
চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায়
‘অপারেশন অগ্নিপথ’ এর শুটিংয়ে শিডিউল
ফাঁসানো ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন রহমত উল্লাহ নামে এক
প্রযোজক। ওই প্রযোজকের নামে এবার মানহানি মামলা করতে রাতে গুলশান থানায় অবস্থান করছেন
শাকিব খান।
শনিবার (১৮ মার্চ) মধ্যরাতে গুলশান থানায় যান তিনি।
ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের
বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
গত বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে এফডিসিতে
উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং ক্যামেরাম্যান
সমিতিকে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত অভিযোগের পর গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর
একটি রেস্তোরাঁয় সেই প্রযোজকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শাকিব খান। চলচ্চিত্র প্রযোজক
খোরশেদ আলম খসরু সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন। তবে ঘটনা এখন ভিন্ন দিকে মোড়
নিয়েছে। নিজেকে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক
দাবি করা রহমত উল্লাহ আসলে সেই সিনেমার প্রযোজকই নন। আর তাই প্রযোজক দাবি করে এফডিসির
বিভিন্ন সমিতিতে অভিযোগ করা রীতিমত প্রতারণা।
প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির অফিস সূত্রে
জানা যায়, ২০১৬ সালের ৭ মার্চ প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি থেকে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমাটি নির্মাণের
অনুমতি দেওয়া হয়। ভারটেক্স মিডিয়ার নামে এই সিনেমার প্রযোজক মো: জানে আলম। প্রযোজক
হিসেবে রহমত উল্লাহর নাম কোথাও উল্লেখ নেই।
জানা যায়, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভারটেক্স
মিডিয়া ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমাটির প্রকৃত
মালিক। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই সিনেমাটির সিংহভাগ লগ্নি করা হয়েছে। শাকিবের সঙ্গে চুক্তি
ও শিডিউল সংক্রান্ত যাবতীয় আলাপও করেছিলো প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্রমতে, নিজেকে প্রযোজক দাবি করা এই
রহমত উল্লাহ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার শুটিংয়ের অ্যারেঞ্জার! অস্ট্রেলিয়া অংশে কাজের সুযোগ
পেয়ে তিনি শাকিবকে নানা কেলেঙ্কারীতে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। তার উদ্দেশ্যই ছিলো,
প্রযোজক সেজে নানা অনিয়মের দোহাইয়ে শাকিবের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ!
এদিকে রহমত উল্লাহর এসব ভিত্তিহীন অভিযোগে
ভীষণ চটেছেন শাকিব খান। তিনি এই প্রযোজক দাবি করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা
নিচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে শাকিবের পক্ষে জানানো হয়, মিথ্যা
অভিযোগ তোলার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত প্রযোজক নামধারী এই প্রতারক যেন দেশ ছেড়ে পালাতে
না পারে, সেই কারণেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।