আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

এআই ব্যবহারের অনুমতি পেল শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্টে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করতে পারবে। এশিয়া ও ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এ অনুমতি দিয়েছে। কথাবার্তা চলছে অস্ট্রেলিয়াতেও। চলতি সপ্তাহেই সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটি অনুমতি দিয়েছে।

আর পার্থে ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ জেনারেটিভ এআই ব্যবহারের ঝুঁকি এবং উপকারিতা নিয়ে কথা বলেছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। আবার কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ হংকং।

দ্রুতগতি এবং দক্ষতায় প্রযুক্তিটি একদিকে যেমন শিক্ষকদের জন্য সংকট তৈরি করেছে, অন্যদিকে গবেষণায় এর ব্যবহারে সুফল নিয়েও অনেকেই আশাবাদী-রয়টার্স। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাঠের বিষয়গুলোকে আরও ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারবে, প্রযুক্তিটি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত টিউটর হিসাবে সাহায্য করতে পারে। বলেছেন স্টকহোমভিত্তিক কেটিএইচ রয়াল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট লেইফ কারি।

এদিকে শিক্ষা গবেষণায় জেনারেটিভ এআই ব্যবহারে নীতিমালা প্রকাশ করে ইউনেস্কো বলেছ, ডেটা সুরক্ষার মতো বিষয়গুলোতে পুনর্মূল্যায়নের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও যথাযথ এআই দক্ষতা থাকা নিশ্চিত করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: এআই

আরও খবর
আইফোন ১৬ সিরিজের নতুন ফিচার ফাঁস

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন: নেতৃত্বের আলোচনায় যারা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের ৪র্থ সম্মেলনে আগমী ১৯ সেপ্টেম্বর। এর আগে সর্বশেষ কমিটি ঘোষণা হয় ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বরে। একই কমিটি প্রায় ৭বছর দায়িত্বে থাকার পর নতুন কমিটি গঠনের লক্ষে সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শাখা সম্মেলনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নেতৃত্বে আসতে স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন অনেকেই। ক্যাম্পাসে নিয়মিত শোডাউনও দিচ্ছেন পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। নেতৃত্বে আসতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কিছু পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতার নাম এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে ক্যাম্পাসে।

রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে ক্লিন ইমেজধারী, সৎ, যোগ্য এবং নেতৃত্বদানে ক্ষমতাসম্পন্ন পদপ্রত্যাশীদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, নাকি অর্থের বিনিময়ে নেতৃত্বে চলে আসবেন দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজিতে জড়িতরা, সে নিয়ে চলছে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ। সবকিছু ছাপিয়ে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন নেতৃত্বে আসার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য সৌমিক সাহা। তিনি কম্পিউটার কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাসা ফরিদপুর সদর উপজেলায়। তিনি ক্যাম্পাসে শুরু থেকেই ছাত্রলীগের সাথে সক্রিয় ছিলেন বলে জানা গেছে।

উপ-গ্রন্থনা ও প্রকশনা সম্পাদক মো: ছালাতিজ্জোহা ইফতি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাসা বোয়ালিয়া রাজশাহী। সহ-সভাপতি মো. ফাহমিদ লতিফ (লিয়ন)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাসা নীলফামারীতে।

তবে মনোনয়ন দৌড়ে আরও একাধিক নেতাকর্মী এগিয়ে থাকলেও রাজনীতিতে দীর্ঘদিন সক্রিয় ছিলেন না। কমিটির তারিখ ঘোষণার পর থেকে সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে পরিবারিক সমস্যার কারণে সক্রিয় থাকতে পারেননি বলে তাদের দাবি। তাদের মধ্যে রয়েছে সহ-সভাপতি এম. এম. ওসমান হায়দার (তমাল)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাসা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। উপ-দপ্তর সম্পাদক লাশিউর রহমান (নাহিদ)। তার বাসা গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায়। এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন আরও অনেকেই।

তবে এসব পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে এবং অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই শাখায় সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে স্বোচ্চার থাকবেন এমন নেতৃত্ব চান শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্থানীয় ও বাইরের যোগ্য পদপ্রত্যাশীদের সম্মিলিত নেতৃত্ব দেখতে চান তারা।

রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্র কল্যাণের পরিচালক রবিউল আউয়াল বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে পাশে নিয়ে রুয়েট ক্যাম্পাসে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখার মতো যাদের যোগ্যতা রয়েছে তাদের হাতেই নেতৃত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

কেমন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করেন এ বিষয়ে কথা হয় রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈম রহমান নিবিরের সাথে। তিনি বলেন, রাজশাহীতে একসময় শিবিরের আস্তানা ছিলো। এখনো কিছুটা প্রভাব রয়েছে। সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাদেরকে দমন করে ও বঙ্গবন্ধুকে আদর্শকে লালন করে যারা রাজনীতি করে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখবে এমন নেতৃত্বই কামনা করেন তিনি।

রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহা. ইসফাক ইয়াসশির ইপু বলেন, আলোচনায় যারাই থাকুক না কেন রুয়েট ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে তাদেরই আসা উচিত যারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবে। একটি স্মার্ট ছাত্রলীগের ম্যান্ডেট নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে। তবে পরিচ্ছন্ন ইমেজ এবং সততা থাকতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে এদেশের যুবসমাজকে নিয়ে সামনের জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করে নিয়ে আসার যোগ্যতা যাদের থাকবে তাদেরকেই নেতৃত্বে আনা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তবে স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে এমন যোগ্য নেতাকর্মীরাই শীর্ষপদের জন্য বিবেচিত হবে জানিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের কাছে যারা গ্রহণযোগ্য; শিক্ষার্থীদেরকে সাথে নিয়ে একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য যাদের দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব ও স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে এবং যারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আপসহীন দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলবেতারাই রুয়েট ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসবে।


আরও খবর
খালেদা জিয়ার কোনও উন্নতি দেখছেন না চিকিৎসকরা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ধর্ষণের শিকার নারীর ‘টু ফিঙ্গার’ পরীক্ষা নিষিদ্ধের রায় প্রকাশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ধর্ষণের শিকার নারীর মেডিকেল পরীক্ষায় টু ফিঙ্গার (দুই আঙুলের মাধ্যমে পরীক্ষা) পদ্ধতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় প্রকাশ করা হয়েছে। এ রায় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ। বুধবার (৩০ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে রিটকারী সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।

রায়ে আটটি নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। সেগুলো হলো:

১. ধর্ষণের শিকার নারীর ক্ষেত্রে দুই আঙুলের পরীক্ষা অবৈজ্ঞানিক, অনির্ভরযোগ্য এবং অবৈধ। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই আঙুলের পরীক্ষা নিষিদ্ধ।

২. রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হেলথ রেসপনস টু জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্স- প্রটোকল টু হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার-এ প্রোটকলটি সকল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ফিজিশিয়ান যারা ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি (মেডিকো-লিগ্যাল) পরীক্ষা করেন, পুলিশ কর্মকর্তা যারা ধর্ষণের মামলার তদন্ত করেন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলার সরকারী প্রসিকিউটর এবং আইনজীবীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

৩. ডাক্তাররা ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি (মেডিকো-লিগ্যাল) পরীক্ষার সনদে ধর্ষণের বিষয়ে মতামত দেবেন, কিন্তু কোনোভাবেই অমর্যাদাকর শব্দ, যেমন- অভ্যাসগতভাবে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ব্যবহার করতে পারবেন না। ধর্ষণের শিকার নারীকে তার অতীতের যৌন সম্পর্ক সম্পর্কে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন না।

৪. ধর্ষণের শিকার নারীর যৌনাঙ্গে কোনো গভীর ক্ষত পরীক্ষার জন্য গাইনি বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাতে হবে।

৫. কোনো শিশু বা কিশোরী মেয়ের ক্ষেত্রে পার স্পেকুলাম এক্সামিনেশন পরীক্ষা করা যাবে না, যদি না কোনো বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন থাকে।

৬. বায়ো ম্যানুয়াল পরীক্ষার সঙ্গে দুই আঙুলের পরীক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি গাইনি পরীক্ষা এবং ধর্ষণের শিকার নারীর ক্ষেত্রে এ পরীক্ষা করা যাবে না।

৭. ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি (মেডিকো-লিগ্যাল) পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষিত ডাক্তার ও সেবিকাদের নিয়োগ করতে হবে। এ পরীক্ষার সময়ে সুবিধা অনুযায়ী নারী পুলিশ, একজন নারী আত্মীয়ের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং সুবিধা অনুযায়ী একজন নারী ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষা করতে হবে। কর্তব্যরত ডাক্তার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এ পরীক্ষার ক্ষেত্রে ধর্ষণের শিকার নারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করবে।

৮. নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি নিশ্চিত করবে যে, আদালতে ধর্ষণের শিকার নারীর জিজ্ঞাসাবাদে তার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে এমন কোনো প্রশ্ন আইনজীবী করবেন না।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা রোজী, অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার সিদ্দিকা ও ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার।

এর আগে, ২০১৬ সালে এ পদ্ধতিকে সেকেলে ও অনৈতিক বলে হাইকোর্টে মৌখিকভাবে মতামত উপস্থাপন করেছেন পাঁচ ফরেনসিক মেডিকেল বিশেষজ্ঞ। বিশেষজ্ঞরা আদালতে বলেছিলেন, এটি সেকেলে পদ্ধতি। যৌন নির্যাতনের পরীক্ষার আধুনিক অনেক পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে।

সে সময় হাইকোর্টে মৌখিক অভিমত দিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক প্রধান ডা. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী, একই হাসপাতালের ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইল ল্যাবরেটরির প্রধান ডা. সাফিউর আখতারুজ্জামান, মিরপুরের ডেল্টা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাহিদুল করিম আহমেদ, বারডেম হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিনের প্রফেসর ডা. গুলশান আরা ও  ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন অব ল, মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুজাহিরুল হক।

সনাতন পদ্ধতিতে (দুই আঙুলের মাধ্যমে পরীক্ষা) ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষা করার কারণে অনেক ভুক্তভোগী পরীক্ষা করাতে আসেন না। আর এ কারণে অনেকে ধর্ষিত হয়েও বিচার পান না। ভারতে এ পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতিটি একজন নারীর জন্য চরম বিব্রতকর ও অবমাননাকর। নতুন ও আধুনিক মানবিক পদ্ধতি প্রবর্তন করার জন্যই আবেদনটি করা হয়, যাতে করে নারী দ্বিতীয়বার অবমাননার শিকার না হন। যাতে করে ধর্ষিতা নারী সঠিক ও মানসম্পন্ন সর্বাধুনিক মানবিক পদ্ধতিতে মেডিক্যাল পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সুবিচার পান।

এসব বিষয় নিয়ে ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্র্যাক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নারীপক্ষ এবং ডা. রুচিরা তাবাচ্ছুম ও ডা. মোবারক হোসেন খান রিট আবেদনটি দায়ের করেন। ওই রিটের ওপর জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন আদালত।


আরও খবর



চট্টগ্রামে ব্রেস্টফিডিং কর্নার ‘মাতৃক্রোড়’ উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

শিশু স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় মায়ের দুধের বিকল্প কিছুই নেই-এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ব্রেস্টফিডিং কর্নার মাতৃক্রোড়র শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ব্রেস্টফিডিং কর্ণারের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, তাঁর সহধর্মিনী ও চট্টগ্রাম লেডিস ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সভাপতি তানজিয়া রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবদুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মোঃ আবু রায়হান দোলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদ, আরডিসি নুএমং মারমা মং, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা জামমেদ আলম রানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি-পটিয়া) ফাহমিদা আফরোজ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার এসএম আলমগীর, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ আশরাফুল আলম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ রাজিব হোসেন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাকিবুল ইসলাম, এনডিসি হুছাাইন মুহাম্মদ, স্টাফ অফিসার টু ডিসি প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও তাদের সহধর্মিনীগণ।

ব্রেস্টফিডিং কর্ণার মাতৃক্রোড় উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই প্রথম ব্রেস্টফিডিং কর্ণারের উদ্বোধন। যে সকল মহিলা সেবাপ্রার্থী তাদের নবজাতকদের নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসে তারা অত্যন্ত নিরাপত্তা ও নিশ্চিন্তভাবে মাতৃক্রোড় বসে শিশুদেরকে বুকের দুধ পান করানোর পাশাপাশি তাদের ডায়াপার ও পোশাকসামগ্রী পরিবর্তন করাতে পারবে।

ব্রেস্টফিডিং কর্ণারের পাশে মহিলা-পুরুষের জন্য আলাদাভাবে বেসিনসহ মোট ৪টি টয়লেট ও ৪টি ইউরিনাল তৈরী করা হয়েছে। শুধু জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নয়, পরীর পাহাড়স্থ বিভাগীয় কমিশনারের অফিস ও আদালতে নবজাতক নিয়ে আসা মহিলা বিচার প্রার্থীরাও এ ব্রেস্টফিডিং কর্ণার মাতৃক্রোড়-এ বসে বুকের দুধ পান করাতে পারবে। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্টফিডিং কর্ণার চালু করা হলে কাজে আসা মহিলারা উপকৃত হবে।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়লো টাইগাররা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আগামী ৫ অক্টোবর ভারতে মাটিতে শুরু হবে ১৩তম ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আসন্ন এই প্রতিযোগিতায় খেলতে দেশ ছেড়েছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার সময় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ভারতের গোহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে আগে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিক ভাবে দলীয় ফটোসেশন করে টাইগাররা।

ফটোসেশনের সময় বেশ ফুরফুরে মেজাজেই দেখা যায় সাকিবকে। হাসি ঠাট্টায় শান্ত, মিরাজ, শরীফুলদের সঙ্গে দেখা যায় বাংলাদেশ অধিনায়ককে। এসময় খেলোয়াড়রা ছাড়াও দলের কোচিং স্টাফরা ছিলেন। বিশ্বকাপে সাকিবদের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব পাওয়া খালেদ মাহমুদ সুজনকেও দেখা যায় ফটোসেশনে।

বাংলাদেশ ছাড়ার আগে সংবামাধ্যমের মুখোমুখি হন খালেদ মাহমুদ সুজন। এসময় সুজন বলেন, আমাদের টিমটা এক্সাইটিং ক্রিকেট টিম। আমাদের দলে অভিজ্ঞতার সঙ্গে তরুণরাও রয়েছে। একটা কথা সিনিয়র খেলোয়াড়েরাই বলছিল, এখন না পারলে কখন! আমিও মনে করি, এখন না পারলে কখন। এটাই আমাদের হাই টাইম।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যখন খেলে, সারা দেশ খেলে। সবাই উৎসুক হয়ে তাকিয়ে থাকেন। সেটাই থাকুক। আমাদের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। অনেকে বলবে, অনেক ছোট ছোট ছেলে যাচ্ছে। তবে এদের অনেক ভালো করার সামর্থ্য রয়েছে। যে ১৫ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে তারা অবশ্যই সেরা। এটা মানতেই হবে এবং আস্থা রাখতে হবে।


আরও খবর



বায়ুদূষণে আজ শীর্ষ চারে ঢাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর। এদিন সকাল ৮টার দিকে ১৫৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা।

একইসময়ে ১৭৮ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৬৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। ১৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ। ১৫৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়ার কুচিং।

এ ছাড়া একইসময়ে একিউআই স্কোর ১৫৭ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। ১৫৫ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১৩৫ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে চীনের হ্যাংজু। ১৩৪ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে চীনের চেংডু। ১৩৩ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।


আরও খবর
তিন দিনের ছুটিতে ঢাকার রাস্তা ফাঁকা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩