আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঈদ আয়োজনের কিছু ঐতিহ্য ধরে রেখেছে পুরান ঢাকার বাসিন্দারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তাসকিন রহমান, ঢাকা: 

ঈদ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। আরও বেশ কিছু ধর্মীয় উৎসব থাকলেও বছরে দুটি ঈদ বয়ে আনে বিশেষ কিছু, বিশেষ আনন্দ। সারা বছর ধরে বিশ্বের সব মুসলিম জাতি অপেক্ষায় থাকে ঈদ উৎসবের। প্রস্তুতি চলে বছরজুড়ে। এর মধ্যে বাঙালির ঈদ একটু হলেও ব্যতিক্রম। এই উৎসব শুধু মুসলমানদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতি যোগ দেয় এই উৎসব আনন্দে। এই বৈশিষ্ট্যই বাঙালির ঈদকে মহিমান্বিত করে তোলে। তবে ঈদ আয়োজনের কিছু ঐতিহ্য ধরে রেখেছে পুরান ঢাকার বাসিন্দারা।

ইতিহাস বলছে, নবাবি আমলে ঢাকায় ঢোল পিটিয়ে ঈদের ঘোষণা করা হতো। রাজপথ পদদলিত হতো ঈদের মিছিলে। বিভিন্ন স্থানে মেলা, রেসকোর্সে ঘোড়দৌড় আর মুখরোচক খাবারের গন্ধে মৌ মৌ করত চারপাশ।

অতীতের মতো জাঁকজমকপূর্ণ ঈদ আয়োজন আর চোখে পড়ে না। অনেকেই বলেন, এ যুগে ঢাকার ঈদ পানসে। চোখ ধাঁধানো, মন জুড়ানো সেই সব আয়োজন এখন আর দেখা যায় না। নগরায়ণের কুঠারাঘাতে কমেছে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ। ঈদ সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে ব্যক্তি ও পরিবারের মধ্যে।

এবারও ভাবগাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে ঈদ উল আযাহা। গরু, মহিষ, ছাগল, দুম্বা, উটসহ চার পায়ী যেকোন হালাল প্রানীকেই কোরবান দিয়ে আসছেন ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা। তাই বাজার ও খামার থেকে পছন্দসই পশু কিনে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। তবে অতীতের ন্যায় এখনও বাজারের সেরা গরু কিনে ভিন্ন আঙ্গিকে সাজিয়ে গরুকে বাড়ী এনে আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোরবানী দেয়াই পুরান ঢাকার একটি ঐতিহ্য। ঢাকা ৭ আসনের এমপি হাজী সেলিম, পুরান ঢাকার বিশিষ্ট  ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক দানবীর হাজী রাশেদ, হাজী সাঈদ হোসাইন প্রকাশ ময়না হাজী, একসময়ের খ্যাতনামা রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক তনাই মোল্লা, বেলাল হাজীসহ আরও অনেকেই বংশ পরম্পরায় এই রীতিটি অনুসরন করে আসছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সরফুদ্দীন সেন্টু ঢাকা মহানগর দঃ আওয়ামীলীগের সকল নেতা কর্মীসহ সবাইকে ঈদ উল আযাহার শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিভিন্ন পেশায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আর জাতীর জনকের কন্যা তাদের জন্য উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর শাসনামলে বেশ কয়েকটি  মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছেন এবং চলমান অন্যান্য মেগাপ্রজেক্ট গুলোও বাস্তবায়ন করবেন এটা জনগন বিশ্বাস করেন। তাই এই ঈদের দিনে ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধুসহ সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এছাড়াও দেশের ক্রান্তিলগ্নে বিভিন্ন শহীদদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমাদের জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে আমার শ্রদ্ধা ও সুস্থতাসহ দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।

দাদার আমল থেকেই বিশাল আকৃতির গরু কিনে গরুকে সাজিয়ে গুছিয়ে কোরবানী দেয়ার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবছরও বিশাল আকৃতির ৫টি গরু কিনে ঈদের ২য় দিনে এলাকার মেহনতি মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিবেন হাজী রাশেদ। তিনি বলেন, দেশের সকল মুসলিম উম্মাহর প্রতি আমার ঈদ উল আযাহার শুভেচ্ছা। সবার জীবনে শান্তি বয়ে আনুক এটাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করি। তিনি বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এলাকার সকল পরিবারের কাছে কোরবানীর গোস্ত দিবেন।

৫৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী নুর ই আলম চৌধুরীও ঈদের ২য় দিনে বিশাল আকৃতির ২টি গরু কিনে এলাকাবাসীর মাঝে বিলিয়ে দেন। এলাকাবাসীর কাছে তিনি দোয়া চান তিনি যেন সুস্থ থাকেন। আর তিনিও উনার ৫৫নং ওয়ার্ডের জনগনকে ঈদ উল আযাহার শুভেচ্ছা জানান।

কাউন্সিলির হিসেবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি কি কি উদ্যোগ নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাননীয় মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের নির্দেশনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যেন কমতি না হয় সেই ব্যাপারে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং তা সঠিকভাবে পালন করবেন বলে জানিয়েছে ঢাকা দঃ সিটি কর্পোরেশনে নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। তিনি দাবী করেন ঈদের ৩য় দিন পর্যন্ত পরিচ্ছন্ন কর্মীরা মাঠে থাকবেন আর ১২ ঘন্টার মধ্যে পুরো এলাকা পরিস্কার করে দিবেন।


আরও খবর



দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্যান্য খেলার পাশাপাশি দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শুধু ফুটবল বলে নয়, আমাদের দেশীয় অনেক খেলা আছে সেসব খেলাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এতে আমাদের কোমলমতিদের মেধা বিকাশের সুযোগ হবে। কারণ খেলাধুলার মধ্য দিয়েই আমাদের ছেলে-মেয়েদের আরও মেধা বিকাশের সুযোগ হবে।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টবঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখনই সরকার এসেছি, তখনই চেষ্টা করেছি ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি আরও বেশি অনুরাগী করে তুলতে। কেননা খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটায়। ডিসিপ্লিন শিখায়, আনুগত্যের শিক্ষা দেয়। সেই সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি।

সরকার প্রধান বলেন, সব ধরনের খেলাধুলার বিকাশে সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছে। যাতে করে প্রত্যেকটি উপজেলাতেই খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবে। সবাই শিক্ষা দীক্ষা খেলাধুলা সবদিক থেকে আরও বেশি উন্নত হবে, সারা বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে আমাদের আজকের এ সোনার ছেলে মেয়েরা। সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন ও আশীর্বাদ রইল।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে ১৫০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পদ্মা সেতু চালুর পর গত ২২ মাসে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি টোল আদায় করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১২টা এ টোল আদায়ের মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে গত ২২ মাসে ১ হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময়ে সেতু দিয়ে মোট ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি যান চলাচল করেছে। এর মধ্যে মাওয়া দিয়ে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ এবং জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৯ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ওই দিন দুই প্রান্ত দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি গাড়ি পারাপার হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরদিন থেকেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সেতুটি। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা এবং দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।


আরও খবর



ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনও আমির ঢাকা এলেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দি‌কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। পরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমিরকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির সহকারী প্রেস সচিব এস এম রাহাত হাসনাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশ থেকে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে উচ্চ পর্যায়ের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির। আমিরের সফ‌রে দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হ‌বে, এর মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি এমওইউ রয়েছে। তার সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে অগ্রাধিকার পাওয়ার পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে বেশ গুরত্ব সহকারে আলোচনা হবে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি।

সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন কাতারের আমির। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হ‌বে।

কাতারের আমিরের সফর উপলক্ষ্যে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ১১টির মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। চুক্তিগুলো হচ্ছে, দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পণ্য পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি। সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা।

আমিরের সফরের তাৎপর্যপূর্ণ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, সেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। এছাড়া, বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিল রয়েছে কাতারের। বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হতে পারে ওই তহবিল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস কাতার।

আমিরের সফরে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে আলোচনার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত ও গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। কাতার এ বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে স্বাভাবিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা আসতে পারে।

কাতারের আমির মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনের সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ও রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজনে অংশ নেবেন। এ দিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন আমির।


আরও খবর



বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, কর্মসংস্থানের আশায় সরকারি নিয়ম মেনে দেশটিতে গিয়ে চরম দুরবস্থায় পড়তে হয় অনেক বাংলাদেশি অভিবাসীকে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত কয়েক মাস ধরেই দেশটিতে বাংলাদেশি অভিবাসীরা অসম্মানজনক অবস্থায় বাস করছেন।

এসব শ্রমিকদের ওপর যেন কোন শোষণ, অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন না করা হয় সেজন্যে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বেশিরভাগ অভিবাসী মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেখেন যে তাদের প্রতিশ্রুত অনুযায়ী কর্মসংস্থান নেই। এমন অবস্থায় প্রায়শই তাদের ভিসা শেষ করতে বাধ্য করা হয়। ফলস্বরূপ এ অভিবাসীরা গ্রেফতার, আটক, দুর্ব্যবহার এবং নির্বাসনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।

একই সঙ্গে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের অপরাধ নেটওয়ার্ক দ্বারা অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতারণামূলক নিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তের আহবান করেছে। যদি এতে কোনো সরকারি কর্মকর্তা জড়িত থাকে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।


আরও খবর



ঝিনাইদহে উপ-নির্বাচনে লড়বেন হিরো আলম

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম এবার উপ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ঝিনাইদহ-১ আসনে ভোট করবেন। আজ সকালে তিনি এ কথা জানান।

হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী মানুষ। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে সবার কথা বলি। সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেব। সেইভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।’

ঝিনাইদহবাসী তাকে স্বাগত জানিয়েছেন জানিয়ে হিরো আলম বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচার চালাতে যাচ্ছি। আমি ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা আমাকে বলেছে তারা সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেছেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য সহযোগিতা করবে। আমি আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও তাদের আশ্বাস দিয়েছি, তাদের পাশে সব সময় থাকব।’

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচন। ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

এর আগে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। তারপর চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। এই আসনটি রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত।


আরও খবর