আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬.৮১ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের রিজার্ভের পরিমাণ আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। চলতি বছরের ৩০ জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬.৮১ বিলিয়ন ডলারে।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

চলতি বছরের ২৭ জুন পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৭.১৫ বিলিয়ন ডলার। তবে ৩০ জুন শেষে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬.৮১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ মাত্র ৩ দিনে দেশের রিজার্ভ কমেছে ০.৩৪ বিলিয়ন ডলার।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুযায়ী এ রিজার্ভের পরিমাণ আরও কম। আইএমএফ বলছে, ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের রিজার্ভ ২১.৮৩ বিলিয়ন ডলার। সাধারণত সংস্থাটি রিজার্ভ থেকে কোনো ঋণের দায় বা অন্য সংস্থাকে ঋণ দেয়া অর্থকে রিজার্ভ হিসাবে বিবেচনা করে না।

এর আগে, গত ২৭ জুন রিজার্ভে আইএমএফ থেকে ১.১৫ বিলিয়ন বা ১১৫ কোটি ডলার ছাড়াও কোরিয়া, আইবিআরডি ও আইডিবি থেকে আরও ৯০০ মিলিয়ন বা ৯০ কোটি ডলার যোগ হয়েছিল। যার জন্য সবমিলিয়ে দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল ২৭.১৫ বিলিয়ন ডলারে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকায় গত বছরের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। এর তিনদিন পর প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। এরপর গত ১৬ ডিসেম্বর আসে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার।

২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির পরবর্তীগুলোতে সমান অর্থ থাকার কথা থাকলেও রিজার্ভ আরও কমে যাওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তিতে বেশি অর্থ চায় বাংলাদেশ। বেশ কিছু কঠিন শর্তের বাস্তবায়ন ও আগামীতে আরও বড় সংস্কার কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় সংস্থাটি তৃতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ডলারের পরিবর্তে ১১৫ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে।

আইএমএফের দেয়া ঋণের একটি অংশ জলবায়ু তহবিলের, যা বাংলাদেশকেই প্রথম দেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকুক, তা চায় সংস্থাটি। এজন্য চতুর্থ কিস্তির জন্য জুন শেষে নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ৫.৩৪ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার।


আরও খবর



ঈদের দিন যেসব এলাকায় হতে পারে অতিভারী বৃষ্টি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ দিন। আগামীকাল আষাঢ় মাসের এক তারিখ। সে অনুযায়ী দেশে এখন বর্ষা মৌসুম। আর তিনদিন পর, ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় গত এক সপ্তাহের বেশি সময় থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস দিয়ে আসছে আবহাওয়া অফিস। সে অনুযায়ী, ঈদের দিনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, এখন মনসুন মৌসুম, সে অনুযায়ী সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখন যেভাবে যাচ্ছে ঈদের দিন সেভাবে থাকবে। সে ক্ষেত্রে ঈদের দিনও বৃষ্টি হবে এটা স্বাভাবিক। তবে অঞ্চল ভেদে বৃষ্টির পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। এক্ষেত্রে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা সামান্য পরিমাণে হতে পারে।

অন্যদিকে, রাজশাহী খুলনা ও বরিশালে খুবই সামান্য বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা।

আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আসলে এখন যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে ঠিক সেভাবেই থাকবে। খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। তবে কাল আরও স্পষ্ট হওয়া যাবে।

ঈদের দিন তাপমাত্রা নিয়ে বলেন, যে অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম সে জায়গায় তাপপ্রবাহ থাকবে। সে অনুযায়ী খুলনা, বরিশাল, রাজশাহীতে তাপপ্রবাহ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঈদের পর থেকে সারাদেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম।

এদিকে শুক্রবার সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝামাঝি অবস্থায় রয়েছে।


আরও খবর



স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনটি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।

এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ এর সেরা মেধাবী পুরস্কার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান করা হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সত্যি খুব আনন্দিত আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, এটা তারই একটি দৃষ্টান্ত। এইমাত্র যেটা উদ্বোধন করা হলো সেটা হলো স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি দেয়া। এটা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে যার যার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। নিজেরা সংগ্রহ করতে পারবেন। সেই পদ্ধতিটাই আমরা অনুসরণ করলাম। ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদ্বোধন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড.কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

উপবৃত্তির টাকা অভিভাবকের মোবাইল ফোনে বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ে পৌঁছে যাবে। মাধ্যমিক থেকে স্নাতক পাস পর্যায়ে ৬৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মেধাবী শিক্ষার্থী পাবেন এ টাকা। মোট ২ হাজার ২০৮ কোটি টাকা তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।


আরও খবর



সৌদিতে হজে গিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৯০০ ছাড়াল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে এবারের পবিত্র হজে গিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯২২ জন হজযাত্রীর। তাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যুর কারণ তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমে। তবে এখনো বহু সংখ্যক হজযাত্রীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

সৌদির সরকারি প্রশাসন, মক্কার বিভিন্ন হাসপাতাল এবং সৌদির বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের তথ্য সহায়তার ভিত্তিতে মৃত হজযাত্রীদের একটি সংখ্যাগত টালি করেছে বার্তাসংস্থা এএফপি। সেই টালির সর্বশেষ অবস্থা থেকে এই সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে।

চলতি বছর হজ শুরু হয়েছে গত ১৪ জুন থেকে। সৌদির আবহওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহ ধরে মক্কার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। সোমবার মক্কার তাপমাত্রা ছিল ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মৃতদের অধিকাংশই মিসরের নাগরিক। মক্কার প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, হজের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৬০০ মিসরীয় হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গত বছর বিভিন্ন দেশের অন্তত ২৪০ হজযাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। যাদের অধিকাংশই ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।

প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মানুষ হজ করতে সৌদি আরব যান। চলতি বছর সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশ মিলিয়ে হজে অংশ নিয়েছেন মোট ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৪ জন।

এর মধ্যে বিদেশি রয়েছেন ১৬ লাখ ১১ হাজার ৩১০ জন এবং সৌদি নাগরিক ও দেশটিতে অবস্থানকারী প্রবাসী মিলিয়ে হজে অংশ নিয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৮৫৪ জন।

সৌদি আরবের সরকারি পরিসংখ্যান অফিস জেনারেল অথরিটি ফর স্ট্যাটিস্টিকস (জিএএসটিএটি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাতে সৌদি গেজেট হজে অংশগ্রহণকারীদের এ তথ্য জানিয়েছে।

জিএএসটিএটি বলছে, স্থানীয় ও বিদেশি মিলিয়ে এবার ৯ লাখ ৫৮ হাজার ১৩৭ জন পুরুষ হজে অংশ নিয়েছেন; নারী রয়েছেন ৮ লাখ ৭৫ হাজার ২৭ জন।

মোট অংশগ্রহণকারীর মধ্যে আরব দেশগুলো থেকে গেছেন ২২ দশমিক ৩ শতাংশ। এশিয়ার ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ, আফ্রিকার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলের হজযাত্রী রয়েছেন ৩ দশমিক ২ শতাংশ।

এর মধ্যে সৌদি আরবে উড়োজাহাজে করে গেছেন ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৪৫ জন, স্থলপথে ৬০ হাজার ২৫১ জন এবং সমুদ্রবন্দর হয়ে হজে গেছেন ৪ হাজার ৭১৪ জন। এবার বাংলাদেশ থেকে হজ করতে সৌদি আরব গেছেন ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ।


আরও খবর



বেনজীরের পুকুরে চুরির সময় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জে জব্দ হওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো রিসোর্ট থেকে চুরি করার সময় প্রায় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

শুক্রবার (৮ জুন) রাতে এসব মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাছ বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকা জমা দেয়া হয়েছে।

গত ২৭ মে বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি জব্দ (ক্রোক) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে তাঁদের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এর মধ্যে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক রয়েছে। এরপর ২৬ মে একই আদালত বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ের স্থাবর সম্পদ ক্রোক, তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, উক্ত সম্পদের রিসিভার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় ক্রোককৃত সম্পত্তির মধ্যে সাভানা ইকো রিসোর্টে অবস্থিত পুকুরের মাছসহ বিভিন্ন সম্পদ চুরি হচ্ছে বলে দুদক কর্মকর্তারা খবর পান। বিষয়টি দুদকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেন। এরপর দুদকের একটি টিম শুক্রবার সাভানা ইকো রিসোর্টে যান। এ সময় রিসোর্টের ভেতরে ২০ একরের একটি পুকুরে মাছ ধরতে দেখেন তারা। দুদক টিম আসার খবর পেয়ে আসামিসহ অন্যরা পালিয়ে যান। এ সময় ৫৫৫ কেজি তেলাপিয়া ও ৩৭.৫০ কেজি কাতলা মাছ জব্দ করা হয়। পরে তা নিলামে তুলে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকায় বিক্রি করা হয়।

মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রিসোর্টের মৎস হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা মাছ ধরছেন। বিষয়টি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর গোপালগঞ্জে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন সোহেল সদর থানায় মামলা করেন। এতে রিসোর্টের মৎস হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়।

সার্ভার জটিলতার কথা বলে গত ৩ জুন থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধের ঘোষণা করে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক থাকার সময়ে বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামে গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক।


আরও খবর



জীবিত তিনজনকে মৃত্যু সনদ, ভাতা তুলছেন অন্যরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

Image

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার তিন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জীবিত তিন ব্যক্তিকে মৃতের সনদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে তাদের বয়স্ক ও বিধবা ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও খবিরুল আহসান।

ভুক্তভোগীরা হলেন খলিশাউড় ইউনিয়নের গড়ুয়াকান্দা গ্রামের হযরত আলী (৭১), হোগলা ইউনিয়নের জামিরাকান্দা গ্রামের মৃত সুরুজ আলী ফকিরের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৭৭) ও পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের উকুয়াকান্দা গ্রামের মৃত মামুদ আলীর মেয়ে খাদিজা আক্তার (৬০)। তাদের মধ্যে হযরত আলী ও জহুরা খাতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, মেম্বার, সমাজসেবা কর্মকর্তা মিলে তাদের মৃত দেখিয়ে অন্য ব্যক্তিদের ভাতা সুবিধা করে দিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যানদের দাবি, তাদের ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে। অভিযোগের অনুলিপি নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বরাবর দেওয়া হয়েছে।

হযরত আলী বলেন, দীর্ঘদিন বয়স্ক ভাতা পেতেন তিনি। ভাতার দুই কিস্তি তাঁর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে না আসায় বিষয়টি জানতে সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা জানান খলিশাউড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান কমল কৃষ্ণ সরকারের দেওয়া প্রত্যয়ন মোতাবেক তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে। এ কারণে তাঁর নামে বরাদ্দ বয়স্ক ভাতা অন্য ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে খলিশাউড় ইউপি চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, একই গ্রামের হযরত আলী নামে দুই ব্যক্তির একজন মারা গেলে ভুলবশত জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে। এই ভুল সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে সমাজসেবা অফিসে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।

জহুরা খাতুনের অভিযোগ, তিনিও নিয়মিত বয়স্ক ভাতাভোগী ছিলেন। হঠাৎ ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নেন। পরে জানতে পারেন তাঁকেও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকন্দ খোকনের স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নে মৃত দেখানো হয়েছে। এ কারণে তাঁর পরিবর্তে হালিমা খাতুনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে এক বছর ধরে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

তবে হোগলা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকন্দ খোকনের দাবি, তাঁর অজান্তে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ভুলবশত এমনটি করেছেন। তবে ভুল সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে কাগজপত্র নিয়ে সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছে। অতি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।

পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের উকুয়াকান্দা গ্রামের মৃত মামুদ আলীর স্ত্রী খাদিজা আক্তার ২০১৯ সালে যাচাই-বাছাই শেষে বিধবা ভাতার কার্ড পান। ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ভাতা পান তিনি। এই ভাতার টাকায় নিজের ব্যয় বহন করতেন। গত বছরের মার্চ মাসের পর থেকে ভাতা পাচ্ছেন না তিনি। কারণ জানতে সমাজসেবা অফিসে খবর নিতে গেলে তাঁকে জানানো হয়, আপনি তো মারা গেছেন। তাই ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, বিধবা ভাতা না পাওয়ার ব্যাপারে আমাকে কেউ জানায়নি। এ ধরনের বিষয় অহরহ ঘটছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে সমাধানের জন্য আমরা সমাজসেবা বিভাগে পাঠিয়ে দিই।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা মৃত্যু সনদ দিয়ে সুপারিশ পাঠালে ভাতাভোগী দুজনকে মৃত দেখিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রকৃত বিষয়টি যেহেতু জানা গেছে, কয়েক দিনের মধ্যে সংশোধনের ব্যবস্থা করা হবে।

পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল আহসান জানান, জীবিত ব্যক্তিকে মৃতের সনদ দিয়ে ভাতা কেটে দিয়ে অন্যজনের নামে প্রতিস্থাপনের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগেও হয়রানির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে খাদিজা আক্তার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সমাজসেবা বিভাগে বিষয়টি সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতাসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: নেত্রকোনা

আরও খবর