আজঃ শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ছোট ও মাঝারি গরুতে আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

কোরবানির ঈদের অন্যতম আকর্ষণ পশু কেনা। পশু ক্রয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জে পড়তে হয় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের। বাজেট ও সাধের সমন্বয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। যে কারণে পরিকল্পনার শুরু থেকেই তাদের লক্ষ্য থাকে মাঝারি ও ছোট আকারেরে গরু কোরবানি দেওয়া। অনেকে আবার মাংসের স্বাদের বিবেচনায় দেশীয় গরু কিনতে চান।

সবকিছু মিলিয়ে তুলনামূলক মাঝারি কিংবা ছোট গরুর চাহিদা বেশি বাজারে। বিক্রিও বেশি হচ্ছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজকে গরু বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে।

আজ রাজধানীর তেজগাঁও টেকনিক্যাল মাঠের গরুর হাট ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। দুপুরে হাটে গিয়ে দেখা যায়, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলজুড়ে এ হাট বসানো হয়েছে। হাটে ৬০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকার গরু উঠেছে। বেশিরভাগ ক্রেতাই বিক্রেতাদের সঙ্গে দামাদামি করছেন। মনের মতো দাম না পেলে গরু ছাড়ছেন না তারা। অনেক ক্রেতা শেষ মুহূর্তে দাম কমতে পারে সেই আশায় অপেক্ষা করছেন। যদিও আজ সকাল থেকে গরু বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

শেরপুর থেকে ২২টি গরু এনেছেন ব্যবসায়ী আরশাদ। তিনি বলেন, আমার কাছে মাঝারি ও ছোট গরুর সংখ্যা বেশি ছিল। গতকাল তেমন বিক্রি না হলেও আজ সকালেই ৮টি গরু বিক্রি করেছি। আমি আগামীকালের আশায় থাকতে চাচ্ছি না। মোটামুটি লাভ হলেও গরু ছেড়ে দেব।

মাঝারি সাইজের দুটি গরু কিনেছেন নিজামুল হক। তিনি বলেন, হাজীপাড়া থেকে এখানে এসেছি। প্রথমে ইচ্ছে ছিল বড় আকারের গরু কিনব। পরে আমার অংশীদারদের পরামর্শে ছোট আকারের দুটি গরু ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় কিনেছি। দেশি গরু দেখতে ছোট হলেও মাংস ও স্বাদ বেশি। এ কারণে ছোট আকারের গরু কিনলাম। 

তেজগাঁও হাটের ইজারাদার হোসেন খান বলেন, প্রথম দিকে গরু-ছাগল বিক্রির পরিমাণ কম হলেও বর্তমানে পশু বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। দামও আগের তুলনায় কমেছে। মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি। চলছেও বেশি। আমরা ৫ শতাংশ হারে হাসিল আদায় করছি। 


আরও খবর



সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ১১ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়া অফিসের। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর বিস্তার লাভ করেছে।

এ অবস্থায় দেশের সব বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ পরিস্থিতি কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর
নয় অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24




রাজশাহীতে ১০ আগ্নেয়াস্ত্রসহ শ্বশুরবাড়িতে জামাই গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর বাঘায় অভিযান চালিয়ে ১০টি দেশীয় ওয়ান শুটারগানসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার (২৯ মে) ভোরে বাঘার আলাইপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ী থেকে আব্দুর রশীদ ব্যাপারী নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

আব্দুর রশিদ ব্যাপারী পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার পাঁকশী গার্ড ব্যাংক পাড়া এলাকার আইনুল ব্যাপারীর ছেলে।

র‌্যাব-৫ এর জানায়, রশীদ পেশায় প্রাইভেটকার চালক হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারত সীমান্ত থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানসহ তার নিজ এলাকায় বিক্রয় করে আসছিলেন।

বুধবার ভোরে র‌্যাব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে তার শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় রশীদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ঘরে থাকা বড় টিনের বাক্সের ভিতর থেকে ১০টি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করেন র‌্যাব সদস্যরা।

র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস জানান, আব্দুর রশীদ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এর আগেও একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অবৈধ মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



ফের জলাবদ্ধতার কবলে সিলেট

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

বৃষ্টির পানিতে আবারও ডুবল সিলেট মহানগরীর শতাধিক এলাকা। শনিবার (৮ জুন) রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার রেকর্ড ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ল সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকা। এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইবার জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হলো নগরের বাসিন্দাদের।

এর আগে ২ জুন রাতে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরজুড়ে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তখন অধিকাংশ এলাকার পানি পরদিন নেমে গেলেও অন্তত ১২টি এলাকার পানি নামতে বেশ কিছুদিন সময় লেগেছিল। এ অবস্থায় গতকাল আবার ডুবল শহর।

গতকাল রাত ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সরেজমিন দেখা গেছে, নগরের দরগামহল্লা, পায়রা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, কাজলশাহ, মেডিকেল রোড, বাগবাড়ি, কালীবাড়ি, হাওলাদারপাড়া, সোবহানীঘাট, উপশহর, যতরপুর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, কেওয়াপাড়া, সাগরদিঘিরপার, পাঠানটুলা, মিয়া ফাজিলচিশত, জালালাবাদ, হাউজিং এস্টেট, শাহি ঈদগাহ, ঘাসিটুলা, হাওয়াপাড়া, মীরাবাজার, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, জামতলা ও তালতলা এলাকায় পানি থইথই করছে। ঘরমুখী মানুষেরা যানবাহনের অভাবে পানি মাড়িয়ে হেঁটেই ফিরছিলেন।

ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা বলেন, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে গত ২৯ মে মধ্যরাত থেকে সিলেটের ১০টি উপজেলা ও নগরে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তবে পানি নামতে শুরু করায় কয়েক দিন ধরে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হলেও সুরমা নদী টইটম্বুর। এতে নগরে ভারী বৃষ্টি হলে নগর দিয়ে প্রবাহিত ছড়া ও খাল দিয়ে পানি নদীতে মিশতে পারছে না। এ কারণে গতকাল বৃষ্টি হলে নগর মুহূর্তেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

বাগবাড়ি বর্ণমালা পয়েন্ট এলাকায় ঊরুসমান পানি জমে। এখানকার বাসিন্দা অরিন্দম রায় বলেন, টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে প্রচুর পানি মূল রাস্তায় জমে যায়। রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। এতে ওই এলাকায় প্রচণ্ড যানজট দেখা দেয়। এ ছাড়া অনেক বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে।

একাধিক বাসিন্দা বলেন, নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের সব নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। অনেকে রাতের খাবার প্রস্তুত করার আগেই রান্নাঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন। এ ছাড়া অনেক বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানির সঙ্গে ভেসে ময়লা-আবর্জনাও ঢুকে পড়েছে। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তি পোহান লোকজন। অথচ জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন গত দেড় দশকে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

উপশহর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এক সপ্তাহ না পেরোতেই আবার ভারী বৃষ্টিতে উপশহর এলাকা ডুবেছে। মুহূর্তেই এই এলাকার বিভিন্ন ব্লক কোমরসমান পানিতে তলিয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই উপশহর এলাকা ডুবে যায়, এটাই যেন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এই উপশহর এলাকাই নগরে সবচেয়ে অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাও পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর গতকাল গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বৃষ্টির পানি দ্রুত নামার জন্য কাজ করছে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।

সিলেট আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারি আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মাত্র ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে রাত ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।


আরও খবর



মার্কিন বিমানবাহী রণতরীতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা!

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লোহিত সাগরে মোতায়েন থাকা মার্কিন বিমানবাহিনী রণতরী আইজেনহাওয়ারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি যোদ্ধারা। ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ হামলার জবাবে এই পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।

হুতির সামরিক শাখার মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি শুক্রবার (৩১ মে) এ দাবি করেছেন। খবর রয়টার্সের।

ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ছয়টি হামলা চালিয়েছে। এতে ১৬ জন নিহত ও বেসামরিক নাগরিকসহ ৪১ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার জবাব দিতেই যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীতে হামলা চালানো হয়েছে।

তবে মার্কিন বিমানবাহিনী রণতরী আইজেনহাওয়ারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে কিনা, প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি।

হুতির সামারিক মুখপাত্র বলেন, হোদেইদাহ প্রদেশের সালিফ বন্দর, আল-হক জেলার একটি রেডিও ভবন, ঘালিফা শিবির ও দুটি বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

মার্কিন ও ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীও জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে হুতি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে, যাতে গোষ্ঠীটি লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে আর বিঘ্ন ঘটাতে না পারে।

উল্লেখ্য, গেল কয়েক মাস ধরে ইয়েমেনের হুতি সদস্যরা লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি, যে জাহাজগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক রয়েছে, সেগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করছে তারা।


আরও খবর



বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাতপার তান্ডবের পর সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত দমকা হাওয়া সাথে বৃষ্টিপাত অভ্যাহত থাকে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাতাসের তীব্রতা কিছুটা কমলেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অভ্যাহত রয়েছে।

এদিকে, রেমালের প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে জেলার ৪৫ হাজার ঘরবাড়ি। এর মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ১০ হাজার বাড়িঘর। উপড়ে পড়েছে কয়েক হাজার গাছপালা। বিদ্যুৎতের খুটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে জেলা সদরসহ সবকটি উপজেলা। জেলার নিম্নাঞ্চল ৩ খেকে ৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার প্রায় অর্ধলক্ষ পরিবার। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য ঘেরে। জেলার মোংলা, রামপাল, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও বাগেরহাট সদর উপজেলায় সাড়ে ৩হাজার চিংড়ি ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে ৭৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া ১ হাজার ৫শ ৮১ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলায় প্রায় দুই কিলোমিটার ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলায় সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব উপজেলার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। আবহওয়া পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য জানা যাবে। তবে গতকাল রাতে জেলার ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ও কয়েক হাজার গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছিলো। এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রাণহানির কোন খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর