আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

তিন দফা কমার পর বাড়লো এলপিজির দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোক্তা পর্যায়ে এপ্রিল, মে ও জুন তিন মাসে কমার পর জুলাইয়ে বাড়লো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। জুনের তুলনায় জুলাইয়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হবে।

আজ বিকেল ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন। এসময় বিইআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ১২ কেজির এলপিজির দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ৫.৫ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৬২৭ টাকা, ১২.৫ কেজির ১ হাজার ৪২৩ টাকা, ১৫ কেজির ১ হাজার ৭০৮ টাকা, ১৬ কেজির ১ হাজার ৮২২ টাকা, ১৮ কেজির ২ হাজার ৪৯ টাকা, ২০ কেজির ২ হাজার ২৭৭ টাকা, ২২ কেজির ২ হাজার ৫০৫ টাকা, ২৫ কেজির ২ হাজার ৮৪৭ টাকা, ৩০ কেজির ৩ হাজার ৪১৬ টাকা, ৩৩ কেজির ৩ হাজার ৭৫৭ টাকা, ৩৫ কেজির ৩ হাজার ৯৮৫ টাকা এবং ৪৫ কেজির এলপিজির দাম ৫ হাজার ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১০ দশমিক শূত্য ৩ টাকা এবং গ্যাসীয় অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার শূন্য দশমিক ২৪৪৫ টাকায় বা প্রতি ঘনমিটার ২৪৪ দশমিক ৫০ টাকায় সমন্বয় করা হলো। এছাড়া ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ৬২ দশমিক ৭০ টাকা সমন্বয় করা হয়েছে।

গত ৩ জুন ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম মে মাসের তুলনায় ৩০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর মে মাসে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এপ্রিল মাসের তুলনায় ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর



কুমিল্লায় কিশোরী ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে, তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা, আনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ১-এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।

দণ্ডিত ব্যক্তির নাম মো. আলাউদ্দিন (৪৮)। তিনি বরিশাল সদর উপজেলার কুণ্ডলি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৮ জুলাই ওই কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণ করেন আলাউদ্দিন। এ ঘটনা কাউকে জানালে ওই কিশোরীকে মেরে ফেলা হবে বলে ভয় দেখিয়ে ছেড়ে দেন। এরপর কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

পরে কিশোরীর বাবা চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামি গ্রেফতার করে। ২০২৩ সালের পাঁচ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে সাতজনের সাক্ষ্য শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।

রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, ধর্ষণের কারণে জন্ম নেয়া সন্তানকে মা কিংবা তার আত্মীয়-স্বজনের তত্ত্বাবধানে রাখা যাবে। সন্তানটি তার পিতা বা মাতা কিংবা উভয় পরিচয়ে পরিচিত হতে পারে। ওই সন্তানের বয়স ২১ বছর না হওয়া পর্যন্ত তার ভরণপোষণের ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবে।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (স্পেশাল পিপি) ছিলেন অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত। এ রায় উচ্চ আদালত পর্যন্ত বাহাল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: কুমিল্লা

আরও খবর



শিশুর বয়স নির্ধারণের এখতিয়ার তদন্ত কর্মকর্তার নেই : হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আইনের সংস্পর্শে আসা বা আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িতকে শিশু হিসেবে নির্ধারণ করার এখতিয়ার কোনো তদন্ত কর্মকর্তার নেই বলে পর্যবেক্ষণসহ রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেছেন, কাউকে শিশু হিসেবে মনে হলে তদন্ত কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠান তার বয়স নির্ধারণে শিশু আদালতে হাজির করবে এবং সেক্ষেত্রে শিশু আদালত ২০১৩ সালের শিশু আইনের ২১ ধারার বিধান অনুসরণ করে বয়স নির্ধারণ করবে।

বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রায় বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে।

রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, শিশু আইনের ২১ ধারার বিধান অনুযায়ী, কেউ অভিযুক্ত হোক বা না-হোক, কেবল কাউকে শিশু হিসেবে অভিহিত করার অধিকার শিশু আদালতকে দেওয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত কোনো শিশুর বয়স নির্ধারণে কোনো শিশুর শিক্ষাগত সনদে উল্লেখিত জন্মতারিখ এবং জন্মমৃত্যু নিবন্ধন আইনের বিধান মতে নিবন্ধিত জন্মসনদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে জন্মসনদ প্রাধান্য পাবে। আর জন্মনিবন্ধনের জন্মতারিখ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সনদের জন্মতারিখ ও আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুর বাহ্যিক অবয়ব-শারীরিক গঠন আপাতদৃষ্টে সাংঘর্ষিক বলে মনে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তি রেজিস্ট্রার ও ছাত্রছাত্রীর হাজিরা খাতা তলব করে মিলিয়ে দেখতে হবে। তা সম্ভব না হলে সরকারি মেডিকেল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে গঠিত বোর্ডের মাধ্যমে বয়স নির্ধারণ করতে হবে।

রায়ে আরও বলা হয়েছে যে, আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত কোনো শিশু বা ব্যক্তিকে যদি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার বিধানমতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধের জন্য কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে উপস্থাপন করা হয়; আর সেক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বয়স নির্ধারণের কোনো অকাট্য বিশ্বাসযোগ্য দলিল উপস্থাপন না করা হয়, তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার বিধানমতে জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আগে আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুর বয়স নির্ধারণে শিশু আইনের বিধান অনুযায়ী উপরিউক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

একই ভাবে শিশু আদালত কিংবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আইনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত কোনো শিশুর বয়স নির্ধারণে উপরিউক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।


আরও খবর
ফের বাড়ল ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




শিশু ওয়াসিম হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

মীরসরাই থানার আলোচিত শিশু কাজী মশিউর রহমান ওয়াসিম হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (৯ জুন) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ মো.রবিউল আউয়ালের আদালত এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব। এ মামলায় কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লব নামে অন্য একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২২ নভেম্বর বিকেল মিরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়া তালুক কাজী বাড়ির পূর্বপাশের ছনখোলায় আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব ৫ বছর বয়সী শিশু ওয়াসিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দিয়ে শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। আসামি বাড়িতে এসে তার পরিবারকে ঘটনা খুলে বলে। ওই রাতে আসামির পরিবারের সদস্যরা ছনখোলা থেকে শিশুর মরদেহ বস্তাবন্দি করে পাশের ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। শিশু ওয়াসিমকে না পেয়ে চাচা কাজী একরামুল হক মিরসরাই থানায় ২৩ নভেম্বর সাধারণ ডায়েরি করেন। সেদিন শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ পাশের ধানক্ষেতে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন। ছনখোলা থেকে আসামির মোবাইল ও শিশুর স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়। শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর মিরসরাই থানায় ওয়াসিমের চাচা মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করলে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি  আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব, তার ভাই কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লব, বাবা ফজলুল কবির প্রকাশ হরমুজ মিয়া ও মা নুর জাহানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৩০২ ও ২০১ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন আসামি ফজলুল কবির ও আসামি নুর জাহান বেগম মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যু বরণ করাই দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যহাতি দেন আদালত।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে ওয়াসিম হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লবকে মৃত্যুদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামি রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন, পরে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লব নামে এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

ওয়াসিম হত্যার বিচারের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের পিতা মোশারফ হোসেন বাবুল।


আরও খবর



মেক্সিকোর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ মেক্সিকোর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. ক্লদিয়া শিনবাউম পারদোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দেশটির সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। মঙ্গলবার (৪ জুন) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ড. ক্লদিয়া শিনবাউম পারদোকে লেখা এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে, ইউনাইটেড মেক্সিকান স্টেটের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

তিনি বলেন, আপনার বিজয় শুধু আপনার ব্যতিক্রমী নেতৃত্বের গুণাবলীই প্রদর্শন করে না, বরং লিঙ্গ সমতা ও প্রতিনিধিত্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকেরও প্রতিনিধিত্ব করে। এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে বাংলাদেশ তার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে গর্ব করে।

তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের স্থায়ী বন্ধন আরও জোরদার করতে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। দুই দেশের সহযোগিতা বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর যৌথ স্বার্থকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং উভয় দেশের জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে বলেও আশা প্রকাশ করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশে মেক্সিকান কূটনৈতিক মিশন প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা করছি, একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিষয় যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করবে।

ড. ক্লদিয়া শিনবাউম পারদোর নতুন দায়িত্বের সর্বাত্মক সাফল্য কামনা এবং দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



যে কারণে বাজেটে নজর থাকবে সাধারণ মানুষের

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আয়-ব্যয়ের বিপুল ঘাটতির তোয়াক্কা না করে প্রতি বছরই বাড়ছে হুড়হুড় করে বাড়ছে বাজেটের আকার। যার প্রভাব পড়ছে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ঘোষণা হবে বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর বাজেটের প্রভাব পড়ে।

সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশের চলতি বছরের মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়লেও মানুষের বেতন সে অনুপাতে বাড়ছে না। কিন্তু হিসাবনিকাশ বলছে নতুন বাজেটে সাধারণ মানুষের উপর আবারও বাড়তে পারে করের বোঝা। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধির ফলে নতুন করে দারিদ্র্যতা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আব্দুল বায়েস বলেছেন, যারা গরীব তাদের জন্য এটা কষ্টদায়ক। মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে হতদরিদ্রদের ওপর।

মূল্যস্ফীতি বাড়লেও বিপরীতে কমছে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি। এর প্রভাব নতুন বাজেটে পড়তে পারে বলে ধারণা দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

আব্দুল বায়েস বলেন, অর্থনীতির এই জটিল হিসাবনিকাশ সাধারণ মানুষরা বোঝেন না। তারা বোঝেন প্রতি বার বাজেট মানেই ব্যয়ের নতুন নতুন খাত তৈরি হওয়া।

বাজেটের আগে বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী বলেন, আমাদের কাছে বাজেট মানেই এক দফায় দাম বৃদ্ধি। বাজেট আসলেই আমাদের চিন্তা করতে হয় কোন খরচ বাদ দিয়ে কোন খরচ মেটাবো।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রতি বছর বাজেটের পরই জিনিসপত্রের দাম বাড়লে বেশি চাপে পড়েন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। আসছে বাজেটের পর নতুন করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে।

অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বিবিসি বাংলাকে বলেন, জনগণের প্রতিনিধিদের বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত। যে কারণে তাদের চাহিদার তেমন কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না বাজেটে। তবে কর আরোপ, কর্মসংস্থান, করমুক্ত আয়সীমা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের মতো বিষয়গুলোর কারণে বাজেটে নজর থাকে সাধারণ মানুষের।

বিবিসি বাংলাকে ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক কমলে বাজারে এই ধরনের পণ্যের দাম কমতে পারে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, করের শুল্ক সরকার কমালেও অনেক সময় খুচরা পর্যায়ে তার প্রভাব দেখা যায় না নানা কারণে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের সঠিক তদারকি না থাকার কারণে বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যে কারণে বাজেটে কম আয়ের মানুষের আয় ব্যয়ের হিসাব মেলানো কঠিন হয়ে পড়ে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

নিউজ ট্যাগ: বাজেট

আরও খবর