দিনাজপুর সদর উপজেলার পল্লীতে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগে বিচারক স্বামী প্রভাত চন্দ্র রায়কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু দণ্ডের রায় কার্যকর করার আদেশ এবং ২০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করার রায় প্রদান করেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ মোঃ যাবিদ হোসেন তার আদালতে আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামী দিনাজপুর সদর উপজেলার মাধবপুর চিরাকুটির পাড়া গ্রামের লালু চন্দ্র রায়ের পুত্র প্রভাত চন্দ্র রায় (৩৫) কে পুলিশ পাহাড়ায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি মোঃ রবিউল ইসলাম রবি আজ সোমবার রায় ঘোষণার পর বিকেল ৪টায় আদালতে সম্মুখে মামলার ঘটনার বিষয় সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন।
তিনি বলেন, গত ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় দণ্ডিত আসামী প্রভাত তার স্ত্রী ববিতা রানীকে অমানুষিক মারপিট করে। স্ত্রী ববিতা ২ সন্তানের জননী। তার কন্যা শ্রাবণী রানী ও পুত্র আদিত্য চন্দ্র রায়কে নিয়ে তার ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় প্রভাত তার স্ত্রীকে একটি শাবল দিয়ে শরীরে অসংখ্য আঘাত করে। এক পর্যায়ে ববিতার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনার বিষয় প্রতিবেশীরা নিহত গৃহবধু বাবার বাড়িতে ও দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় সংবাদ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে পরের দিন ২৯ ডিসেম্বর সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এই ঘটনায় নিহত ববিতার বড় ভাই রবীন্দ্রনাথ বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় প্রভাতকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর পুলিশ আসামী প্রভাতকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। মামলাটি বিচারে সাক্ষ্য প্রমানে বিচারক আসামীকে দোষী সাব্যস্তে মৃত্যদণ্ডে দণ্ডিত করার রায় ঘোষণা করেন। মামলাটি আসামী পক্ষে এ্যাভাভোকেট মোঃ খলিলুর রহমান পরিচালনা করেন। দণ্ডিত আসামীকে ৭ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে আপিল করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।