আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

গ্রাহকের ১০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা আল-হেমায়েত মাল্টিপারপাসের চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাঈম, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠির রাজাপুরে সুদ মুক্ত মুনাফার লাভের কথা বলে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে আল-হেমায়েত মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম আকন এর বিরুদ্ধে। দেখা মিলছেনা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরও। প্রধান কাযার্লয়ে ঝুলছে তালা।

অভিযুক্ত মাওলানা রফিকুল ইসলাম আকন উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চর-পালট গ্রামের আঃ সোমেদ মাষ্টারের ছেলে। গালুয়া ইউনিয়নের নিজ গালুয়া গ্রামের জয়ন উদ্দিন মাস্টারের মেয়ের ঘরের নাতী। তিনি নানা বাড়িতে থাকেন এবং এখানে তার জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করেছেন। এবং তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বায়িত্বে রয়েছেন। তিনি অল্পের ভিতরেই বেশ কিছু গ্রাহককে মোটা অংক মুনাফা (লাভ) দিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষকে প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ্বাস ও আকৃষ্ট করে তোলে। বিভিন্ন সময় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে সুদ মুক্ত মুনাফার অধিক লাভ দেখিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিছে বলে জানান এ এলাকার ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্থানীয় মাওলানা রফিকুল ইসলাম আকন, মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও মাওলানা হেলাল উদ্দিন নামের তিনজনে মিলে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলে যার রেজিঃ নং- ০১২/ঝাল। এই প্রতিষ্ঠানির প্রধান পৃষ্টপোষক আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী (পীর সাহেব কারীমপুর) ঝালকাঠি-১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী, চেয়ারম্যান মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মুফতী হেদায়েত উল্লাহ আনসারী, সাধারণ সম্পাদক মুফতী সৈয়দ তাজুল ইসলাম , মাওলানা হেলাল উদ্দীন ওয়াজ মাহফিল সহ বিভিন্ন স্থানে বসে বয়ান পেস করতেন যে, ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে সেটা সুদ হয় আর আলেম ওলামাদের প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখলে সেটা সুদ হয়না এবং এটাই ইসলামের আইন। ইসলাম ধর্মকে পূজিঁ করে এমন কথা বলে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সহজ সরল মানুষদেরকে ভুল বুঝিয়ে তাদের জীবনের অর্জিত অর্থ হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীরা এসব টাকা ফেরত পেতে চাপ দিলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর পালিয়ে যান ওই প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাওলানা রফিকুল ইসলাম আকন।

জি কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী আলেয়া বেগম নামের এক ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমার স্বামী নাই দুই মেয়ে আমি ১৯৯৪ সালে চাকরি লইছি ১৯৯৫ সালে বিল হইছে জীবনে যত আয় করছি তেমন খরচ করি নাই জমাইছি ব্যাংকে টাকা রাখি নাই ভয়ে যদি কিছু হয়। এলকার হুজুর রফিক মাওলানা আমাকে সুদ মুক্ত অধিক মুনফার কথা বলে ভুল বুঝিয়ে তার করা আল-হেমায়েত মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে নামের প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখতে বলেন। একদিন সকালে আমার টাকা চাইতে গেছি তখন কয় 'বুড়ি তোমার টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবো' আমি কই এই হুজুর একি বলো আমার টাকা দিবা কবে কও আমার টাকা আমাকে ফেরত দেও। পরে আমি স্কুলে চলে গেছি। তিনি আমার কাছ থেকে চার লাখ টাকা নিয়েছেন। একজন মাওলানা হয়ে কীভাবে এমন করতে পারলেন! এই প্রতারককে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।

আরেক ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, আমার দুই লাখ টাকা রাখা আছে। আমার ছোট ভাইর রাখা আছে ৩ লাখ টাকা। এবং তিনি প্রতি মাসে ৫হাজার করে রাখেন তাতেও তার এক বছর এগারো মাস হইছে রাখে। এছাড়াও ভান্ডারিয়ার এক ব্যক্তির থেকে আমি জামিনদার হয়ে মাওলানা রফিকুল ইসলাম আকনকে তিন লাখ টাকা এনে দিয়েছিয়ে। কয়দিন আগে টাকা চাইতে গেলে জানায়, কিছু দিন পরে টাকা দিয়ে দিবে। এখন দেখি গত ২৮ সেপ্টেম্বর সে পালিয়ে গেছে। এখন আমি কী করবো?

ভুক্তভোগী মো. কামাল হোসেন বলেন, আমার নিজের দুই লাখ টাকা রাখা আছে। এছারা আমার মাধ্যমে দুই জনের সাড়ে তিন লাখ টাকা রাখা আছে। টাকা না দিয়ে সে পালিয়ে গেছে। এখন আমি যাদের টাকা এনে এখানে রাখছি তারা টাকার জন্য আমাকে খুব চাপ দিচ্ছে। কী করবো বুঝতে পারছি না। হুজুর হয়ে এরকরম প্রতারণা করবে জানা ছিল না। এই প্রতারকের কঠিন বিচার চাই।

এ ছাড়াও সিরাজুল ইসলাম, মো. হানিফ, মহিউদ্দিন খান, আলতাফ, হেলেনা সহ একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কারীমপুরের পীর সাহেব আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী এলাকার ওয়াজ মাহফিল সহ বিভিন্ন সময়ে এ প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখতে পরামর্শ দেন। তার উপর ভক্তি শ্রদ্ধা করে এলাকার অনেকেই এ প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখেন। এমন পরিস্থিতিতে এলাকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের জন্য রাখা শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে নি:স্ব হতে চলছেন কয়েকশত গ্রাহক।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান মুফতী হেদায়েত উল্লাহ আনছারী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি নামে মাত্র ভাইস চেয়ারম্যান, টাকা পয়সার লেনদেন ও জমি জমা ক্রয় সহ সকল বিষয় মাওলানা রফিকুল ইসলাম আকন একাই পরিচলনা করতেন। আমার মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানে যে গ্রাহকরা টাকা জমা রেখেছেন আমি তাদের সাথে বিষয়টি সমাধান করে নিবো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল মুঠোফোনে বলেন, একজন মাওলানা হয়ে এলাকার মানুষকে অধিক মুনাফার লাভ দেখিয়ে টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে তা ভাবতে পারছি না। তবে মাওলানা রফিকুল ইসলাম আকন এর সাথে নুরুল হুদা ফয়েজী ও তার ছেলে হেদায়েতুল ফয়েজী এবং মাওলানা আব্দুস সত্তর ওরফে সাহ সাহেব হুজুর এই তিন জন জরিত আছে। এরাই তাকে পালাতে সহযোগিতা করছে। রফিকুল ইসলামের ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটা জমি ছিলো যার মূল প্রায় দুই কোটি টাকা সেই জমি ৭০ লাখ টাকা দাম ধরে নুরুল হুদা ফয়েজী তার নিজের নামে দলিল করে নিছে এবং বরিশালে একটা জমি ছিলো সেটা আব্দুস সত্তর হুজুরের নামে দলিল করে নিছে। কিন্তু তারা দুজনের কেউ তাকে টাকা দিয়ে দলিল করে নায় যার জন্য তিনি এই সমস্যা পরেছে বলে জানতে পাই। এমন প্রতারক মাওলানাকে গ্রেপ্তার করে ভুক্তভোগী মানুষগুলোর টাকা ফেরতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এমনটাই দাবি জানাচ্ছি।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, বিষয়টি শুনেছি এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর



দুবাই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছালো এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছে। জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী বৈশ্বিক সংস্থা মেরিন ট্রফিক এ তথ্য জানিয়েছে।

মেরিন ট্রফিক ডটকম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ ওমান সাগর পাড়ি দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। অবস্থান ও গতিবেগ অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সোমালিয় দস্যুরা গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জিম্মি করা হয়। এর ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় জলদস্যুরা। এরপরই সেটি সোমালিয়া উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। জাহাজটি ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পরিবহন করছে।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে চট্টগ্রামভিত্তিক কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি জিম্মি করা হয়েছিল। এতে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হন জাহাজের ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।


আরও খবর



কোটি টাকার মাদক আইসসহ সংগীতশিল্পী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোটি টাকা মূল্যের মারাত্মক ক্ষতিকর মাদক আইসসহ সংগীতশিল্পী এনামুল কবির রেবেল ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রামপুরা থানাধীন মালিবাগ চৌধুরীপাড়া মাটির মসজিদ এলাকা থেকে রেবেলকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক কেজি আইস উদ্ধার করা হয়; যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি টাকা।

মশিউর রহমান বলেন, শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে রামপুরা থানায় এ নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, গ্রেপ্তারকৃত রেবেল জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পী পপগুরু আজম খানের দলের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



ঢাকাসহ ১৫ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ দেশের ১৫টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে আজ দুপুরের মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেতও দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (০৭ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে সোমবার রাতে দেওয়া আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




ভারতের যেখানেই যাই অমিতাভ বচ্চনের মতো সম্মান পাই: কঙ্গনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসন থেকে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হয়ে নির্বাচন করছেন কঙ্গনা রানাউত। প্রচার অনুষ্ঠানে তার একেকটা বিতর্কিত মন্তব্য যেন টক অব দ্য টাউন।

সম্প্রতি এক প্রচার অনুষ্ঠানে ভারতের বর্ষীয়ান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে করেছেন নিজেকে তুলনা। আর সেখানেই নতুন বিতর্কে জড়ালেন অভিনেত্রী।

অমিতাভের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে কঙ্গনা রানাউতের মন্তব্য, ভারতের যে প্রান্তে যাই, অমিতাভ বচ্চনের মতো সম্মান পাই। আমি ছাড়া তার পর ইন্ডাস্ট্রিতে আর কেউ এতটা সম্মান পাননি।

ভোট প্রচারের অনুষ্ঠানে কঙ্গনা বলেন, গোটা দেশ হয়রান, কঙ্গনা রাজস্থান যাক কিংবা পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি যাক বা মণিপুর এত সম্মান পাই মানুষের কাছ থেকে যে নিঃসন্দেহে বাজি ধরে বলতে পারি, অমিতাভ বচ্চনের পর ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ এত সম্মান পাননি।

বিজেপির তারকা প্রার্থীর এমন মন্তব্যে বিনোদন দুনিয়া তো বটেই, এমনকি বিরোধী শিবিরগুলোর মধ্যেও শোরগোল পড়ে গেছে। গেরুয়া শিবির সমর্থকেরা যদিও অভিনেত্রীর বুকের পাটার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু তাই বলে মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের পরই নিজেকে দেখছেন! দিনদুপুরে স্বপ্ন দেখছেন নাকি কঙ্গনা? উঠেছে প্রশ্ন।

ক্যারিয়ারের ভাটার মাঝেই রাজনীতির ময়দানে নেমে প্রথম থেকেই লাইমলাইটে কঙ্গনা রানাউত। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিনেত্রী।


আরও খবর



দেশে বাড়ল সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির কারণে এই দাম বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৬ টাকা থেকে এক টাকা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২২ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে ১২৪.৫০ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৬.০০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৮.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য আজ রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৩১ মার্চ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে বহুল ব্যবহৃত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল। ওই সময় এই দুটি জ্বালানির পণ্যের দাম লিটারপ্রতি কমানো হয়েছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। লিটারপ্রতি ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৬ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রল আগের মতোই ১২২ এবং প্রতি লিটার অকটেন ১২৬ টাকায় বিক্রি হবে। তবে পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল।

এর আগে গত ৭ মার্চ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করায় দেশে ব্যবহৃত অকটেন, পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমেছে, যা ৮ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমে ১০৮ টাকা ২৫ টাকা পয়সা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ থেকে ৪ টাকা কমে ১২৬ টাকা এবং পেট্রলের দাম ১২৫ থেকে ৩ টাকা কমে ১২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি তেলের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ ডিজেল, পেট্রল ৫ দশমিক ৮৬ এবং অকটেন ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭২ লাখ টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৪৮ থেকে ৪৯ লাখ টন, যার ৮০ শতাংশ সরকার আমদানি করে। বর্তমানে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে। আর পরিশোধিত তেল আমদানি হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সাশ্রয়ী দামে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে ডিজেল আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বেসরকারি খাতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি তেল ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হয়। এই তেল নিজ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহারের অনুমোদন নেই।

অকটেন ও পেট্রল ব্যবহার করা হয় গাড়ি ও মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক, নৌযান এবং কিছু ক্ষেত্রে সেচ পাম্পে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।


আরও খবর