আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘চর্মরোগ সোরিয়াসিসসহ সকল ধরণের রোগের চিকিৎসা হয় বিএসএমএমইউ’তে’

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৯ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

সবার জন্য চিকিৎসার সমঅধিকার প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব সোরিয়াসিস দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। রবিবার সকালে (২৯ অক্টোবর) দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথভাবে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগ ও সোরিয়াসিস এওয়ারনেস ক্লাব। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের সামনে শেখ রাসেল ফোয়ারা থেকে শুরু হয়ে বটতলা প্রদক্ষিণ করে এ ব্লকে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, চর্মরোগ সোরিয়াসিসসহ সকল ধরণের রোগের চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়। সোরিয়াসিস কোন ছোঁয়াছে রোগ নয়। এটি চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো হয়। সোরিয়াসিস চিকিৎসার সর্বাধুনিক পদ্ধতি ফটোথোরিপ মেশিনের মাধ্যমে চিকিৎসাও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়া হচ্ছে। সোরিয়াসিসের চিকিৎসাসহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসা বিলম্ব হলে আরও অনেকের রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে সব রোগের চিকিৎসা সেবা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে যা অনেকে জানেন না।

তিনি আরও বলেন, সকল রোগীদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে। তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। গবেষণা, রোগ প্রতিকার ও প্রতিরোধের জন্য সকল রোগীর তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে সকল চিকিৎসক, শিক্ষকদের তিনি গবেষণায় জোর দিতে আহ্বান করেন।

শোভাযাত্রায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা.মুহাম্মদ মুনীর রশিদ, সোরিয়াসিস ওয়ালফেয়ার ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সামিউল হক, সাধারণ সম্পাদক ডা. এম আবু হেনা চৌধুরী,  চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. লুবনা খন্দকার, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ মুস্তাক মাহমুদ, অধিকতর উন্নয়নসমূহের প্রকল্প পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শোভাযাত্রায় জানানো হয়, সোরিয়াসিস এক ধরণের সাধারণ এবং দীর্ঘ মেয়াদী চর্মরোগ। যাতে মলিন রূপালী আঁশযুক্ত ছোপ দেখা যায়, যা উঠে যাবার পর সামান্য রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। সারা বিশ্বে মোট ৩ শতাংশ মানুষ সোরিয়াসিস রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়ে চলছে। সোরিয়াসিস কোন ধরণের ছোঁয়াচে বা সংক্রামক চর্মরোগ নয়। রোগের ইতিহাস, উপসর্গ, বাহ্যিক ত্বক পরীক্ষার মাধ্যমে, রোগের লক্ষণ সনাক্ত করন, চিকিৎসা ইতিহাস এবং রোগ সম্পর্কিত পারিবারিক ইতিহাস সংগ্রহের মাধ্যমে প্রাথমিক রোগ নির্ণয় করা হয়। কখনো কখনো নিশ্চিত রোগ নির্ণয়ের জন্য ত্বক কেটে ত্বকের কলা স্থান অনুবিক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করা হয় (বায়োপি ও হিস্টোপ্যাথলজি)। সোরিয়াসিস রোগ নির্নয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন নাই কিন্তু বিভিন্ন ঔষধ প্রয়োগের জন্য রক্তের গুনগত মান, কিডনী, লিভার ও হার্টের অবস্থা জানার জন্য রক্ত ও আনুষাঙ্গিক (ইসিজি, এক্সরে) পরীক্ষা করা হয়। ঔষুধ প্রয়োগকালে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নির্ণয়ের জন্যে নির্দিষ্ট বিরতি দিয়ে একাধিক বার রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এ রোগের মূল কারণ এখনও জানা যায়নি। সোরিয়াসিস নারী ও পুরুষ উভয়েরই হতে পারে এবং যে কোন বয়সে এই রোগ হতে পারে তবে ১৫ বছর থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে বেশী দেখা যায়। ৪৬ বছর বয়সের আগেই ৭৫ শতাংশ সোরিয়াসিস রোগ নির্ণয় হয়ে যায়।

শোভাযাত্রায় জানানো হয়, সাধারণত বহিঃত্বকে (এপিডার্মিসে) নূন্যতম ২৮ দিনে নতুন কোষস্তর তৈরী হয় এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে এই সজীব কোষগুলি মরে গিয়ে উপরের কেরাটিন স্তরে উঠে এবং খসে পড়ে। সোরিয়াসিসে ত্বকে দ্রুত ও মাত্রাতিরিক্ত নতুন কোষ তৈরী হয়। মাত্র ৪ দিনে নতুন অপরিপক্ক কোষের স্তর দেখা যায় যা স্বাভাবিক নিয়মে খসে পড়ে না। ফলে অপরিপক্ক কোষগুলি স্তরিত হয়ে পুরু তৃষ্ণের সৃষ্টি করে, যা দেখতে মাছের আঁশের মত মোটা ও সাদা হয়। এ রোগের কারণে অন্তঃত্বকে (ডার্মিসে) রক্তনালী গুলো বড় ও পাতলা পাত্র বিশিষ্ট হয়ে যায় এবং বেশী রক্ত সঞ্চালিত হয়, ফলে সোরিয়াসিসে আক্রান্ত ত্বকের রং লাল বর্ণের হয়। মাছের আঁশের মত শক্ত পুরু চামড়া ছড়ালে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্তের ফোটা দেখা যায় যা সোরিয়াসিস রোগ নির্ণয়ে একটি লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ত্বকের সোরিয়াসিস বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে শরীরে যখন সাদা চকচকে মাছের বড় বড় আঁশের মত ক্ষত দেখা যায় তখন তাকে প্লাক সোরিয়াসিস বলে যাহা শরীরের যে কোন স্থানে। হতে পারে তবে কনুই, হাটু এবং মাথার ত্বকে বেশি পরিলক্ষিত হয়। অনেক সময় বগলে, কুচকিতে, হাত ও পায়ের ভাঁজে এবং পায়ু পথের ভাঁজে আঁশযুক্ত লাল বর্ণের ক্ষত দেখা যায় তাকে ইনভার্স সোরিয়াসিস বলে।বৃষ্টির ফোটার মত সমস্ত শরীরে হুড়ানো সোরিয়াসিস ক্ষতকে গ্যাটেট সোরিয়াসিস বলে। সাধারনত গলায় জীবানু ঘটিত সংক্রমনের পর এধরনের সোরিয়াসিস দেখা যায়। অনেক সময় চামড়ার নিচে অস্বাভাবিক পূজপূর্ণ সোরিয়াসিস দেখা যায় তাকে পাটুলার সোরিয়াসিস বলে। এটা খুব খারাপ ধরনের সোরিয়াসিস, রোগী গুরুতর অসুস্থ হয় ও রে ভুগে থাকে। কখনো কখনো সোরিয়াসিস আক্রান্ত রোগীর সমস্ত শরীর লাল বর্ণ হয়ে শুষ্ক চামড়া বারে পড়তে পারে তাকে ইরাইথ্রোডার্মিক সোরিয়াসিস বলে। সোরিয়াসিস আক্রান্ত মাথার ত্বকে ভী খুশকী দেখা যায় যা বড় বড় আঁশের মত হয়। এবং মাথার ত্বক লাল বর্ণ ধারন করে। ইহাকে স্কাল্প সোরিয়াসিস বলে।

শোভাযাত্রায় আরো জানানো হয়, সোরিয়াসিসে  আক্রান্ত রোগীর আনুমানিক এক তৃতীয়াংশ অস্থি সন্ধির প্রদাহে ভুগতে পারে। সাধারনত ত্বকে সোরিয়াসিসের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার কিছু কাল পরে অস্থি সন্ধি আক্রান্ত হয়। তবে কখনো কখনো ত্বকে সোরিয়াসিসের লক্ষন অনুপস্থিত থেকে শুধুমাত্র অস্থি সন্ধি আক্রান্ত হতে পারে। সোরিয়াসিস আক্রান্ত অস্থি সন্ধির এ প্রদাহকে সোরিয়াটিক আথ্রাইটিস বলে। সোরিয়াটিক আথ্রাইটিস দেহের যে কোন অস্থিসন্ধিতে হতে পারে তবে হাতের অস্থি সন্ধি সমূহ, হাটু ও গোড়ালির অস্থি সন্ধিতে বেশি পরিলক্ষিত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ত্বক ও অস্থি সন্ধির সোরিয়াসিসে আক্রান্ত রোগীদের নখে সোরিয়াসিস হয়। তবে অনেক সময় শুধু নখেই সোরিয়াসিস হতে পারে। সোরিয়াসিসের লক্ষণ হিসেবে নখের উপরিভাগে এক বা একাধিক গর্ত দেখা যায়, নখের অগ্রভাগ ভেঙ্গে যায়, নখ নিচ থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং নখের বহিঃস্তর সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়ে যায়। ভঙ্গুর নখের রং সাধারনত হরিদ্রাভ ও বাদামী হয়। একে অনেকে নখের ছত্রাক সংক্রমন মনে করে থাকেন।


আরও খবর



পথচারীদের বিনামূল্যে রুহ্ আফজা দিচ্ছে হামদর্দ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহে ভয়াবহ অবস্থা দেশজুড়ে। ৭৬ বছরের ইতিহাসে এরকম পরিস্থিতি আর হয়নি বাংলাদেশে। হিটস্ট্রোকের মারাত্মক এই অবস্থায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্পটে ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত পথচারীদের বিনামূল্যে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ।

আধুনিক হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার নির্দেশে রাজধানীজুড়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এমন উদ্যোগে ভীষণ খুশি সাধারণ মানুষ।

তারা জানান, রুহ্ আফজা সবার কাছে প্রিয় একটি শরবত। প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় বেরিয়ে সবার প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত, তখন পথচারীদের ডেকে ডেকে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ। এর চেয়ে বড় মানবিক কাজ আর হতে পারে না।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনামূল্য শরবত রুহ্ আফজা বিতরণ করছে হামদর্দ।

বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত যে, নিয়মিত শরবত রুহ্ আফজা পান করলে শরীরের পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি দ্রুত পূরণ হয়। তাছাড়া শরবত রুহ্ আফজা পান করার মাধ্যমে হিটস্ট্রোক থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।


আরও খবর



পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছাড়লেন পোশাক শ্রমিকরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন শ্রমিকরা। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। এর আগে বিনা নোটিশে সৈনিক ক্লাবের সামনে গার্মেন্টস বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।

পরে সকাল ১১টার পর পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, বিনা নোটিশে নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ কারণে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এদিকে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিলেও এর প্রভাব পড়েছে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে। এই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ বলছে, গাড়ির চাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলে সড়কে যানজট থাকবে না।

এ বিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করেন শ্রমিকরা। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এখন সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।

তিনি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আসবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনানী সড়ক অবরোধের কারণে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তি আরও বেশি।


আরও খবর



গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ 'বংশমর্যাদা'

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ মেলায় নানা জাতের গরু নিয়ে হাজির হয়েছিল সাদিক এগ্রো। এর মধ্যে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকানো হয় এক কোটি টাকা। ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের গরুটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

গরুর দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গরুটির বংশমর্যাদার জন্য দাম বেশি। এই গরুটার বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে।

মেলার আকর্ষণ রোজু নামের গরুটির রং সাদার ওপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ, ছোট শিং, নাকে নথ। গলায় স্বর্ণের আদলে তৈরি চেইনের সঙ্গে লকেট। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, গরুটার দাম এক কোটি চাওয়া হচ্ছে, এটার অনেক কারণ আছে। এক নম্বর হচ্ছে- এই গরুটার ১১০ বছরের পেডিগ্রি (বংশ পরম্পরা) আছে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, এই গরুটার বাবা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ব্লাড লাইন। এটা হচ্ছে আমেরিকান ভিয়েট ল্যাঞ্চের নোবেল সিরিজ, ওদের সবচেয়ে বেস্ট সিরিজ এটা। এই জাতের গরু কম খাদ্য খেয়ে দ্রুত বড় হতে পারে। মাংস কিংবা ওজনের চিন্তা করে না বরং এটা বংশমর্যাদাপূর্ণ গরু। এর জন্যই দাম বেশি। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান ইমরান হোসেন।

সাদিক এগ্রোর মালিক আরও বলেন, মেলায় আমরা গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ অনেক প্রাণি নিয়ে এসেছি। শুধু যে বেচাকেনা করার জন্য এনেছি সেটি নয়, অনেক প্রাণি আছে মানুষ দেখেনি, তাই নিয়ে আসা। আজকে যেসব বাচ্চারা আসছে, এরা অনেকেই হয়তো উট দেখেনি, আজ দেখতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা আমাদের মেলার একটা অর্জন। এই প্রাণিগুলোর সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও আমাদের একটা লক্ষ্য।

এ ছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার ১১ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১১ মামলার অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি ফের পেছানো হয়েছে। অসুস্থতাজনিত কারণে খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন।

এর প্রেক্ষিতে আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আগামী ২৯ জুলাই নতুন দিন ধার্য করেন।

১১ মামলার মধ্যে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলা চার্জশিট গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য রয়েছে। অপর ১০ মামলা ছিল চার্জ শুনানির জন্য।

এসব মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপির উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন আমানউল্লাহ আমান, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।


আরও খবর



মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৬৫, আহত ১২২৮

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত মার্চে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত ও ১২২৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ।

একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।

মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য আমাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে।

ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) মার্চ মাসে ১৩৬৯ জন সড়ক দুঘর্টনায় গুরুতর আহত পঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বিজ্ঞান বলে একটি দুঘর্টনায় ১০ জন আহত হলে তার মধ্যে কেবল একজন গুরুতর আহত বা পঙ্গু হন। বাংলাদেশে ১০ হাজার সরকারি ও ছয় হাজার বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে প্রতিবছর সড়ক দুঘর্টনায় আহত প্রায় তিন লাখের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যমে তার ১০ ভাগের এক শতাংশ তথ্যও প্রকাশিত হয় না বলে আমরা ঘটনার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরতে পারি না।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে— রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা, ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা এবং দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা।


আরও খবর