ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ৫ দিন করে মোট ১০ দিন লঞ্চে মোটরসাইকেলসহ মালামাল বহন বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ও বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে অভিযান পরিচালনা করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লঞ্চে বা ফেরিতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন কিংবা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে। এছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে বিআইডব্লিউটিএর হটলাইন নম্বর ১৬১১৩-তে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারবেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৩ এপ্রিল রোজার ঈদ উদযাপন হবে। ঈদ করতে মানুষের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সভায় জানানো হয়, ঢাকা সদরঘাটে যাত্রীবাহী সব নৌযানে ঈদের আগে ৫ দিন মালামাল ও মোটরসাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। ঈদের পরের ৫ দিন অন্যান্য নদী বন্দর হতে ঢাকা সদরঘাটে আগত নৌযানেও মালামাল ও মোটরসাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে।
আগামী ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে।
রাতে সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ এবং আগামী ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দিনরাত সার্বক্ষণিক সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে সভায় জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মৌচাকেপ্রাইভেটকারের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৪
সুষ্ঠু ও নিরাপদ ঈদ যাত্রার স্বার্থে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আটটি ভিজিলেন্স টিম গঠন করেছে। ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভিজিলেন্স টিম সংশ্লিষ্ট নৌ বন্দরে কাজ করবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ, নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং বিআইডব্লিউটিসি এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।
লঞ্চ ও ফেরিঘাট এলাকায় কর্মরত বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।