আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ঘাটাইল পৌরসভায় ৫০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
Image

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পৌরসভায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ৫০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (১ জুন) সকালে পৌরসভার সভাকক্ষে উক্ত বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠিত হয়।

পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রসিদ মিয়ার সভাপতিত্বে বাজেট উপস্থাপন করেন হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. হেলান উদ্দিন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র মো. হেকমত আলী, মো. সোহানুর রহমান (মাজহারুল), পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, সকল কাউন্সিলরবৃন্দ ও পৌরসভার কর্মকর্তা সহ কর্মচারীরা।

পরে আলোচনা সভা শেষে পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রসিদ মিয়া পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ৫০ কোটি ৫৫ লাখ ২৬ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেন।


আরও খবর



এক ছাদের নিচে তাহসান-মিথিলা

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভক্তদের কাছে তাহসান-মিথিলা ছিল একটি আবেগের নাম। দুজনের বিচ্ছেদ বুক ভেঙে দিয়েছিল তাদের। তাদের এক ছাদের নিচে চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে ইভেন্টও খোলা হয়েছিল। আজও অনেকে আফসোস করেন অভিনেত্রী ও গায়কের বিচ্ছেদ নিয়ে। মন ভালো করা খবর হলো ফের এক হচ্ছেন তাহসান মিথিলা।

তবে বাস্তব জীবনে এক হচ্ছেন না তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। একটি ওয়েব সিরিজে এক সঙ্গে দেখা যাবে তাদের। বাজি নামের সাত পর্বের এই সিরিজটি নির্মাণ করেছেন আরিফুর রহমান। এবার এ সিরিজের মুক্তি উপলক্ষে আয়জিত সংবাদ সম্মেলনে এক ছাদের নিচে দেখা গেল তাহসান-মিথিলাকে।

এ সময় মিথিলা বলেন, চরকির সাথে এর আগেও কাজের অভিজ্ঞতা ভালো, আর এবার আরও ভালো কিছু হবে, অন্যরকম একটা গল্পে আরিফুর রহমানের পরিচালনায় কাজের অভিজ্ঞতাটাও বেশ ইন্টারেস্টিং।

তাহসান বলেন, ‌ওটিটিতে আমার প্রথম কাজ, চরকিতেও আমার প্রথম কাজ, আর একদম ভিন্নধর্মী গল্পে কাজ করার অভিজ্ঞতাসব মিলিয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত, এখন শুধু রিলিজের পর দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা। 

পরিচালক আরিফুর রহমান বলেন, যত্ন নিয়ে নিজেদের সবটুকু দিয়েই বানানো হয়েছে বাজি, অভিনয়শিল্পী থেকে কলাকুশলী সবারই চেষ্টা ছিল দর্শকদের ভিন্ন কিছু দেয়ার, আশা করছি সবার ভালো লাগবে সিরিজটি।

সংবাদ সম্মেলনে সিরিজটির ট্রেলার উন্মোচন করা হয়। এতে তাহসান-মিথিলা ছাড়াও অভিনয় করেছেন মিম মানতাসা, মনোজ প্রামাণিক, নাজিয়া হক অর্ষা, শাহাদাৎ হোসেন, পার্থ শেখ, তাসনুভা তিশা, আবরার আতহার প্রমুখ।


আরও খবর



নোবেল পুরস্কারের আকাঙ্ক্ষা আমার কখনো ছিল না, এখনও নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শাস্তির পেছনে সরকারের কোনো হাত নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আদালত তাকে শাস্তি দিয়েছে। এখানে আমার দোষটা কোথায়? তার (মুহাম্মদ ইউনূস) সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই।

নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার মধ্যে কখনও ছিল না, এখনও নেই। আমি জানি এসব পুরস্কার যারা পান, তার পেছনে একটি রাজনীতি থাকে। আমি এগুলো চাই না। অথচ পার্বত্য অঞ্চলে আমি শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি বিরল ঘটনা। শেখ হাসিনা কারো সঙ্গে জেলাসি (হিংসা) করে না।

প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দুদিনের ভারত সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (ড. ইউনূস) ওয়ান ইলেভেনের সময় একটি রাজনৈতিক দল গঠনেরও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি ব্যর্থ হলেন কেন? তখন আমার নামে খুনের মামলাও হয়েছিল। হিলারি ক্লিনটনকে সঙ্গে নিয়ে দেশে দারিদ্র বিমোচনে প্রকল্প নিলেন, অথচ যারা ঋণ নিয়েছিল তাদের অনেকে সুদের চাপে আত্মহত্যাও করেছে। আমার প্রশ্ন হলো, তিনি (ইউনূস) দারিদ্র বিমোচন করতে পারলেন না কেন?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে দারিদ্র বিমোচন করছি আমি। অথচ সবাই ক্রেডিট দেয় তাকে (ইউনূস)। সে তো একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার পক্ষে সাংবাদিকরা লিখে কীভাবে? এটাও আমার প্রশ্ন।

ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত রেল যোগাযোগ চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ চুক্তির সমালোচনা হবে কেন? এ চুক্তির ফলে আমি দেশটাকে কীভাবে বিক্রি করে দিলাম? স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেই আমরা দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো করেছি। আমরা দেশ বিক্রির জন্য কোনো চুক্তি করিনি। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রির জন্য কোনো চুক্তি করে না।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ২১ থেকে ২২ জুন নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার গঠনের পর নয়াদিল্লিতে এটিই কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।


আরও খবর



রাখাইনে গায়ে পেট্রোল ঢেলে মারধর, নির্যাতনে নিহত ৫০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের রাখাইনে গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিরোধী বাহিনীগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে বলেন, গ্রামটিতে দুই দিনের বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালানো হয়েছে। লোকজনকে চোখ বেঁধে মারধর করা হয়েছে। তাদের গায়ে গরম পেট্রোল ঢেলে দেওয়া হয়েছে এবং গ্রামের বেশ কয়েকজনকে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করেছে সেনাবাহিনী।

বিভিন্ন এলাকায় আরাকান আর্মির (এএ) সমর্থকদের খুঁজতে অভিযান চালানো হয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের সবচেয়ে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে এএ।

১৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫১ জন বেসামরিক নাগরিকের ওপর সহিংস নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে আরাকান আর্মি বলছে, নিহতের সংখ্যা ৭০ জনের বেশি হতে পারে। তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার জান্তা।

এক নারী বিবিসিকে বলেন, তারা এসে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করছিল যে আরাকান আর্মির সদস্যরা গ্রামে এসেছে কি না। লোকজন সেনাবাহিনীর প্রশ্নের উত্তরে যদি বলেছে যে, তারা জানে না বা আরাকান আর্মির লোকজন আছে বা নেই, তারা যেই উত্তরই দিয়েছে সেনারা তাদের মারধর করেছে।

মাত্র ছয় মাসের প্রচেষ্টায় রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা দখল করেছে আরাকান আর্মি। তারা সেনাবাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে।

এক নারী বিবিসিকে বলেন, আমার চোখের সামনে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের কাছ থেকে আমাদের সন্তানকে আলাদা করা হয়েছে। আমরা জানিনা যে সে কোথায় আছে। আমি এখন জানি না যে, আমার স্বামী এবং সন্তান বেঁচে আছে কি না।

ভুক্তভোগীরা জানান, লোকজনকে সারাদিন ধরে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তারা যখন পানি চেয়েছে তখন সেনা সদস্যরা বোতলে প্রস্রাব করে সেগুলো তাদের খেতে দিয়েছে।


আরও খবর



বিশ্ব নেতাদের সামনে গাজা ইস্যুতে যা বললেন সৌদি যুবরাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গতবছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া হামাস-ইসরাইলের যুদ্ধের পর থেকে খুব কম সময়েই কথা বলেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তার নিরবতা নিয়ে মুসলিম দেশগুলোতে চলে নানা আলোচনা সমালোচনা। এবার ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সির (ইরনা) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ বিন সালমান গাজা উপত্যকায় ইহুদিদের আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ-এর বরাত দিয়ে ইরনা জানায়, সোমবার মিনা প্রাসাদে রাষ্ট্রীয় অতিথি বিভিন্ন  ইসলামি দেশের রাজনৈতিক নেতা ও প্রতিনিধি দলের প্রধানদের বার্ষিক হজ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিন সালমান এই আহ্বান জানান।

এ সময় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সাম্প্রতিক রেজুলেশনগুলো বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন।


আরও খবর



দেশের ভিতর দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কোথায়, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। ট্রানজিট দিলেই দেশ বিক্রি হয় না। যারা এসব কথা বলে তারাই দেশ বিক্রি করার জন্য বসে থাকে। শেখ হাসিনা এই দেশ কখনো বিক্রি করে না। আর ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কোথায়?

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১১টায় গণভবনে ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ওপরে ভারত বিরোধিতা করলেও গোপনে ভারতে গিয়ে পা ধরে বসে ছিল। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না, কারণ আমরাই এই দেশ স্বাধীন করেছি। যারা বিক্রির কথা বলে, তারাই ৭১ এ পাকিস্তানের দালালি করেছে।

তিনি বলেন, একটি দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? ইউরোপে কোনো বর্ডারই নাই। তারা কি একে অন্যের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে? দক্ষিণ এশিয়ায় কেন বাধা দিয়ে রাখবো। মানুষ কি দরজা-জানালা বন্ধ রাখবে? এ কানেক্টিভিটির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে। দেশের মানুষই লাভবান হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ ও ২২ জুন আমি রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক সফর করেছি। একই মাসে সরকার প্রধান হিসেবে দুইবার দিল্লি সফর আমার জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এসবই আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারত এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের নতুন সরকার গঠনের পর এটিই ছিল কোনো দেশে আমার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। একইসঙ্গে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন-পরবর্তী সরকার গঠনের পর ভারতেও ছিল এটি প্রথমবারের মত কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানের দ্বিপাক্ষিক সফর। এটি অবশ্যই আমার এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতামূলক বিশেষ সম্পর্কেরই বহিঃপ্রকাশ। ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও নিকটতম প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে সম্পর্কের সূচনা হয় তাকে বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়সহ উচ্চপর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২১ জুন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নয়াদিল্লি যান।

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার পর ভারতে কোনো সরকার প্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।

এছাড়াও, এই সফরটি ছিল ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর, তিনি ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট জনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ঢাকা ও নয়াদিল্লি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সাতটি নতুন এবং তিনটি নবায়নসহ ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।


আরও খবর