কলকাতা নাইট রাইডার্সের
১১তম ম্যাচেও একাদশে সুযোগ হয়নি সাকিব আল হাসানের।
ধারণা করা হয়েছিল
কেকেআরের ক্যারিবীয় তারকা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ইনজুরি আক্রান্ত হওয়ায় মঙ্গলবার
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ পাবেন সাকিব।
কিন্তু না, সাকিবকে
সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রেখেই দিল্লির বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ে কেকেআর। দিল্লির বিপক্ষে আন্দ্রে
রাসেল ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার পরিবর্তে কেকেআর একাদশে রেখেছে নিউজিল্যান্ডের তারকা পেসার
টিম সাউদি ও ভারতীয় পেসার সন্দীপ ওয়ারিয়রকে।
আইপিএলের ১৪তম
আসরের প্রথম তিন ম্যাচে কেকেআরে সুযোগ পান সাকিব। প্রথম ম্যাচে ৫ বলে ৩ রান আর বল হাতে
৪ ওভারে ৩৪ রান খরচ করে মাত্র ১ উইকেট নেন সাকিব। সেই ম্যাচে হায়দরবাদের বিপক্ষে ৬
উইকেটে ১৮৭ রান করা কেকেআর জিতে যায় ১০ রানে।
প্রথম ম্যাচে
সাকিব প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে না পারলেও দল জিতে যাওয়ায় উইনিং কম্বিনেশনের কারণে
দ্বিতীয় ম্যাচে টিকে যান। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে সেই ম্যাচে বল হাতে চার ওভারে
২৩ রানে ১ উইকেট, আর ব্যাট হাতে ৯ বলে মাত্র ৯ রান করে আউট হন সাকিব। ১৫৩ রান রান তাড়ায় কেকেআর হারে ১০ রানে।
নিজেদের দ্বিতীয়
ম্যাচে দল হারলেও সাকিবের ওপর ভরসা রাখেন কেকেআরের নিউজিল্যান্ডের কোচ ম্যাককালাম।
রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে কেকেআরের তৃতীয় ম্যাচে ২ ওভারেই ২৪ রান দেন
সাকিব। খরুচে বোলিংয়ের কারণে তাকে আর বল করার সুযোগ দেননি অধিনায়ক ইয়ন মরগান। ব্যাট
হাতেও সেদিন আলো ছড়াতে পারেননি সাকিব। ২৫ বলে ১ চার ও এক ছক্কায় করেন মাত্র ২৬ রান।
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২০৫ রানের বিশাল টার্গেট তাড়ায় কেকেআর হারে ৩৮ রানে।
তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩৮ রান আর বল হাতে ১০ ওভারে ৮১ রান দিয়ে মাত্র ২ উইকেট শিকার করেন সাকিব। এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণেই করোনায় ২ মে আইপিএল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে টানা চার ম্যাচে সাইড বেঞ্চে বসে থাকতে হয় সাকিবকে।