আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

এক নজরে দেখে নিন কে কোন আসনে জয়ী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা। গণনা শেষে বেশ কয়েক জায়গায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা ফলাফল ঘোষণা করছেন। এর আগে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, এবারের নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এবার জেনে নিন কোন আসনে কে জয়ী-

গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া -কোটালীপাড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই আসনের মোট কেন্দ্র ১০৮। সব কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে শেখ হাসিনা ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আবুল কালাম ৪৬০ ভোট পেয়েছেন। আরেক প্রার্থী মাহাবুর মোল্যা পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।

সিলেট-৬ আসনে চমক দেখিয়ে ১৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ আসনে নাহিদ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ১২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৮৭ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট।

সুনামগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। জয়া সেনগুপ্তা ৬৭ হাজার ৭শ ৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৬৭২ ভোট।

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি ১২৬৯৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী শাহিনূর পাশা চৌধুরী (সোনালী আঁশ) প্রতীকে ৪০৯৫ ভোট পেয়েছেন।

মেহেরপুর-১ আসনে বেসরকারি ফলাফল জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৭৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৫০৪ ভোট।

মেহেরপুর-২ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম নাজমুল হক সাগর। তিনি ৭২৭২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৯৫৯৩ ভোট।

খুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত রায় পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬২ ভোট। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন।

খুলনা-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম কামাল হোসেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯০ হাজার ৯৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭৩ ভোট।

খুলনা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১৩ হাজার ৪৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন পেয়েছেন ৯৩ হাজার ১৫০ ভোট।

খুলনা-৬ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. রশিদুজ্জামান। তিনি এক লাখ ৩ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জি এম মাহবুবুল আলম। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ২৬১ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে বেসরকারি ফলাফলে বড় ভাইকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ডা. সৈয়দ জাকির নূর লিপি। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৭৬২ ভোট। লিপির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৯৯৮ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে নৌকাকে ডুবিয়ে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে ৮৯ হাজার ৪৩৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাহার আকন্দ পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৩২ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে ৫৭ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মুজিবুল হক চুন্নু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব) নাসিমুল হক পেয়েছেন ৪২ হাজার ২৩৫ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে চতুর্থবারের মতো জয়ী হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ৮ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির দলীয় লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল ওয়য়হাব পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৫ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনের ফলাফলে টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আফজাল হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৭৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত পাল পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৯০১ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের হাজি রুবেল তিন হাজার ২০৬ ভোট পেয়েছেন। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের নুরুল কাদের সোহেল পেয়েছেন তিন হাজার ৫৬ ও স্বতন্ত্র আব্দুস সাত্তার (ঈগল) পেয়েছেন দুই হাজার ৪৬৯ ভোট।

বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। এ আসন থেকে তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৬৮ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদার পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২০৪ ভোট।

কুড়িগ্রাম-১ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৮৮০২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাই সরকার। তিনি পেয়েছেন ৫৯৭৫৬ ভোট।

কুড়িগ্রাম-২ আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন ডা. মো. হামিদুল হক খন্দকার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬৯৪৮ ভোট।

কুড়িগ্রাম-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সৌমেন্দ্র সেন গবা পান্ডে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৫৩৩৬৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. আক্কাস আলী ট্রাক প্রতীক পেয়েছেন ৩৫৫১৫ ভোট।

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব হাসান পলাশ। তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৬৬৫৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১২৬৮৪ ভোট। দুপুরের পর অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন তিনি।

ঢাকা-১ আসনে (দোহার-নবাবগঞ্জ) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালমান এফ রহমান। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালমা ইসলাম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৩০ ভোট।

ঢাকা-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. কামরুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী হাবিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়েছেন।

ঢাকা-৩ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির মনির সরকার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৮৬৮ ভোট।

ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সানজিদা খানমকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন। আওলাদ হোসেন মোট ভোট পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৭৫টি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সানজিদা খানম নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৭টি। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৯৮ ভোট।

ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লা সজল। তিনি ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৩১ ভোট। সজলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারুনর রশিদ মুন্না নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩৩৪ ভোট। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নিজের দলেরই স্বতন্ত্রপ্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লার কাছে ২৯৭ ভোটে হেরেছেন মুন্না।

ঢাকা-৬ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাঈদ খোকন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে মোট ৬১ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্য জোটের প্রার্থী রবিউল আলম মজুমদার মিনার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ১০৯ ভোট।

ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোলায়মান সেলিম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৩ হাজার ৮১৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০৮ ভোট।

ঢাকা-৮ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. জুবের আলম খান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৮০ ভোট। এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫০ জন। ভোটকেন্দ্র ১১০টি। মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৪৯ হাজার ৫৬২টি। ভোটদানের হার ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ।

ঢাকা-৯ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৯০ হাজার ৩৯৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির কাজী আবুল খায়ের (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৪ ভোট।

ঢাকা-১০ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ফেরদৌস মোট ভোট পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৯৮টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শামসুল আলম আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট।

ঢাকা-১১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওয়াকিল উদ্দিন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামীম আহমেদ (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৪৭ ভোট।

ঢাকা-১২ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৬৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী খোরশেদ আলম খুশু লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ২১৯ ভোট।

ঢাকা-১৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৯০ হাজার ৩৭৫টি। এ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা তিন লাখ ৯৫ হাজার ৪৩৬ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৩৫টি। এ আসনে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী কামরুল হাসান ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন এক হাজার ৫২৯টি। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোহাম্মদ জাফর ইকবাল নান্টু মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ১৫৯ ভোট। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ এর প্রার্থী জাহাঙ্গীর কামাল টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩৮৯টি।

ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৫৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফর রহমান কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯১৪ ভোট। এই আসনে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির আলমাস উদ্দিন ৯৮৬ ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আকতার তুহিন ৯ হাজার ৩৯২ ভোট পেয়েছেন।

ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার জয়ী হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৩২টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুল হক লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪ ভোট।

ঢাকা-১৬ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা। এ আসলে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৬৩১টি। ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রবিন পেয়েছেন ছয় হাজার ৩১৪ ভোট। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী আমানত হোসেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন দুই হাজার ৩৪৮ ভোট।

ঢাকা-১৭ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর মো. আইনুল হক কুলা প্রতীকে ১ হাজার ৩৮০ ভোট পেয়েছেন।

ঢাকা-১৮ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরী। তিনি কেটলি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯০৯ ভোট। এ আসনে প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৪২৯ টি। এর ফলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

ঢাকা-১৯ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওই আসনের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ) ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট। এছাড়া আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ডা. এনামুর রহমান পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট।

ঢাকা-২০ আসনে (ধামরাই) নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বেনজীর আহমেদ। তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৭০৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন কাঁচি প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৬১৩টি।

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৩৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব তরমুজ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৮৭ ভোট।

চট্টগ্রাম-৫ আসনে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ লাঙ্গল প্রতীকে ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬২৫১ ভোট। চট্টগ্রাম-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নেই। ওই আসনে জাতীয় পার্টিকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ব্যারিস্টার সানজিদ রশিদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮২ ভোট।

চট্টগ্রাম ১০ আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু নৌকা প্রতীকে ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম পেয়েছেন ৩৯৫৩৫ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেব ঈগল প্রতীকে ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট। এর মাধ্যমে এবার আসনটি হাতছাড়া হলো নৌকার।

লালমনিরহাট-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহার হোসেন ৮৯ হাজার ৯০৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৩২ ভোট পান।

লালমনিরহাট-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ পেয়েছেন ৯৭ হাজার ২৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সিরাজুল হক পেয়েছেন ৫০ হাজার ৫০০ ভোট।

লালমনিরহাট-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মতিয়ার রহমান পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৪০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী জাবেদ হোসেন পেয়েছেন ১২ হাজার ৮০ ভোট।

যশোর-১ (শার্শা) আসনে বেসরকারিভাবে ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন। এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৭ ভোট।

নোয়াখালী-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক লাখ ৮১ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী খাজা তানভীর আহমেদ (লাঙ্গল) পেয়েছেন নয় হাজার ৭০২ ভোট, জাসদের প্রার্থী মকছুদের রহমান (মশাল) পেয়েছেন দুই হাজার ১৩২ ভোট, ছড়ি প্রতীকে সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাকিল মাহমুদ চৌধুরীও পেয়েছেন দুই হাজার ১৩২ ভোট, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা (চেয়ার) পেয়েছেন এক হাজার ৪৯৩ ভোট।

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট।

রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। তিনি পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৯০৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকা প্রতীকের ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৬ ভোট।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আসতে পারেননি অন্য কোনো প্রার্থী। অন্য ৫ প্রার্থী সবাই মিলে যেখানে পেয়েছেন ১১ হাজার ৪০১ ভোট, সেখানে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ একাই পেয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৯ ভোট।

রাজশাহী-৫ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ দারা। তিনি ৮৬ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬২ ভোট।

রাজশাহী-৬ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহরিয়ার আলম। তিনি ১ লাখ ১ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক। তিনি পেয়েছেন ৭৪ হাজার ২৭৮ ভোট।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম সুজন। মোট ১০৪টি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে মাজহারুল ইসলাম সুজন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসলাম জুয়েল ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ২শ ৩৪ ভোট।

ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। হাফিজ উদ্দিন পেয়েছেন এক লাখ ৮ হাজার ৫১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকে গোপাল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২০৪ ভোট।

সাতক্ষীরা-২ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৭ ভোট।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ সদর আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দল ওদুদ। তিনি ৯১ হাজার ৬০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএম মনোনীত নোঙর প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মতিন। তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৩ ভোট।

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী ঈগল প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৯ হাজার ৬৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭২৬ ভোট। এ আসনে মোট কেন্দ্র ১৭৭টি।

হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৯ হাজার ৯৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি মো. আব্দুল মজিদ খান পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৬০৬ ভোট। এ আসনে মোট কেন্দ্র রয়েছে ১৫০টি।

হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-শায়েস্তাগঞ্জ-লাখাই) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৬০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এমএ মুমিন চৌধুরী বুলবুল পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৬ ভোট।

হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব‍্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ঈগল প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ‍্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট। অর্থাৎ ৯৯ হাজার ৫৫৬ ভোট বেশি পেয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।

নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত রয়েছে।

নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দীন তরফদার ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৫১ ভোট।

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে ৮৫ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩২ ভোট।

নওগাঁ-৬ (রানীনগর-আত্রাই) আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমন। তিনি ট্রাক প্রতীকে ৭৬ হাজার ৭১৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭১ ভোট।

মাদারীপুর-১ আসনে বেসরকারিভাবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের মোতাহার হোসেন চৌধুরী সিদ্দিক পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৮২৬ ভোট।

মাদারীপুর-২ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাজাহান খান। তিনি ২ লাখ ২৩ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম নুরুজ্জামান। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৫ ভোট।

মাদারীপুর-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম। তিনি পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট।

ভোলা-৩ (লালমোহন ও তজুমদ্দিন) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন ১ লাখ ৭১ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন (ঈগল) প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮৮৬ ভোট। এছাড়াও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন ১ হাজার ৬৫৩ ভোট ও কংগ্রেস প্রার্থী ডাব প্রতীক নিয়ে মোঃ আলমগীর পেয়েছেন ১ হাজার ৫১১ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে জয়ী হয়েছেন কলার ছড়া প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ একরামুজ্জামান। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯১ ভোট। একরামুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কলারছড়ি প্রতীকের মঈন উদ্দিন। তিনি ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি এক লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হলেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান কেচি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৭ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে দুই লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহীন খান পেয়েছেন ছয় হাজার ৫৮৬ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল। তিনি এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট।

রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও রংপুর সিটির ১ থেকে ৮ নং ওয়ার্ড) আসনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলুর কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন মসিউর রহমান রাঙ্গা এবং এইচএম এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। রাঙ্গার চেয়ে তিনগুণ এবং আসিফের চেয়ে সাতগুণ বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বাবলু।

রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক। তিনি পেয়েছেন ৮১ হাজার ৫৯৯ ভোট। এ নিয়ে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক লীগ নেতা বিশ্বনাথ সরকার বিটু পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫৮৩ ভোট এবং জাতীয় পার্টির আনিছুল ইসলাম মণ্ডল পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৪০ ভোট।

রংপুর-৩ (সদর ) আসনের বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। লাঙ্গল প্রতীকের এ হেভিওয়েট প্রার্থী ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট। মোট ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন।

রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ২১ হাজার ৬২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোস্তফা সেলিম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৬৭১ ভোট।

রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে আওয়ামী লীগ নেতা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার এক লাখ ৯ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের রাশেক রহমান পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৫৯০ ভোট।

রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন। তিনি ১ লাখ ৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৩২ ভোট এবং জাতীয় পার্টির নুর আলম মিয়া পেয়েছেন ৯ হাজার ১৬ ভোট।

খাগড়াছড়ি আসনে বেসরকারি ফলাফলে হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তিনি ২ লাখ ২০ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৯শ ৩৮ ভোট।

বান্দরবান আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈ শিং। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৭২ হাজার ২৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের এ টি এম শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৩ ভোট।

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ ৫১ লাখ ৭১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম নৌকার প্রার্থী মোঃ শহিদুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ৪৮ হাজার ২৫৮ ভোট।

নাটোর-২ (নাটোর সদর- নলডাঙ্গা) আসনে নৌকার প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৪৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আহাদ আলী সরকার পেয়েছেন ৬১ হাজার ৮৫টি ভোট।

নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০২টি এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম শফিক পেয়েছেন ৪২ হাজার ৯৯৭টি ভোট।

নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৮২টি এবং ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৪৮টি ভোট।

নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোশতাক আহমেদ রুহী নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ওরফে ঝুমা তালুকদার (ট্রাক) পেয়েছেন ২৫ হাজার ২১৯ ভোট।

নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে নৌকার প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৫ হাজার ৩৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ খান জয় (ঈগল) পেয়েছেন ৮৬ হাজার ২৮৭ ভোট।

নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ট্রাক প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৮০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত অসীম কুমার উকিল পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট।

নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরী) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লিয়াকত আলী খান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৩৪০ ভোট।

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৫৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা পটল পেয়েছেন ৫১ হাজার ৫৬৭ ভোট।

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিনের কাছে পরাজিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এই আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে কামারুল আরেফিন পেয়েছেন ৯৮ হাজার ৮৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭৯ হাজার ৭৩৫ ভোট ।

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তণু পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৭২৬ ভোট।

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ। তিনি পেয়েছেন ৯৮ হাজার ৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জ নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮০ হাজার ১১১ ভোট।

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তণু পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৭২৬ ভোট।

কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুনতাকিম আশরাফ টিটু। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৬৮ ভোট।

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা মাত্র মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট। ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু। তিনি এক লাখ ৬৮ হাজার ২৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটন। তিনি পেয়েছেন সাত হাজার ২৫৬ ভোট।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। তিনি ১ লাখ ১২ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮১১ ভোট।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান। তিনি ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ নিয়ে শামীম ওসমান টানা তিনবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মুরাদ হোসেন জামাল পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৯ ভোট।

নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম সেলিম ওসামন। তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ নিয়ে সেলিম ওসমান টানা তিনবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী এ এম এম একরামুল হক পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৩ ভোট।

বরিশাল-১ আসনে ১২৯টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আম প্রতীকের ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মো. তুহিন। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ২১৮ ভোট।

বরিশাল-৫ আসনে ১৭৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কর্নেল অব জাহিদ ফারুক শামীম। তিনি ৯৭ হাজার ৭০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন। তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৭০ ভোট।

পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-স্বরূপকাঠী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ জয়ী হয়েছেন। তিনি ঈগল প্রতীকে ৯৯ হাজার ৭২৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি-জেপির প্রধান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭০ হাজার ৩৩৩ ভোট।

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান ওমর বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬২৪ ভোট।

মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব আল হাসান নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হোসেন ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৩ ভোট।

মাগুরা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীরেন শিকদার নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মুরাদ আলী লাঙ্গল প্রতীকে ১৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।

নরসিংদী-১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান এমপি লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ৯২ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান ৫৪ হাজার ৩১৫ ভোট পেয়েছেন।

নড়াইল-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে প্রায় দুই লাখ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফি পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান হাতুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১ ভোট।

পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনে নৌকার প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ৯৪ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৮৭ ভোট। ১২৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

ময়মনসিংহ-৮ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান সুমন। তিনি ৫৬ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ফখরুল ইমান। তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯৮৪ ভোট।

ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ফাহমী গোলন্দাজ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন দুই লাখ ১৬ হাজার ৮৯৩টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আবুল হোসেন দীপু পেয়েছেন সাত হাজার ৫১৯ ভোট।

টাঙ্গাইল-১ (ধনবাড়ী-মধুপুর) সংসদীয় আসন থেকে টানা ৫ম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৭৪ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আনোয়ারুল হক ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৪১৭৮ ভোট।

দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী জাকারিয়া জাকা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মো. জাকারিয়া পেয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৫১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোরঞ্জন শীল গোপাল পেয়েছেন এক লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ ভোট।

ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান এক লাখ ২৩ হাজার ৩৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন (ঈগল) পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৯৮৯ ভোট। এ আসনে ৩৮ হাজার ৩৪২ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রহমান।

ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীন প্রার্থী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু ৮৭ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থীর স্বতন্ত্র প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া (ঈগল) পেয়েছেন ৮৫ হাজার ২৩২ ভোট। এ আসনে এক হাজার ৯৬২ ভোটের ব্যবধানে শাহদাব আকবর নির্বাচিত হয়েছেন।

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসন থেকে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে. আজাদ। তিনি পেয়েছেন ১,৩৪,০৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৭৫,০৮৯ ভোট।

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান স্বতন্ত্র দলীয় সংসদ সদস্য আওয়ামী যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন তৃতীয়বারের মত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাখ করে হ্যাটট্রিক করেছেন। এবার ঈগল প্রতীকে নিক্সন পেয়েছেন এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ ভোট ভোট।

নীলফামারী-২ (সদর) আসনে টানা পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট। এছাড়া জাতীয় পার্টির শাহজাহান আলী চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৮৪৩ ভোট।

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান। তিনি ২৭ হাজার ৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান পবন পেয়েছেন ১২ হাজার ৪০৩ ভোট।

সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস এম আতাউল হক দোলন বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএম মনোনীত নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৮ ভোট।

ফেনীর তিনটি আসনে বেসরকারিভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে দুটি আসনে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

ফেনী-১ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। তিনি ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শাহরিয়ার ইকবাল। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ১৯৫ ভোট। ফেনী-১ আসনে ১৪টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৬ জন। আসনটির ১১৫ ভোটকেন্দ্রের ৭৭৯ ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।

ফেনী-২ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী। তিনি ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারুল করিম ফারুক। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৮ ভোট। ফেনী-২ আসনে ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ৪৭৭ জন। আসনটির ১৪০ ভোট কেন্দ্রের ৮২৭ ভোট কক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।

ফেনী-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রহিম উল্লাহ। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৬২৬ ভোট। জানা গেছে, তিনি দুপুরের পর অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন। ফেনী-৩ আসনে ১৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৩ জন। আসনটির ১৪৪ ভোটকেন্দ্রের ৯৮৮ ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।


আরও খবর



ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এসময় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ধোঁয়ায় চারপাশে অন্ধকার হয়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণ ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি টিম কাজ করছে।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা যায়নি। পরবর্তীতে জানানো যাবে।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক দীপক কুমার বলেন, হঠাৎ করে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে আগুন লাগে। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ধোঁয়ায় অন্ধকার সৃষ্টি হয়। স্টোর রুমটিতে হাসপাতালের ওষুধপত্র, যন্ত্রপাতি, ফ্রিজসহ নানা সরঞ্জাম রয়েছে।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়ে। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।


আরও খবর



বজ্রপাতে তিন জেলায় ৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে নারীসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে দুই, রাঙামাটিতে তিন এবং খাগড়াছড়িতে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার দুই ইউনিয়নে বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই চাষির মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্লাদিয়া এলাকার জমির হোসেনের ছেলে মো. দিদার হোসেন (২৫) এবং রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে আরাফাতুর রহমান (১৩)।

স্থানীয়দের বরাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, ভোর থেকে পেকুয়ায় থেমে থেমে বজ্রপাতসহ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে মাঠে থাকা লবণ পলিথিনে ঢেকে রাখতে যান দিদার হোসেনসহ পরিবারের আরও ২-৩ জন। এক পর্যায়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দিদার।

তিনি বলেন, প্রায় একই সময়ে রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে করতে গিয়েছিল কিশোর আরাফাতুর রহমান। তিনিও একইভাবে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের লাশ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছে বলেও জানান পেকুয়ার ইউএনও।

রাঙামাটি: রাঙামাটির সদর ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে; এ সময় আরো অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- শহরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০) এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপাকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বাহারজান বেগম (৫৫) এবং সাজেকের লংথিয়ান পাড়ার তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭)।

রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যাসমিন চাকমা বলেন, ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম ব্লক এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী বাহারজান বেগম গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার বলেন, অনেক দিন পর আজ সকালে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হয়। এতে রূপাকারী ইউনিয়নে বাহারজান নামে একজন এবং সাজেকে তনিবালা ত্রিপুরা নামের আরেক নারী নিহত হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও।

তিনি বলেন, এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার একটি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেয়ার সময় বজ্রপাতে সাতজন আহত হয়েছেন।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শওকত আকবর বলেন, সকালে শহরের সিলেটি পাড়া থেকে নজিরকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বৃষ্টির মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইয়াছিন আরাফাত উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইব্রাহিম পাড়ার বাসিন্দা ইউসুফ মিয়ার ছেলে।

স্বজনদের বরাতে বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, বৃষ্টির সময় উঠানের পাশেই আম কুড়াতে যায় দুই ভাই। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে ছোট ভাই প্রাণে বেঁচে গেলেও বড় ভাই ইয়াছিন আরাফাত ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডেজী চক্রবর্তী বলেন, নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: বজ্রপাতে মৃত্যু

আরও খবর



উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবার এবং জনসাধারণের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।

রোববার (৫ মে) সকালে ভবনটি উদ্বোধন শেষে নবনির্মিত প্যাথলজির বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন সরকারপ্রধান। পরে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম-সেনা প্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। দেশের অন্যান্য সেক্টরে উন্নয়নের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীকেও গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে।


আরও খবর



কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের রাখা নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৪ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবে।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের ওই রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না।

সেইসঙ্গে বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে রায়ে। তবে বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।

হাইকোর্টে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।

এর আগে ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন– চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল বিচারাধীন রয়েছে।

গত বছরের ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

পরে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।


আরও খবর