সিরাজগঞ্জের চিকিৎসক ডা. সোহেল তানজিম
রানা ও তার স্ত্রী মাইশা ইসলাম হাফসা গত ২৬ জুলাই থেকে নিখোঁজ জানিয়ে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর
থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। এদিকে গত শনিবার (১২ আগস্ট) মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে ১০ জনকে
আটক করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিট। আটক ১০ জনের মধ্যে
একজন হলেন ডা. সোহেল তানজিম রানার স্ত্রী মাইশা ইসলাম হাফসা।
সিরাজগঞ্জ পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন,
কুলাউড়ায় গ্রেপ্তার ১০ জনের মধ্যে নিখোঁজ ওই চিকিৎসকের স্ত্রী রয়েছেন বলে তাদের জানিয়েছে
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম
ইউনিটের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ওই ‘জঙ্গি আস্তানায়’ তানজিমও ছিলেন।
তবে তিনি পালিয়ে গেছেন। তানজিম সেখানে নাম পরিবর্তন করে ‘সালমান’ নামে অবস্থান
করছিলেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তবে তারা কিভাবে জঙ্গি সংঘঠনের সাথে যুক্ত হলেন সে
বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন>> তিন দেশে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিল সরকার
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে জানান
হয়েছে, কুলাউড়ার কর্মদা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টি উলি গ্রামের যে বাড়ি থেকে ১০ জনকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের
কাফেলা’র সদস্য।
‘অপারেশন হিলসাইট’ নামের এই অভিযানে
সংগঠনের প্রধানসহ ১০ জনকে আটকের কথা জানান হয়। তার মধ্যে চারজন পুরুষ এবং ছয়জন নারী।
তাদের সাথে তিন শিশুও রয়েছে।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল
ইউনিটের প্রধান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, অভিযানে
তিন কেজি বিস্ফোরক, ৫০টি ডেটোনেটর, নগদ ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ সামগ্রী
উদ্ধার করা হয়েছে।
তানজীম সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের খাজা ইউনুস
আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) দায়িত্ব পালন করতেন।
তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ ইউনিয়নের পোড়াবাড়ি গ্রামে। ২৭ বছর বয়সী তানজীম স্ত্রীকে
নিয়ে কর্মস্থলের পাশেই একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। তার বাবা হেলালউদ্দীন এনায়েতপুর থানায়
করা জিডিতে বলেন, গত ২৬ জুলাই থেকে স্ত্রীসহ নিখোঁজ তার ছেলে।
ওই জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এনায়েতপুর থানার
এএসআই আব্দুল আলিম বলেন, এক সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ২৬ জুলাই একটি অটোরিকশায়
করে তার তানজিম স্ত্রীসহ এলাকা ছাড়ছেন।