ইউরোপীয় ইউনিয়নের
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় পড়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথিত গার্লফ্রেন্ড এলিনা
কাবায়েভা। ইউক্রেনে হামলার জেরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার যে ষষ্ঠ
প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে সেই প্যাকেজেরেই খসড়ায় রয়েছে এলিনার নাম।
শুক্রবার (৬ মে)
ইউরোপিয়ান কূটনীতিকদের দুটি সূত্রের বরাতে সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
(ইইউ) কমিশন সূত্র জানিয়েছে, এ পর্যায়ে কারো নাম যুক্ত হতে পারে আবার কারো নাম বাদও
পড়তে পারে।
ইইউ এখনো এই খসড়া
প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করেনি। তবে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে বেলিজিয়ামের
ব্রাসেলসে ইইউ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রদূতদের বৈঠকে এটি সই হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
একটি সূত্র সিএনএনকে
জানায়, ‘আলোচনা চলছে, এটি কোনো কেকের অংশ নয়, আমাদের
অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখা যাক কী হয়।’
অলিম্পিকে গোল্ড
মেডেল জয়ী জিমন্যাস্ট এলিনা কাবায়েভার সঙ্গে পুতিনের সম্পর্কের কথা চাউড় বেশ আগে থেকেই।
পুতিনের সঙ্গে ১৯৮৩ সালে জন্ম নেওয়া এলিনার সম্পর্ক এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বলে প্রচলিত
রয়েছে। তবে পুতিন বরাবরই এ সম্পর্ক অস্বীকার করে আসছেন।
এর আগে গত এপ্রিলে
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এলিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে
কী হবে না তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দ্বিধায় ছিলেন। কারণ এই পদক্ষেপকে পুতিনের
পক্ষে এতটাই ব্যক্তিগত আঘাত বলে মনে করা হয়েছিল যে এ বিষয়টি রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের
মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
তবে এবার ইউরোপীয়
ইউনিয়নের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছে এলিনাকে।
ইউক্রেনে হামলার
পর থেকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তারই ধারিবাহিকতায়
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই মেয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
গত ৬ এপ্রিল হোয়াইট
হাউসের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নতুন
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পুতিনের দুই মেয়ে মারিয়া ভরোন্তোসভা ও ক্যাটেরিনা টিখোনোভাসহ রুশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের স্ত্রী ও মেয়ে এবং রুশ নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যরাও
রয়েছেন।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞার
আওতায় রাশিয়ার শীর্ষ সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকও রয়েছে।