আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

দিনাজপুরে ১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে টমেটোর বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুর জেলার চলতি বছর গ্রীষ্মকালীন সময়ে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় কৃষকেরা ১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন নাবি জাতীয় টমেটো চাষ সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছে।

দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক মো: নুরুজ্জামান রোববার দুপুর ২টায় তার কার্যালয়ে সাংবাদিকেদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, কৃষি বিভাগের উদ্যোগে এবারে জেলায় উন্নত নাবি টমেটো চাষ সফল ভাবে কৃষকেরা করতে সক্ষম হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছিল ১ হাজার হেক্টর জমিতে এই টমেটো চাষে। অনুকুল আবহাওয়া সুষ্ঠু পরিবেশ ও কৃষি বিভাগের অনুপ্ররণা থাকায় কৃষকেরা উৎসাহ পেয়ে লক্ষ্যমাত্রা অতিরিক্ত ৫৬০ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত টমেটো চাষ করে মোট ১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ অর্জিত হয়েছে। বাজারে টমেটো চাহিদা থাকায় দিনাজপুর থেকে ঢাকা রাজধানীসহ সারা দেশে টমেটো পাইকারী ভাবে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে সরবরাহ হচ্ছে প্রতিদিন।

সূত্রটি জানায়, গত কয়েক বছর ধরে জেলায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হচ্ছে। সাধারণত জানুয়ারি মাসের শেষে ও ফেব্রুয়ারির শুরুতে টমেটো চাষ করা হয়। ৬০-৭০ দিন পর টমেটো পাকতে শুরু করে। এবার সময় উপযোগী হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফসল উৎপাদন হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।

সরেজমিনে জেলা সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের গাবুড়া বাজারে দেখা গেছে, কৃষকেরা প্রতিদিন সকালে ভ্যানে করে খাঁচাভর্তি করে টমেটো নিয়ে বাজারে আসছেন। ভোর থেকেই চলছে বেচাকেনা। কৃষকরা দাম চাচ্ছেন ৬০০-৭০০ টাকা মণ। মানভেদে ৫৫০-৬০০ টাকা মণ কিনছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। অবশ্য বড় সাইজের বাছাইকৃত টমেটোর মণ ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। শুধু গাবুড়া বাজার নয়, সদরের মোস্তানবাজারেও প্রচুর টমেটো বেচাকেনা হয়। সকাল থেকে বাজারের দুই পাশের সড়কের কয়েক কিলোমিটারে টমেটোর খাঁচা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সেগুলো কিনতে এসেছেন বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে অটোরিকশার পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ৪

দিনাজপুর সদর উপজেলা শেখপুরা গ্রামের আর্দশ কৃষক আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) জানান, প্রতি বিঘায় টমেটো চাষ করতে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। সেখান থেকে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার বেশি টমেটো বিক্রি করা যায়। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় দেড়-দুই লাখ টাকা লাভ হয়। তবে গত কয়েক বছর লোকসান হয়েছে। এবার চিত্র ভিন্ন। মৌসুমের শুরুতেই দাম ভালো পাওয়ায় খুশি তারা। তবে দাম কমে যাওয়ার শঙ্কায় আছেন অনেক কৃষক। শেখপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার দুই বিঘা জমিতে নাবি টমেটো চাষ করেছেন। গত তিন বছর লোকসান হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার বাজারে দাম ভালো। প্রতি মণ ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। তবে শঙ্কায় আছি, শেষের দিকে যদি দাম কমে যায়, তাহলে লাভ বেশি হবে না। কারণ সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বেশি। বর্গা জমি বেশি দাম দিয়ে নিতে হয়। এই দাম থাকলে আমরা লাভবান হবো।এবার আড়াই বিঘা জমিতে বাহুবলী জাতের টমেটো আবাদ করেছেন দিঘন গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, প্রতি বছর টমেটো চাষ করি। প্রতি বিঘায় চাষ করতে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। গত বছরগুলোতে দাম কম থাকায় তেমন লাভ হয়নি। এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ৬০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত মণ বিক্রি করছি। আশা করছি, আগের বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবো।

একই বাজারে টমেটো কিনতে আসা নারায়ণগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, টমেটোর এবার চাহিদা বেশি। নারায়গঞ্জে এসব টমেটো পাঠাচ্ছি। কিছুটা লাভ হচ্ছে। সামনের দিনে দাম কমলে একটু বেশি লাভ হবে।

জেলার সদরে বাহাদুর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী কমল রায় বলেন, খুচরা বাজারে ২০-২৫ টাকা কেজিতে টমেটো বিক্রি করছি। তবে বাছাইকৃত বড় সাইজের টমেটোর কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি করছি। চাহিদা বেশ ভালো। বিভিন্ন জেলায় পাঠানোর জন্য ক্যারেটে টমেটো সাজাচ্ছেন শ্রমিকরা।

দিনাজপুর কৃষি বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে টমেটো আবাদ হয়েছে। গত বছর জেলায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছিল। এবার সে তুলনায় ৫৬০ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত টমেটো চাষ অর্জিত হয়েছে। গত ২ বছরে হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৪৫ দশমিক ১১ মেট্রিক টন। জেলায় এ বছর ১ হাজার ৫৬০ হেক্টরের বেশি জমিতে নাবি টমেটো চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।

তিনি আরও বলেন, এই টমেটো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলাগুলোতে যাচ্ছে। তবে কৃষকদের চাষের বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, একই জমিতে যেন বার বার টমেটো চাষ না হয়। আলু এবং টমেটো সমগোত্রীয় ফসল হওয়ায় আলুর জমিতে টমেটো চাষ করলে ফলন ভালো হয় না। ফলে অন্য জমিতে চাষ করতে হবে। সব মিলিয়ে তিনি এবার দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন টমেটো বাম্পার ফলন অর্জিত হয়েছে বলে দাবী করেন।


আরও খবর



অস্ট্রেলিয়ায় ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অস্ট্রেলিয়ায় ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটিতে আগামী ১০ এপ্রিল ঈদ উদযাপন করা হবে। সোমবার (৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ফতোয়া কাউন্সিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, যদিও এখনো শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তবে স্থানীয় ও বৈশ্বিক জ্যোর্তিবিজ্ঞানিদের সঙ্গে আলোচনা ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ফতোয়া কাউন্সিল এটি নিশ্চিত হয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়ার টাইমজোন অনুযায়ী সিডনি ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় আগামী ৯ এপ্রিল ভোর ৪টা ২০ মিনিটে নতুন চাঁদ উদয় হবে। ওই দিন সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ৩৯ মিনিটে এবং সূর্যাস্তের ১২ মিনিট পর, ৫ টা ৫১ মিনিটে দেখা মিলবে নতুন চাঁদের। আর পার্থসহ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় নতুন চাঁদের জন্ম হবে স্থানীয় সময় ৯ এপ্রিল দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে। এদিন সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬ টা ২ মিনিটে এবং সূর্যাস্তের ১৬ মিনিট পর, সন্ধ্যা ৬ টা ১৮ মিনিটে উদয় হবে শাওয়াল মাসের চাঁদ।

এর ফলে, আগামী ৯ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ায় বিদায় নিচ্ছে ১৪৪৫ হিজরি বর্ষের রমজান। এতে আগামী ১০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।


আরও খবর



চলতি বছর ছাড়াতে পারে তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চৈত্রের প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস মানুষ। রাজধানীসহ অনেক জেলায় বইছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরজুড়ে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এর মধ্যে এপ্রিলে গরমের তীব্রতা পৌঁছাতে পারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এবছর তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।  বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞের মতে, নির্বিচারে গাছ কাটা, জলাশয় ভরাট করা, এসির অত্যধিক ব্যবহারের কারণে রাজধানীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

এ বছরের তাপপ্রবাহ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা কেন?

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত কয়েকদিনের পূর্বাভাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ঐ অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের অবস্থান। কিন্তু এইসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে।

এ নিয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু ওগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়।

এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এবছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে বলে মনে করেন এই আবহাওয়াবিদ।

ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন

কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার, প্রতি ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সভা শেষে সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে। এর আগে কখনো এত বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে ছিল না।

তিনি জানান, প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ জন আনসার সদস্য থাকবে ও ৬টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবে। আনসার থাকবে তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে।

সচিব বলেন, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। এটা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসার যেটা বলবেন, সেভাবে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) দায়িত্ব পালন করবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গড়ে ৫টি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে।


আরও খবর



হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের মাঝে হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা জাতের হীরা-৬ ধান। অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় চাষীরা রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন হীরা-৬ জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী মিশন পাড়ার অনুষ্ঠিত হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রীম সীড কোম্পানীর আয়োজনে হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসে স্থানীয় কৃষক আব্দুল আজিজ মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীর জোনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনিতা মজুমদার। কোম্পানীর রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ আসাদুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় পরিবেশক দুলাল রায়, কৃষক শওকত আকন প্রমুখ।

কৃষক শওকত আকন জানিয়েছেন, তিনি তার ৬০ শতক জমিতে হীরা-৬ জাতের বোরো ধান চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আগামীতেও তিনি এ জাতের ধান চাষ করবেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে যেসব হাইব্রিড ধান চাষ হয় হীরা-৬ ধান তার মধ্যে অন্যতম। উচ্চ ফলনশীল হওয়ার কারণে এই ধান তাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

মাঠ দিবসের আলোচনার শুরুতে অতিথিরা কৃষকদের সাথে নিয়ে হীরা-৬ ধানসহ অন্যান্য জাতের চাষ করা কয়েকটি বোরো ক্ষেত পরিদর্শন করে ধানের চারা সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে গণনা করে হীরা-৬ ধানের প্রতিটি শীষে গড়ে ৩০৬ থেকে ৩১০টি ধান পাওয়া গেছে। অন্যান্য জাতের ধানে সর্বোচ্চ ২০০টি ধান পাওয়া যায়।

এরপর অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মশিউর রহমান বলেন, হীরা-৬ বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা হাইব্রিড ধান। এই জাতের ধানে অন্য যেকোন হাইব্রিড ধানের তুলনায় বেশি ফলন হয়। রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন ১৪৫ দিনের জীবন কাল হীরা-৬ ধানের জাতে প্রতি শতকে এক মনের অধিক ধান পাচ্ছেন কৃষক। পাশাপাশি এ ধানের খোসা অত্যন্ত পাতলা হওয়ায় প্রতি ১০০ মন ধানে ৭৩ মনের অধিক চাল পাওয়া যায়। এছাড়াও এ ধানের চাউলের ভাত অন্যান্য জাতের মতো আঠালো হয়না।

সভায় উপস্থিত প্রায় দুই শতাধিক কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বোরো চাষের শুরুতে আগে ভাবতে হবে কোন ধানের বীজ বপন করে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। কারণ এটা শুধু বীজ নয়; একটি পরিবারের স্বপ্ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে যে কয়টি কোম্পানি হাইব্রিড ধানের আমদানির অনুমতি পেয়েছে তাদের মধ্যে একটি সুপ্রীম সিড। কোম্পানিটি বাংলাদেশে প্রথম চীন থেকে বাংলাদেশে হীরা ধানের বীজ এনে বাজারজাত করেন। এরপর তারা নিজস্ব উৎপাদনে যায়। বর্তমানে ৯০ শতাংশ বীজ নিজেরাই উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, হাইব্রিড ধান সাধারণত ৭০-৭৫ শতাংশ পাকলেই কাটতে হয়। কারণ ধান বেশি পাকার ফলে ক্ষেতেই ঝড়ে যায়। তখন হাইব্রিড ধানের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা হয়। যে কারণে কৃষকদের সচেতনতার জন্যই মূলত হীরা-৬ ধানের মেগা মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর



শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব দ্বাদশ লিবারেশন ডকফেস্ট বাংলাদেশ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মেন্টর এক্সপোজিশন অব ইয়াং ফিল্ম ট্যালেন্ট নীলোৎপল মজুমদার এবং ভারতের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা হাওবাম পবন কুমার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এমপি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও উৎসব পরিচালক মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ যে চিন্তা-চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে সেটি হলো একটি অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ তৈরি হবে, যেখানে উগ্রবাদ-মৌলবাদের কোনো জায়গা থাকবে না। এ রকম একটি সমাজ তৈরি করতে গেলে আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিনিয়োগ দরকার।

তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কতগুলো ভিত্তি দরকার। এ ভিত্তিগুলো তৈরি করার জন্য আমাদের অনেক অর্জন ইতোমধ্যে হয়েছে। গত পনেরো বছরে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক হয়েছে, আরও উন্নয়ন করতে হবে। তবে আগামী পাঁচ বছর শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ আমরা যদি উগ্রবাদ, মৌলবাদ ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই, তাহলে শিল্প ও সাংস্কৃতির চেয়ে বড় কোন অস্ত্র হতে পারে না। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন এখন আমাদের দরকার। একইসাথে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গণে উদ্ভাবনী মেধা খুবই দরকার।

প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, রাষ্ট্রের কাজ অর্থনৈতিকভাবে শিল্পকে সহযোগিতা দেওয়া এবং এগিয়ে নেয়া যাতে যে মেধার জন্ম হয় সমাজে সেটা বিকশিত হতে পারে, শিল্পের মাধ্যমে আরো মানবতা ও মানবিকতা ছড়িয়ে যেতে পারে। দিন শেষে আমরা মানবিক বিশ্ব গড়তে চাই ও বিশ্ব নাগরিক হতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা সুস্থ শিল্প বিকাশের পরিবেশ দেশে নিশ্চিত করতে চাই। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা এই কাজটি করার চেষ্টা করবো।


আরও খবর