আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

একাদশ জাতীয় সংসদের সফল মন্ত্রী যারা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সরকারের সাফল্যের রূপকার হলেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তার সময়ে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর খুব বেশ দেরি নেই। যে কোনো দিন ঘোষণা হতে পারে তপশিল। বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যরা নির্বাচনকালীন সরকারে শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তারা পরবর্তী মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য দিন গুনতে থাকবেন। তবে বর্তমান মন্ত্রিসভার যেসব সদস্যের আমলনামা ভালো, তাদের কেউ কেউ হয়তো পরবর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। তাই গত প্রায় পাঁচ বছরে কোন মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কেমন চালিয়েছেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এ-সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য রয়েছে সরকারপ্রধানের কাছেও।

সরকারে উচ্চপর্যায়ের এক সূত্রমতে, ছোটখাটো ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলেও অন্তত এক ডজন মন্ত্রী গত পাঁচ বছরে সুনাম কুড়িয়েছেন। তারা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েও সুবিচার করতে না পারায় অনেকে হয়েছেন সমালোচিত। সফল ও ব্যর্থ এসব মন্ত্রীদের আমলনামা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে রয়েছে।

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা ও করোনা মহামারির মতো অভিঘাত সত্ত্বেও বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দায়িত্ব পালনে সাধারণ মানুষ ও সরকারের উচ্চমহলের সুনজর কেড়েছেন।

প্রায় ১৫ বছর সরকারপ্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একটানা দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময়ের মধ্যে যখনই নতুন সরকার গঠন করেছেন, তখন তিনি তার সহযাত্রীদের পরিবর্তন করেছেন। তবে সরকার গঠনের পর বিশেষ বড় ধরনের কারণ ছাড়া মন্ত্রিসভা থেকে কাউকে বাদ দেননি। যদিও মন্ত্রণালয়ে অনুপস্থিত, কাজের ধীর গতি ও এডিপি বাস্তবায়নে আশানুরূপ ফল অর্জন করতে না পারা মন্ত্রীর সংখ্যা কম নয়।

জানা গেছে, সব্যসাচীর ন্যায় দল ও মন্ত্রণালয় চালিয়ে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা আন্দোলন করবে জানা সত্ত্বেও তা মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের মতো দেশের প্রাচীন সংগঠনের তৃতীয়বার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। আন্দোলন মোকাবিলায় সারা দেশে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপিসহ মাঠের বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে কোণঠাসা করার মূল কারিগরও তিনি। তার মন্ত্রণালয়ের অধীনেই সম্পন্ন হয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প, যা বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে মূল ভূমিকা পালন করেছেন। তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশব্যাপী এক দিনে একশ সড়ক এবং দেড়শ সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। মহামারির সময় যখন সবাই ভীতসন্ত্রস্ততখনো মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকাজ নিয়মিত তত্ত্বাবধান করে গেছেন তিনি।

অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক রাজনীতিতে যেমন সরব তেমনি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বেশ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা না রাখা নীতি বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এতে দেশে কৃষি উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার প্রভাব মোকাবিলায় কৃষিতে প্রণোদনার দেওয়ার উদ্যোগ নেন তিনি। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি দলের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র সংশোধন ও আগামী নির্বাচনে ইশতেহার প্রণয়নের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রী হচ্ছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। জাতীয় যে কোনো সংকট মোকাবিলা করেছেন বিচক্ষণতার সঙ্গে। তিনি প্রথম দফায় দেড় বছর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করায় পরবর্তী সময়ে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। একাদশ জাতীয় সংসদেও তাকে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সদালাপী এই মন্ত্রী জঙ্গি দমনসহ সীমান্তে সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করার কারণে এখন পর্যন্ত তিনি বিতর্কের ঊর্ধ্বে রয়েছেন। প্রচারবিমুখ এই মন্ত্রীর দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে রয়েছেন।

সরকারের অন্যতম মুখপাত্র তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। রাজনীতিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলের কড়া জবাব যেমন দিয়েছেন, তেমনি মন্ত্রণালয় সামলাতেও সিদ্ধহস্ত তিনি। মন্ত্রণালয়ের নাম পাল্টে তিনি পুরোনো তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ফিরিয়ে নিয়েছেন। ক্রমবর্ধমান গণমাধ্যমের উৎকর্ষ সাধনে রেখেছেন ভূমিকা। করোনাকালে গুজব প্রতিরোধ করেছেন বেশ দক্ষতার সঙ্গে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সম্মেলন ছাড়াও দলের সমস্যা নিরসনে ভূমিকা রেখে চলেছেন। বিদেশি টিভি চ্যানেলে অনুমতি ছাড়া বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করা, কেবল নেটওয়ার্কের পূর্ণ ডিজিটালে রূপায়ণ, টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম ঠিক করার মাধ্যমে অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং অবৈধ ডিশ টিভির দৌরাত্ম্য বন্ধ করেছেন তিনি। সম্প্রচার আইন ও গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রণয়নের কাজ চলমান হলেও উদ্যোগটি বেশ প্রশংসনীয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সরকারের সাফল্যের রূপকার হলেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তার সময়ে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়।

নদী তীর দখলমুক্ত করা মাধ্যমে আলোচনায় আসেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথে নৌযান চলাচলের উপযোগী করার কাজও এগিয়ে নিয়েছেন অনেকটা। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজ, সমুদ্র পরিবহন ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, সমুদ্র বন্দরগুলোর আধুনিকায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শাহরিয়ার আলম। সফল এই ব্যবসায়ী কূটনীতিতেও বেশ পারদর্শী। বিশেষ করেবিভিন্ন দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারে কাজ করে চলেছেন তিনি। যখনই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের অতিকথনের কারণে সমালোচিত হয়েছেন, তখন নেপথ্যে থেকে শাহরিয়ার আলম সরকারের কূটনীতি সামলেছেন। গুছিয়ে কথা বলার কারণে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে তিনি বেশ সমাদৃত। সংবেদনশীল বা স্পর্শকাতর ইস্যুতে গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি যথেষ্ট সংযমী।

সুরক্ষা অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের টিকা নিবন্ধন এবং গ্রহণ প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করার পুরো কৃতিত্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের। দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ৯ হাজার ৩৯৭টি ডিজিটাল সেন্টারের ১৭ হাজার ৮০০-এর অধিক নারী-পুরুষ উদ্যোক্তা ৩৮৫টিরও বেশি সরকারি-বেসরকারি সেবা নাগরিককে সহজে, দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রতিমাসে ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৭৫ লাখেরও বেশি সেবা দেওয়া হচ্ছে। ইনফো সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার জন্যেও তিনি প্রশংসিত।

বন্যা ও নদীভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দেশকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শতবর্ষী ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশে নদীভাঙন এক-তৃতীয়াংশ কমে এসেছে।

নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার পর থেকে একটি মহলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। নোট-গাইড ও কোচিং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ায় সুশীল সমাজ, শিক্ষক, অভিভাবকদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক।

সৌজন্যে: কালবেলা


আরও খবর
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোটগ্রহণ

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




কাতারের আমির শেখ তামিম ঢাকায় আসছেন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। দুদিনের সফরে আজ তিনি বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা আসছেন। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকায় একটি সড়ক এবং একটি পার্কের নামাকরণ কাতারের আমিরের নামে করা হবে।

দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে বাংলাদেশ গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে থাকে। তবে এবার ডলার সংকটের কারণে গ্যাসের দাম এক বছর পর্যন্ত বাকি রাখতে চায় বাংলাদেশ। এই প্রস্তাব কাতারের আমিরের সফরকালে দেওয়া হবে। তার সঙ্গে মন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করবেন। এটি কাতারের আমিরের এশিয়া সফরের অংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চতুর্থ মেয়াদের নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতার সফরটি রাজনৈতিকভাবেও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

সফরকালে যে ছয়টি চুক্তি সই হবে সেগুলো হলো-১. দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত ২. আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা ৩. সাগরপথে পরিবহণ ৪. উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত ৫. দুই দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি এবং ৬. যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

এ ছাড়া যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে সেগুলো হলো-১. শ্রমশক্তি বিষয়ক ২. বন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত ৩. উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা ৪. যুব ক্রীড়াক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক এবং ৫. কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এদিকে, ঢাকায় কালশি এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক এবং ইসিবি চত্বর থেকে কালশি উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানির নামে নামকারণ করা হবে। ২৩ এপ্রিল বিকালে কাতারের আমির নিজে উভয় স্থাপনার উদ্বোধন করবেন।

রাষ্টপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ২২ ও ২৩ এপ্রিল ২০২৪ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি এই সফর করছেন। তিনি একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ হতে এটি প্রথম উচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর।

কাতারের আমিরের সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর, বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী। কাতার বঙ্গবন্ধুর সময়কালীন সময়ে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র। গ্যাস আমদানির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব থেকে বাকিতে গ্যাস আমদানি করে বাংলাদেশ। কাতারের কাছ থেকেও বাকিতে গ্যাস আমদানির প্রস্তাব করা হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের মার্চ ও মে মাসে দুইবার কাতার সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় অবস্থানে উপনীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করছেন।

সাম্প্রতিককালে কাতারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে কূটনৈতিক যোগাযোগ ও আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জ্বালানি, বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে।

কাতারের আমির আজ বিকালে বিশেষ বিমানে ঢাকায় আগমন করবেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার জানানো হবে।

আগামী ২৩ এপ্রিল সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তারপর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রথমে একান্ত বৈঠক এবং পরে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। রাষ্ট্রপতি সাহাবউদ্দিন বঙ্গভবনে কাতারের আমিরের সৌজন্যে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।

কাতারের আমিরের এই সফর তার এশিয়া সফরের অংশ। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ কাতার সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ। দেশটির শক্তিশালী অর্থনীতি, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান ও কূটনৈতিক তৎপরতা ও মধ্যস্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে একটি প্রভাবশালী দেশ হিসাবে বিবেচিত।

কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, যেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিলের অধিকারী কাতার বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হিসাবে বিবেচিত। তদুপরি কাতার বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কাতারের আমিরের আসন্ন সফর তাই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্যে এক বিরাট মাইলফলক।


আরও খবর
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোটগ্রহণ

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে— যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’

ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’


আরও খবর



অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন ডিপজল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভিনয়শিল্পীদের মাঝে লড়াইটা জমে উঠেছে। ইতোমধ্যেই দুইটি প্যানেলে দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছেন শিল্পীরা।

যাদের একাংশ গেছেন অভিনেতা মিশা ও ডিপজলের দলে। অন্যরা গেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণের প্যানেলে। তাদেরই একজন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। এবারের নির্বাচনের নিপুণের প্যানেলে থেকে লড়বেন তিনি।

এসব তো গেল পুরোনো খবর, নতুন খবর হচ্ছে- ধারের টাকা পরিশোধ না করায় চেক ডিসঅনারের জন্য নায়িকা অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, অঞ্জনা গত বছর ডিপজলের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। ছয় মাসের মধ্যে ধার পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তবে ছয় মাস পার হয়ে গেলেও তিনি টাকা ফেরত দেননি। ডিপজল টাকা ফেরত চাইলে তিনি এ বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ডিপজলকে ডাচবাংলা ব্যাংকের একটি চেক দেন। তবে ২৫ ফেব্রুয়ারি অঞ্জনার অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় চেকটি ডিসঅনার হয়।

মূলত এ কারনেই গত ২৩ মার্চ টাকা পরিশোধ করার জন্য অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ডিপজল। লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে অঞ্জনাকে পুরো অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। অন্যথায়, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে অঞ্জনার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



বাংলা নববর্ষ উদযাপন : হামলা-নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত র‍্যাব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ উদযাপন ঘিরে কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।

তিনি বলেন, যে কোনো নাশকতা বা হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র‍্যাবের স্পেশাল কমান্ডো টিম। এছাড়া সাদা পোশাকে টহল ও নজরদারির মাধ্যমে নাশকতামূলক যে কোনো কার্যক্রমসহ প্রতিরোধ করা হবে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীর রমনা বটমূলের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, সবাই যেন উৎসব সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করতে পারেন সে জন্য র‍্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বদা সজাগ রয়েছে।

র‍্যাব বলেন, পহেলা বৈশাখ কেন্দ্র করে প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও র‍্যাব সারাদেশ ব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষে না হওয়া পর্যন্ত র‍্যাবের ব্যাটালিয়নগুলো নিজ নিজ এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও টহল জোরদার করেছে। নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর টিএসসি শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, রমনা বটমূল, পূর্বাচল ৩০০ ফিটসহ যেসব এলাকায় মানুষ যাবে সেখানে পেট্রলসহ সুইপিং করা হবে। আমাদের গোয়েন্দা টিম সার্বিক নজরদাবি অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, ভার্চুয়াল জগতে যে কোনো ধরনের গুজব বা উসকামূলক তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য র‍্যাব সাইবার জগতে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে ইভটিজিং বা উত্যক্ত করার ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ উত্যক্তের শিকার হলে র‍্যাব সদস্যদের জানাবেন। আমরা যথাযথ আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে কঠোরভাবে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: বাংলা নববর্ষ

আরও খবর
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোটগ্রহণ

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের মাঝে হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা জাতের হীরা-৬ ধান। অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় চাষীরা রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন হীরা-৬ জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী মিশন পাড়ার অনুষ্ঠিত হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রীম সীড কোম্পানীর আয়োজনে হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসে স্থানীয় কৃষক আব্দুল আজিজ মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীর জোনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনিতা মজুমদার। কোম্পানীর রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ আসাদুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় পরিবেশক দুলাল রায়, কৃষক শওকত আকন প্রমুখ।

কৃষক শওকত আকন জানিয়েছেন, তিনি তার ৬০ শতক জমিতে হীরা-৬ জাতের বোরো ধান চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আগামীতেও তিনি এ জাতের ধান চাষ করবেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে যেসব হাইব্রিড ধান চাষ হয় হীরা-৬ ধান তার মধ্যে অন্যতম। উচ্চ ফলনশীল হওয়ার কারণে এই ধান তাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

মাঠ দিবসের আলোচনার শুরুতে অতিথিরা কৃষকদের সাথে নিয়ে হীরা-৬ ধানসহ অন্যান্য জাতের চাষ করা কয়েকটি বোরো ক্ষেত পরিদর্শন করে ধানের চারা সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে গণনা করে হীরা-৬ ধানের প্রতিটি শীষে গড়ে ৩০৬ থেকে ৩১০টি ধান পাওয়া গেছে। অন্যান্য জাতের ধানে সর্বোচ্চ ২০০টি ধান পাওয়া যায়।

এরপর অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মশিউর রহমান বলেন, হীরা-৬ বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা হাইব্রিড ধান। এই জাতের ধানে অন্য যেকোন হাইব্রিড ধানের তুলনায় বেশি ফলন হয়। রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন ১৪৫ দিনের জীবন কাল হীরা-৬ ধানের জাতে প্রতি শতকে এক মনের অধিক ধান পাচ্ছেন কৃষক। পাশাপাশি এ ধানের খোসা অত্যন্ত পাতলা হওয়ায় প্রতি ১০০ মন ধানে ৭৩ মনের অধিক চাল পাওয়া যায়। এছাড়াও এ ধানের চাউলের ভাত অন্যান্য জাতের মতো আঠালো হয়না।

সভায় উপস্থিত প্রায় দুই শতাধিক কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বোরো চাষের শুরুতে আগে ভাবতে হবে কোন ধানের বীজ বপন করে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। কারণ এটা শুধু বীজ নয়; একটি পরিবারের স্বপ্ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে যে কয়টি কোম্পানি হাইব্রিড ধানের আমদানির অনুমতি পেয়েছে তাদের মধ্যে একটি সুপ্রীম সিড। কোম্পানিটি বাংলাদেশে প্রথম চীন থেকে বাংলাদেশে হীরা ধানের বীজ এনে বাজারজাত করেন। এরপর তারা নিজস্ব উৎপাদনে যায়। বর্তমানে ৯০ শতাংশ বীজ নিজেরাই উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, হাইব্রিড ধান সাধারণত ৭০-৭৫ শতাংশ পাকলেই কাটতে হয়। কারণ ধান বেশি পাকার ফলে ক্ষেতেই ঝড়ে যায়। তখন হাইব্রিড ধানের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা হয়। যে কারণে কৃষকদের সচেতনতার জন্যই মূলত হীরা-৬ ধানের মেগা মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর