প্রথমার্ধে একচেটিয়া আধিপত্য করল ইন্টার
মিলান। প্রথম ১১ মিনিটের মধ্যে তারা জালের দেখা পেল দুইবার। বিরতির পর এসি মিলান খানিকটা
লড়াই করলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেল না। নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স
লিগের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এগিয়ে রইল সিমোনে ইনজাগির দল।
সান সিরোয় বুধবার রাতে সেমি-ফাইনালের প্রথম
লেগে ইন্টারের জয় ২-০ গোলে। এদিন জেকো দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান হেনরিখ মিখিতারিয়ান।
আরও পড়ুন<< দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে ফাহাদ-জান্নাতুল
গোলের জন্য ম্যাচের প্রথম দুটি শটেই সাফল্য
পায় ইন্টার। অষ্টম মিনিটে সতীর্থের কর্নারে ছয় গজ বক্সের বাইরে বাঁ পায়ের চমৎকার ভলিতে
প্রথম গোলটি করেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড জেকো।
প্রথম গোলের রেশ না কাটতেই ব্যবধান দ্বিগুণ
করেন ৩৪ বছর বয়সী মিখিতারিয়ান। বাঁ দিক থেকে ফেদেরিকো দিমারকো পাস দেন বক্সের বাইরে।
প্রথম স্পর্শে বল ধরে ভেতরে ঢুকে জোরাল শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
ও আর্সেনালের সাবেক মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুটা অবশ্য ভালো করে মিলান।
৫০তম মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে ব্রাহিম দিয়াসের শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। তিন
মিনিট পর আরেকটি ভালো সুযোগ পায় তারা, শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি জুনিয়র মেসিয়াস।
আরও পড়ুন<< লরিয়াস বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মেসি
খানিক পর ব্যবধান বাড়ানোর বড় সুযোগ আসে
ইন্টারের সামনে। জেকোর সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক। তার প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে পা
দিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মিয়াঁ।
৬৪তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি মিলান।
অলিভিয়ে জিরুদের পাস থেকে সান্দ্রো তনালির শট পোস্টে লাগে। একেবারে শেষ দিকে আরেকটি
সুযোগ পায় তারা। কিন্তু তোমাসো পবেগা শট মারেন গোলরক্ষক বরাবর।