আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

ছেলেকে বানাতে চেয়েছিলেন ডাক্তার, হলো জঙ্গি

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সিরাজগঞ্জের কৃষক আব্দুল হান্নানের একমাত্র ছেলে যেদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেন সেদিন থেকেই গ্রামের লোকজন তাকে ডাক্তারের বাপ বলে ডাকা শুরু করেছিলেন। যার চিকিৎসক হওয়া নিয়ে আশায় ছিলেন বাবা, সেই ছেলেই বাবার স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়ে জড়িয়ে পড়েছেন জঙ্গিবাদে। সেইসাথে বাবার মনের ভেতর চেপে রাখা খুশি পরিণত হয়েছে আফসোসে।

ডা. সোহেল তানজিম রানা পুরোপুরি চিকিৎসক হয়ে ওঠার বছরখানেক আগেই তার উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়ার খবর পেয়েছিলেন বাবা আব্দুল হান্নান। তখন থেকেই শঙ্কিত ছিলেন তিনি। ছেলের গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু করলেন। খারাপ পথে গেলে হাত ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন।

২০২২ সালে উগ্রবাদে জড়িত থাকার সন্দেহে সোহেল তানজিম রানাকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব। তখনও বাবা হান্নানের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছিল। তবে জামিনে বেরিয়ে ছেলে চাকরি শুরু করেন, বিয়েও করেন। তখন আশায় ছিলেন ছেলে সব ছেড়ে দিয়ে সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করবে।

তবে পুরনো শঙ্কা আবারও ফিরে আসে মনে, যখন ২০ বছর বয়সী স্ত্রী মাইশা ইসলাম হাফসাকে নিয়ে নিখোঁজ হন ২৭ বছরের এনায়েতপুরের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সোহেল তানজিম রানা। শনিবার (১২ আগস্ট) নবীন এ চিকিৎসকের স্ত্রীকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।

আরও পড়ুন>> সিরাজগঞ্জের নিখোঁজ চিকিৎসকের স্ত্রী কুলাউড়ার ‘জঙ্গি আস্তানায়’

তবে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল (সিটিটিসি) পরিচালিত অপারেশন হিলসাইট নামে শুক্রবারের ওই অভিযানে সেই আস্তানায় ছিলেন না ডা. সোহেল। কুলাউড়ার ওই বাড়ি ঘিরে অভিযান শুরুর আগেই জুম্মার নামাজের জন্য তিনিসহ আরও কয়েকজন বেরিয়ে যান বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তানজীম সেখানে সালমান নাম নিয়ে ছিলেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

এ খবর হতাশার পাশাপাশি ছেলের প্রতি ক্ষুব্ধ করে তুলেছে সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদ ইউনিয়নের আব্দুল হান্নানকে। তিনি বলেন, আমি চাষ-বাস কর‌্যাই চলি। ওরে ডাক্তার বানাইতে আমি যে কী কষ্ট করছি। আর ও হইল জঙ্গি। ও আমার যে সম্মানহানি করছে ওরে গুলি মারলে, ফাঁসি দিলেও আমার কষ্ট হবে না।

আব্দুল হান্নান আরও বলেন, আমার ছেলেটা ছোটবেলা থাইকাই ভালো ছাত্র ছিল। রাজশাহী মেডিকেলে যেদিন ভর্তি হইল সেদিন ভাবলাম আল্লায় মুখ তুইলা চাইছে। সবাই কয় ডাক্তারের বাপ হইছি। গত নির্বাচনের সময় ছেলেরে নিয়া নৌকা মার্কার প্রার্থী ডাক্তার মিল্লাতের ভোটও করলাম।

ছেলে এর আগে কোনো রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন না দাবি করে হান্নান বলেন, ছেলে রাজশাহী মেডিকেলে পড়ার সময় কুনো পার্টি করতো না। না আওয়ামী লীগ, না বিএনপি-জামায়াত কোনটাতেই সে জড়িত ছিল না।

সোহেল তানজিম রানাকে র‍্যাবের গ্রেপ্তার কৃষক বাবা বলেন, ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে র‌্যাব-১ এর একটি টিম বাড়ি আইস্যা ওরে ধরে নিয়ে গেল। এক মাস ওর কোনো খুঁজ নাই, কী টেনশন আমাগের। এক মাস পর তাকে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার একটা মামলায় দিল র‌্যাব। সাত মাস হাজতবাসের পর হাই কোর্ট থেইক্যা ছেলের জামিন করায়া আনলাম।

জামিনে বের হওয়ার পর ইন্টার্নি শেষ করেই সোহেল খাজা ইউনুস আলী মেডিকেলে আইসিইউ বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন বলে জানান তার বাবা।

এর মধ্যেই ছেলের মসজিদে যাওয়া আসা ও অবস্থান বেড়েছিল জানিয়ে হান্নান বলেন, ছেলে নামাজের অনেকক্ষণ পরেও মসজিদে থাকত। আমি মাঝে মাঝে ফোন করি। একদিন জুম্মার নামাজের এক ঘণ্টা পর ফোন করলাম।

ছেলে কয় আব্বু আমি মসজিদে। আমি বললাম, নামাজের এক ঘণ্টা হইল তুমি মসজিদে কী করো? কোনো জবাব দেয় না সে। আমি বলছি, ফের এমন করলে হাত ভাইঙা দিব। তারে বাসায় নামাজ পড়তে বলছি। কিন্তু শুনলো না।

আরও পড়ুন>> কুলাউড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান, আটক ৮

তিনি আরও বলেন, গত জুলাই মাসের শেষে সে হাসপাতলের যেই ডিপার্টমেন্টে কাজ করে তার হেড আমারে ফোন দিয়া বলে আপনার ছেলে তো চাইর দিন ধইরা ডিউটিতে আসে না। তার বন্ধু, কলিগরা তারে ফোন দিয়াও পাচ্ছে না। তার বউয়ের ফোনও বন্ধ। এরপর আমি সেখানে গেলাম। দুই-তিনদিন এখানে-ওখানে খুঁইজা এনায়েতপুর থানায় জিডি করলাম।

বাবা হান্নানের দায়ের করা জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এনায়েতপুর থানার এএসআই আব্দুল আলিম বলেন, এক সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ২৬ জুলাই একটি অটোরিকশায় করে তানজিম স্ত্রীকে নিয়ে এলাকা ছাড়ছেন।

বাবা হান্নান বলেন, ওরা যেই বাসায় ভাড়া থাকতো আমি সেইখানে গেছিলাম। তার সামনের বাসার লোকজন ওদের সেদিন যেতে দেখেছে। কাপড়-চোপড়, হাড়ি-পাতিল-চুলা, কাঁথা-বালিশ-কম্বল সব নিয়ে দুটো অটোতে করে তারা ২৬ জুলাই বাসা থেকে বের হয়। পাশের বাসার গৃহকর্ত্রী তানজীমের স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তারা কোথায় যাচ্ছেন। জবাবে হাফসা বলেছিলেন, আমরা বাসা বদল করছি। এরপর থেকে তাদের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



এখন সময় এসেছে নগ্ন পুরুষদের বাহবা পাওয়ার : বিদ্যা বালান

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীদের একজন বিদ্যা বালান। ২০২২ সালে অভিনেতা রণবীর সিং যখন নগ্ন ফটোশুট করেছিলেন তখন একমাত্র নায়িকা হিসেবে প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছিলেন তিনি।

সময় গড়িয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও থেমেছে। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আবারও রণবীর প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন বিদ্যা। যেখানে অভিনেতাদের নগ্ন ফটোশুট নিয়ে অকপটেই কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

বিদ্যা বালান বলেন, এখনো একই কথা বলব। আপনি যেকোনো প্রাপ্তবয়স্কদের পাঠ্য পত্রিকা দেখুন, প্লেবয় বা ডেবোনেয়র-এ আমরা সবসময় নারীদের নগ্ন ছবি দেখি। সেটা কোনো পুরুষ বা সমকামীর ভালো লাগতে পারে। কিন্তু আমাদের মতো যারা, তারা কী করবেন? আমাদেরও শখ থাকতে পারে, ইচ্ছা থাকতে পারে। তাই যা বলেছিলাম, এখনো তাই বলছি। আমার ভালো লেগেছিল। নগ্ন নারীদের অনেক বাহবা দিয়েছি, এখনো হরহামেশাই দিয়ে থাকি। এবার মনে হয় সময় এসেছে, নগ্ন পুরুষদের বাহবা পাওয়ার।

সাধারণ মানুষের মতো বলিউডের অনেক তারকাকেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক জড়াতে দেখা যায়। এ বিষয়ে বিদ্যা বালানের অভিমত কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যা বালান বলেন, আমি এটা মানি যে, বিয়ের বাইরেও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। আমি যদি এই বিষয়টিকে খাবারের সঙ্গে তুলনা করি, তা হলে বলব, রোজ রোজ ডাল-ভাত খেয়ে আমাদের একটা একঘেঁয়েমি চলে আসে। তাই আমরা নুডলস বা অন্য কিছুর দিকে ঝুঁকি। কিন্তু একটা সময় আসে, যখন আমরা খাঁটি ডাল-ভাতের মর্ম বুঝি।

বিদ্যার পরবর্তী সিনেমা দো আউর দো পেয়ার। যেখানে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয় উঠে এসেছে। এ বিষয়ে বিদ্যা বালান বলেন, আমাদের সিনেমায় শুধু বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক দেখানো হয়নি। এর বাইরের বিষয়ও আছে। আমরা নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গেও প্রতারণা করি।

নিউজ ট্যাগ: বিদ্যা বালান

আরও খবর



জয়পুরহাটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শত শত দুগ্ধ খামারিরা দুঃচিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কালাই প্রেসক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুধের বাজার বসে। সেখানে শুক্রবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকসান হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোহেল, আনোয়ার, নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, খন্দকার আরিফ, জামাল ও সোহরাব হোসেন জানান, কিছু দিন আগে ঈদুল ফিতরের সময় প্রচুর পরিমাণ দই ও মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্প দিনের জন্য দুধের বাজার কম।

স্থানীয় খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুল জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয়, তাহলে অনেকেই দুগ্ধ খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।

কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জয়পুরহাটে দ্রুতই দুধ সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে করে খামারি ও কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছা‌দ থে‌কে যুব‌কের মর‌দেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদ থেকে এক যুবকের মর‌দেহ উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে। ট্রেন চলাকালে কোনো গা‌ছের ডালের সঙ্গে ধাক্কা লে‌গে হা‌নি‌ফ (৩০) না‌মের ওই যুব‌কের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে ব‌লে ধারণা কর‌ছে রেলও‌য়ে পু‌লিশ।

মৃত হানিফ জয়পুরহাটের আমতলী উপ‌জেলার আমতলী গ্রামের হান্নানের ছেলে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকা‌লে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনের পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদ থেকে মর‌দেহটি উদ্ধার করেন।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেলস্টেশ‌ন মাস্টার মো. শাহীন বলেন, ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেল‌স্টেশ‌নে আসার পর ছা‌দের ওপর ওই যুব‌কের মর‌দেহ আটকে থাকতে দেখা যায়। প‌রে সেখান‌ থেকে মর‌দেহ‌টি টাঙ্গাইল স্টেশ‌নে পা‌ঠি‌য়ে দেওয়া হ‌য়।

ঘারিন্দা রেলস্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আকবর বলেন, হানিফ মিয়া পঞ্চগড় থেকে ছে‌ড়ে আসা ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে উঠেছিল। পথিমধ্যে কোথায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে তা কেউ বলতে পারেনি। ট্রেনটি টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে এসে পৌঁছালে মর‌দেহটি উদ্ধার করা হয়। এখন রেল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পরিবারের লেকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মর‌দেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



নববর্ষ ঘিরে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে আয়োজিত উৎসবে নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীতে যাতায়াত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক নির্দেশনাও দিয়েছে ডিএমপি। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগের মিডিয়া শাখা থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রবিবার ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রমনা বটমূল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কিছু রাস্তা বন্ধ বা রোড ডাইভারশন করে দেওয়া হবে।

সম্ভাব্য ডাইভারশন পয়েন্টগুলো হলো:

বাংলামোটর ক্রসিং, মিন্টোরোড ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, কদমফোয়ারা ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ক্রসিং, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ভাস্কর্য ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং এবং কাঁটাবন ক্রসিং।

যানবাহন চলাচলের বিকল্প রাস্তা:

মিরপুর-ফার্মগেট থেকে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন বাংলামোটর-মগবাজার ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। বঙ্গবাজার-হাইকোর্ট থেকে মৎস্য ভবন অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন কদম ফোয়ারা-ইউবিএল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। জিরো পয়েন্ট-কদম ফোয়ারা থেকে মৎস্য ভবন অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন ইউবিএল-নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। শান্তিনগর-রাজমনি থেকে গুলিস্থান ও সদরঘাট অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন নাইটিংগেল-ইউবিএল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।

নববর্ষের দিনে উপযুক্ত এলাকা অথবা রোডগুলো পরিহার করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য নগরবাসীকে ডিএমপির পক্ষ থকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ইরানের হামলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হলো ইসরায়েলের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের নজিরবিহীন হামলায় অনেকটাই কুপোকাত ইসরায়েল। দেশটির এখন পর্যন্ত কী পরমিাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানাতে নতুন একটি বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, ইরানের বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তারা প্রতিহত করেছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইডিএফ জানায়, শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে ইরানের সংখ্যাগরিষ্ঠ হামলা প্রতিহত করেছে তারা। ইসরায়েলি ভূখণ্ড অতিক্রম করার আগেই এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অ্যারো ব্যবহার করে তারা হামলা প্রতিহত করেছে বলেও দাবি করে ইসরায়েলের এই বাহিনী।

তবে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ঘাঁটিতে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। এতে সামান্য অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে এই বাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে।

অ্যারো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধীরগতির ড্রোনের বদলে উচ্চতায় থাকা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরাস্ত করতে পারে। এটির নকশাই এভাবে তৈরি। গাজা যুদ্ধের শুরুতে ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা হুতিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে ইসরায়েল।

আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরানের হামলায় একজন আহত হওয়ার খবর জেনেছেন তারা। তিনি বলেন, ইরানের বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানার পরে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন ঘাঁটিতে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তা জানানো হয়নি।

হামলায় কে আহত হয়েছেন, তা নিয়ে হাগারি বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে এর আগে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্যারামেডিক সাত বছরের এক মেয়েকে চিকিৎসা দিয়েছে। আরাদ অঞ্চলে বেদুইন অধ্যুষিত এলাকায় গোলার আঘাতে মেয়েটি আহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিবিসিকে জানিয়েছে, দেশটির ভেতরে চলাচলে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েলে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, নাগরিকদের আর আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকতে হবে না। তবে জমায়েত ও সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম এবং স্কুলে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।


আরও খবর