পাঁচ বছর আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশসহ ৬ দেশের ৪০ ব্যক্তিকে শনাক্ত করা
হয়েছে বলে জানান সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন শেষ পর্যায়ে এখন
চার্জশিটের প্রস্তুতি নিয়েছে।
২০১৬ সালের ৪
ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) রক্ষিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। যে ৪০
জন শনাক্ত হয়েছেন তাদের ২৫ জন ফিলিপাইনের। তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।
রিজার্ভ চুরির
মামলার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তদন্তে ছয়টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত,
চীন, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, ও জাপান। ফিলিপাইন পুলিশের মাধ্যমে তথ্য দিয়েছে। শ্রীলঙ্কা,
জাপান দিয়েছে ইন্টারপোলে। ভারত নানাভাবে সহযোগিতা করলেও চীন তথ্য দেয়নি।
৫শ’ ৬১ কোটি টাকা উদ্ধারে নিউইয়র্কের সাউদার্ন
ডিসট্রিক্টের আদালতে একটি মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষা করছে সিআইডি। মামলাটি নিষ্পত্তি
হলেই বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মতিঝিল থানায় সেই রিজার্ভ চুরি মামলার চার্জশিট দেবে।
রিজার্ভ চুরির
ঘটনা ঘটিয়েছে আন্তর্জাতিক জালিয়াত চক্র এটি প্রথম থেকেই ধারণা করা হচ্ছে। চুরির ঘটনার
পর ফিলিপাইন চক্রের দিকে নজর ছিল বেশি। সিআইডির প্রতিবেদনেও সেটি উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা পাঁচ বছর হলেও এখন আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
নিউইয়র্ক ফেডারেল
রিজার্ভ বা নিউইয়র্ক ফেডে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন
ডলার চুরি হয় ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ফেরত আসে ১ কোটি ৫০ লাখ
ডলার। এখনও রয়ে গেছে ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার বা ৫৬১ কোটি টাকা।