প্রেমে ও রণে
সবই চলে এটি নতুন কিছু নয়। কিন্তু তাই বলে একেবারে লিঙ্গ পরিবর্তন করে নারী থেকে পুরুষে
পরিণত হতে হবে! বিষয়টি অবিশ্বাস্য শোনালেও এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের
ভারতপুরে। মীরা নামের এক স্কুলশিক্ষক কল্পনা ফৌজদার নামে একজনের প্রেমে পড়েন। সেই প্রেমকে
পূর্ণতা দিতেই মীরা লিঙ্গ পরিবর্তন করে বিয়ে করেন কল্পনাকে।
মীরা ভারতপুরের
একটি বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক। আর কল্পনা ফৌজদার তাঁরই শিক্ষার্থী। বেশ কিছু
দিন আগে মীরা কল্পনার প্রেমে পড়েন। এরপর থেকেই তিনি সুযোগ খুঁজছিলেন নিজের লিঙ্গ পরিবর্তনের।
তাঁর সে আশা পূর্ণ হয়েছে। সর্বশেষ তাঁরা দুজন গত ৬ নভেম্বর বিয়ে করেছেন। নতুন পরিচয়ে
মীরার নাম এখন আরাভ কুন্তল।
মীরা এবং কল্পনার
পরিচয় হয় শারীরিক শিক্ষার ক্লাসেই। কল্পনা রাজ্য পর্যায়ে কাবাডি দলের খেলোয়াড়। এমনকি
আগামী বছরের জানুয়ারিতে তিনি আন্তর্জাতিক একটি কাবাডি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে দুবাই
যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
আরাভ জানান, তিনি
স্কুলের খেলার মাঠে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানোর সময় কল্পনার প্রেমে পড়েছিলেন এবং ছেলে
সব সময়ই পুরুষ হতে চাইতেন। এই বিষয়ে আরাভ বলেন, আমি মেয়ে হয়ে জন্মেছিলাম তবে আমি সব
সময় নিজেকে ছেলে বলেই ভাবতাম। এর আগে, আমি সব সময় আমার লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য অস্ত্রোপচার
করতে চেয়েছিলাম। সর্বশেষ, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আমার প্রথম অস্ত্রোপচার হয়।
আরাভকে বিয়ে করার
বিষয়ে কল্পনা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই আরাভের সঙ্গে প্রেম করছিলেন। তাঁর দাবি আরাভ
লিঙ্গ পরিবর্তন না করলেও তিনি আরাভকে বিয়ে করতেন। কল্পনা বলেন, আমি শুরু থেকেই তাঁকে
ভালোবেসেছি। এমনকি সে যদি সার্জারি না করত তারপরও আমি তাঁকে বিয়ে করতাম। আমিও তাঁর
সার্জারির সময় উপস্থিত ছিলাম।
যাই হোক, আরাভ
লিঙ্গ পরিবর্তন করলেও তাঁদের বিয়ে নিয়ে তেমন কোনো বাধা আসেনি। উভয়ের পরিবারই এই বিয়ে
মেনে নিয়েছে। তবে ভারতে এমন বিয়ের ঘটনা দুর্লভ এমনকি হয়নি বললেও খুব একটা ভুল হবে না।বিয়ে
নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত আরাভ কুন্তল। তিনি বলেছেন, প্রেমে ও রণে সই চলে এবং তাই আমি আমার
লিঙ্গ পরিবর্তন করেছি।