আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

চুনারুঘাটে সিএনজি-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের দূর্গাপুর এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সা ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সিএনজি অটোরিক্সা চালক জামাল মিয়া (৩২) ও ফরিদ মিয়া (৫০)। ফরিদ মিয়া চুনারুঘাট উপজেলার মাধবপুর গ্রামের কাছম আলীর ছেলে এবং সিএনজি অটোরিক্সা চালক চুনারুঘাট উপজেলার জাজিউতা গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা কাভার্ডভ্যানের সাথে চুনারুঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে গাড়ি দুটি দুমড়ে মুছড়ে যায়। এতে সিএনজিতে থাকা যাত্রী ফারুক মিয়া ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে গুরুতর সিএনজি চালক জামাল মিয়াকে সিলেটে নেয়ার পথে তিনি রাস্তায় মারা যায়।

চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদ আহমেদ জানান, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ি দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ দুটি চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে।


আরও খবর



পাচারের সময় মেহেরেপুর সীমান্ত থেকে ইউএস ডলার উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

পাচারের সময় ইউএস ডলার উদ্ধার করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি। শনিবার সকাল সারে ৯ টায় মেহেরপুর বুড়িপোতা সীমান্ত এলাকা থেকে এই সব ইউএস ডলার উদ্ধার করা হয়।এসময় পাচারকারি পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত ডলার মেহেরপুরের ট্রেজারী অফিসে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি।

বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে বিজিবি জানতে পারে বুড়িপোতা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ইউএস ডলার পাচার করা হবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে কায়ার্টার মাষ্টার সহকারী পরিচালক হায়দার আলী এবং বুড়িপোতা বিওপি কমান্ডার হাবিলদার মোতালেব হোসেনের সঙ্গীয় টহল দল নিয়ে সীমান্ত পিলার ১১৬/৪-এস হতে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বুড়িপোতা মাঠের মধ্যে টহল পরিচালনা করে।

এসময় বুড়িপোতা মাঠের মধ্যে একজন ব্যক্তি ধান ক্ষেতে পানি দেওয়া অবস্থায় বিজিবি সশস্ত্র টহল দলকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তৎক্ষণাত টহল দল পানির পাম্প এলাকায় পোছাঁলে পুরাতন কাপড় দিয়ে ঢাকা একটি কালো পলিথিনের ব্যাগ দেখতে পায় বিজিবির সদস্যরা। পরে বিজিবির সদস্যরা পলিথিনের ব্যাগটি তল্লাশী করে স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ৪ টি বান্ডিল হতে ৩৩২০০ ইউএস ডলার উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন-৬ বিজিবির পরিচালক, অধিনায়ক (পিএসসি) লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, ইউএস ডলার উদ্ধার করার সময় পাচারকারি পালিয়ে যায়। হাবিলদার মোতালেব হোসেন বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর উদ্ধারকৃত ইউএস ডলারগুলি মেহেরপুর ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: চুয়াডাঙ্গা

আরও খবর



জয়পুরহাটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ কর্মচারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ সাইফুল ইসলাম (৫০) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সাইফুল ইসলাম আক্কেলপুর পৌরসভার হাজিপাড়ার বাসিন্দা।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান সাইফুল ইসলাম মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আক্কেলপুর ফিলিং স্টেশনের পাম্প লিকেজ হলে সেটি বন্ধ করতে যান সাইফুল। এসময় বিস্ফোরণ হয়ে দগ্ধ হন তিনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গুরুতর আহত সাইফুলকে প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে তার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিউজ ট্যাগ: জয়পুরহাট

আরও খবর



আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন, পুলিশ তাই করবে। আন্দোলনের নামে কোনো নৈরাজ্য বা বিশৃঙ্খলা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন হলে পুলিশ সে আন্দোলনে সহযোগিতা করবে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) ইসি ভবনে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। এর আগে তফসিলের নিরাপত্তার বিষয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন। বেলা ২টা ১৫ মিনিটে ইসি থেকে বের হন ডিএমপি কমিশনার। এর আগে দুপুর ১টা ৮ মিনিটে তিনি ইসি ভবনে প্রবেশ করেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, তফসিলকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখার জন্য ইসিতে এসেছি, নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন হলে পুলিশ সে আন্দোলনে সহযোগিতা করবো। আন্দোলনের নামে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

সন্ধ্যা ৭টায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, বিকেল ৫টায় কমিশনের বৈঠক রয়েছে। বৈঠকের পর তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি। আর নির্বাচন হতে পারে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।


আরও খবর
ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ২

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3




বিশ্বমানের চলচ্চিত্র তৈরির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সিনেমা যাতে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি অর্জন করতে পারে সেজন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে বৈশ্বিক মান বজায় রেখে মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী, পরিচালক এবং প্রযুক্তিবিদদের উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে আরও মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ করা উচিত যাতে আমাদের সিনেমা বিশ্ব মানের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। জাতির পিতার ছোট কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বমানের চলচ্চিত্র যাতে নির্মাণ হয় সেই পদক্ষেপ আপনারা নেবেন, সেটাই আমি চাই। এ সময় তাঁর সরকার বিশ্বমানের আধুনিক এফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ করে দিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আমরা চাই, আমাদের চলচ্চিত্র দেশের অঙ্গন ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত হোক। তিনি এই বিষয়টিতেও নজর দেওয়ার জন্য চলচ্চিত্র শিল্পী, কলা-কুশলী সকলের প্রতি আহ্বান জানান। কেননা মানুষের জীবনে যেহেতু স্বচ্ছলতা এসেছে এবং তারা বিনোদনের দিকেও ঝুঁকছে কাজেই তাদের জন্য বিনোদনের ক্ষেত্রটাও আপনারা তৈরী করে দিতে পারেন।

তিনি বলেন, আমাদের যারা চলচ্চিত্র অঙ্গনের ভাইবোনেরা এখানে আছেন, বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন তাদেরকে আমি বলবো আপনারা একটু নজর দিলে সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে যে ভাল ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায় ইতোমধ্যেই আপনারা প্রমাণ করেছেন। ইদানিং কালে নির্মিত অনেক চলচ্চিত্রই মান সম্পন্ন এবং পারিবারিক বিনোদন ধর্মী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন-২০২৩ তাঁর সরকার পাশ করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি যে আইনের বলে চলচ্চিত্র শিল্পে মাননির্নয়ের ব্যবস্থাও সন্নিবেশিত হবে। আমরা চাই না যে আমাদের দেশে অশ্লিল চলচ্চিত্র বা পাইরেসি চলুক।

তিনি বলেন, আমাদের সকলেরই যে মেধা আছে সেই মেধা কাজে লাগিয়ে ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায়। সে ব্যবস্থাটা যাতে হয় সেটাই আমরা চাই।

এ সময় ফিল্ম আর্কাইভ ভবন এবং ১৬ তলা আধুনিক তথ্য ভবন নির্মাণসহ সরকারের চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপও তুলে ধরেন এবং প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, সরকার যে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করে দিয়েছে সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া যেতে পারে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বিষয়টিতে যাতে মন দেন।

তিনি শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করে এজন্য তাঁর সরকার প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা দেবে বলে জানান।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২ তুলে দেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পি রোজিনা অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

এরআগে গত ৩১ অক্টোবর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ২৭টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা অনেক ত্যাগের ফসল। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই অর্জন। আমাদের অনেক শিল্পী কলা-কুশলীরাও তখন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, একটি দেশের সমাজকে চলচ্চিত্র অনেক বেশি সচেতন করতে পারে। আনন্দ দিতে পারে আবার সংস্কারও করতে পারে। ইতিহাসকে ধরে রাখতে পারে। প্রেরণা দিতে পারে মানুষকে। জাতি গঠনে ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।

তাঁর সরকার ২০১২ সালের ৩ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণ, বিতরণ ও প্রদর্শনসহ সংশ্লিষ্ট সকল কাজকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেয়, যাতে, এটা শিল্প হিসেবেই গড়ে ওঠে এবং অন্যান্য শিল্প যে সুযোগ-সুবিধা পায় এটিও সেগুলো পেতে পারে। আর জাতীয় শিল্প নীতির আওতায় চলচ্চিত্র শিল্প ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। সরকার সময়ের সাথে তাল মেলাতে চলচ্চিত্র সংসদ নিবন্ধন আইন-২০১১ এবং জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭, এবং যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭-ও প্রণয়ন করেছে।

একদা গ্রাম বাংলায় একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত সিনেমা শিল্প প্রদর্শনের হলগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি হল মালিকদের সঙ্গে এনিয়ে বৈঠক করে সিনেমা হলের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় ১ হাজার কোটি টাকার তহবিলও গঠন করে দিয়েছে। জেলা পর্যায়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণেরও পদক্ষেপ ও গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, সিনেমা শিল্প যেন মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে এবং মানুষ যাতে বিনোদনের সুযোগ পায় সেজন্য তাঁর সরকারের এই পদক্ষেপ কেননা দেশের মানুষের আয় বেড়েছে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। কাজেই এই বিনোদনের ক্ষেত্রটাও যেন আরো প্রসারিত হয় সেদিকেই তাঁর সরকার বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই এদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের গোড়াপত্তন ১৯৫৬ সালে যখন তিনি মন্ত্রী ছিলেন তখন। সেকথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্ব পাকিস্তান ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (ইপিএফডিসি) বিল, যা বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালের ২৭ মার্চ অস্থায়ী আইনসভায় উত্থাপন করেছিলেন এবং একই বছরের ৩ এপ্রিল পাস হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ধরে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে নির্মিত মুজিব বায়োপিক মুজিব: একটি জাতির রূপকার নির্মাণে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি ধন্যবাদ জানান। ছবিটি সারাদেশে এবং ভারতে বাংলা ও হিন্দি উভয় ভাষায় মুক্তি পেয়েছে এবং ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে।

শেখ হাসিনা এর নির্মাতা বিখ্যাত ভারতীয় পরিচালক শ্যাম বেনেগালসহ সিনেমায় সংশ্লিষ্ট অভিনয় শিল্পি-কলা কুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে  আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে। কেননা জাতির পিতার জীবনী মানেই বাংলাদেশের ইতিহাস। কেউ বাঁশির ফুঁ দিল আর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল এমনটা হয়নি। এর পেছনে রয়েছে ২৩ বছরের সংগ্রামের ইতিহাস।

তিনি এ সময় এই বায়োপিকসহ জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এবং পরবর্তী সময়ে জাতির পিতাকে নিয়ে নির্মিত বিভিন্ন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, প্রামাণ্য চিত্র এবং এনিমেশেন ফিল্ম বা শিল্পকর্মের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা পরে দর্শক সারিতে বসে চলচ্চিত্র শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।


আরও খবর
ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ২

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3




ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনবেন ফুলকোর্ট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন ছয়জনের বিচারপতির বেঞ্চ শুনতে পারবেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ ছয় সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ বিশেষ সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, যখন আপিল বিভাগে যে বেঞ্চ থাকবে সেটাই ফুল কোর্ট।

২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ ৯০৮ পৃষ্ঠার এ রিভিউ আবেদনে ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে ৯৪টি যুক্তি দেখিয়ে আপিল বিভাগের রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন। ওই বছরের ৮ মে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে ১১ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আপিল শুনানিতে আদালতে মতামত উপস্থাপনকারী ১০ অ্যামিকাস কিউরির (আদালতের বন্ধু) মধ্যে শুধু ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে মত দেন। অপর নয় অ্যামিকাস কিউরি ড. কামাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার এম. আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ষোড়শ সংশোধনীর আপিল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ। ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইনসভার কাছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা রয়েছে। দেশের সংবিধানেও শুরুতে এই বিধান ছিল। তবে সেটি ইতিহাসের দুর্ঘটনামাত্র। রায়ে আরও বলা হয়, কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর ৬৩ শতাংশের অ্যাডহক ট্রাইব্যুনাল বা ডিসিপ্লিনারি কাউন্সিলরের মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণের বিধান রয়েছে। আদালত রায়ে আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদের ফলে দলের বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারেন না। তারা দলের হাইকমান্ডের কাছে জিম্মি। নিজস্ব কোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা নেই। ৭০ অনুচ্ছেদ রাখার ফলে সংসদ সদস্যদের সব সময় দলের অনুগত থাকতে হয়। বিচারপতি অপসারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও তারা দলের বাইরে যেতে পারেন না। যদিও বিভিন্ন উন্নত দেশে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা আছে। রায়ে আরও বলা হয়, মানুষের ধারণা হলো, বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে। সেক্ষেত্রে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা দুর্বল হয়ে যাবে। মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হয়। যেটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল। সংবিধানে এই সংশোধনী হওয়ায় মৌলিক কাঠামোতে পরিবর্তন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করবে; এমন যুক্তিতে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন।

নিউজ ট্যাগ: ষোড়শ সংশোধনী

আরও খবর
তফসিল স্থগিত চাওয়া রিটের শুনানি আজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

হাইকোর্টে জিতলেন ড. ইউনূস

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩