বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবিলায় আজ মঙ্গলবার
থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হচ্ছে। দেশের সব এলাকায় আগামী এক সপ্তাহ এক ঘণ্টা
করে লোডশেডিং হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল
হামিদ। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে পরের সপ্তাহে লোডশেডিংয়ের
পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো হবে।
প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণার পর রাজধানীসহ আশপাশের
কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং হবে, সে বিষয়ে সোমবার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে ঢাকা পাওয়ার
ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)।
ঢাকার কোন এলাকায় কখন সম্ভাব্য লোডশেডিং
ডিপিডিসির তালিকায় থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে
আছে-ঢাকার আদাবর, আজিমপুর, বনশ্রী, বাংলাবাজার, বংশাল, বাসাবো, ডেমরা, ধানমন্ডি, ঝিগাতলা,
জুরাইন, কাকরাইল, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, লালবাগ, মানিকনগর, মাতুয়াইল, মগবাজার, মতিঝিল,
মুগদাপাড়া, নারিন্দা, পরীবাগ, পোস্তগোলা, রাজারবাগ, রমনা, সাতমসজিদ, শ্যামলী, শেরেবাংলা
নগর, শ্যামপুর, স্বামীবাগ ও তেজগাঁও। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের মধ্যে রয়েছে- ফতুল্লা, কাজলা,
পূর্ব ও পশ্চিম নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও শীতলক্ষ্যা।
তবে সোমবার লোডশেডিংয়ের বিস্তারিত তথ্য
জানায়নি ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)। আজ ডেসকোর ওয়েবসাইটে লোডশেডিংয়ের
সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকায় লোডশেডিং হতে পারে প্রতিদিন সকাল
১০টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে। লোডশেডিংয়ের মোট পরিমাণ ধরা হয়েছে ১০০ মেগাওয়াটের মতো।
রাজধানী ঢাকার বেশিরভাগ এলাকা ও নারায়ণগঞ্জের
কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে ডিপিডিসি। অন্যদিকে, রাজধানীর মিরপুর,
ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বনানী, মহাখালী, উত্তরা, বাড্ডা, টঙ্গী ও পূর্বাচলসহ ঢাকা ও
গাজীপুরের প্রায় ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে ডেসকো।