সদ্য বিদায়ী
মাস ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায়
(এক ডলার সমান ১০৭ টাকা ধরে) প্রায় ১৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। এটি তার আগের মাস জানুয়ারির
চেয়ে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার কম। তবে গত বছরের (২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি) একই সময়ের চেয়ে
৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। বুধবার (১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ
প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
তথ্য বলছে, চলতি বছরের সদ্য বিদায়ী মাস ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলারের
রেমিট্যান্স এসেছে। সে হিসাবে আলোচ্য মাসে প্রতিদিন আসে প্রায় ৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বা
প্রায় ৫৯৬ কোটি টাকার বেশি। আগের মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।
সে হিসাবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার কম এসেছে। তবে গত
বছরের একই মাসের চেয়ে ৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার বেশি এসেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪৯
কোটি ৪৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের
তথ্য মতে, ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৭ কোটি
৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৮৮
লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
পাশাপাশি বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
আলাচিত সময়ে
সাত ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয়
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা
রাকাব, বেসরকারি খাতের বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক লিমিটেড,
বিদেশি হাবিব ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বাড়াতে
নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে রেমিট্যান্স
না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ।
তবে আগামীতে দুইটি বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা রয়েছে। এ কারণে আগামীতে রেমিট্যান্স
বেশি পরিমাণ আসবে।
গত ২০২১-২০২২
অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক শূন্য
৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক
১১ শতাংশ কম। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের
রেমিট্যান্স এসেছিল।