আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৬০ জন

প্রকাশিত:বুধবার ২১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায়ও (গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৩৬০ জন।

আজ বুধবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন>> স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ,আদালতে ২ যুবকের দায় স্বীকার

এতে বলা হয়, নতুন করে হাসপাতালে ভর্তিদের মধ্যে ২৮২ জনই ঢাকার। আর ৭৮ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশে সর্বমোট এক হাজার ৩০০ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এক হাজার আট জন ও ঢাকার বাইরে ২৯২ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট পাঁচ হাজার ৯২৪ ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় চার হাজার ৬২১ জন এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার ৩০৩ জন রয়েছে। একই সময়ে দেশে মোট ছাড়প্রাপ্ত ডেঙ্গুরোগী চার হাজার ৫৮৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ছাড়প্রাপ্ত রোগী তিন হাজার ৫৮৩জন এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার তিনজন রয়েছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



অপেক্ষার প্রহর শেষ, কুতুবদিয়া পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোমালিয়া উপকূলে দস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মির পর মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত করা হয়। তারপর পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য নিয়ে জাহাজটি রওনা হয় বাংলাদেশের পথে। দীর্ঘ দুই মাসের এই ঝঞ্ঝার পর অবশেষে জাহাজটির নাবিক ও তাদের স্বজনদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ। সুস্থ রয়েছেন জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরের পর নাবিকরা চট্টগ্রাম ফিরবেন। এরইমধ্যে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিতে ২৩ জন নাবিকের একটি টিম চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটি ছেড়েছে লাইটার জাহাজ এমভি জাহান মনি-৩। ওই জাহাজেই মঙ্গলবার সকালে এমভি আবদুল্লাহ-তে থাকা ২৩ নাবিক কুতুবদিয়া থেকে রওনা দেবেন। মঙ্গলবার দুপুরের পর নাবিকদের নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে মালিকপক্ষ এবং নাবিকদের স্বজনরা তাদের বরণ করে নেবেন।

এমভি আবদুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর বলেন, আমরা উপকূল থেকে ৫-৬ নটিক্যাল মাইল দূরে আছি। সাড়ে চারটার দিকে আমরা কুতুবদিয়া পৌঁছেছি। কিছুক্ষণ পর জাহাজ নোঙর করা হবে।

কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে। এখন নোঙর করবে। কুতুবদিয়ায় কিছু মালামাল খালাস শেষে ১৫ মে (বুধবার) এমভি আবদুল্লাহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস হবে।

এর আগে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে।

আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন সময়ে মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



নির্বাচনের পর সংকট আরও বেড়েছে: ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সরকার মনে করেছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট উতরে যায়নি, আরও গভীর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে নিজের স্বাস্থ্যের অবস্থা তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের পূর্বে বহু নেতাকর্মীকে একতরফা সাজা দিয়েছে আদালত। এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে বিএনপি। বিনা শুনানিতেও সাজা দিয়েছে সরকার। এখনো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কারাগারে রয়েছেন। চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে সাজা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিরাজনীতিকরণ করতে ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল যেন না থাকে। মানুষের সর্বশেষ আশা ভরসার স্থল হচ্ছে কোর্ট, কিন্তু সেখানেও কেউ কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।

৫২৭টি ভারতীয় পণ্যে বিষাক্ত উপাদান পাওয়া গেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিটি দেশেরই উচিত, নিজ নিজ দেশে আমদানি পণ্য পৌঁছার পর পণ্যের নিরাপত্তা মান পরীক্ষা করা। আমদানি করা পণ্য সংশ্লিষ্ট দেশে পৌঁছানো মাত্রই জনগণের ক্রয়ের জন্য বাজারে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত নয়। কারণ, এর আগেও ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ১২১টি ভারতীয় পণ্য মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তারপরও পণ্যের উৎস দেশটি এই পণ্যগুলো ত্রুটিমুক্ত করার জন্য জন্য কোনও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

মির্জা ফখরুল, হংকং এবং সিঙ্গাপুর তাদের দেশে ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসের গুঁড়া মসলা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সিঙ্গাপুরও দেশটির বাজার থেকে এভারেস্টের গুঁড়া মসলা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে। হংকং ভারতীয় দুই কোম্পানির গুঁড়া মসলায় ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক ইথিলিন অক্সাইড শনাক্ত হওয়ার পর দেশ দুটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে সভা মনে করে, জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশেরও উচিত দেশে আমদানি করা প্রতিটি পণ্য বাজারে ছাড়ার আগে যথাযথভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা পণ্যের মান যাচাই করে নেওয়া। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কিংবা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্য বাজারে ছাড়া উচিত নয়।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ একটি ব্যর্থরাষ্ট্র। সরকার পরিকল্পিতভাবে ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এটি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। একটি রাষ্ট্র ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত হয়, যখন অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে যায়, রাজনীতির পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। গোটা রাষ্ট্র একটি নৈরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ঘুস ছাড়া চাকরি হয় না। তাও আবার ক্ষমতাসীন দলের ছাড়া সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা টাকা পাচার করে সেটি বিনিয়োগ করেছে বিদেশে। অথচ বাংলাদশের মানুষের অবস্থা খারাপ।

বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এটি বললে আওয়ামী লীগের গায়ে জ্বালা ধরে যায়। কিন্তু এটি সত্য। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। সার্বক্ষণিক মেডিকেল পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

মার্কিন সহকারি মন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কে এলো তাতে ইন্টারেস্ট নেই। জনগণই বিএনপির শক্তি। সরকার মনে করছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট আরও বেড়েছে।


আরও খবর



অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশের এসআই নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের কাটদহচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম সাইদুর রহমান (৪৫)। তিনি উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি পরীক্ষার ডিউটি শেষ করে মোটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পে ফিরছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে কাটদহচর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় রেলক্রসিং পারাপারের সময় ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার তাকে ও মোটরসাইকেলটি টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।


আরও খবর



নাটকীয় ব্যাটিং ধসে ১৪৩ রানে শেষ বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু বাংলাদেশের। বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছিল টাইগাররা। তবে এরপরই ছন্দ পতন। উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রানের পর ৩৮ রানে হারায় ৮ উইকেট। মিডল অর্ডারের এমন বিপর্যয়ে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১০ মে) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন দুই টাইগার ওপেনার তানজিদ তামিম ও সৌম্য। জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হন তানজিদ তামিম। অন্যদিকে কিছুটা ধুঁকতে থাকেন সৌম্য।

নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান তানজিদ তামিম। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে ফিফটিতে তুলে নেন এই ওপেনার। অন্যদিকে নিজের খোলস ছেড়ে বের হন সৌম্য। তিনিও চড়াও হন জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর।

তবে এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ৩৭ বলে ৫২ ও ৩৪ বলে ৪১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য। তাদের বিদায়ের পর তাওহিদ হৃদয় ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত হাল ধরার চেষ্টা করেন।

তবে দলীয় ১২১ রানে ৮ বলে ১২ রান করে আউট হন হৃদয়। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। ৩ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন তিনি।

সাকিবের বিদায়ের পর দ্রুতই আরও ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৯ ওভার ৪ বলে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জঙ্গুয়ে নেন ৩টি উইকেট।


আরও খবর



কর্ণফুলী রক্ষায় ব্যতিক্রমী সাম্পান শোভাযাত্রা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, আমরা নানা আন্দোলনের কথা জানি, অনেক আন্দোলন সফল হয় আবার কোন আন্দোলন ব্যর্থ হয়। কিন্তু কর্ণফুলী রক্ষার সামাজিক আন্দোলনে হারলে চলবে না, এটি দেশের পরিবেশ অর্থনীতির ধ্বংস ডেকে আনবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে কর্ণফুলী ও সাম্পান মাঝিদের রক্ষার এই সামাজিক আন্দোলনের সাম্পান শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

কর্ণফুলী রক্ষায় চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন এ শোভাযাত্রা হয়। এতে অংশ নেয় ইছানগর সদরঘাট, চরপাথরঘাটা অভয়মিত্রঘাট, সদরঘাট ও ব্রিজঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির তিন শতাধিক সাম্পান।

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে ব্যতিক্রমী সাম্পান শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন শতাধিক সাম্পান মাঝি, সাম্পান নিয়ে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। কর্ণফুলীর দুইপাড়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবি আন্দোলনকারীদের।

সিএমপি কমিশনার বলেন, কর্ণফুলী ও চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিবেশ রক্ষার এই সামাজিক আন্দোলন ব্যর্থ হলে পুরো জাতি ব্যর্থ হবে। সেই সাথে আমরা আমাদের আগামি প্রজন্মের ধ্বংস ডেকে আনবো। সেই পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করতে দেব না। তাদের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে কর্ণফুলী নদীকে রক্ষা করতে হবে। আন্দোলনে আমরা সক্রিয়ভাবে জড়িত আছি। কারো ভয় ভিতিতে পিছিয়ে আসার কোন কারণ নাই।

 উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ছোট বেল থেকে একটি স্বচ্ছ সুন্দর কর্ণফুলী নদী দেখে আমি বড় হয়েছি। দেশ উন্নত হচ্ছে কিন্তু মানুষের পরিবেশ বিধ্বংসী আচরণে কর্ণফুলী ধ্বংস হচ্ছে। যা হতে দেয়া যাবে না। তিনি সকলকে একত্রিত হয়ে কর্ণফুলী  রক্ষার সামাজিক আন্দোলনে শক্তিশালী করার আহবান জানান।

 চৌধুরী ফরিদ বলেন, সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের আদেশ আছে । অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত আছে। কিন্তু উচ্ছেদ হচ্ছে না। বন্দরের কালোহাত অবৈধ দখলকারী, নদী খেকোদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে। যা মেনে নেয়া যায় না। তিনি ২০১৪ সালের স্ট্যাটেজিক মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী কর্ণফুলীর নাব্যতা রক্ষার দাবী জানান।

কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলীর সভাপতিত্বে আবৃত্তি শিল্পী দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় শোভাযাত্রায় বিশেষ অতিথি ছিলেন  ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান।

এসমউ বক্তব্য রাখেন ডায়মন্ড সিমেন্ট জেনারেল ম্যানাজার সেলস আলহাজ্ব আবদুর রহিম, সাম্পান খেলার আয়োজক সমাজ সেবক সৈয়দ আহমেদ, সেলিমুল হক, কামাল আহমেদ রাজা, ডায়মন্ড সিমেন্টের প্রমোশন ম্যানেজার শায়ের আমান, ক্যাব চট্টগ্রামের কর্মকর্তা জানে আলম, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির ফেডারেশণের সহ সভাপতি জাফর আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান দয়াল, আবুল হোসেন আবুল, বসির আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর