আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ডলার সংকটে কমেছে গাড়ি আমদানি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

আর্থিক সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির কারণে কমে গেছে গাড়ি বিক্রি। পাশাপাশি ডলার সংকটের কারণে চাহিদা ও সময়মতো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছেন না আমদানিকারকরা। ফলে মোংলা বন্দর দিয়ে কমেছে গাড়ি আমদানি। এ অবস্থায় গাড়ি আমদানি খাত থেকে বন্দরের রাজস্ব আয়ও কমেছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আমদানি যাতে বাড়ে সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি শুরু হয়েছিল ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে। ওই বছর আসে ২৫৫ টি গাড়ি। এরপর এই বন্দর দিয়ে ২০২০-২১ অর্থ বছরে গাড়ি আমদানি হয়েছিল ১৪ হাজার ৪৭৪ টি। ২০২১-২২ অর্থ বছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২১ হাজার ৪৮৪ টিতে। কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গাড়ি আমদানির সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৫৭৬টিতে। চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে এসেছে ৪ হাজার ৩৬৮টি। নগরীতে গাড়ি বিক্রির শোরুম রয়েছে ৮ থেকে ১০টি।

নগরীর মজিদ স্মরণির এএসপি ড্রিম কার হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী মিশন বলেন, গাড়ির দাম আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি। গাড়ির প্রকারভেদে ৩ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এ কারণে ক্রেতাদের আগ্রহ কম, ক্রেতা কম পাচ্ছি। গাড়ি বিক্রি তুলনামূলকভাবে কমে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ডলারের রেট বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেও কেউ-কেউ গাড়ি কিনছে না। এছাড়া আগে ১০ থেকে ২০ শতাংশ মার্জিন দিয়ে এলসি খোলা যেতো, এখন শতভাগ মার্জিন দিয়ে এলসি করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেইক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) নির্বাহী কমিটির সদস্য আহসানুর রহমান আরজু বলেন, সব গাড়ির দাম-ই বেড়ে গেছে, এ কারণে বিক্রি এখন কম। সারাদেশে বিক্রি প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে। এছাড়া ডলার সংকট এবং এলসি খুলতে জটিলতার কারণে গাড়ি আমদানি করা হচ্ছে তুলনামূলকভাবে কম। সার্বিক পরিস্থিতিতে এই খাতের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

এদিকে এ পরিস্থিতির জন্য ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে জটিলতা ও অর্থনৈতিক মন্দাকে দায়ী করছেন। বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, বিলাসবহুল পণ্যের মধ্যে গাড়িও পড়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে আমদানিকারকরা যথাসময়ে এলসি খুলতে পারছে না। আগে যেখানে দশটা এলসি খুলতে পারতো, এখন সেখানে খুলছে তিনটা। গাড়ি বিক্রিও কমে গেছে। অনেক মানুষের পকেটে গাড়ি কেনার মতো টাকা নেই।

এ ব্যাপারে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে গত বছর গাড়ি আমদানিতে আমরা কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। চলতি অর্থবছরে তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। আমদানিকারকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।


আরও খবর
ভালুকা মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




রাসিকে ১ হাজার ১৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১ হাজার ১৫ কোটি ৩৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে নগর ভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বাজেট ঘোষণা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় রাসিকের বিশেষ সাধারণ সভায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ও ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাজেটের এর লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ হাজার ৭ কোটি ১৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৩২৩ টাকা ১১ পয়সা। সংশোধিত বাজেটে এর আকার ৬১৮ কোটি ১১ লক্ষ ২ হাজার ২১০ টাকা ১৭ পয়সা দাঁড়িয়েছে। আয় ও ব্যয় সমপরিমাণ ধরে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৫ কোটি ৩৪ লক্ষ ৭০ হাজার ১০০ টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রায় ১০ লক্ষ জনগোষ্ঠীর রাজশাহী মহানগরী দেশীয় ও আর্ন্তজাতিকভাবে সবুজ, পরিচ্ছন্ন, পরিবেশসম্মত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রিয় নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা ও সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলের নিরলস প্রচেষ্টায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। এবার আমার নির্বাচনী স্লোগান ছিল উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান। আগামী দিনে আমি ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং বেকারত্ব হ্রাস ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিসহ আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিসমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবো।

স্মার্ট রাজশাহী বির্নিমানে রাসিক মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা, ২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের দেশ হবে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ। সেই পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্মার্ট রাজশাহী বিনির্মাণে প্রকৌশলপত্র তৈরী করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ২০টি প্রকল্পের ১৬২টি উদ্যোগের মাধ্যমে রাজশাহীকে স্মার্ট নগরীতে রুপান্তর করতে লাগবে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা। জরুরি ভিত্তিতে বাছাই করে ২০২৪ সাল থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করা হবে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী মহানগরীকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার-এর গৃহিত ৮ম পঞ্চবার্ষিকী, এসডিজি, স্মার্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যানকে ভিত্তি ধরে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন ধরনের স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ৫ বছর স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা (২০২৪-২০২৯) হচ্ছে, ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং বেকারত্ব হ্রাস ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি। নদী ও বরেন্দ্র অঞ্চলভিত্তিক আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা। সিটি কর্পোরেশন এলাকা সম্প্রসারণ। রাজশাহী মহানগরীর প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প। রাজশাহী মহানগরীর কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন প্রকল্প। রাজশাহী মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণার্থে নর্দমা নির্মাণ প্রকল্প (৪য় পর্যায়) শুরু করা। মহানগরীর কুমারপাড়া গুলগোফুর পেট্রোল পাম্প হতে সাহেব বাজার বড় মসজিদ, বড়কুঠি, পাঠানপাড়া, শিমুলতলা ক্লাব হয়ে ফায়ারব্রিগেড মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প। রাজশাহী মহানগরীর চকপাড়া এলাকায় স্যাটেলাইট টাউন উন্নয়ন প্রকল্প। মহানগরীর ওয়ার্ড পর্যায়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সড়কবাতিতে আলোকায়ন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প। রিজিলিয়েন্ট আরবান এ্যান্ড টেরিটরিয়্যাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট। আন্তর্জাতিক নৌবন্দর স্থাপন। রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন ও বাস চলাচল চালু করা। বঙ্গবন্ধু রিভারসিটির সূচনা। ১০ বছর দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা (২০৩০-২০৪০) হচ্ছে, ১৫০ শয্যা রাজশাহী সিটি হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প। রাজশাহী মহানগরীর সম্প্রসারিত এলাকায় সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নয়ন প্রকল্প।রাজশাহী মহানগরীর ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থাপনার অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প। রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া এলাকায় পরিচ্ছন্ন কর্ম নিবাস নির্মাণ কাজ প্রকল্প। রাজশাহী মহানগরীতে শেখ রাসেল সায়েন্স সিটি ও সাফারি পার্ক নির্মাণ প্রকল্প। রাজশাহী মহানগরীর আন্ডার পাস প্রকল্প।

সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাজেট প্রণয়ন কমিটির আহবায়ক ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নিযাম উল আযীম, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী সহ অন্যান্য কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু।


আরও খবর
ভালুকা মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




বাগেরহাটের নয় মানবতাবিরোধীর রায় আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাগেরহাটের ৯ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করবেন। রায় ঘোষণার জন্য গত মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই দিন ধার্য করেন।

এ মামলায় বর্তমানে নয় আসামির মধ্যে ছয়জন পলাতক। কারাবন্দি তিন আসামি হলেন- খান আকরাম হোসেন, শেখ মো. উকিল উদ্দিন ও মো. মকবুল মোল্লা।

আসামিদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলো হলো: 

এক নম্বর অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ২৬ মে ১৫/২০ জন রাজাকার ও ২৫/৩০ জন পাকিস্তান দখলদার সেনাবাহিনীর সদস্যসহ বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানাধীন চাপড়ী ও তেলিগাতীতে নিরীহ নিরস্ত্র মুক্তিকামী মানুষদের ওপর অবৈধভাবে হামলা চালিয়ে ৪০/৫০টি বাড়ির সব মালামাল লুণ্ঠন করে, বাড়িঘর অগ্নিসংযোগে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে, দুইজন নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করে এবং ১০ জন নিরীহ নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের মানুষকে গুলি করে হত্যা করে।

দুই নম্বর অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ৭ জুলাই আসামিরা বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানাধীন হাজরাখালী ও বৈখালী রামনগরে হামলা চালিয়ে অবৈধভাবে নিরীহ নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের চারজন লোককে আটক ও অপহরণ করে আবাদের খালের ব্রিজে হত্যা করে মরদেহ খালে ফেলে দেয়।        

তিন নম্বর অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানাধীন ঢুলিগাতী গ্রামে হামলা চালিয়ে দুইজন নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাকে অবৈধ আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করে।

চার নম্বর অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানাধীন বিলকুল ও বিছট গ্রামে হামলা চালিয়ে চারজন নিরীহ নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের লোককে আটক ও অপহরণ করে কাঁঠালতলা ব্রিজে এনে নির্যাতন করার পর গুলি করে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়।

পাঁচ নম্বর অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানাধীন বিলকুল গ্রাম হতে নিরস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলী নকীবকে অন্যায়ভাবে আটক ও অপহরণ করে মোড়লগঞ্জ থানার দৈবজ্ঞহাটির গরুর হাঁটির ব্রিজের ওপরে নিয়ে নির্যাতন করার পর গুলি করে হত্যা করে।

ছয় নম্বর অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ১৬ অক্টোবর বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানাধীন উদানখালী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ নিরস্ত্র উকিল উদ্দিন মাঝিকে অবৈধভাবে আটক করে হত্যা করে এবং তার মেয়ে তাসলিমাকে অবৈধভাবে আটক ও অপহরণ করে কচুয়া রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে আসে। কচুয়া রাজাকার ক্যাম্প ও আশেপাশের রাজাকার ক্যাম্পে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে সলিমাসহ চারজনকে আটকিয়ে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ দখলদার মুক্ত হলে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার ক্যাম্প তল্লাশি করে ভিকটিম তাসলিমাকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন।

সাত নম্বর অভিযোগ : বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানাধীন গজালিয়া বাজারে হামলা চালিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরীহ নিরস্ত্র শ্রীধাম কর্মকার ও তার স্ত্রী কমলা রানি কর্মকারকে অবৈধভাবে আটক করে নির্যাতন করতে থাকে। আসামিরা শ্রীধাম কর্মকারকে হত্যা করে কমলা রানি কর্মকারকে জোরপূর্বক অপহরণ করে কচুয়া রাজাকার ক্যাম্পে এনে আটকে রাখে। উল্লিখিত আসামিসহ কচুয়া রাজাকার ক্যাম্প ও আশেপাশের রাজাকার ক্যাম্পে কমলা রানি কর্মকারসহ আটক করা অন্যান্য চারজনকে দীর্ঘদিন রাজাকার ক্যাম্পে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। প্রায় এক মাস শারীরিক নির্যাতনের পর কমলা রানি কর্মকার অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান।


আরও খবর
জামিন পেলেন না মির্জা ফখরুল

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান ও শ্রমিক নিহতের বিচার দাবিতে সমাবেশ, বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও জোট। ১২ হাজার ৫০০ টাকার বদলে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনে তিন শ্রমিক নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে বিচার দাবি করেন তাঁরা।

আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসব সংগঠন ও জোটের নেতারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। প্রেসক্লাবের সামনের তোপখানা সড়কের কদম ফোয়ারা অংশ থেকে পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে যায় বিক্ষোভ মিছিলটি।

বেলা পৌনে ১১টার দিকে পল্টন মোড়ের দিক থেকে প্রথমে মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে আসে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট। পরে সংগঠনটি প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করে।

সমাবেশে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা বলেন, শ্রমিকেরা ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা প্রত্যাখ্যান করেছেন। অবিলম্বে সর্বনিম্ন মজুরি ২৩ হাজার টাকা ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়। এতে শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বেলা ১১টার দিকে পুরানা পল্টন থেকে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আসে বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন নামের একটি সংগঠন। তারাও ১২ হাজার ৫০০ টাকার ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে। এ সমাবেশে সংগঠনের নেতা তোফাজ্জল হোসেনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াসিন ও সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত।

অন্যদিকে শ্রমিক ফেডারেশনের দাবি ছিল শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ। প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক ফেডারেশনের করা সমাবেশে নেতারা বলেন, শ্রমিকেরা ন্যায্যভাবে যখন মজুরির জন্য আন্দোলন করছেন, তখন সরকার মালিকদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের ওপর গুলি চালাচ্ছে। শ্রমের বিনিময়ে মজুরি চেয়ে শ্রমিকেরা গুলি পাচ্ছেন। ফেডারেশনের নেতারা আন্দোলনে নিহত তিন শ্রমিকের কথা উল্লেখ করে বিচার চান। নিহত তিনজন হলেনশ্রমিক আঞ্জুয়ারা, রাসেল ও ইমরান।

বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রেসক্লাবসংলগ্ন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে সমাবেশের জন্য দাঁড়ান ১১টি শ্রমিক সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের নেতারা। আগের দুটি সংগঠন সমাবেশ শেষ করলে তাঁরা প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে সমাবেশ শুরু করেন। আন্দোলনে নিহত তিন শ্রমিকের কথা উল্লেখ করে তাঁরা বিচার দাবি করেন। এ ছাড়া সবশেষ নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান, ১৩/১এর ধারা বন্ধ করে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ এবং অবিলম্বে মজুরি পুনর্বিবেচনা করে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে জোটের সমন্বয়ক তাসলিমা আক্তার বলেন, সরকার যে মজুরি ঘোষণা করেছে, তা আমাদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে না। আমরা যে মজুরি দাবি করেছি, সেই মজুরির ধারেকাছেও সেই প্রস্তাবনা নেই। সরকার ও মজুরি বোর্ড বলছে ৫৬ ভাগ মজুরি বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ধরলে ৩৯ ভাগ হয়। এর থেকেও কমে আসে মুদ্রাস্ফীতি হিসাব করলে। পেঁয়াজ ও আলুর দাম যে জায়গায় পৌঁছেছে, ১২ হাজার ৫০০ টাকায় শ্রমিকদের পক্ষে কোনোভাবেই বেঁচে থাকা সম্ভব নয় বলে জানান তাসলিমা আক্তার। তাই এই ন্যূনতম মজুরি 


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রম শেষে চুয়াডাঙ্গায় বৈধ প্রার্থী ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন পত্র বাছাই কার্যক্রম শেষে চুয়াডাঙ্গা এক ও দুই  আসনের বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। যাচাই বাছাই শেষ করে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ঘোষণা করেন।

ঘোষণায় রিটানিং অফিসার জানান, চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন মনোনয়ন পত্র বৈধ নির্বাচন হয়েছেন। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র নির্বাচন হয়েছেন স্বতন্ত্র দুইজন প্রার্থী । তারা হলেন, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, এম এ রাজ্জাক খান। এছাড়া এ আসন থেকে অন্য দলের মধ্যে মনোনয়নপত্র নির্বাচন হয়েছেন জাতীয় পার্টির অ্যাড. সোহরাব হোসেন, এনপিপির (ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি) ইদ্রিস চৌধুরী, জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী সালাম উদ্দিন হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এম শহিদুর রহমান। এই আসন থেকে যারা নির্বাচন হননি তারা হলেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আফরোজা পারভীন ও শেখ সামসুল আবেদিন খোকন। এছাড়া এ আসন থেকে অন্য দলের মধ্যে মনোনয়নপত্র নির্বাচন হোননি তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তাইজেল হক ।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে নির্বাচন হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্র্থী হিসেবে নির্বাচন হয়েছেন হাশেম রেজা। এছাড়া এ আসন থেকে অন্য দলের মধ্যে মনোনয়নপত্র নির্বাচন হয়েছেন জাতীয় পার্টির অ্যাড. রবিউল ইসলাম, জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান যুবরাজ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) দেওয়ান ইয়াছিন উল্লাহ ও এনপিপির (ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি) ইদ্রিস চৌধুরী। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন হননি তারা হলেন, নুর হাকিম, মির্জা শাহরিয়ার লন্টু, নজরুল মল্লিক ও আব্দুল কাদের মোল্লা। তবে এই আসন থেকে অন্যদলের মধ্যে কেউ অবৈধ বলে কোনো প্রার্থী বাদ যাননি।

মনোনয়ণ পত্র ঘোষণার শেষ পর্বে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, চুয়াডাঙ্গা এক আসনের ১০ টি মনোনয়ন পত্র দাখিলের মধ্যে যাচায় বাছায় সম্পন্ন করে ৭ টি মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ৩ টি অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অপর পক্ষ চুয়াডাঙ্গা ২ আসনে ১০ টি মনোনয়ন পত্র দাখিলের মধ্যে যাচায় বাছায় সম্পন্ন করে ৬ টি মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ৪ টি অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। যে সকল প্রার্থী অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে তাদের কারোর বিদুৎ বিল বাকি, আয় কর, পৌর কর বাকি। আবার এক শতাংশের কম সর্মথন মেলেনি প্রার্থীর তাই ওই সকল প্রার্থীদের অবৈধ বলে বাতিল করা হয়েছে।


আরও খবর
ভালুকা মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




শ্বশুরের নির্বাচনী আসনে জামাই এসপি, বদলি চেয়ে আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শ্বশুর প্রার্থী তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারকে বদলির দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। এ আবেদনের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছেও।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এই আবেদনটি করেছেন যশোরের শার্শা উপজেলার কনদাহ গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন আলম। আবেদনের পর সপ্তাহ পার হলেও এখনও বদলির ব্যবস্থা করা হয়নি এই এসপিকে।

আরও পড়ুন>> বদলির জন্য ইসিতে আরও ১০০ ইউএনওর নাম

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে করা আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার যশোরে জেলায় প্রায় তিন বছর কর্মরত আছেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা হলেও তার শ্বশুর বাড়ি মণিরামপুর উপজেলায়। তিনি যশোর-৫ অর্থাৎ মনিরামপুরের বর্তমান সংসদ সদস্য ও পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের জামাই হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। স্বপন কুমার ভট্টাচার্য এবারও একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। আত্মীয়তার কারণ ছাড়াও বর্তমান যশোর-১ আসনের এমপি আফিল উদ্দিনসহ অনেকের সঙ্গে তার রয়েছে ব্যক্তি পর্যায়ের সুসম্পর্ক রয়েছে। যা আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে বলে বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, সম্প্রতি প্রলয় কুমার জোয়ারদার নিয়মিত পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি হয়েছেন। সাধারণত নিয়মিত পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা পূর্ব পদে কর্মরত থাকেন না।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যেন জয়ী হতে না পারে সেজন্য ডামি বা স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন যশোর-৫ সহ (মনিরামপুর) বেশিরভাগ আসনে। তাই ভোটারদের শঙ্কামুক্ত রেখে ও উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এই এসপিকে বদলির আবেদন জানানো হয়েছে৷


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩