আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ব্যস্ততম শতবর্ষী মিরসরাই রেলস্টেশন এখন গোচারণ ভূমি

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

এক সময়কার ব্যস্ততম রেল স্টেশনটি এখন সুনসান। ট্রেন আসা-যাওয়া করলেও স্টেশন বন্ধ থাকায় থামে না। ফলে নেই কোন কোলাহল। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এভাবে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনে অবস্থিত শতবর্ষী মিরসরাই রেলস্টেশনটি। বন্ধ হওয়ার পর থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা ও মূল্যবান মালামাল। পুনরায় চালু হবে এ স্টেশন এমন আশায় রয়েছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জনমানবশূন্য স্টেশনের কক্ষগুলোতে চলছে গরু-ছাগল পালন, জুয়ার আসর ও মাদকসেবীদের আড্ডা। স্টেশনটি বন্ধ হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। বেদখল হয়ে রয়েছে অনেক জায়গা। রেলস্টেশনের কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পাহারাদারও চোখে পড়েনি।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১৮৯৫ সালের ১ জুলাই কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ১৪৯ কিলোমিটার মিটারগেজ রেলপথ নির্মিত হয়েছিল। আসাম বেঙ্গলে রেলওয়ে থাকাকালীন সেই ব্রিটিশ আমল থেকে এ স্টেশনে নিয়মিত ট্রেন থামতো। ফলে পুরো উপজেলার মানুষ ছিল ট্রেন নির্ভর। ভ্রমণ, সবজি, ফলমূল আমদানি-রফতনিসহ বিভিন্ন জরুরি কাজে ট্রেনই ছিল প্রিয় পরিবহন। একসময় এসব স্টেশন থেকেই ভারত, পাকিস্তানে মালামাল আনা নেওয়া হতো।

কিন্তু ২০০৮ সালে আয় কমে যাওয়া ও লোকবল সংকটের কারণে স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে মিরসরাই সদর রেলস্টেশন উন্নয়ন কার্যক্রম শেষে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকা এই রেল স্টেশনটি চালু করার জন্য রেল স্টেশনে আধুনিক সিগন্যালিং, নতুন ডিজিটাল কক্ষ নির্মাণ, লাইন সংস্কারসহ বিভিন্ন আধুনিকায়ন কাজ শেষ করা হায়। কিন্তু পরে আবারো থেমে যায় কার্যক্রম।

মিরসরাই সদর ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান নামে একজন বলেন, স্টেশনটি যখন চালু ছিল, তখন গোডাউনের মালামাল নেওয়ায় এক প্রকার জমজমাট ছিল। চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের যাতায়াতের জন্য এই স্টেশন ছিল অন্যতম। স্টেশনটি বন্ধ হওয়ার পর থেকে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।

চট্টগ্রাম শহরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন ফয়সাল মাহমুদ। তিনি বলেন, আমার বাপ-দাদারা ট্রেনযোগে চলাচল করতেন। তখন উনাদের যাতায়াতের জন্য অন্যতম বাহন ছিল ট্রেন। আমার বাবা এই ট্রেনযোগে প্রতিদিন সকালে অফিসে যেতেন, আবার অফিস শেষে বাড়ি ফিরতেন। আমার বাসযোগে অফিসে যাতায়াত করতে হয়। অনেক সময় রাস্তায় যানজট থাকে, সময় মতো অফিসে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। স্টেশনটি চালু হলে এলাকার মানুষের উপকার হতো।

এ বিষয়ে চিনকি আস্তানা স্টেশন মাস্টার সিরাজুল ইসলাম বলেন, একটা স্টেশন বন্ধ থাকলে তার পরবর্তী স্টেশনটির সঙ্গে প্রোপার সিগন্যাল পাওয়া যায় না। যার ফলে ট্রেন নির্দিষ্ট গতিতে চলাচল করতে পারে না। ফলে একস্থান থেকে অন্যস্থানে রেল যেতে বিলম্ব হয়। তিনি আরও বলেন, মিরসরাই রেল স্টেশনটি খুব তাড়াতাড়ি চালু হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রামের (পূর্ব) মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, মূলত লোকবল স্বল্পতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনটি বন্ধ রয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনা করে বন্ধ হওয়া বিভিন্ন স্টেশন চালু হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করছি তারই ধারাবাহিকতায় মিরসরাই স্টেশনটি পর্যায়ক্রমে চালু হবে।


আরও খবর



উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তির দাবি রাবি অধ্যাপকের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও ছাত্রত্ব থাকাকালীন সময়ে ডোপ বা ড্রাগ টেস্ট করানোর দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক উন্মুক্ত বার্তায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি ও সরকারের কাছে এ দাবি জানান তিনি ।

ব্যক্তিগত এক সাক্ষাৎকারে এই অধ্যাপক তার দাবি সম্পর্কে বলেন, ২০২২ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট আইন হচ্ছে। কিন্তু সে আইন আলোর মুখ দেখেনি। শিক্ষার্থীরা যদি ড্রাগে আসক্ত হয়ে যায় তারা দেশের সেবা কিভাবে করবে? তারা পিতা-মাতার স্বপ্নও পূরণ করতে পারবে না। তারাই তো ভবিষ্যৎ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের ৩য় তলায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগটির অবস্থান। বিভাগের চেয়ারম্যানের অফিসের পাশেই  শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুম। গত এক সপ্তাহ আগে সেখান থেকে ৮-১০টি ফেনসিডিল উদ্ধার করেন তিনি।

তারপর গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেন, 'ডোপ টেস্টের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও ছাত্রত্ব থাকাকালীন সময়ে ডোপ টেস্ট করানোর বিষয়টা কি আলোর মুখ দেখবে না? ভর্তির সময়ে শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপের বিষয়টা যেমন গৃহীত হয়েছে তেমনি ডোপ টেস্টের বিষয়টাও ভেবে দেখা দরকার।'

নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদকের শঙ্কা প্রকাশ করে  তিনি জানান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ আগে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক  ভবনে ছিল। সেখান থেকে ২০১৪ সালে এই (সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী) ভবনে আসি। তখন থেকেই এখানের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা ওয়াশরুমটি অপরিষ্কার ছিল। সবাই তাদের অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ এখানে ফেলে রাখত।  শিক্ষার্থীদের আবদারে আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে পরে থাকা ওয়াশরুমটা পরিষ্কার করার চিন্তা করি। এই ওয়াশরুমের ছাঁদ পরিষ্কার করার সময় যারা কাজ করছিলেন তারা এখানে মাদকের আলামত পায়। আমি তখন অবাক হয়ে যাই।

অফিসের পিয়ন তারেকুর রহমান জানান গত সপ্তাহে পরিষ্কার করার সময় সেখানে ৮-১০ টা ফেনসিডিলের বোতল দেখতে পান তিনি। এগুলো সরিয়ে জায়গা পরিষ্কার করেছেন।

এই অধ্যাপক আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রফেসনাল ও সার্বক্ষণিক লোক রাখতে হবে। সেখানে শিক্ষার্থীদের সহজ প্রবেশাধিকার থাকবে। কেন্দ্রের নির্দিষ্ট ডাটাবেইজ থাকবে। যেন র‍্যান্ডম সিলেকশন করে শিক্ষার্থীদের চেক করা যেতে পারে। সময়ে সময়ে আপডেট নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৬ জুন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় ডোপ টেস্ট করার জন্য আইন তৈরি হচ্ছে (সংশোধন)। কিন্তু সে আইন আলোর মুখ দেখেনি। তবে, ২০২২ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ডোপ টেস্ট কার্যক্রম চালু করেছিল। এবং গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




দু’মাসের মধ্যে ঢাকা-যশোর রেললাইন উদ্বোধন হবে: রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে নবনির্মিত ঢাকা-যশোর রেললাইন উদ্বোধন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন।

শনিবার (৪ মে) ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে নতুন ট্রেনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে সস্তা পরিবহণ ব্যবস্থা হলো রেল। এটি মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দে্য়ারর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা অনুযায়ী ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে খুলনা হয়ে যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত নতুন ট্রেনলাইন চালু হচ্ছে আগামী দুই মাসের মধ্যে।

তিনি বলেন, এই দুটো লাইন চালু হয়ে গেলে ভাঙ্গা, শিবচর- এসব অঞ্চলের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে। এছাড়া আমরা ডিভিশনগুলো একপেশে করতে চাই না। সমন্বিতভাবে, সব অঞ্চলের লোকজন যাতে পায় সেভাবে আমরা কাজ করার চেষ্টা করছি।


আরও খবর



গ্রামাঞ্চলে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং না করে যত দ্রুত পারা যায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান।

লোডশেডিং প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গাতে। এটা আমরা গত এক মাস যাবৎ পর্যবেক্ষণ করছি।

তিনি বলেন, আমাদের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট, বিশেষ করে ওয়েল বেইজড পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করতেছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, আর্থিক স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটা ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীও এটা ওয়াকিবহাল রয়েছেন। তিনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করতে। আমরা সেটাই ব্যবস্থা করে এখন একটা ভালো অবস্থায় আছি।

গ্রামে লোডশেডিং প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন (লোডশেডিং) কমে গেছে। কারণ, আমি তো প্রতিদিন নিউজ পাচ্ছি। আজকে যদি দেখেন জিরো লোডশেডিং।

তেলের যে সমস্যা ছিল সেটি কেটেছে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের নিজেদের কাছ থেকে তেল দেওয়ার। বিপিসি থেকে তেল দেওয়ার। এখন সেটাই ব্যবস্থা চলছে।

উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।

তিনি আরও বলেন, আমরা যতটুকু প্রস্তুত ছিলাম সে পর্যন্ত আমরা গেছি। তার ওপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা ছিল। আমরা করতে পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থাপন। তবে সার্বিকভাবে এখন পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো।


আরও খবর



চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেছেন, কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক।

কোরিয়ার ৫ম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানকার ম্যানুফ্যাকচারার, অটোমোবাইল, মোবাইল ও হোম ইলেক্ট্রনিক্স খাতে বিনিয়োগ রয়েছে কোরিয়ান কোম্পানীর। এছাড়াও বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্পে দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে কোরিয়ান কোম্পানীগুলো।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক সাথে  চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালকদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তোরণ করবে। তাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে গুণগত অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈচিত্রতা আনতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বে পোশাক শিল্পের ৭৫ শতাংশ কটনবেইজড পোশাক রপ্তানি হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ম্যান মেইড ফাইবার পোশাকের  কদর রয়েছে। বাংলাদেশে ব্লু ইকোনমি, ট্যুরিজম, এগ্রো ও ফুড প্রসেসিং সেক্টরে অনেক উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে কোরিয়ার। বর্তমানে বাংলাদেশের কোরিয়ান কোম্পানীগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানির উপর উচ্চ ট্যারিফ, ভিসা জটিলতা এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স বিলম্বজনিত সমস্যা একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। বিনিয়োগের এসব বাধাসমূহ সমাধান প্রয়োজন।

চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, বাংলাদেশের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরিপোশাক খাত আজকের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে কোরিয়ার অবদান। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নেও রয়েছে কোরিয়ার অবদান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ৮০ শতাংশ হচ্ছে কোরিয়ার বিনিয়োগ। বর্তমানে বৈশ্বিক বাজারে ম্যান মেইড ফাইবার তৈরিপোশাকের চাহিদা বাড়ছে। তাই এই সেক্টরে কোরিয়ার বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি প্রত্যাশা করছি। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্লু ইকোনমি, শিপ বিল্ডিং ও শিপিং খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে বাংলাদেশে এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য অপচয় হচ্ছে। তাই আধুনিক এগ্রো প্রসেসিং সেক্টরে প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ করতে পারে। বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে কোরিয়ার অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন মেঘনা নদী থেকে পানি সরবরাহ লাইন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড তথা চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে হবে।

চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ান ফুডের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এছাড়া কোরিয়ার কসমেটিক্স, প্রসাধন ও ফুটওয়্যারের কদর রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বাজার এবং বিদেশের চাহিদা মাথায় রেখে বাংলাদেশের কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

 এসময় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, আখতার উদ্দিন মাহমুদ ও দূতাবাসের কনসুল কিম জেয়ং কি, চট্টগ্রামে কোরিয়ান এসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট জিন হুক পিক, কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান তাইয়ং প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), বেনাজির চৌধুরী নিশান, আলমগীর পারভেজ, মাহবুবুল হক মিয়া ও মোঃ রেজাউল করিম আজাদ উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর



এমবাপ্পে নিজেই পিএসজি ছাড়ার কথা জানালেন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলতি মৌসুম শেষে কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি ছাড়ার বিষয়টি গুঞ্জন উঠেছিল অনেক আগেই। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। এবার সেটাও সেরে ফেললেন ফরাসি এ তারকা ফুটবলার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে নিজেই জানিয়ে দিলেন সিদ্ধান্তের কথা।

শুক্রবার (১০ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে এমবাপ্পে নিশ্চিত করেছেন, এটিই ছিল পিএসজির হয়ে তার শেষ মৌসুম। তুলুজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পিএসজি ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন এই তারকা ফরোয়ার্ড।

ভিডিওতে এমবাপ্পে বলেছেন, আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই, পিএসজির হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ মৌসুম। আমি আর মেয়াদ বাড়াচ্ছি না, এই যাত্রা আসছে কয়েক সপ্তাহেই শেষ হতে যাচ্ছে। রবিবার পার্ক দে প্রিন্সেসে আমার শেষ ম্যাচ খেলব।

এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পিএসজির সঙ্গে ৭ বছরের সম্পর্কের ইতি টানলেন এমবাপ্পে। ২০১৭ সালে মোনাকো ছেড়ে ক্লাবটিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। যোগদানের পর থেকেই পারফর্ম করেছেন নিয়মিত। গোল করা এবং করানোয় নিজের ভান্ডার ক্রমেই সমৃদ্ধ করেছেন এমবাপ্পে। পিএসজির হয়ে সব মিলিয়ে ৩০৬ ম্যাচে ২৫৫ গোল করেছেন এমবাপ্পে। ১০৮টি গোল করিয়েছেনও এই ফরোয়ার্ড। পিএসজির হয়ে ৭ বছর খেলে ৬ বার লিগ আঁ জিতেছেন এমবাপ্পে।

পিএসজি ছেড়ে এমবাপ্পে কোথায় যাচ্ছেন, সে বিষয় নিয়ে কিছু জানাননি তারকা ফরোয়ার্ড। তবে এটা এখন অনেকটাই নিশ্চিত যে রিয়াল মাদ্রিদেই পাড়ি জমাচ্ছেন তিনি। এই ক্ষেত্রেও শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই বাকি।


আরও খবর