গাজা উত্তরাঞ্চল
থেকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার সময় ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি
নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৪ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ফিলিস্তিনের
স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আল জাজিরার
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফিলিস্তিনের
বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন
বলে জানিয়েছে হামাস কর্তৃপক্ষ।
সংগঠনটির কর্মকর্তারা
জানান, নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। তারা সবাই ইসরায়েলের হামলার ভয়ে উত্তর গাজা
ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় সরে যাচ্ছিলেন।
তবে, দখলদার
ইসরায়েল এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি।
এর আগে, শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা শহর থেকে সব বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। তবে, বাসিন্দারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে হামাস
জানায়, তারা শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই চালিয়ে যাবে। হামাসের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক
সম্পর্ক ব্যুরোর প্রধান বাসেম নাইম বলেন, আমাদের কাছে দুটি বিকল্প আছে। হয় এই দখলদারিত্বকে
পরাস্ত করব, নতুবা বাড়িতেই প্রাণ দেব। আমরা গাজা ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না।
পরে ওই দিন
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পদাতিক বাহিনী ও ট্যাঙ্ক
গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এই হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৩০০ জন। এ ঘটনায় ইসরায়েলের বেশ কিছু নাগরিককে বন্দি করেছে হামাস। এর জবাবে গাজার শাসক গোষ্ঠীটিকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর
হামলায় ইতোমধ্যে গাজায় এক হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫০০ শিশু
ও ২৭৬ জন নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৬১২ জন।