লাকে এবং বলেন মামুন সাহেব তো এসছেন, আমার কত ছিলো যেনো ওহ! তারপর কিছুক্ষণ হাসাহাসি করে  ফোন রাখেন। কিছুক্ষণ পরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা( ফাহমিদা লস্কর)  কৃষ্ণ কুমার পালকে (ফার্মাসিষ্ট) ডাকেন, এবং বলেন মামুন সাহেবের কাছ থেকে ওইটা গুনে আপনার কাছে রখে দেন।

সর্বশেষ মামুন বলেন স্যার কৃষ্ণ দাদাকে একটু বলে দেন, ক্লিনারের বিলটার ব্যাপারে! কালকে তো ফান্ড ক্লোজ হবে। স্বাস্থ্য কর্মকতা আরে ভাই কালকে কোনো আজকেই হয়ে যাবে, আমি আজ সারাদিন অফিসে কাজ করবো। পরে ভিডিওতে দেখা যায় কৃষ্ণ কুমার পাল খামটি নিয়ে তার কক্ষে যান এবং টাকা ভর্তি খামটি খুলে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল গননা করতে করতে বলেন আপনার(মামুন খান) ক্লিনারের বিল আজই হয়ে যাবে চিন্তা কইরেন না।

হাসপাতালে খাবার (পথ্য ও ষ্টেশনারি) সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অংশীদারি (প্রতিনিধি) মো. রেজাউল ইসলাম মামুন খান বলেন, বিগত তিন বছর যাবৎ বেতাগী হাসপাতালে পথ্য ও ষ্টেশনারি সরবরাহ করে আসছি। বর্তমান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ডা: ফাহমিদা লস্কর) বিল নিয়ে আমাকে প্রায়ই হয়রানি করেন! মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করেন। বিগত ছয়মাস আমার বিলের কাগজে স্বাক্ষর দেননি। বিল তুলতে না পেরে বাধ্য হয়ে তার প্রস্তাব মেনে নেই। পরে বিল উত্তোলন করে তাকে বিলের পার্সেন্টেজ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দেই। আবার এই তিনমাস হলো আমার কোনো বিলে স্বাক্ষর করেন না তিনি। গত ২৪ আগষ্ট তার কাছে বিলের আবেদন করলে আবার টাকা দাবী করেন এবং আমি অপরগতা জানালে আমার ওপর রেগে গিয়ে যা তা ব্যবহার করেন। এবং বলেন বিল কিভাবে নেন তা দেখবো। ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লেনদেনের বিষয়টি সত্য আমি বাধ্য হয়ে তাকে ওই টাকা দিয়েছি।

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত (ফার্মাসিষ্ট) কৃষ্ণ কুমার পাল সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যেদিন ঘটনাটি ঘটে ওইদিন আমি অফিসে কাজ করছিলাম, তখন স্যার (ফাহমিদা লস্কর) আমাকে তার অফিস কক্ষে ডাকেন এবং মামুন সাহেবের কাছ থেকে টাকা গুলো গুনে রাখতে বলেন এবং আমি গুনে রাখি। মামুন সাহেব যাওয়ার পর, স্যার পরে ওই টাকা আমার কাছ নিয়ে গেছেন। যেখানে ৫০০ টাকার নোটের একটি বান্ডিলে মোট ৫০ হাজার টাকা ছিলো।

ওই টাকা কোনো জরিমানা কিংবা হাসপাতালের কোনো ফান্ডের কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি(কৃষ্ণ) আরো বলেন, ওই টাকা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে মামুন সাহেব দিয়েছেন, যা আমি তারই(ফাহমিদা লস্কর) নির্দেশে গ্রহণ করেছি। ওই টাকা অন্য কোনো ফান্ডের না।

ঘুস লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা: ফাহমিদা লস্কর বলেন, ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তারা  মানসম্মত খাবার পরিবেশন করেন না। আমি এ নিয়ে আরো তাদেরকে ডেকে মিটিং করে হুসিয়ারি দিয়েছি। তবে আমার বিরুদ্ধে যেই অভিযোগ এনেছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

বরগুনা সিভিল সার্জন ডা: মো মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, হাসপাতালে খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ঘুস গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে, সঠিকভাবে তদন্তমূলক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা: শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, এ ধরণের অর্থ বানিজ্যের কোনো সুযোগ নেই। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে তদন্ত করে, বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



তালতলীতে হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলীতে পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোকে মোঃ নয়া মিয়া ফকির (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিক মোঃ  নয়া  মিয়া ফকির একই গ্রামের আমির আলী ফকিরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামের হাসান মিয়ার বাড়িতে পুকুর খননের কাজ করতে যান মো. নয়া মিয়া ফকির। তিনি পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোক করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই সোবাহান ফকির বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে পুকুর খননের কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোক করেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



তাপমাত্রার মতোই বেড়েছে সবজি ও মাছ-মাংসের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। যার প্রভাব পড়ছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছে মাছ-মাংস, সবজিসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল কাঁচা বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বিক্রেতারা জানান, তীব্র গরমে দাম বেড়েছে প্রায় সব পণ্যেরই। পাশাপাশি বাজারে কমেছে ক্রেতা উপস্থিতি।

বাজারে প্রতিকেজি শসা ৪০ টাকা, মরিচ ৬০ টাকা কেজি, টমেটো কেজি ৪০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বরবটি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও পেঁপে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম চড়েছে আলু ও বেগুনের। প্রতি কেজি আলু ৫৫ টাকা ও বেগুন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, তীব্র গরমে ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে সবজি। পাশাপাশি সেচ বাবদ বেড়েছে খরচ। যার প্রভাবে গ্রাম পর্যায়ে সবজির দাম বাড়ায়, রাজধানীর বাজারগুলোতেও বেড়েছে দাম।

আর ক্রেতারা বলছেন, বাজার আগে থেকেই চড়া। তার ওপর তীব্র গরমের সুযোগ লুফে নিয়ে আরও দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

তীব্র গরমে যখন গরম সবজির বাজার, ঠিক তখন উত্তাপ ঝরছে মাংসের বাজারেও। কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত সোনালি মুরগি ৩৮০-৩৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিকেজি ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০-৩২০ টাকা, ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।

ব্যবসায়ীদের দাবি, গরমে খামারে প্রচুর মুরগি মারা যাচ্ছে। এতে লোকসান থেকে বাঁচতে খামার পর্যায়ে বেড়েছে দাম। ফলে প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও।

অন্যদিকে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

গরমেরও উত্তাপ ছড়িয়েছে মাছের বাজারেও। চড়া বেশিরভাগ চাষের ও দেশি মাছের দাম। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।

এ ছাড়া বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৬০-১৭০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।


আরও খবর



পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আটক ১২

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান চালায়। এ সময় ১২জন বালু উত্তোলনকারীসহ একটি স্কেভেটর ও ৫টি ড্রাম্পট্রাক আটক করেছে পাবনা র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদা দাদাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো, ঈশ্বরদী উপজেলার বিলকেদা গ্রামের মৃত: তোফাজ্জল হোসেন প্রামানিকের ছেলে জামিরুল ইসলাম (৪২), একই গ্রামের কামিরুল প্রামানিকের ছেলে রুমন হোসেন (১৯), বাবলু মালিথার ছেলে বাধন হোসেন (১৯), ঈশ্বরদী ভেলুপাড়ার মো. নাজমুল হোসেনের ছেলে ইমন ইসলাম (১৯), নতুন রুপপুর গ্রামের মৃত নান্নু মালিথার ছেলে ইমরান মালিথা (২৯), ফতেপুরের মৃত ফজলুল হকের ছেলে ফয়সাল হোসেন (৩২), সাহাপুরের  মৃত: আব্দুস সামাদের ছেলে শুভ (২৪), চর রুপপুর জিগাতলার মো. খায়রুল মোল্লার ছেলে মোহন মোল্লা (২৯), আলহাজ্ব মোড় এলাকার মো. লিয়াকত আলীর ছেলে সিয়াম হোসেন (১৯), আটঘরিয়া উপজেলার নাগদাহ স্কুলপাড়ার মো. ইব্রাহিমের ছেলে মাসুম আলী (৩০), একই গ্রামের মো. আকব্বর এর ছেলে সাগর (১৯), মির্জাপুরের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনের ছেলে রজমান (২০)।

পাবনা র‌্যাব-১২, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিলকেদার দাদাপুর এলাকায় পদ্মার শাখা নদী হতে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ক্রয়-বিক্রয় করছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একটি স্কেভেটর ও ৫ টি ট্রাকসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মানদী তীরবর্তী এলাকায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সংঘবদ্ধ ভাবে অবৈধ উপায়ে বালি উত্তোলন করে আসছিল।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় মাঝ আকাশে ২ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মাঝ আকাশে মালয়েশিয়া নৌবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানের জন্য মহড়ার সময় হেলিকপ্টার দুটির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর একটি মাটিতে পড়লেও আরেকটি গিয়ে পড়ে সুইমিং পুলে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এইচওএম এম৫০৫-৩ মডেলের একটি হেলিকপ্টারের ৭ জন এবং এম৫০৩-৬ মডেলের অন্য হেলিকপ্টারে তিনজন আরোহী ছিলেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই দুটি হেলিকপ্টারে ১০ জন ক্রু ছিলেন। তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ তথ্যের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


আরও খবর



পাথরঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় বসতঘরে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুস হাওলাদারের বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পরে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় একঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা এমপির পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিদ মক্কি ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সুজন। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে অর্থ প্রদান করা হয় এবং বসত ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে টিনসহ যাবতীয় কিছু যা দরকার তা দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, চা বানাতে ইউনুস হাওলাদার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়, এতে ইউনুস আগুনে দগ্ধ হয়। ওই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে তারা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে মালামালসহ বসতঘরটি সম্পূর্ণ পড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনায় ঘরে থাকা স্বর্ণ অলঙ্কার নগদ ৫০ হাজার টাকা পুড়ে হয়ে গেছে বলে জানায় ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। এতে অন্তত ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবার।


আরও খবর