আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
নির্বাচনে সারাদেশে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন। যার মধ্যে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ জন পুরুষ ও ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১ জন নারী ভোটার

আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছরপূর্তি। ২০১৮ সালের এদিন দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয় পায় এবং টানা তৃতীয়বারের মত পাঁচ বছরের জন্য সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পায়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন এবং ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রী সভা গঠন করেন।

এর আগে ২০১৮ সালের ৮ নেভেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষণায় ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হলেও ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিলে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারিত হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বে গঠিত মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটসহ বাংলাদেশের নিবন্ধিত সর্বমোট ৩৯টি দল অংশগ্রহণ করে।

নির্বাচনে ১ হাজার ৮৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন যার মধ্যে ১২৮ জন স্বতন্ত্র। এছাড়া গাইবান্ধা-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ফজলে রাব্বি চৌধুরী ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে নির্বাচনের প্রাক্কালে মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন কমিশন আসনটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে। ২০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি এ আসনে ভোট গ্রহণের পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনে সারাদেশে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন। যার মধ্যে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ জন পুরুষ ও ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১ জন নারী ভোটার।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মত এ নির্বাচনের ৬টি নির্বাচনী আসনে সম্পূর্ণভাবে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট গ্রহণ করা হয়। ইভিএম ব্যবহার করা আসনগুলো ছিল, ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-২।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় সংসদ

আরও খবর



তালতলীতে হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলীতে পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোকে মোঃ নয়া মিয়া ফকির (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিক মোঃ  নয়া  মিয়া ফকির একই গ্রামের আমির আলী ফকিরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামের হাসান মিয়ার বাড়িতে পুকুর খননের কাজ করতে যান মো. নয়া মিয়া ফকির। তিনি পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোক করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই সোবাহান ফকির বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে পুকুর খননের কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোক করেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির সমাবেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করছে বিএনপি।

শুক্রবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এতে সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনা করছেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

সমাবেশে অংশ নিতে ব্যানার, ফেস্টুনসহ মিছিলসহকারে বিকাল পৌনে ৩টা থেকে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছেন। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন তারা। এ সময় তাদের বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল আসছে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠছে নয়াপল্টন।

এদিকে সমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন তারা।


আরও খবর



ঠিকাদারের হাতে জিম্মি রোগীরা, দেওয়া হয় বাসি-পঁচা খাবার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে একজন ঠিকাদার ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ করে আসছেন। একটানা ১৭ বছর একই ঠিকাদার খাবার সরবরাহের কারণে ঠিকাদারের কাছে জিম্মি রোগীরা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ খাবারের মান ও পরিমাপ নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠলেও উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি বরাদ্দে যে খাবার সরবরাহ করার তালিকা রয়েছে, সেসব খাবার কখনো পূরণ না করে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এখানকার রোগীরা।

সরকার নির্ধারিত বরাদ্দে (২০২২-২০২৩) অর্থছরের তালিকা অনুয়ায়ী প্রতিটি রোগীর জন্য সকালের নাস্তা রুটি, কলা, ডিম- ৩৯ টাকা, দুপুরে ও রাতে মাছ, সবজি, ডাল ও সাপ্তাহে ৩ দিন মাংস- ১৩৬ টাকা। দিন প্রতিজন রোগীর জন্য ১৭৫ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও যে ধরনের খাবার এবং যে পরিমাণ খাবার সরবরাহ করার কথা, রোগীরা সে পরিমাণ খাবার পাচ্ছেন না। পরিমাপে কম ও  পরিবেশন করা সকল খাবারই নিম্নমানের।

মাংস তো দুরের কথা মোটা চালের ভাত, নামে মাত্র মাছ, পঁচা-বাসি তরকারিসহ নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও পরিমাণে কম সরবরাহ করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী রোগীরা।

রোগীর স্বজন ও রোগীরা জানান, প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে যে পরিমান খাবার দেওয়া হয় তা অতি সামান্য ও নিম্নমানের যা অনেকে খেতে পারেন না। অনেকে খাবার নেন না। আবার কেউ কেউ খাবার নিলেও রোগীরা খান না। নির্ধারিত পরিমানে মানসম্মত খাবার সরবরাহের দাবি তাদের।

মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, বর্তমান সরকার সেবাখাতকে জনকল্যাণমূলক করতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। হাসপাতালে যারা ভর্তি থাকেন তাদের বেশিরভাগই গরীব রোগী। তাদের চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাবারের মান নিয়ে যেহেতু রোগীদের অভিযোগ রয়েছে, তাই এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদার মো.হাচান আলী বলেন, টেন্ডারের খাবার তালিকা অনুযায়ী প্রতিজন রোগীর জন্য ১৭৫ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও শতকরা ২৫% ভ্যাটসহ অন্যদিকের খরচ বাদ দিয়ে কত টাকা থাকে আপনি বলেন? তারপরও বাজারের যে অবস্থা এর চাইতে রোগীদেরকে আর কি খাওয়াবো? 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী বলেন, নামে মাত্র কাগজে কলমে খাবারের তালিকা থাকলেও আজ পর্যন্ত কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খাবারের তালিকা অনুযায়ী রোগীদেরকে খাবার দেয়নি। তারা আরও বলেন এনিয়ে বেশি কিছু বলতেও পারি না যদি কোনো ঝামেলা করে।

নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের বিষয় জানতে চাইলে আরএমও ডা.সুলতান আহম্মেদ বলেন, আমি দায়িত্বে থাকলেও বিষয়টি সম্পূর্ণ দেখভাল কারেন স্যার(টিএইচও)। তারপরও তিনি খোজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জনান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদ বিন হেদায়েত বলেন, প্রতিদিন খাবারের মান ও পরিমাপ পরীক্ষা করা হয়। নিম্নমানের খাবার দেওয়া তো প্রশ্নই ওঠে না।


আরও খবর



জনপ্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে গুলি, পরে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে রুবেল আহম্মেদ নামে এক ইউপি সদস্যকে গুলি করার পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নরসিংদীর আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত রুবেল আহম্মেদ ওরফে বডি রুবেল আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ দুপুরে রুবেল আহম্মেদ পাকুড়িয়া বাজারে আসেন। কাজ শেষে পৌনে ২টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারযোগে আসা একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পরপর ছয় রাউন্ড গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার শরীরের ওপর বসে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

মাধবদী থানা পুলিশের এসআই ফজলে রাব্বি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে।

নরসিংদীর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রের ধারণা, ইউপি নির্বাচনের সময় তৈরি হওয়া শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

জানা গেছে, সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে রুবেল আহাম্মেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইমরুল নামে এক প্রার্থী। ওই সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে কেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়ে রুবেল বিজয়ী হন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমরুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত হয়।


আরও খবর



দেশে বাড়ল সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির কারণে এই দাম বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৬ টাকা থেকে এক টাকা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২২ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে ১২৪.৫০ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৬.০০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৮.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য আজ রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৩১ মার্চ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে বহুল ব্যবহৃত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল। ওই সময় এই দুটি জ্বালানির পণ্যের দাম লিটারপ্রতি কমানো হয়েছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। লিটারপ্রতি ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৬ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রল আগের মতোই ১২২ এবং প্রতি লিটার অকটেন ১২৬ টাকায় বিক্রি হবে। তবে পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল।

এর আগে গত ৭ মার্চ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করায় দেশে ব্যবহৃত অকটেন, পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমেছে, যা ৮ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমে ১০৮ টাকা ২৫ টাকা পয়সা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ থেকে ৪ টাকা কমে ১২৬ টাকা এবং পেট্রলের দাম ১২৫ থেকে ৩ টাকা কমে ১২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি তেলের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ ডিজেল, পেট্রল ৫ দশমিক ৮৬ এবং অকটেন ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭২ লাখ টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৪৮ থেকে ৪৯ লাখ টন, যার ৮০ শতাংশ সরকার আমদানি করে। বর্তমানে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে। আর পরিশোধিত তেল আমদানি হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সাশ্রয়ী দামে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে ডিজেল আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বেসরকারি খাতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি তেল ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হয়। এই তেল নিজ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহারের অনুমোদন নেই।

অকটেন ও পেট্রল ব্যবহার করা হয় গাড়ি ও মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক, নৌযান এবং কিছু ক্ষেত্রে সেচ পাম্পে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।


আরও খবর