আজঃ রবিবার ২৩ জুন ২০২৪
শিরোনাম

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: খুনের পর চামড়া ছাড়িয়ে টুকরো করা হয় মৃতদেহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চিকিৎসার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গিয়ে খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। তবে তার মৃতদেহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থা এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে এবং সময় যতই গড়াচ্ছে হাড়হিম করা ভয়ঙ্কর সব তথ্য সামনে আসছে।

এদিকে আনারকে হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরপরই তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। বলা হচ্ছে, এমপি আনারকে হত্যার পর চামড়া ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করা হয় মৃতদেহ।

এরপর সেগুলো প্লাস্টিকের প্যাকেটে করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে খুন হওয়ার পর বাংলাদেশের সংসদ সদস্যের মৃতদেহের চামড়া ছাড়ানো হয়। এরপর মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে করে শহর জুড়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয় বলে তদন্তে জানা গেছে।

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার কলকাতায় আসার দুদিন পর গত ১৪ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

এনডিটিভি বলছে, পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) মুম্বাইতে বসবাসকারী বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী জিহাদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের পর তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, জিহাদ হাওলাদার কলকাতার নিউ টাউনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বাংলাদেশের সংসদ সদস্যকে হত্যা ও টুকরো টুকরো করার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

মূলত তাকে গ্রেপ্তারের পরই কীভাবে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনাটি সুচিন্তিতভাবে পরিকল্পিত ও সম্পাদিত হয়েছিল তার চমকপ্রদ বিবরণ বেরিয়ে এসেছে। জিহাদ হাওলাদার জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আখতারুজ্জামান নামে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিক। আখতারুজ্জামানের নির্দেশেই হাওলাদারসহ আরও চার বাংলাদেশি নাগরিক এমপি আনারকে নিউ টাউন অ্যাপার্টমেন্টে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

এর আগে গত বুধবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুন করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে শেষবার কলকাতা শহরতলির এই অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, পরে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি নিউ টাউনের ওই অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে রক্তের দাগ খুঁজে পায় এবং বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের ব্যাগও সেখান থেকে উদ্ধার করে। এসব ব্যাগ মরদেহের টুকরো ডাম্প করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল বলে তারা মনে করছেন।

পুলিশ দাবি করেছে, পরিস্থিতিগত প্রমাণে যে ইঙ্গিত মিলেছে তাতে বোঝা যায়, এমপিকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় এবং তারপরে তার মরদেহকে টুকরো টুকরো করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জানিয়েছেন, জিহাদ হাওলাদার নামে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি নাগরিক এবং তিনি অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইতে বাস করতেন। তার আদি বাসস্থান বাংলাদেশের খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার অন্তর্গত বারাকপুরে।

এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আখতারুজ্জামান দুমাস আগে জিহাদকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল।

বৃহস্পতিবার জিহাদকে আটক করে একটানা জেরা করা হয়। তারা নিহত আনোয়ারুল আজীমের মরদেহ কলকাতা সংলগ্ন কোন এলাকায় ফেলে দিয়ে থাকতে পারে, সেটা জানার চেষ্টা করা হয়।

নিহত এমপির দেহাংশের খোঁজে সিআইডি বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা পুলিশ এলাকার অন্তর্গত পোলেরহাট থানার কৃষ্ণবাটি সেতুর কাছে বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায়। নিউ টাউন এলাকার যে ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়, সেই আবাসিক কমপ্লেক্সের সামনে দিয়েই এই খালটি বয়ে গেছে। তবে সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি বলেই সিআইডি জানিয়েছে।

সিআইডির ওই শীর্ষ কর্মকর্তা সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে খুনের পরে কীভাবে মরদেহ লোপাট করা হয়েছিল, তার ভয়ঙ্কর বর্ণনা দিয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়া জিহাদ সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে ওই ফ্ল্যাটে সে এবং আরও চার জন বাংলাদেশি নাগরিক এমপি আনারকে শ্বাসরোধ করে খুন করে।

সিআইডির ওই কর্মকর্তা বলছেন, হত্যা করার পরে মৃতদেহ থেকে চামড়া ছাড়িয়ে শরীরে মাংস আলাদা করে নেয় তারা। শরীরের মাংস এমনভাবে টুকরো করা হয় যাতে তাকে চেনা না যায়। মাংস-খণ্ডগুলো প্ল্যাস্টিকের প্যাকেটে ভরা হয়। হাড়ও ছোট টুকরো করা হয়।’

সিআইডির ওই শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, এরপরে ফ্ল্যাট থেকে প্যাকেটগুলো বের করে বিভিন্নভাবে কলকাতার নানা জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়।’

পুলিশ বলছে, তারা নিহত বাংলাদেশের রাজনীতিকের শরীরের বিভিন্ন অংশের অবস্থান সম্পর্কে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে। অবশ্য গ্রেপ্তারকৃত জিহাদ হাওলাদারকে শুক্রবার বারাসাত আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



দুপুর গড়াতেই রাজধানীর অধিকাংশ পশুর হাট ফাঁকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র একদিন বাকি। ঈদকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তে সরগরম হয়ে উঠলেও শেষ দিনে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানীর অধিকাংশ পশুর হাট। রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

হাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর চাহিদা সর্বোচ্চ। ফলে বড় গরু ছাড়া মোটামুটি সবই বিক্রি হয়ে গেছে। যা আছে তা-ও সন্ধ্যার মধ্যে চলে যাবে বলে আশা তদের।

এতদিন রাজধানীর হাটগুলোতে কোরবানির পশুর কেনাবেচা তেমন একটা না হলেও শুক্র ও শনিবার একেবারেই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। অনেকেই তাদের পছন্দের পশু কিনে বাড়ি ফিরেছেন। কেনাবেচা বেশি হওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও।

গত দুদিনে তেজগাঁও হাটের জন্য নির্ধারিত মাঠ ছাড়া আশপাশের সড়ক ও গলিতে গরুর উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে আজ ফাঁকা হতে শুরু করেছে পশুর হাটটি। দুপুর ২টার মধ্যে প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে কলোনি বাজার হাট। সড়ক থেকে মাঠ, গুটি কয়েক গরু ছাড়া তেমন পশু চোখে পড়েনি। যা রয়েছে তা-ও বড় সাইজের গরু।

রৌমারি থেকে ১৬টি গরু নিয়ে এসেছিলেন আলী হোসেন। তার সব গরুই সকালের মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মোট ১৬টা গরু নিয়ে এসেছিলাম। সবগুলোই মাঝারি ও ছোট সাইজের গরু। আজকে সকালে সর্বশেষটা বিক্রি হয়েছে। বাজারে মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর চাহিদাই বেশি।

তবে এ সাইজের অবিক্রিত গরুও রয়েছে। ভালুকা থেকে মোট ৯টি মাঝারি সাইজের গরু নিয়ে এসেছিলেন জয়নাল মিয়া। তিনি বলেন, ৯টা গরু এনেছিলাম। এই মুহূর্তে ৪টা রয়েছে। দামে মিলছে না, তাই দামাদামি হলেও ছাড়িনি। বিকেল পর্যন্ত দেখব। এরপর যা আছে কপালে।

রাজধানীর মেরাদিয়া হাটের নির্ধারিত স্থান ছাড়াও আশপাশের অলিগলিতে পর্যাপ্ত পশুর দেখা মিললেও এখন অনেকটাই ফাঁকা। এই হাটে গরু কিনতে এসে মিজানুর রহমান নামে এক ক্রেতা জানান, এবার এ হাটে প্রচুর কোরবানির পশু এসেছে। ছোট, বড়, মাঝারি সব প্রজাতির গরু-ছাগল এসেছে। শেষ দিনে এতটা ফাঁকা হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি।

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি মোট ৬টা বড় সাইজের গরু নিয়ে এসেছিলেন এর মধ্যে ৪টা বিক্রি হয়েছে। সবথেকে বড় দুইটা রয়ে গেছে।


আরও খবর



মমতাই থাকছেন পশ্চিমবঙ্গে, বিজয় উৎসব শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। সাত ধাপে টানা দেড় মাস ভোটগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা পর্ব। এতে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৪২ আসনের মধ্যে ৩৩ আসনে এগিয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে মোদির বিজেপি ৪২ আসনের মধ্যে ৯টিতে এগিয়ে রয়েছে, যা তাদের গতবারের পাওয়া ১৮ আসনের অর্ধেক।

যদিও এখন পর্যন্ত কোনো ফল ঘোষণা করা হয়নি। তবে এক-তৃতীয়াংশ গণনা শেষ হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা ইতোমধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন স্থানে বিজয় উৎসব শুরু করেছেন। তারা রাস্তায় না বেরোলেও রাজ্যের জেলাগুলোয় তৃণমূলের রং সবুজ আবির পরস্পরকে মাখিয়ে এবং স্লোগান দিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় এবারের লোকসভা নির্বাচন। সাত ধাপে ভোট শেষ হয় গত ১ জুন।


আরও খবর



ট্রেনে জানালার পাশে বসা নিয়ে মারামারি, ঘুসিতে প্রাণ গেল যাত্রীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

ট্রেনে জানালার পাশে বসা নিয়ে দুই যাত্রীর মারামারির ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মারামারির ঘটনা ঘটে। নিহত ওই যাত্রী নরসিংদী সদরের বীরপুর এলাকার প্রত্যুত কুমার বাউলের ছেলে ঝুমুর কান্তি বাউল (৪২)। অন্যদিকে অভিযুক্ত যাত্রীর নাম মনজুর মিয়া (৫৫)। তিনি চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা।

ট্রেনের যাত্রীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী ঢাকা মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনটি নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর পর ঝুমুর কান্তি বাউল নামের ওই যাত্রী ট্রেনের শেষ বগিতে ওঠেন এবং জানালার পাশে দাঁড়াতে চান। সেই জানালার পাশের সিটে বসা মনজুর মিয়া নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে এ নিয়ে তার বচসা শুরু হয়। একপর্যায়ে মনজুর মিয়া ঝুমুর কান্তি বাউলকে লাথি এবং ঘুসি দিলে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় বগির অন্যান্য যাত্রীরা অজ্ঞান হওয়া ঝুমুর কান্তি বাউলকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে নামিয়ে দিলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এরপর স্টেশন কর্তৃপক্ষ অজ্ঞান হওয়া যাত্রী ঝুমুর কান্তিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল্লা বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশ আটক করেছে। নিহতের লাশ হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন স্বজনরা।


আরও খবর



আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ভিক্ষুকের টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

স্বামী হারানো ৮২ বছর বয়সী কুটি খাতুনের ভিক্ষা করে জমানো ১৫ হাজার টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে। মাথা গোঁজার স্বপ্ন নিয়ে সরকারি ঘরের আশায় ২ বছর আগে ওই নেতাকে এ টাকা তুলে দেন কুটি। অথচ আজও সেই ঘর দেওয়া হয়নি তাকে। এমনকি টাকাও ফেরত পাননি তিনি।

অভিযুক্ত ওই আ.লীগ নেতার নাম কামরুজ্জামান সাহেব ফকির। তিনি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ভুক্তভোগী কুটি খাতুন উপজেলার চরযশোরদি ইউনিয়নের বড় শ্রীবদ্দি গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইউসুফ মাতুব্বরের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে নিজের জীবন বাঁচাতে লড়াই করে আসছেন তিনি। পেটের তাগিদে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করছেন তিনি। বসবাস করছেন প্রতিবেশির ঝুপরি ঘরে। এমন অবস্থায় শেষ বয়সে এসে একটি সরকারি ঘরে মাথা গোঁজার স্বপ্ন দেখেন তিনি। আর সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য গত ২ বছর আগে ভিক্ষা করে জমানো ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে।

তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এখনো মেলেনি তার সরকারি ঘর। এমনকি ফেরত পাননি টাকা। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো ভাতার তালিকাতেও তার নাম ওঠেনি বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী কুটি খাতুনের সঙ্গে কথা বললে এসব তথ্য ওঠে আসে।

মূলত চেয়ারম্যান নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় এ লেনদেন হয়েছে বলে জানা যায়।

প্রতিবেশীরা জানান, মুক্তিযুদ্ধের বছর মারা যান কুটি খাতুনের স্বামী। তার দুটি ছেলে সন্তান থাকলেও তারা কেউ মাকে দেখেন না। স্বামীর সম্পত্তি বলতে এক টুকরো ভিটে থাকলেও মাথা গোঁজার মতো ঘর ছিল না। প্রতিবেশীর একটি ঝুপরি ঘরে থেকে ভিক্ষা করে পেট চালান তিনি। বর্তমানে অনাহারে অর্থাহারে কাটছে তার জীবন।

ভুক্তভোগী কুটি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে গত ২ বছর আগে চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সাহেব ফকির আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু টাকা নিলেও ঘর দেয়নি। আমি ঘরের জন্য অনেক ঘুরেছি, লাভ হয়নি। এখন দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে বিচার চেয়েছি।

কুটি খাতুনের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির খান বলেন, ওই বৃদ্ধা মহিলা বারবার আমার কাছে এসে ঘর ও টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। আমি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলেও তিনি গুরুত্ব দেননি।

অভিযুক্ত চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান সাহেব ফকির বলেন, কুটি খাতুনকে আমি চিনিই না। তবে শুনেছি, সরকারি ঘরের জন্য পাচী নামে এক মহিলা তার আত্মীয়কে ১৩ হাজার টাকা দিয়েছিল। সেই টাকা পাচীকে ফেরতও দিয়েছে। এখন আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিললে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া এই বয়োজ্যেষ্ঠ অসহায় মহিলাকে বসবাসের জন্য অতি দ্রুত একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে এবং সরকারি ভাতার আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



হামাসকে পরাজিত করা সম্ভব নয়: ইসরাইলি বাহিনী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূল করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ড্যানিয়েল হাগারি। বুধবার (১৯ জুন) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৩কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি বলেন। খবর ডেইলি সাবাহর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আট মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। তবে এখনো তারা গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করতে পারেনি। বরং হামাস উৎখাত করতে গিয়ে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ মেরেছে ইসরাইল।

এ প্রসঙ্গে ইসরাইল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র হাগারি বলেন, হামাস একটি মতাদর্শ। একটি মতাদর্শ নির্মূল করা সম্ভব নয়। আমরা হামাসকে শেষ করে দিতে যাচ্ছিএটা বলা মানে হলো মানুষের চোখে ধুলা দেওয়া। আমরা বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে শেষ পর্যন্ত হামাস থাকবে।

এদিকে হাগারির এই বক্তব্য প্রত্যাখান করেছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা হামাসের সামরিক ও সরকারি সক্ষমতা ধ্বংস করাকে যুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীও (আইডিএফ) এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর বাইরে যেকোনো দাবি অপ্রাসঙ্গিক।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৮৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।


আরও খবর