আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

এপিএ র‌্যাঙ্কিং: প্রথম স্থানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

এবার দেশের সকল মেডিকেল কলেজকে ছাপিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মেডিকেল কলেজ সমূহের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) র‍্যাঙ্কিং তালিকায় (২০২২-২৩) অর্থ বছরের সেরা পারফরম্যান্স ফলাফলের তালিকায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ প্রথমস্থান অর্জন করেছে।

প্রসঙ্গত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূলত সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রণীত একটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক। শুধু কেবল উর্ধ্বতন দপ্তরের সাথে অধস্তন দফতরের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট অফিসের কৌশলগত উদ্দেশ্য সমূহ-সকল কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জনের গৃহীত কার্যক্রম সমূহ। এসকল কার্যক্রমের ফলাফল পরিমাপের জন্য কর্মসম্পাদন সূচক ও লক্ষ্যমাত্রা সমূহ বিধৃত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অর্থবছর সমাপ্ত হওয়ার পর ওই বছরের চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা সমূহের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট অফিসের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়নে বছর শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ এবার প্রথম স্থান লাভ করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের একাধিক শিক্ষকদের ভাষ্যমতে, কলেজের স্বনামধন্য অধ্যক্ষর নিরলস পরিশ্রম ও যোগ্য নেতৃত্বেই আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এক সময়ে অধ্যক্ষ স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলেন আমাদের শ্রেষ্ঠ হবার। আমরা বিশ্বাসের সাথে ধারণ করেছিলাম এবং সকলে সাধ্যমত চেষ্টা করেছি বলেই মহান আল্লাহ আমাদেরকে সম্মানিত করছেন।

প্রথম দিকে সবাই যখন একযোগে স্লোগান দিতাম আমরা হব সেরাদের সেরা। বাংলাদেশের এক নম্বর মেডিকেল কলেজ। অনেকেই বিস্মিত হয়ে আমাদের দিকে তাকাতেন! মনে করতেন আমরা হয়তো মন গড়া আষাঢ়ে গল্প করছি। ঢাকা থেকে বড় বড় স্যারেরা যখন ভিজিট করতে আসতেন আমাদের দেখে তারাও বেশ অবাক হতেন। ভাবতেন, সাহস কত! কিন্তু আমাদের অধ্যক্ষ মহোদয়ের এই স্বপ্নটা এক সময় আমাদের মধ্যে প্রত্যয়ের বীজ বুনতে শুরু করে। সবাই মিলে একই বিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে থাকি। কলেজের সকল শিক্ষকগণ সাফল্যের জন্য অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও এপিএ ফোকাল পারসন হিসাবে ডা. ইকবাল হোসেনের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান আজকের দর্পণকে জানান, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে (এপিএ) এবার ৩৭ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ অংশ গ্রহণ করবে। আমাদের প্রথম স্থান ধরে রাখার জন্য আমাদেরকেও প্রাণপণ চেষ্টা করতে হবে। এবছর শ্রেষ্ঠ মেডিকেল শিক্ষকদের মধ্যে ২য় ও ৩য় হয়েছেন কলেজের অধ্যাপক ডা. দিলরুবা জেবা ও ডা. রেজাউল কাদের সহযোগী অধ্যাপক। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ১৭জন ছাত্র-ছাত্রী ৩য় পেশাগত পরীক্ষায় অনার্স মার্ক অর্জন করেছেন এবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের।

ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ক্রমান্বয়ে পেপারলেস অফিস হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যভাগ হতে যুক্ত হতে যাচ্ছে কলেজের নিজস্ব মোবাইল অ্যাপস।আপাতত এন্ড্রয়েড প্লাটফর্মে কাজ করবে। অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষকগন সকল ক্লাসে হাজিরা নেয়া, আইটেম, কার্ড, ওয়ার্ড কমপ্লিশনসহ পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মার্কিং করা, পরীক্ষার জন্য এলিজিবল স্টুডেন্ট বের করতে পারবেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অক্টোজেনারেটেড পরিচয়পত্র প্রদান, মার্কশীট জেনারেশন, সার্টিফিকেট জেনারেশন, ট্রান্সক্রিপ্ট জেনারেশন সকল ডাটা স্টোরেজ করতে পারবে। কোন শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিতির হার ৭৫% এর নীচে গেলে অটো তার ও তার শিক্ষকদের কাছে ম্যাসেজ পাঠানো পারফর্মেন্স শীট জেনারেশনসহ অটোমেটিক কয়েকটা টাচে করা যাবে। এছাড়াও কোনদিন কোন শিক্ষক কি ক্লাস নিয়েছেন, সকল ক্লাস সময়মত সম্পন্ন হয়েছে কিনা, ছাত্রদের উপস্থিতির বিষয়সমূহ বিভাগীয় প্রধান, ফেজ কোঅরডিনেটর, একাডেমিক কোঅর্ডিনেটর ও অধ্যক্ষ অ্যাপে টাচ করেই মনিটর করতে পারবেন।

শিক্ষার্থীদের ছুটির দরখাস্তও এর মাধ্যমে করতে হবে এবং সেটা এপ্রুভাল পেলে সংশ্লিস্ট সকল স্থানে অটো আপডেট হবে এমনকি ক্লাসে উপস্থিতির ঘরেও পৌঁছে থাকবে। এমনকি ছুটি এপ্রুভাল করতে গেলে কর্তৃপক্ষের সামনে অটো ভেসে উঠবে ওই শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে ভোগকৃত ছুটির হিসাব।

তিনি আরও জানান, বিশ্ব শিক্ষক দিবস অত্র কলেজে দিনব্যাপি ব্যাপক আয়োজনে উদযাপিত হবে। গুনী শিক্ষকদের সম্মানিত করা হবে। প্রথমবারের মতো কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হবে। আগামী ৫ অক্টোবর দিনব্যাপি ব্যাপক আয়োজনে বাড়তি উদ্দীপনায় আনন্দ উদযাপন করা হবে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে নামকরণ দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অগ্রযাত্রায় বিশেষ ভূমিকা রাখার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের সকল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।


আরও খবর



দুই মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর থেকেই দেখা দিয়েছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। এতে ঈদে ঘরমুখো হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিন দুপুরে ছুটি পেয়ে গাজীপুর থেকে লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক ঈদযাত্রায় শামিল হয়েছেন। এত এত যাত্রীর তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা খুবই কম। পরিবহন সংকটে পড়ে বাস, ট্রাক, পিকআপ ও ড্রাম্প ট্রাকে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনেকে।

গাজীপুর ছাড়াও গাবতলী, আশুলিয়া, বাইপাল, সাভার ও নবীনগর এলাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো চন্দ্রা এলাকা পার হয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ পরিস্থিতি বাড়তে থাকলে ভুগতে হবে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের।

অপরদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে স্বল্প দূরত্বের চলাচলকারী বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও পিকআপ। এসব পরিবহনগুলো দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে ইচ্ছে মতো ভাড়া হাঁকিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আজ দুপুর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

তিনি বলেন, যাত্রী উঠানামা করাতে গাড়িগুলো দাঁড়াচ্ছে, এতে সামান্য সময়ের জন্য যানজটের তৈরি হচ্ছে। গাড়িগুলো চলে যাওয়ার পর মুহূর্তেই আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে যানজট কমাতে পুলিশ কাজ করছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত এই পথে গাজীপুর অংশে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ২ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রবিবার (৫ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

অপর এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।


আরও খবর



সারাদেশে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের ৬৪ জেলায় শব্দ দূষণবিরোধী অভিযানের মধ্য দিয়ে পালিত হলো আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস। দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসেবে পরিবেশ অধিদফতর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সারা দেশে একযোগে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে।

প্রতি বছরের মতো এবারও এপ্রিল মাসের শেষ বুধবার (২৪ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালন করা হয়েছে। আসুন সবাই শব্দদূষণ হ্রাসে সচেষ্ট হই এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবার দিবসটিতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি নাগরিকদেও দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে দেশের প্রথম সারির বাংলা ও ইংরেজী জাতীয় দৈনিকে দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে সচেতনতামূলক রঙিন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসচেতনতামূলক ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো হয়েছে। সরকারি সকল ওয়েবসাইটে পপ-আপ প্রদর্শন করা হয়েছে ও বিটিআরসির সহযোগিতায় সকল সেল ফোনে সচেতনতামূলক বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



কোরবানির ঈদে পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশু আমদানির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সাভারের বিপিএটিসি'তে বিসিএস লাইভ স্টক একাডেমিতে ৪১তম মৎস্য ক্যাডারের নবনিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগদান উপলক্ষে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, খামারিদের উৎসাহ প্রদান করা, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তারা যাতে উৎপাদনটা আরও বেশি করতে পারেন সেজন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। পশুর দাম যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেই ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগ আছে।

তিনি বলেন, আমাদের গবাদি পশু যেমন, গরু ছাগল ইত্যাদির নানা ধরনের রোগ বালাই আসে। রোগ বালাই প্রতিরোধে একটা বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেজন্য ভেটেনারি হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন করা এবং সেগুলোকে সক্রিয় করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলো যেন ভালোভাবে মানুষকে সেবা দিতে পারে সেই ধরনের ব্যবস্থাপনার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, খামারিদের উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনা আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি। বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পে খামারিরা ১০০ টাকা বিনিয়োগ করলে সেখানে আমরা ৬০ টাকা দেব। নামমাত্র সুদে দীর্ঘ সময় নিয়ে খামারিদের টাকা ফেরত দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছি। এতে নিশ্চয়ই খামারিরা আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং উৎসাহিত হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. রেজাউল হকের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন। এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ‘প্রস্তুত’ ইউরোপের ৩ দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তত রয়েছে ইউরোপের ৩ দেশ। স্পেন, আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তৃতীয় দেশটি হচ্ছে নরওয়ে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে নিজেরা প্রস্তুত বলে জানায় আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। সূত্র: আল জাজিরা

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ডাবলিনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড শীঘ্রই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়, তবে স্পেন এবং আরও ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেন, স্পেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোয়ারও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তার দেশও অন্যান্য দেশের মতো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

সানচেজ বলেন, ইচ্ছুক দেশগুলো তাদের ঘোষণা দেবে যখন পরিস্থিতি উপযুক্ত হবে এবং তারা নতুন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার সমর্থন করবে।

এর আগে ইউরোপের দেশ মাল্টা ও স্লোভেনিয়া জানিয়েছিল, তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সাথে মাল্টা ও স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যৌথভাবে এ ঘোষণা দেয় তারা।


আরও খবর
পুলিৎজার পেল ৩ গণমাধ্যম

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪