দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি:
ষষ্ঠ ধাপে ইউপি নির্বাচনে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো ইভিএমের মাধ্যমে ভোটে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নে সব কয়টিতেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে বেলা ১২ টার আগে বিভিন্ন অভিযোগ এনে দোহারের কয়েকটি ইউনিয়নে ৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জনের খবর পাওয়া যায়। এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বর্তমান সরকারের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নের কারণে ভোটাররা নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলে জানান আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা।
নির্বাচন অফিসের সূত্রানুযায়ী, দোহার উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন- উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নে রাশেদ চোকদার, নারিশা ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন, মুকসুদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ হান্নান, কুসুমহাটি ইউনিয়নে আব্দুল কাদের মন্ডল এবং নয়াবাড়ি ইউনিয়নে তৈয়বুর রহমান তরুন।
অপরদিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন-উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকে রেশমা আক্তার, আগলা ইউনিয়নে শিরিন চৌধুরী, বক্সনগর ইউনিয়নে আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, শিকারীপাড়া ইউনিয়নে আলীমোর রহমান পিয়ারা, কৈলাইল ইউনিয়নে বশির আহমেদ, চুড়াইন ইউনিয়নে মো. আব্দুল জলিল, নয়নশ্রী ইউনিয়নে মো. পলাশ চৌধুরী, শোল্লা ইউনিয়নে মো. মিজানুর রহমান, বারুয়াখালী ইউনিয়নে এমএ বারী বাবুল, বান্দুরা ইউনিয়নে মো. হুমায়ুন কবির, গালিমপুর ইউনিয়নে আজিজুর রহমান, কলাকোপা ইউনিয়নে মো. ইব্রাহীম খলিল, যন্ত্রাইল ইউনিয়নে একেএম মনিরুজ্জামান এবং বাহ্রা ইউনিয়নে সাফিল উদ্দিন মিয়া নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলা পরিষদ হলরুমে বেসরকারিভাবে প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ও বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন কর্মকর্তা।