রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অবস্থিত শেখ রাসেল এভিয়ারী ইকো পার্কের ২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি থাকলেও ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে প্রায় ৭ মাসের বেতন পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করছে পার্কে কর্মরত এ সকল কর্মীরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন চলমান প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় তাদের বেতন বন্ধ রয়েছে।
রাঙ্গুনিয়ার শেখ রাসেল এভিয়ারী পার্কে দীর্ঘদিন ধরে বন বিভাগের চলমান প্রকল্প বন্ধ থাকায় এর মধ্যেই একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী পার্ক ছেড়ে চলে গেছেন।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, প্রতিমাসেই আশ্বাস মেলে পরের মাসে বেতন হবে। কিন্তু আশ্বাস কখনো কাজে আসে না। এভাবেই টানা ৭ মাস বেতনভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছি। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসই এখন আশার প্রদীপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতা পেতে সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানিয়েছেন এসব ভুক্তভোগী কর্মচারী।
এদিকে সাত মাস বেতন না পেয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করে চলে গিয়েছেন অনেক কর্মকর্তা। তবে যারা আছেন তারাও সংকটে। পরিবারের খাবার যোগাতে একদিন আসলেও আরেকদিন আসছেনা তারা। এতে পর্যটন কেন্দ্রে লোকবল সংকট সৃষ্টি হয়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পার্কের দৈনন্দিন কাজে।
পার্কের বন্যপ্রাণি নিরাপত্তা প্রহরী ইকবাল হোসেন বলেন, 'দীর্ঘ ৭ মাস ধরে বেতন না পেয়েও প্রতিদিন চাকরি করছি। এমন অবস্থা তৈরী হয়েছে চাকরি আছে, বেতন নেই। বেতন না পেয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। এক বেলা খাবার যোগাতে অজস্র কষ্ট হচ্ছে। রাতের খাবার কি হবে সেটি নিয়েও চিন্তিত। আমরা পার্কের কর্মচারী, তাই আমাদের একটাই দাবি চলমান প্রকল্প চালু করে আমাদের বকেয়া বেতন যেন অতিদ্রুত পরিশোধ করে কর্তৃপক্ষ।'
এ বিষয়ে পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও রাঙ্গুনিয়া বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুম কবির থেকে জানতে চায়লে তিনি বলেন, '২০২১সালের জুন মাসে প্রজেক্ট শেষ হয়েছে। আবার প্রজেক্ট পাশ হলেই বেতন হওয়ার কথা, প্রজেক্ট যেভাবে পাশ হয় সেভাবেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে, মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠালে তাদের ব্যাপারে জানা যাবে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের একটা মিটিং হওয়ার কথা আছে। '
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোছনাবাদ ইউনিয়নের কোদালা বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে দুইশ দশ হেক্টর এলাকাজুড়ে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের নামে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের পরিচালনায় শেখ রাসেল এভিয়ারি এন্ড ইকোপার্ক উদ্বোধন করা হয়।