আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দলের নেতাকর্মীদেরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে প্রস্তুত হতে হবে। সারা বাংলাদেশে সবার উদ্দেশ্যে বলছি, বাড়াবাড়ি করবেন না। ক্ষমতার দাপট কেউ দেখাবেন না। কাউকে ক্ষমা করা হবে না। শেখ হাসিনার শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে। 

তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজরা এই দেশে বেশি দুর্নীতি দুর্নীতি করে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের মধ্যে কত যে দুর্নীতিবাজ, একটু খুঁজে দেখেন, পেয়ে যাবেন। দুর্নীতিবাজ আছে আশে-পাশে। দুর্নীতিবাজের ক্ষমা নেই।

বিএনপির দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই, দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিএনপির কোনো কথা বলার থাকে না। কারণ, বিএনপি মানেই দুর্নীতিবাজ। জাতীয়তাবাদী দুর্নীতিবাজ দল, আমরা শক্তি আমরা বল।

বিএনপি নেতা তারেক রহমানের দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারেক রহমান পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। কীসের অভিযোগ হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার। এখন বিএনপির নেতারা দুর্নীতির বিরেুদ্ধে কথা বলে। আপনাদের এক নাম্বার নেতাই তো দুর্নীতিবাজ, হাজার হাজার টাকা পাচার করে আরাম-আয়াশে দিন কাটাচ্ছে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, সাঈদ খোকন প্রমুখ। 


আরও খবর



চিপস নিয়ে ফেরা হলো না দুই শিশুর, পুকুরে মিললো মৃতদেহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দোকান থেকে চিপস নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় ওমর ফারুক (৫) ও জিহাদ হোসেন মানিক (৬) নামের দুই শিশু। পরে তাদের মৃতদেহ মিলেছে বাড়ির পাশের পুকুরে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে উপজেলার ৫ নম্বর সদর ইউনিয়নের সুহিলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু ওমর ফারুক ওই গ্রামের হাওলাদার বাড়ির শাহ পরানের ছেলে এবং জিহাদ হোসেন মানিক একই বাড়ির জুয়েলের ছেলে।

স্বজনরা জানান, বিকেল থেকে শিশু ফারুক ও জিহাদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ ধরার জাল ফেলে তাদের সন্ধান মেলে। জালে উঠে আসে তাদের মৃতদেহ।

পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুফ প্রধানিয়া।

হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গুপীনাথ বলেন, ওমর ফারুকের বাবা শাহ পরান দুই শিশুকে দোকান থেকে চিপস কিনে দিয়ে বাড়িতে পাঠান। কিন্তু অবুঝ দুই শিশু বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছায়নি। পুকুর থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাতেই মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



যাদবপুরে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর লোকসভা আসনে বিজেপির অনির্বান গাঙ্গুলির চেয়ে সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ। এই আসনে সিপিআইএম দলের যুব নেতা সৃজন ভট্টাচার্যকে নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল।

এক সময়ের ছাত্রনেতা, বর্তমানে যুবনেতা সৃজন ভট্টাচার্য ভোটের প্রচারে বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত তিনি মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রের বেশিরভাগ আসনে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ওই রাজ্যের ৪২টি আসনে ৫০৭ জন প্রার্থী লড়াই করছেন।

৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগণনা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গের ১৮টি আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল। ওই রাজ্যে ১১টি আসনে বিজেপি এবং দুইটিতে এগিয়ে আছে কংগ্রেস। সেখানে এখনো একটি আসনেও জয়ী হতে পারেনি সিপিএম।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় পুরো দেশের ৫৪২টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভোটগণনা। সুরাত কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী। ফলে গণনা শুরুর আগেই এক আসনে এগিয়ে গেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ।

প্রাথমিক তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ভোট গণনায় এগিয়ে আছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। ভোট গণনার প্রথম এক ঘণ্টায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এগিয়ে আছে ২৫৭টি আসনে। ইন্ডিয়া’ জোট এগিয়ে ১৪৫টি আসনে এবং অন্যরা এগিয়ে ১৯টি আসনে।

বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে প্রাথমিক তথ্যে এগিয়ে আছেন নরেন্দ্র মোদী। অমেঠী কেন্দ্রে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি। অপরদিকে গান্ধীনগরে এগিয়ে আছেন অমিত শাহ। হামিরপুরে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী অনুরাগ ঠাকুর, কনৌজ কেন্দ্রে এগিয়ে আছেন অখিলেশ যাদব। তবে রায়বরেলী এবং ওয়েনাড় দুই কেন্দ্রেই এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।


আরও খবর



সাপে কামড়ের পর ওঝার ঝাড়ফুঁক, অতঃপর মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাওন মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর

Image

শরীয়তপুরের জাজিরায় বিষধর সাপের কামড়ে রহিমা বেগম (৬২) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের ইয়াসিন আকন কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া বৃদ্ধা রহিমা বেগম একই এলাকার নুর মোহাম্মদ তালুকদারের স্ত্রী।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবার রান্না করছিলেন রহিমা বেগম। এসময় তার বাম পায়ে একটি বিষধর সাপ কামড় দেয়। তিনি চিৎকার দিলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে আজিমউদ্দিন মোড়ল নামের এক স্থানীয় ওঝার কাছে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থা খারাপ হলে, জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে রহমান তালুকদার বলেন, সাপে কামড় দিলে মাকে স্থানীয় ওঝা আজিমউদ্দিন মোড়লের কাছে নিয়ে যাই। তিনি ঝাড়ফুঁক দেওয়ার এক পর্যায়ে মায়ের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাপে কামড়ের সঙ্গে সঙ্গে যদি মাকে ওঝার কাছে না নিয়ে হাসপাতালে যেতাম, তাহলে হয়তো আমার মাকে বাঁচাতে পারতাম।

এ ব্যাপারে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ কবির আলম বলেন, সাপে কামড়ানো এক বৃদ্ধাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করি। তার বাম পায়ে সাপে কামড়ের ক্ষতস্থান দেখে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, সাপের কামড়ে বৃদ্ধার মৃত্যুর বিষয়ে অপচিকিৎসা সংক্রান্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বেনজীর-মতিউরের নামে মামলা এ সপ্তাহেই

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ ও সদ্য সরিয়ে দেওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আর সময় নেবে না। এরই মধ্যে দুজনের নামে বিপুল সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। এর ভিত্তিতে এ সপ্তাহের মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। তাদের পরিবারের অভিযুক্ত সদস্যদেরও মামলায় আসামি করা হবে। দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দুদক সূত্র জানায়, এরই মধ্যে তিন দফায় বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যের বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ওই সব সম্পদ তাঁর বৈধ আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। এজন্য তাদের অর্থসম্পদকে অপরাধলব্ধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

একইভাবে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য রয়েছে দুদকের হাতে; যা তাঁর বৈধ আয়ের চেয়ে অস্বাভাবিক। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চাকরিজীবনে তিনি বৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন গাণিতিক হারে, আর অবৈধ সম্পদ কামিয়েছেন জ্যামিতিক হারে।

বেনজীর ও মতিউর ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে এবং সেগুলো ভোগদখলে রেখে দুদক আইনে শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তারা অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে উপার্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। ওই সব ধারায় তাদের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা মামলা হবে।

গেল ২৩ ও ২৬ মে আদালতের আদেশে বেনজীর, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে থাকা বিপুল সম্পদ, ব্যাংক হিসাব, শেয়ারসহ অন্য সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়। তাদের নামে থাকা ৮৩টি দলিলে ৬২১ বিঘা জমি, গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দ, ৩৮টি ব্যাংক হিসাব ও তাদের মালিকানার কোম্পানিও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ওই দুই দিনে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যের নামে থাকা ৩৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

ঢাকা, সাভার, রূপগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ওই সব সম্পত্তি বেনজীর, তাঁর স্ত্রী জীশান মীর্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে রয়েছে।

বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। গত ৩ মে পর্যন্ত তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশেই ছিলেন। সপরিবারে বেনজীর সিঙ্গাপুর চলে যান গত ৪ মে। এ সময়ের মধ্যে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে তারা বিদেশে পাড়ি জমাতে পারতেন না।

এদিকে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগে নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। চাকরিকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট, জমি, ব্যবসা, শেয়ার, ব্যাংকে জমানো টাকা, ব্যাংকে মেয়াদি আমানতসহ অন্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। অপরাধলব্ধ অর্থ রেখেছেন দুই স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের নামেও। ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী, বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, জমি, রিসোর্ট, ফ্ল্যাট, প্লটসহ নানা সম্পদ রয়েছে নামে-বেনামে। অন্য স্থাবর সম্পদও রয়েছে। তাঁর প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কনিজ, তাঁর মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতা ও ছেলে তৌফিকুর রহমান অর্ণব, দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী ও তাঁর ছেলে মুশফিকুর রহমান সিফাতের নামে রাখা হয়েছে নানা সম্পদ।

সম্প্রতি মতিউর রহমানের ছেলে ইফাতের ১২ লাখ টাকায় কোরবানির ছাগল কেনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বেরিয়ে আসে আড়ালে থাকা এ সরকারি কর্মকর্তার সম্পদের পাহাড়।


আরও খবর



সেন্টমার্টিন নিয়ে সরকারের নীরবতা দাসসুলভ আচরণ: ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকারের নীরবতা দাসসুলভ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার পথে মিয়ানমার থেকে গুলি করা হচ্ছে, সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে কিন্তু সরকার এখনো নীরব। সরকারের নতজানু নীতির কারণেই এমন হচ্ছে। বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে সরকার। সীমান্তে হত্যা করলেও পানি না দিলে সরকার কথা বলে না।

ফখরুল বলেন, বেনজীর, আজিজ ও আনারের ভয়াবহ অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসতে শুরু করেছে। ভাইদের পাসপোর্ট জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠা সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের বিচার দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, সাবেক পুলিশপ্রধান ডাকাতের মতো সম্পদ অর্জন করেছেন। বর্তমান সরকারের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। ডান-বাম সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

সরকার পতনের আন্দোলনে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।


আরও খবর