আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

বয়কটের ডাকে ক্ষতিগ্রস্ত বলিউড

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

লম্বা দাড়ি, চোখে সুরমা, মুখে খলনায়কের হাসিওম রাউত পরিচালিত আদিপুরুষ সিনেমার টিজারে এমনই দেখা গেল রাবণরূপী সাইফ আলী খানকে। রামায়ণ অবলম্বনে নির্মিত এ সিনেমায় ঠিক কী কারণে রাবণের এ রূপ তা ওম জানাননি। কিন্তু টুইটারে দেখা যাচ্ছে দর্শকরা বিষয়টি লক্ষ করে প্রশ্ন তুলেছেন, রাবণ দেখতে মুসলিমদের মতো কেন হবে? এমনকি হনুমান বা লক্ষ্মণের লুকও রামায়ণের সনাতনী ধারার মতো না। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হিন্দুরাই। আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে ঘৃণা। কয়েক বছর ধরে বিজেপির তৈরি করা জাতীয়তাবাদ, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বলিউডের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার এটি আরেকটি উদাহরণ। এমন উদাহরণ আছে আরো।

চলতি বছরের আগস্টে মুক্তি পায় ফরেস্ট গাম্পের হিন্দি রিমেক লাল সিং চাড্ডা। সিনেমাটি মুক্তির এক সপ্তাহ পরে ২ লাখ ৮০ হাজার ফলোয়ারের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয়। হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইটে লেখা ছিল, উর্দুউড ছড়িয়ে পড়ছে। যারা দেশবিরোধী, হিন্দু বিরোধিতাকে সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করার জন্য এই শব্দটি গ্রহণ করেছেন, তাদের ধন্যবাদ। এখানে আপনাকে ধ্বংস করার জন্য আপনার টাকাই নেয়া হয়। টুইটটি ১ হাজার ৭০০ বারেরও বেশি রিটুইট হয়, লাইক আসে ৫ হাজার ৮০০টি। যারা উর্দুউড শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নয়, তাদের জন্য বলে রাখা ভালো, এটি অতিডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচকভাবে জনপ্রিয় শব্দ। বৃহত্তর অর্থে ভারতীয় হলেও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু। ফলে এটি মুসলিমদের সঙ্গে সম্পৃক্ত, পাশাপাশি সিনেমাজগেক হিন্দুফোবিক বলে অভিযোগ তুলতে ব্যবহার করা হচ্ছে শব্দটি। বহু বছর ধরেই বলিউড একটি ব্র্যান্ড। ভারতীয়দের পাশাপাশি বহির্বিশ্বেও বলিউডের সিনেমার রয়েছে বিস্তৃত বাজার। সম্প্রতি ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির অধীনে হিন্দু জাতীয়তাবাদকে বেশি শক্তিশালী করে তোলার প্রচেষ্টার জন্য একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন করছে দলটি। সে উদ্দেশ্যে প্রভাবিত করা হচ্ছে বলিউডকেও। আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেনি বহু সিনেমা।

সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাও করেছেন আমির খান। সিনেমাটি মুক্তির আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর বয়কট চেয়ে দাবির ঢেউ ওঠে। ২০১৫ সালে ভারতে অসহনশীলতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। সে সময়ে আমির খানের করা একটি মন্তব্য পুনরায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে পিকে সিনেমার কিছু দৃশ্যও ছড়িয়ে পড়ে সবার হাতে হাতে (যেখানে অন্ধ বিশ্বাসের প্রবল সমালোচনা করা হয়)। এ দুটি মিলিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিছু টুইট ছড়াতে দেখা যায় ইন্টারনেট দুনিয়ায়। বক্স অফিসে লাল সিং চাড্ডা মুখ থুবড়ে পড়ে। কেননা এর পরও বয়কটের আহ্বান থেমে যায়নি। বিক্রম ভেদা, দোবারা, শমসেরা, ব্রহ্মাস্ত্রও বয়কটের মুখে পড়ার তালিকায় রয়েছে।

বিজেপির প্রপাগান্ডা ও হিন্দুত্ববাদ ছড়ানো ইত্যাদি বিষয়ের বিরুদ্ধে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী সরব। অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করের মতে, বলিউড এমন একটি ইন্ডাস্ট্রি, যেখানে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব ও সাফল্য রয়েছে। সেটাই মূলত হিন্দুপন্থীদের বিরক্ত করছে। স্বরা নিজেও বারবার ডানপন্থীদের ক্রোধের মুখে পড়েছেন, এমনকি পেয়েছেন হত্যার হুমকিও। তার মতো আরো অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী ক্রমাগত হুমকি পেয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন সিনেমা ও স্ট্রিমিং সিরিজের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ট্রলিং হতেও দেখা যাচ্ছে অনেক সময়। যেমনটি দেখা গিয়েছিল থাপ্পড়, এ সুইটেবল বয় বা বম্বে বেগমের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে শেষের দুটিতে দুই ধর্মের মানুষের রোমান্টিকতা দেখানোয় তা ক্ষোভের মুখে পড়ে। আবার ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রাজনীতিবিদ বিশেষ করে নেতা ও সংসদ সদস্যরা বলিউডের ইকোসিস্টেমকে আরো বেশি বিশ্লেষণ ও ভেঙে ফেলার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কেউ কেউ তো অভিযোগ তুলছেন আমির খান অর্থ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত এবং লাল সিং চাড্ডা সন্ত্রাসবাদকে মহিমান্বিত করে।

স্ক্রিনরাইটার হুসেইন হায়দরী মনে করেন, এসব প্রচারণা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে মুসলিমবিরোধী অনুভূতিকে ও হিন্দু নিপীড়ন কমপ্লেক্সকে পূর্ণ করে তুলেছে। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জয়জিৎ পাল ও গবেষক শেরিল আগারওয়ালের একটি গবেষণা বলছে, হ্যাশট্যাগে বয়কট বলিউড দিয়ে যেসব টুইট ছড়িয়ে পড়ছে সেগুলো খুবই পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে। বেশকিছু অজ্ঞাত অ্যাকাউন্ট এসব ঘৃণা, ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে এবং তারাই দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাগুলোকে আরো বেশি ঐতিহ্যবাহী হিসেবে প্রকাশ করছে। আর বলিউডের সিনেমাগুলোকে অধঃপতিতসাংস্কৃতিকভাবে নির্লিপ্ত হিসেবেও উল্লেখ করা হয় এসব টুইটে। ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৯০টি অ্যাকাউন্ট থেকে বলিউডবিরোধী বার্তা ছড়ানো হয়, তার মধ্যে ১২ হাজার ৮৮৯টি অ্যাকাউন্টের কোনো ফলোয়ার নেই। এসব অ্যাকাউন্টের বেশির ভাগই গত বছর খোলা এবং সংঘবদ্ধ আচরণ লক্ষ করা গিয়েছে। তবে এ বয়কটের চল ঠিক কতটা কার্যকর হয়েছে তা পরিষ্কার বোঝা যায়নি। ২০২২ সালে এখন পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া ২৬টি সিনেমার মধ্যে ২০টিই (৭৭ শতাংশ) ফ্লপ হয়েছে। এসব সিনেমায় বিনিয়োগের অর্ধেক বা তারও বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বক্স অফিস সংগ্রহের পেছনে কভিড-পরবর্তী সময়ে দর্শকদের অনিচ্ছার চিত্র দেখেন, এ সময়ে ভারতীয়রা স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে বাড়তি আয় নিয়ে গিয়েছেন।

সিনেমা সমালোচক ও বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শ জানান, চলচ্চিত্র প্রদর্শকরা মনে করেন, লাল সিং চাড্ডার ওপর বয়কট প্রচারণার বেশ প্রভাব পড়েছে। কিন্তু তিনি অন্যান্য বিষয় নিয়েও বেশ হতাশা প্রকাশ করেছেন। তার মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত লকডাউনের সময়ে বিভিন্ন অনলাইন স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম বেড়ে ওঠা একটি কারণ। এর কারণে হলে বসে টাকা দিয়ে সিনেমা দেখার প্রবণতা অনেক কমে গিয়েছে। তাই এখন বড় পর্দার এন্টারটেইনারদের উচিত দর্শকদের আবার সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করা।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজও ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৫৬ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান নবম।

পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ২০৬, ১৯১ ও ১৭৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে এক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সকল ভাইবোনকে জানাই বঙ্গাব্দ, ১৪৩১ এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।

সরকারপ্রধান বলেন, আসুন, নতুন বছরে অতীতের সকল ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পেছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি। আগামী রোববার (১৪ এপ্রিল) সারাদেশে উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

পরিশেষে কবি সুফিয়া কামালের কবিতার পঙতি উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরাতন গত হোক! যবনিকা করি উন্মোচন, তুমি এসো হে নবীন! হে বৈশাখ! নববর্ষ! এসো হে নতুন। শুভ নববর্ষ।


আরও খবর



৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

দৃঢ় নেতৃত্বে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার প্রেক্ষিতে চলতি হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।  

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাববছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাববছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।

এদিকে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।

বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.৭৯ শতাংশ।

এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। 


আরও খবর



এবার ভরিতে ১৮৭৮ টাকা কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা।

স্বর্ণে দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটেগরি ভেদে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল সাত দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সবশেষ গত ৩০ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের ৪২০ টাকা কমানো হয়।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ব্যাংক ও বাসার নিরাপত্তায় সিএমপির নির্দেশনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে নগর ছেড়ে অনেকে যাচ্ছেন গ্রামে। এসময় ফাঁকা থাকবে বাসা। পাশাপাশি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকছে। আর এই সুযোগই নেয় অপরাধীরা। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় ১২টি নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) স্পিনা রানী প্রামাণিক জানান, বাসার নিরাপত্তায় দরজায় অধিক তালার ব্যবহার করা, নগদ অর্থ বা স্বর্ণালংকার ফাঁকা বাসায় রেখে না যাওয়া, সিসিটিভি ক্যামেরা ও অ্যালার্ম সিস্টেমের মতো প্রতিরোধমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া, আবাসিক এলাকায় রাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা, নতুন নিয়োগ দেওয়া নিরাপত্তাকর্মীদের এনআইডি কার্ড ও ছবি সংরক্ষণ করা, সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি ঘোরাফেরা করলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় থানাকে জানানো ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি সংক্রান্ত কোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুত জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভল্টের নিরাপত্তা জোরদারসহ পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা যাতে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন সে বিষয়টি তদারক করা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরের জন্য নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন কর্মকর্তাকে পালাক্রমে নিয়োজিত রাখা, ব্যাংকের ভল্টের চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরার কাভারেজ নিশ্চিত করা এবং সন্দেহজনক কোনো বিষয় নজরে এলে তা কাছের থানায় জানানো এবং ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভালোভাবে কাজ করছে কি-না তা নিশ্চিত করা।

ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ছাদ ছিদ্র করে, সিঁধ কেটে চুরি ও ডাকাতি যাতে না হয়, সে জন্য স্বর্ণের দোকানের ওপরে ও আশপাশের এলাকায় যারা বসবাস করেন, তাদের ওপর বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

এ সময় দৃশ্যমান পুলিশিং নিশ্চিত করা এবং প্রতিদিন এলাকা ও স্থান পরিবর্তন করে তল্লাশি চৌকি পরিচালনা করা হবে। একসঙ্গে তিনজন আরোহী নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। ট্রাফিক ও অপরাধ বিভাগ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করবে। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের চালকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর