আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

স্ত্রী-কন্যাসহ বেনজীরের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী এবং দুই কন্যার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব জমা দিতে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নোটিশে সম্পদের হিসাব জমা দিতে ২১ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।

নোটিশে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দেখা দেছে, আপনারা (বেনজীর পরিবার) জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। নিজ ও আপনাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করবেন।

এর আগে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে ২৩ ও ২৪ জুন হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগের লিখিত বক্তব্য জমা দেয় বেনজীর পরিবার। বেনজীরকে ৬ জুন ও তার স্ত্রী ও কন্যাকে ৯ জুন তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তারা না এসে দুদকের কাছে সময় চেয়েছিলেন।

গত ৩১ মার্চ বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ এবং ৩ এপ্রিল বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

গত ২৩ মে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ও ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন আদালত। অন্যদিকে, গত ২৬ মে আদালত বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামের ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। গত ২৩ মে তাদের নামীয় ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৩টি হিসাব জব্দ ও অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ৬২৭ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব জব্দের কার্যক্রম চলমান। এরই মধ্যে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।


আরও খবর



দেশের চার অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের চার অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এমনটি জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও এলাকার জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ফলে আগামী পাঁচ দিনে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং যেসব এলাকায় তাপপ্রবাহ চলছে তাও প্রশমিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


আরও খবর



বাংলাদেশের শীর্ষ করদাতা কাউছ মিয়া আর নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের শীর্ষ করদাতা, চাঁদপুরের কৃর্তী সন্তান, পুরান ঢাকার হাকিমপুরী জর্দার ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়া (৯৪) আর নেই। সোমবার (২৪ জুন) দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৮ ছেলে ও ৮ মেয়ে রেখে গেছেন কাউছ মিয়া। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাদ জোহর ঢাকার আরমানিটোলা মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

খবরটি নিশ্চিত করে কাউছ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, আব্বা বার্ধক্যের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসার পর দেশে আনা হয়। পুরান ঢাকার বাসভবনে শয্যাশায়ী ছিলেন। শনিবার বিকেলে আব্বার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নেন। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে দোয়া চাই।

কাউছ মিয়া চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন। তিনি দীর্ঘদিন চাঁদপুর জেলা শহরের পুরান বাজারে ব্যবসা করেন। পরে হাজিগঞ্জে, সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ এবং পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ব্যবসা করেন।

হাকিমপুরী জর্দার ব্যবসার পাশাপাশি তার বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা ছিল। ২২ বছর বয়স থেকে ব্যবসা শুরু করেন এবং টানা ৭১ বছর এককভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার পর তিনি চিরতরে চলে গেলেন।

কর প্রদানে সততা, আন্তরিকতা ও প্রণোদনার স্বীকৃতিস্বরূপ হাজি মো. কাউছ মিয়াকে সিআইপি মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে। পরে যতবার এনবিআর করদাতার সম্মাননা দিয়েছে ব্যক্তি পর্যায় সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে প্রতিবারই অর্থাৎ টানা ২০বার তিনি শীর্ষ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন।


আরও খবর



পাহাড়ি ঢলে ফের বন্যার কবলে সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ফের সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার গ্রামীণ সড়ক, ঘরবাড়ি ও ফসিল জমি। সেইসঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দুই উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ।

এমনকি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে পৌর শহরের কাজীর পয়েন্ট, উত্তর আরপিননগর, নতুন পাড়া, হাসননগরসহ বেশ কিছু এলাকা। সেইসঙ্গে জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে তাহিরপুর উপজেলা। দোয়ারাবাজার উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সুরমা, লক্ষ্মীপুর ও বাংলাবাজারসহ তিন ইউনিয়নের। এক মাসের ব্যবধানে দুইবার সুনামগঞ্জ বন্যা কবলিত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই অঞ্চলের মানুষেরা।

ভুক্তভোগীরা বলেন, কয়েকদিন আগে একদফা বন্যা হয়ে গেলেও এখন আবারো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আমাদের অবস্থা নাজেহাল হয়ে গেছে।

তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা অলি মিয়া বলেন, বন্যার পানিতে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। প্রতিনিয়ত পানি বাড়ছে। এরইমধ্যে সড়ক ডুবে গেছে। ঘরবাড়িতে পানি।

পৌর শহরের বাসিন্দা জমিরুল হক পৌরব বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানিতে আমাদের বেহাল অবস্থা। আমরা এই পানির হাত থেকে রক্ষা চাই।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি কমলে নদীর পানি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, রাতভর নিজে উপস্থিত থেকে পৌর শহরের যে এলাকায় পানি ওঠে সেখানকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিষ্কার করেছি। যাতে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সকল প্রস্তুতি নেওয়া আছে।


আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




ছাত্রদলের ২৬০ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটির আকার বাড়ছে। মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে সভাপতি এবং নাছির উদ্দীন নাছিরকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে এই কমিটির নাম ঘোষণা করেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এছাড়াও ছাত্রদলের কমিটিতে রয়েছেন যারা-

সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া। সহ-সভাপতি- জহরি রায়হান আহমদে, এবিএম ইজাজুল কবির রুয়েল, মন্জুরুল আলম রিয়াদ, রিয়াদ উর রহমান, খোরশেদ আলম সোহেল, শাকির আহমেদ, এমএম মুসা, এইচএম আবু জাফর, শাফি ইসলাম, সোহেল রানা, শাহজাহান শাওন, তৌহদিুর রহমান আউয়াল, আরফিুল ইসলাম আরিফ, সজীব মজুমদার, হাসান আল আরিফ, নাজমুল হক, লটিন এআর খান, মশিউর রহমান মামুন, শ্রী মিঠুন কুমার দাশ, আবু সুফিয়ান, শফিকুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, মো. নিজাম উদ্দীন, রেহেনা আক্তার শিরিন, আনোয়ার পারভেজ, ইব্রাহিম খলিল ফিরোজ, সাইদ আহমেদ, হাবিবুল বাশার,, হাফিজুর রহমান সোহান, মো: জুয়েল মৃধা, মাকসুদুর রহমান সুমিত, জকির উদ্দীন আবির, মো: কাজী জিয়া উদ্দীন বাসেত, হাসিবুল ইসলাম সজিব, রেজোয়ানুল হক সবুজ, মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ হীরা, মো, অলিউজ্জামান সোহেল, আপেল মাহমুদ, মো. মাসুদ রানা রিয়াজ, মো. জহরিুল ইসলাম ও দিপু পাটোয়ারী।

ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ পেয়েছেন শ্যামল মালুম। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ ১১০ জনকে নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি। সহ-সাধারণ সম্পাদক পাদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৫৩ জনকে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি পদে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



কাঁচা মরিচ ৩০০, আলু-পেঁয়াজ-মুরগিতেও নেই স্বস্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের ছুটি শেষ হলেও নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতে এখনো ভালোভাবে বেচাকেনা শুরু হয়নি। তবে কুরবানির ঈদের মৌসুমে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আলু-পেঁয়াজ-মুরগির দাম। এছাড়া কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে। শুক্রবার (২১ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেড়ে গেছে। বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচে ১০০ টাকার বেশি দাম বেড়েছে।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের বন্ধের মধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ কম। এ কারণে কাঁচা মরিচসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে দু-এক দিনের মধ্যে বাজারে পণ্য সরবরাহ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে জানান তারা।

এদিকে ঈদের আগে পাইকারিতে ৭৫-৮০ টাকা কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু সপ্তাহিক ছুটির দিনে পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা। আলুর ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যায়। ঈদের আগপর্যন্ত খুচরা বাজারে আলুর কেজি ছিল ৬০ টাকা। তবে দু-এক দিনের মধ্যে খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি ৬০ টাকা ছাড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, বাজারে সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজ, আলুর দাম কমবে।

এছাড়া বাজারে ব্রয়লার মুরগির বাদামি ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। কারওয়ান বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয় ১৫০ টাকা। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো ঈদের আগের দাম, অর্থাৎ প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

তবে ডিমের দাম কমলেও ঈদের পর তিনদিনের ব্যবধানে ফের বাড়ছে মুরগির দাম। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়।

এদিকে বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৩০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতি কেজি পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর ধনেপাতা ২০০ টাকা, কহি ৩০ টাকা, আর চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতাদের দাবি, কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি সবজির দাম ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। কোনো কোনো সবজিতে আরও বেশি কমেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস জানান, বাজারে একদম ক্রেতা নেই। তবে কমছে সবজির দাম। ঈদের আগে চড়া হওয়া শসার দাম এখন নেমে এসেছে ৫০ টাকায়। ঈদের সময় যেটি ১২০-১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমবে।

এছাড়া স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। প্রায় সব ধরনের মাছে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৫০ টাকার মতো। বিক্রেতাদের অজুহাত, ঈদের কারণে মাছ কম আসায় বাড়ছে দাম।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২৩০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০-২৪০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়। এছাড়া, আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর