আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ড্রোন উড়িয়ে সমাবেশের ওপর নজর রাখবে ডিএমপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ডাকা সমাবেশকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। কাদের দায়িত্ব কোথায় হবে, কে কোন ধরনের দায়িত্ব পালন করবে, কে কোন বিষয়গুলো মনিটরিং করবে এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ইউনিট থেকেও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে আসা হচ্ছে। এরই মধ্যে সমাবেশ স্থলে এবং আশেপাশে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। সমাবেশের দিন ড্রোন উড়িয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে ডিএমপি।

ডিএমপি সূত্র বলছে, রাজনৈতিক দলগুলো কোনও সংঘাতে না জড়িয়ে নির্ঝঞ্ঝাটভাবে সমাবেশ শেষ করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তারপরও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সমাবেশস্থলের প্রতিটি জায়গা সিসিটিভি মনিটরিংয়ে থাকবে। এরই মধ্যে পল্টন থেকে নাইটেঙ্গেল মোড় হয়ে দৈনিক বাংলা, বায়তুল মোকাররমের আশপাশসহ বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সমাবেশের আগে, সমাবেশ চলাকালীন সময় এবং সমাবেশের পর নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি নজরদারি রাখা হবে। এছাড়া যারা বিভিন্ন ইউনিট থেকে আসবে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া এবং কোন অবস্থায় কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে তার বিষয়গুলো জানিয়ে দেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন>> সতর্ক থাকুন, কেউ যেন নির্বাচন ভন্ডুল-প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আরেকটি সূত্র বলছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেগুলো রয়েছে সেগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। মেট্রোরেলের নিরাপত্তা, বঙ্গভবন, বিভিন্ন বৈদ্যুতিক স্টেশন, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনা (কেপিআই) যেগুলো রয়েছে সেগুলোর নিরাপত্তার জন্য নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বাড়ানো হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। বিভিন্ন ইউনিট থেকে আনা সদস্যদের রাজারবাগসহ বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে। সবার কাজকর্ম, নিরাপত্তা দায়িত্ব কী হবে তা বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনও ধরনের উসকানি দিতে না পারে, অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে জোরদার করা হয়েছে সাইবার মনিটরিং। সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনও ধরনের গুজব সৃষ্টি করে নিরাপত্তা হুমকি যেন সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারটিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা নজরদারিতে রাখছেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ মহিউদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সমাবেশ পালন করবে এবং আমরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবো। সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া দরকার সেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা কিংবা ওয়ারেন্ট জারি রয়েছে তাদেরই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে। এছাড়া সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ মুখগুলোতে পুলিশি চেকপোস্ট করা হবে। যাদের সন্দেহ হবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


আরও খবর



বিশ্ব চিঠি দিবস আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস আজ। একসময় যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল চিঠি। কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চিঠি লেখার মাধ্যমেরও পরিবর্তন হয়েছে।

বহু আগে ইংরেজ কথাকার সমারসেট মম যা বলেছিলেন, বর্তমানের বাস্তবতায় সেটাই সত্যি। চিঠি লেখা আসলেই এক হারিয়ে যাওয়া শিল্প।

ভালো আছি ভালো থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো, এই গানের বোল বাঁধতে গিয়ে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ কি কোনো দিন ভেবেছিলেন যে মানুষ একসময় শুধুই আকাশের ঠিকানায় অর্থাৎ অন্তর্জালে (ই-মেইলে) চিঠি লিখবে!

শেষ কবে চিঠি লিখেছেন বা পেয়েছেন? এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো অনেকেই দিতে পারবে না। প্রযুক্তির কল্যাণেই চিঠি লেখার শিল্প প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

ঘোড়ার ডাক প্রচলনের আগে কীভাবে চিঠি আদান-প্রদান হতো, তা নিয়ে দ্বিমত থাকলেও আজকাল দাপ্তরিক কাজের নথি বা আবেদনপত্র ছাড়া কেউ ডাকঘরে যে যায় না, সেটা সবারই জানা।

অথচ অনেক দশক আগেও দূরে থাকা আপনজনের সঙ্গে যোগাযোগের একটি মাধ্যমই ছিল চিঠি। শুধু দূরে নয়, খুব কাছের মানুষকেও মুখে বলতে না পারা কথাগুলোও সযত্নে সাজিয়ে জানাতেন চিঠিতে। এক একটি চিঠিতে নানান গল্প ও ইতিহাস বহন করত।

তবে বর্তমানে ই-মেইলে আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খুদে বার্তার ভিড়ে কাগজের চিঠি হারিয়ে গেছে। ছোট ছোট বাক্যে, কাটছাঁটকৃত শব্দে বিন্যস্ত এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ভাষাবিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন টেক্সটস্পিক। কারও সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন হলেই, চট করে বাংলা-ইংরেজি মিশিয়ে ইনবক্সে পাঠানো যায়।

আবেগ এখন আর শব্দে প্রকাশ পায় না। আবেগ বোঝাতে মেসেঞ্জার বা হোয়াটস্যাপে ইমোজি পাঠানো হয়। তবে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) না হয় চিঠি দিবসকে কেন্দ্র করে কাগজ-কলমে আপনজনকে মনের কথাগুলো চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারেন।

প্রতিবছর আজকের এই দিনে পালিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস। এই দিবসের শুরু ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক রিচার্ড সিম্পকিনের হাত ধরে। নব্বই দশকের শেষের দিকে তিনি দেশের বড় ব্যক্তিত্বদের চিঠি পাঠাতেন। তবে বেশিরভাগ সময় তিনি সেসব চিঠির উত্তর পেতেন না। আর যখন কোনো চিঠির উত্তর পেতেন, তখন তার আনন্দের সীমা থাকত না। সেই ভালোবাসা থেকে সিম্পকিন ২০১৪ সালে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেন। কারণ, তিনি চেয়েছিলেন চিঠি লেখার চর্চা আবার ফিরে আসুক।


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




আত্মগোপনে সিসিক'র কাউন্সিলররা নাগরিক সেবা ব্যাহত

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট সিটি করপোরেশনের এক ডজন ওয়ার্ড কাউন্সিলের হদিস পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডবাসী। এদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের প্রভাবশালী নেতা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর নগর ভবনে পা বাড়াননি তাঁরা।এমনকি বাসা-বাড়িতে মিলছে না তাঁদের। জনপ্রতিনিধিরা না থাকায় বেকায়দায় পড়ছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নাগরিকরা। জন্ম সনদ, জাতীয়তা, ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনে কাউকে পাচ্ছে না তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নাগরিকরা।

আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই জনপ্রতিনিধিরা কোথায় আছেন-তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তাদের ঘনিষ্টজনরাও। যদিও এসব কাউন্সিলরদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে হত্যাসহ নাশকতার মামলা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর দাপুটে এই জনপ্রতিনিধিরা জনরোষে আক্রান্ত হওয়ার ভয় আর গ্রেফতার আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়েছেন। দেশ ছেড়েছেন তাদের অনেকেই।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া সিলেট সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মধ্যে রয়েছেন ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাট, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একে এ লায়েক, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ তোফায়েল আহমদ সেপুল, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাশ, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আজাদুর রহমান আজাদ, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রুহেল আহমদ ও ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম।

৫ আগস্টের পর এলাকায় অববস্থান ও সামাজিক অনুষ্টানে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. মখলিছুর রহমান কামরান এবং ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদকে দেখা গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদেরও দেখা মিলছে না।

এছাড়া একটি মামলায় কারাগারে আছেন ৩৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু। খোঁজ মিলছে না ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস লিপনেরও। কয়েকজন কাউন্সিলর বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের পরামর্শে এলাকায় থাকার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি এক সামাজিক অনুষ্টানেও আওয়ামী লীগের দাপুটে কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মখলিছুর রহমান কামরানকে বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নিতে দেখা গেছে। কিন্তু এর পর তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হওয়ার পর থেকে কামরানের খোঁজ মিলছে না।

ইতোধ্যে হত্যা, নাশকতাসহ একাধিক মামলার আসামি হয়েছেন ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. আজাদুর রহমান আজাদ, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জগদীশ চন্দ্র দাশ, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মো. মখলিছুর রহমান কামরান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা ও ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রুহেল আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাট, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একে এ লায়েক, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ তোফায়েল আহমদ সেপুল, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ ও ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টুর বিরুদ্ধে।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রভাবশালী ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মধ্যে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন জগদীশ চন্দ্র দাশ, আজাদুর রহমান আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম ও মো. রুহেল আহমদ। তারা ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে অবস্থান করছেন। দেশ ছাড়ার অপেক্ষায় আছেন আরও কয়েকজন কাউন্সিলর। সুযোগ পেলেই তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত পালাবেন।

সিলেট করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, নগরভবনে প্রতিদিন উপস্থিত হওয়ার কাউন্সিলরদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তবে সেবা দিতে হবে, এটি বাধ্যতামূলক। কয়েকজন সাধারণ কাউন্সিলরকে পাচ্ছেন না নাগরিকরা, এটি সত্যি। তবে সংরক্ষিত ওয়ার্ড (নারী) কাউন্সিলরদের দ্বারা তাদের কাজ পূরণ হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন কোনো কাউন্সিলরের সেবা না দেওয়ার বিষয় প্রমাণিত হলে স্থানীয়র সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তাদের বিরুদ্ধে।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণবিরোধী বিল পেশ, দোষীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে নারীদের ওপর অত্যাচার, অশালীন আচরণ ও ধর্ষণের শাস্তির ব্যবস্থা করতে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিল এনেছে মমতার সরকার। যার নাম দেওয়া হয়েছে, অপরাজিতা, নারী ও শিশু সুরক্ষা বিল। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টম্বর) শাসক এবং বিরোধী দুই এর তরফে সম্মতি জানিয়ে বিল আনা হয়েছে।

এবার এই বিল যাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল তাতে সম্মতি দিয়ে সই করলে, তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি যদি বিলে সবুজ সংকেত দেয় তবেই সেই বিল আগামীতে আইনে পরিণত হবে। এটি একটি দীর্ঘ পদ্ধতি।

প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার যদি মৃত্যু হয়, নির্যাতিতা কোমা বা চিরকালের মতো শারীরিক-মানসিক অথর্ব হয়ে যায়, তাহলে দোষীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনায় যে বা যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ঘটনা যদি গুরুতর হয় তাহলে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং জরিমানা।

দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই বিলে। পুলিশের কাছে এফআইআর হওয়ার পর যত দ্রুত তদন্তকাজ শেষ করতে হবে। 

জেলাস্তরে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন। এর নাম হবে অপরাজিতা টাস্ক ফোর্স। যার নেতৃত্বে থাকবেন ডেপুটি পুলিশ সুপার। অপরাধের তদন্তে এই টাস্ক ফোর্সই দায়িত্বশীল থাকবে। 

স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ছাড়াও ধর্ষণের মামলার দ্রুত বিচারের জন্য বিশেষ আদালত ও তদন্ত দল গঠন করা হবে। রাজ্য সরকার প্রস্তাব রেখেছে, ৫২টি বিশেষ আদালত গঠনের।

অ্যাসিড আক্রান্তের ঘটনায়ও আমৃত্যু যাবজ্জীবন, ক্ষেত্রবিশেষে প্রাণদণ্ডের প্রস্তাব রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত বিলে।

মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী, বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে, প্রথম বলার অনুমতি দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুভেন্দু বক্তব্য, ভারতীয় আইনে ধর্ষণ ও শ্লীলতার ঘটনায় যথেষ্ট কঠোর ব্যবস্থার কথা বলা রয়েছে। ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজাও রয়েছে। সেই আইনানুযায়ী, ২০১১ সালে ঘটে যাওয়া দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডে অভিযুক্তদের ফাঁসি হয়েছিল। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে বিল বিধানসভায় আনার চেষ্টা করছে তা স্রেফ আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা। তার বেশি কিছু নয়। 

জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এখন এই বিল রাজ্যপালের কাছে যাবে। উনি তাড়াতাড়ি সই করে দিলেই বিল কার্যকর হবে। রাজ্যপালের সইয়ের পর বিল কার্যকর না হলে দায়িত্ব আমাদের। রাজ্যপালের অনুমোদন পেলেই তা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে যাবে। তিনি সই করলেই এটা আইন হিসেবে কার্যকর করা হবে। তার দায়িত্ব আমাদের।

অপরাজিতা বিল প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, এই বিল একটা ইতিহাস! প্রধানমন্ত্রী পারেননি। আমরা পারলাম। করে দেখালাম। প্রধানমন্ত্রী দেশের লজ্জা। উনি দেশের নারীদের রক্ষা করতে পারেননি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।

মমতার অভিযোগ, এই ঘটনা নিয়ে নির্লজ্জ রাজনীতি হচ্ছে। বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। মনে রাখবেন, বাংলাকে বদনাম করলে আপনার গায়েও তা লাগবে। আমার গায়েও লাগবে। আমাকে এবং বাংলাকে নিয়ে সবসময় কুৎসা চলছে। আমরা যদি নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বিরুদ্ধে বলি তাহলে কী করবেন?

গতকালই দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল ডা. সন্দীপ ঘোষ। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি সিবিআই। কিন্তু এখনও নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় একজন বাদে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে মঙ্গলবার দিনভর অন্দোলন চলছে চিকিৎসক থেকে নাগরিক সমাজের।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কমলো জ্বালানি তেলের দাম, আজ মধ্যরাত থেকেই কার্যকর

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার (৩১ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এ খবর জানিয়েছেন।

এদিন বেলা ১১টার দিকে খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত নির্মাণাধীন রুপসা ৮০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আজ রাত ১২টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, ডিজেলের দাম ১০৬.৭৫ টাকা থেকে ১.২৫ টাকা কমিয়ে ১০৫.২৫ টাকা, অকটেনের দাম ১৩১ টাকা থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকা থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের ধারাবাহিকতায় ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বর্তমান বিক্রয়মূল্য লিটারপ্রতি ১০৬ দশমিক ৭৫ টাকা থেকে ১ দশমিক ২৫ টাকা কমিয়ে ডিজেল ১০৫ দশমিক ৫০ টাকা ও কেরোসিন ১০৫ দশমিক ৫০ টাকা করা হয়েছে। একইসঙ্গে পেট্রোলের বর্তমান মূল্য ১২৭ টাকা থেকে ছয় টাকা কমিয়ে ১২১ টাকা এবং অকটেনের মূল্য ১৩১ টাকা থেকে ছয় টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করা হয়েছে।

পুনর্নির্ধারিত বা সমন্বয়কৃত এই মূল্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর বলে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে এই সংক্রান্ত গ্যাজেটও প্রকাশিত হয়েছে।

উচ্চ মূল্যস্ফৃীতি নিয়ন্ত্রণে বিপিসি মুনাফা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার। ফলে সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহকরা কমমূল্যে বাজারে জ্বালানি তেল কিনতে পারবেন।


আরও খবর



আন্দোলনে হতাহতদের মূল তালিকা হয়ে গেছে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতদের মূল তালিকা হয়ে গেছে। বর্তমানে দূর-দূরান্তে যাদের লাশ নেয়া হয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যগুলোর পূর্ণাঙ্গতা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাসপূর্তি উপলক্ষে দেয়া বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, আমাদের প্রধান দায়িত্বগুলোর মধ্যে একটি হলো বিপ্লবের সময় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হাজার হাজার মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা। শেখ হাসিনার দুর্বৃত্তরা তাদের চোখ লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ায় অসংখ্য তরুণ শিক্ষার্থী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো তাদের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে।

তিনি বলেন, আমরা শহিদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছি। মূল তালিকা হয়ে গেছে। এখন শুধু দূর-দূরান্তে যাদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যগুলোতে পূর্ণাঙ্গতা দেয়া হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, আন্দোলনে আহত শত শত মানুষ যাদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহিদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য একটি ফাউন্ডেশন তৈরির শেষ পর্যায়ে আছে। যাদের শাহাদাতের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে আমরা তাদের কখনোই ভুলবো না।

১৫ বছরে গুমের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা বলপূর্বক গুম থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন সনদে স্বাক্ষর করেছি। ফলে স্বৈরাচার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত গুম সংস্কৃতির সমাপ্তি ঘটানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি। আলাদাভাবে আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনের ১৫ বছরে বলপূর্বক গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্তে একটি কমিশন গঠন করছি। যেসব পরিবার তাদের নিখোঁজ পিতা, স্বামী, পুত্র এবং ভাইদের পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে যন্ত্রণার সঙ্গে অপেক্ষা করছেন, আমরা আপনাদের বেদনায় সমব্যাথী। আয়নাঘরগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই আমরা বলপূর্বক গুমের শিকার ভাই-বোনদের কষ্ট ও যন্ত্রণা সম্পর্কে জানতে পারবো।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুঃশাসন ও স্বৈরাচার দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত পূরণ করা। এজন্য আমাদের প্রয়োজন একতা ও সমন্বয়। আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা নিলাম শহিদদের রক্ত এবং আহত ভাই-বোনদের আত্মত্যাগকে জাতি হিসাবে আমরা কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেবো না। যে সুযোগ তারা আমাদের তৈরি করে দিয়েছেন সে সুযোগকে আমরা কখনো হাতছাড়া হতে দেবো না। আজ তাদের স্মৃতিময় দিনে আবারও প্রতিজ্ঞা করলাম তাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বোই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ এই স্মৃতিময় বিষাদ দিনে আমি শহিদদের প্রতিটি পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের প্রতি জানাই অসীম কৃতজ্ঞতা। আমি সকল শহিদ পরিবারের সদস্যদের রাজধানীতে আমন্ত্রণ জানাবো, কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের সঙ্গে দেখা করব। আমি তাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা কখনোই শহিদদের স্বপ্নের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবো না।


আরও খবর