আজঃ শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ঈদের ছুটিতে ঢাকা প্রায় ফাঁকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে ১৭ জুন। এরই মধ্যে গ্রামে আপনজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। এবার ঈদের ছুটি শুরুর আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে আগেই গ্রামে চলে গেছেন। যারা অফিসের কাজ বা কোনো কারণে যেতে পারেননি, তাদের অধিকাংশই ঢাকা ছাড়ছেন আজ।

এদিকে, যাত্রী কমে যাওয়ায় ঢাকার বিভিন্ন রুটে চলাচল করা বাসগুলোও দূরের পথের যাত্রী নিয়ে রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন রুটে ছুটছে। এতে ঢাকার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল একেবারে কমে গেছে। ফলে যানজটের নগরী ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, মহাখালী, বিজয়সরণি আগারগাঁও, সায়েন্সল্যাব, শ্যামলী, মতিঝিল, কাকরাইলসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

দুপুর থেকেই এসব এলাকায় মূল সড়কগুলো ফাঁকা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি কিছুটা বাড়লেও তেমন যানজট হয়নি। শুধুমাত্র সিগন্যালগুলোতে এক সড়ক থেকে অন্য সড়কে গাড়ি যাওয়ার জন্য অল্প সময়ের জন্য আটকে থাকতে হয়। তবে বাণিজ্যিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় কিছুটা ধীরে গাড়ি চলছে।

শনিবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থেকে রামপুরা রুটে বিভিন্ন জায়গায় গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে দুই-একটা বাসের দেখা মিললেও তাতে ছির উপচেপড়া ভিড়।

নতুনবাজার থেকে সাভার রুটে চলাচল করা বৈশাখী পরিবহনের চালক ইমারুল ইসলাম বলেন, শহরের মধ্যে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। কাছাকাছি স্টপেজে মানুষ ওঠানামা করছে। অধিকাংশই ১০-২০ টাকা ভাড়ার যাত্রী। আর রাস্তাও ফাঁকা। গাড়ি এখন ঢাকার মধ্যে কম। সবাই এখন আরিচা ঘাট পর্যন্ত যাত্রী টানছে। কেউ কেউ পদ্মার ওপার পর্যন্তও যাত্রী আনা-নেওয়া করছে।

সায়েন্সল্যাবে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকা সাভার পরিবহনের চালক আজিজুল বলেন, সদরঘাট যাওয়ার সময় গুলিস্তান এবং বাবুবাজার এলাকায় কিছুটা যানজট পেয়েছি। এছাড়া বাকি রাস্তা ফাঁকাই ছিল। আসার সময়ও গুলিস্তানে কিছুটা যানজট ছিল। এছাড়া পুরো রাস্তা এখন ফাঁকা।

এদিকে, রাস্তা ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নতুনবাজার থেকে গুলশানে প্রবেশমুখে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান রবিন বলেন, আজকে গাড়ির চাপ নেই। সকাল থেকেই প্রাইভেটকার বা ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমাণ অনেক কম। সড়ক অনেকটা ফাঁকা। তারপরও মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা করছি আমরা।

নিউজ ট্যাগ: ঈদুল আজহা

আরও খবর



ঈদের আগেই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে উঠবে ১৮ হাজার পরিবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প আশ্রয়ণ-২। প্রকল্পটির আওতায় এবার জমিসহ বিনামূল্যে ঘর পাচ্ছেন আরও ১৮ হাজার ৫৬৬ ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। এর মধ্য দিয়ে দেশের আরও ২৬টি জেলার সব উপজেলাসহ মোট ৭০টি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে দেওয়া এসব ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, ভোলার চর ফ্যাশন ও কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথাও বলবেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের সব উপজেলাসহ মোট ৭০টি উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে।

এ হিসেবে আগে ঘোষিত জেলা-উপজেলাসহ মোট ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর এ কর্মসূচিকে অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহ ও ভূমিহীনদের ঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্প ও অন্যান্য প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের প্রায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। শুধুমাত্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে পুনর্বাসন করা হয়েছে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনকে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মুজিব শতবর্ষেই পুনর্বাসন করা হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে।


আরও খবর



জীবিত তিনজনকে মৃত্যু সনদ, ভাতা তুলছেন অন্যরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

Image

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার তিন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জীবিত তিন ব্যক্তিকে মৃতের সনদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে তাদের বয়স্ক ও বিধবা ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও খবিরুল আহসান।

ভুক্তভোগীরা হলেন খলিশাউড় ইউনিয়নের গড়ুয়াকান্দা গ্রামের হযরত আলী (৭১), হোগলা ইউনিয়নের জামিরাকান্দা গ্রামের মৃত সুরুজ আলী ফকিরের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৭৭) ও পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের উকুয়াকান্দা গ্রামের মৃত মামুদ আলীর মেয়ে খাদিজা আক্তার (৬০)। তাদের মধ্যে হযরত আলী ও জহুরা খাতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, মেম্বার, সমাজসেবা কর্মকর্তা মিলে তাদের মৃত দেখিয়ে অন্য ব্যক্তিদের ভাতা সুবিধা করে দিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যানদের দাবি, তাদের ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে। অভিযোগের অনুলিপি নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বরাবর দেওয়া হয়েছে।

হযরত আলী বলেন, দীর্ঘদিন বয়স্ক ভাতা পেতেন তিনি। ভাতার দুই কিস্তি তাঁর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে না আসায় বিষয়টি জানতে সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা জানান খলিশাউড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান কমল কৃষ্ণ সরকারের দেওয়া প্রত্যয়ন মোতাবেক তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে। এ কারণে তাঁর নামে বরাদ্দ বয়স্ক ভাতা অন্য ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে খলিশাউড় ইউপি চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, একই গ্রামের হযরত আলী নামে দুই ব্যক্তির একজন মারা গেলে ভুলবশত জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে। এই ভুল সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে সমাজসেবা অফিসে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।

জহুরা খাতুনের অভিযোগ, তিনিও নিয়মিত বয়স্ক ভাতাভোগী ছিলেন। হঠাৎ ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নেন। পরে জানতে পারেন তাঁকেও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকন্দ খোকনের স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নে মৃত দেখানো হয়েছে। এ কারণে তাঁর পরিবর্তে হালিমা খাতুনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে এক বছর ধরে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

তবে হোগলা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকন্দ খোকনের দাবি, তাঁর অজান্তে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ভুলবশত এমনটি করেছেন। তবে ভুল সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে কাগজপত্র নিয়ে সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছে। অতি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।

পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের উকুয়াকান্দা গ্রামের মৃত মামুদ আলীর স্ত্রী খাদিজা আক্তার ২০১৯ সালে যাচাই-বাছাই শেষে বিধবা ভাতার কার্ড পান। ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ভাতা পান তিনি। এই ভাতার টাকায় নিজের ব্যয় বহন করতেন। গত বছরের মার্চ মাসের পর থেকে ভাতা পাচ্ছেন না তিনি। কারণ জানতে সমাজসেবা অফিসে খবর নিতে গেলে তাঁকে জানানো হয়, আপনি তো মারা গেছেন। তাই ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, বিধবা ভাতা না পাওয়ার ব্যাপারে আমাকে কেউ জানায়নি। এ ধরনের বিষয় অহরহ ঘটছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে সমাধানের জন্য আমরা সমাজসেবা বিভাগে পাঠিয়ে দিই।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা মৃত্যু সনদ দিয়ে সুপারিশ পাঠালে ভাতাভোগী দুজনকে মৃত দেখিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রকৃত বিষয়টি যেহেতু জানা গেছে, কয়েক দিনের মধ্যে সংশোধনের ব্যবস্থা করা হবে।

পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল আহসান জানান, জীবিত ব্যক্তিকে মৃতের সনদ দিয়ে ভাতা কেটে দিয়ে অন্যজনের নামে প্রতিস্থাপনের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগেও হয়রানির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে খাদিজা আক্তার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সমাজসেবা বিভাগে বিষয়টি সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতাসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: নেত্রকোনা

আরও খবর



সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারে ফিরেছে আড়াই শতাধিক মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমার সীমান্ত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াতকারী নৌযান লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের কারণে সাত দিন বন্ধ থাকার পর বিকল্প পথে ঝুঁকি নিয়ে চারটি ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফিরেছে হোটেলকর্মী, শ্রমিক ও বিভিন্ন কাজে গিয়ে আটকা পড়া আড়াই শতাধিক মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে চারটি ট্রলার টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে আড়াইটায় টেকনাফের মুন্ডারডেইল পৌঁছে। অন্যদিকে গোলাগুলি অব্যাহত থাকায় সেন্টমার্টিনবাসীর জন্য জেলা প্রশাসনের খাদ্যসামগ্রী বহনকারী নৌযান যেতে পারেনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াতকারী নৌযান লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের কারণে সাত দিন বন্ধ থাকার পর বিকল্প পথে চারটি ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফিরেছে হোটেলকর্মী, শ্রমিক ও বিভিন্ন কাজে গিয়ে আটকা পড়া আড়াই শতাধিক মানুষ। তবে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে টেকনাফ থেকে যে নৌযান সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা ছিল সেটি যেতে পারেনি। কারণ গতকাল থেকে নাফ নদীর একটি এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিকল্প পথে হয়ত আগামীকাল শুক্রবার কক্সবাজার থেকে এসব খাদ্যসামগ্রী পৌঁছাতে পারে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সাত দিন বন্ধ থাকার পর বিকল্প পথে ঝুঁকি নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে চারটি ট্রলার ছেড়ে গেছে। সেন্টমার্টিনে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বেশি খাদ্যও মজুদ নেই। দ্বীপের মানুষের আতঙ্ক ছাড়ছে না।


আরও খবর



বন্ধ হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের বিশেষ ট্রেন

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচলকারী বিশেষ ট্রেনটি বন্ধ করে দিচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এই ট্রেন আর চলবে না, যদিও ১০ জুন পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচলের কথা ছিল।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে কক্সবাজার স্পেশাল ৩ ও ৪ ট্রেনটি ১০ জুন পর্যন্ত চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু যান্ত্রিক বিভাগ থেকে ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টারের সংকট থাকার কথা জানানো হয়েছে। এজন্য কক্সবাজার বিশেষ ট্রেন বুধবার (২৯ মে) পর্যন্ত চলবে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বাতিল করা হলো।

গত বছরের ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মিত নতুন রেললাইনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত বছরের ১ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যটক এক্সপ্রেস নামের আরেকটি ট্রেন চালু করে রেলওয়ে। ঢাকা-কক্সবাজার রুটের দুটি ট্রেনের প্রতিটিতে ১১৫টি করে আসন বরাদ্দ রাখা হয় চট্টগ্রাম স্টেশনের জন্য। ঢাকা থেকে পরপর দুটি ট্রেন চালু করলেও চট্টগ্রাম থেকে কোনো ট্রেন দেয়া হয়নি। রেলওয়ের এমন সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষ ক্ষুব্ধ ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নাগরিক সমাজ ট্রেন চালুর দাবির প্রেক্ষিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন দেওার সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত ৮ এপ্রিল এই ট্রেন চলাচল শুরু হয়। চালুর পর থেকে এই ট্রেন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যাত্রীদের চাপে এরপর দুই দফায় বিশেষ ট্রেনের সময় বাড়িয়ে ১০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তবে নতুন করে আর সময় না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাঈদ তালুকদার বলেন, এই ট্রেন তো ১০ জুন পর্যন্ত চলার কথা। এটি স্থায়ী করার পাশাপাশি আরেকটি নতুন ট্রেন দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। কিন্তু তা না করে বিশেষ ট্রেনটি বন্ধ করে দিল। এতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষ ট্রেনে করে যাতায়াতের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। রেলওয়ের এমন সিদ্ধান্ত খুবই হতাশা ও দুঃখজনক।


আরও খবর



রোববার ভোরে পর্দা উঠছে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দিনের আলো ফুটতেই আগামীকাল (রোববার) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু হবে। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় মুখোমুখি হবে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম মুখোমুখি দেখায় সিরিজ জয়ের মাধ্যমে আমেরিকানরা বেশ আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করেছে। ১৮৪৪ সালে তিনদিনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দল দুটি, যেখানে কানাডা জিতে ২৩ রানে। এই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচেও তারা নেপালকে হারিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রকানাডা দুই দলই এবার প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নামছে। আয়োজক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো বাছাই খেলতে হয়নি, আর আমেরিকান বাছাই জিতে টিকিট পেয়েছে কানাডা। ডালাসে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হতে চললেও, সেখানে সেভাবে কোনো উত্তেজনা নেই। বাংলাদেশসহ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচই এখানে বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। ফলে ৭ হাজার ধারণক্ষমতার ডালাসের গ্যালারি পুরোপুরি ভরা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়েও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি আইসিসি।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিন গায়ানায় বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে আরেক আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাপুয়া নিউগিনি। ওই ম্যাচের আগে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানিয়েছে উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে সেভাবে কিছু দৃষ্টি আকৃষ্ট না হলেও, ক্যারিবীয় দ্বীপটি ব্যতিক্রম। যেখানে পা রাখা দেশগুলোর অধিনায়কদের তারা বরণ করে নিয়েছে।

প্রথমবারের মতো ২০ দলের অংশগ্রহণে হবে মেগা ইভেন্টটি। রিজার্ভ ডে থাকছে প্রথম সেমিফাইনাল ও ফাইনালে। আয়োজক দেশ দুটির টাইম জোনের সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের সময়ের বেশ বড় পার্থক্য রয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ১ জুন বিশ্বকাপের পর্দা উঠলেও, বাংলাদেশে সেটি হয়ে যাচ্ছে ২ জুন। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে ১১ ঘণ্টার ব্যবধান। একইভাবে ক্যারিবীয় দ্বীপের সঙ্গেও ১০ ঘণ্টার ব্যবধান রয়েছে। ফলে বিশ্বকাপের কিছু কিছু ম্যাচ বাংলাদেশ সময় রাত এমনকি মধ্যরাতেও অনুষ্ঠিত হতে দেখা যাবে।

এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ অব ডেথখ্যাত ডি-তে পড়েছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। এ ছাড়া দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত পাকিস্তান পড়েছে একই গ্রুপ । গ্রুপটিতে তাদের বাকি তিন সঙ্গী আয়ারল্যান্ড, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। বি গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান খেলবে। আর সি গ্রুপে আছে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি। সবমিলিয়ে ৯টি (যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি এবং উইন্ডিজ মাটিতে ছয়টি) ভেন্যুতে হবে এবারের বিশ্বকাপ আসর। ২৯ দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে আগামী ২৯ জুন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে।

টুর্নামেন্টের ফরম্যাট : এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ২০টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করে প্রথমে হবে গ্রুপপর্বের খেলা। প্রতি গ্রুপে ৫টি করে দল থাকছে। গ্রুপপর্বে প্রত্যেক দল খেলবে ৪টি করে ম্যাচ। সেখান থেকে গ্রুপের শীর্ষ দুই দল যাবে সুপার এইট পর্বে। এই পর্ব থেকে বিশ্বকাপ পুরোপুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে। সুপার এইটেও চারটি করে দল নিয়ে দুটো আলাদা গ্রুপ করা হবে।

পুরো টুর্নামেন্টে ম্যাচ জয়ের জন্য থাকছে ২ পয়েন্ট করে, ফলাফল না হলে ১ পয়েন্ট এবং হেরে গেলে কোনো পয়েন্ট যোগ হবে না। টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ টাইয়ের কোনো সুযোগ নেই, এরকম হলে সুপার ওভারে নিষ্পত্তি হবে ম্যাচ। সুপার ওভারেও ড্র হলে, খেলার ফল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সুপার ওভার চলবে।

রিজার্ভ ডে : এবারের বিশ্বকাপে প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, শুধুমাত্র প্রথম সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য একদিন করে রিজার্ভ ডে বরাদ্দ আছে। আর দ্বিতীয় সেমিফাইনালের (২৭ জুন) জন্য অতিরিক্ত ২৫০ মিনিট রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও যদি রিজার্ভ ডে রাখা হতো, তাহলে সেটি গড়াবে ২৮ জুন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। রিজার্ভ ডে-তে গড়ালে এই ম্যাচে যে দল জিতবে, তাদের ২৯ তারিখ ব্রিজটাউনে পৌঁছেই ফাইনালে মাঠে নেমে পড়তে হবে। কিন্তু আইসিসি চাচ্ছে ২৮ জুন ট্রাভেল ডে হিসেবে চিহ্নিত হোক এবং ২৯ জুন ফাইনাল আয়োজিত হোক।


আরও খবর